হাদীস নং ১২২৮
আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব রহ……….উম্মে আতিয়্যাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়আত গ্রহণকালে আমাদের কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, আমরা (কোন মৃতের জন্য) বিলাপ করব না। আমাদের মধ্যে হতে পাঁচজন মহিলা উম্মু সুলাইম, উম্মুল আলা, আবু সাবরাহর কন্যা মুআযের স্ত্রী, আরো দু’ জন মহিলা বা মুআযের স্ত্রী ও আরেকজন মহিলা ব্যতীত কোন নারীই সে অঙ্গীকার রক্ষা করেনি।
হাদীস নং ১২২৯
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আমির ইবনে রাবীআ রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা জানাযা (যেতে) দেখলে তা তোমাদের পিছনে ফেলে যাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবে। হুমাইদী আরও উল্লেখ করেছেন, তা তোমাদের পিছনে ফেলে যাওয়া বা মাটিতে নামিয়ে রাখা পর্যন্ত
হাদীস নং ১২৩০
মুসলিম ইবনে ইবরাহীম রহ………..আবু সাঈদ খুদরী রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা জানাযা যেতে দেখলে দাঁড়িয়ে পড়বে, এরপর যারা তার অনুগামী হবে, তারা তা নামিয়ে না রাখা পর্যন্ত বসবে না।
হাদীস নং ১২৩১
আহমদ ইবনে ইউনুস রহ………সাঈদ মাকবুরী রহ. এর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা একটি জানাযায় শরীক হলাম । (সেখানে) আবু হুরায়রা রা. মারওয়ানের হাত ধরলেন এবং তাঁরা জানাযা নামিয়ে রাখার আগেই বসে পড়লেন। তখন আবু সাঈদ রা. এগিয়ে এসে মারওয়ানের হাত ধরে বললেন, দাঁড়িয়ে পড়ুন। আল্লাহর কসম ! ইনি (আবু হুরায়রা রা. তো জানেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ কাজ করতে (জানাযা নামিয়ে রাখার আগে বসতে) নিষেধ করেছেন। তখন আবু হুরায়রা রা. বললেন, তিনি ঠিকই বলেছেন।
হাদীস নং ১২৩২
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ………..আমির ইবনে রাবীআ রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের কেউ জানাযা যেতে দেখলে সে তার সহযাত্রী না হয়, তবে ততক্ষণ সে দাঁড়িয়ে থাকবে, যতক্ষণ না সে ব্যক্তি জানাযা পিছনে ফেলে বা জানাযা তাকে পিছনে ফেলে যায়, অথবা পিছনে ফেলে যাওয়ার পূর্বে তা (মাটিতে) নামিয়ে রাখা হয়।
হাদীস নং ১২৩৩
মুআয ইবনে ফাযালা রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের পাশ দিয়ে একটি জানাযা যাচ্ছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমরাও দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! এ তো এক ইয়াহুদীর জানাযা। তিনি বললেন : তোমরা যে কোন জানাযা দেখলে দাঁড়িয়ে পড়বে।
হাদীস নং ১২৩৪
আদম রহ………আবদুর রহমান ইবনে আবু লায়লা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহল ইবনে হুনাইফ ও কায়স ইবনে সা’দ রা. কাদেসিয়াতে বসাছিলেন, তখন লোকেরা তাদের সামনে দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাচ্ছিল। (তা দেখে) তাঁরা দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন তাদের বলা হল, এটাতো এ দেশীয় জিম্মী ব্যক্তির জানাযা।। তখন তাঁরা বললেন, (একবার) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে দিয়ে একটি জানাযা যাচ্ছিল। তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলে তাকে বলা হল, এটা তো এক ইয়াহুদীর জানাযা। তিনি এরশাদ করলেন : সে কি মানুষ নয় ? আবু হামযা রহ………ইবনে আবু লায়লা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাহল এবং কায়স রা.-এর সাথে ছিলাম। তখন তাঁরা দু’জন বললেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংগে ছিলাম। যাকারিয়া রহ. সূত্রে ইবনে আবু লায়লা রহ. থেকে বর্ণনা করেন, আবু আবু মাসউদ ও কায়স রা. জানাযা যেতে দেখলে দাঁড়িয়ে যেতেন।
হাদীস নং ১২৩৫
আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন জানাযা খাটে রাখা হয় এবং পুরুষরা তা কাধে বহন করে নেয়, তখন সে নেককার হলে বলতে থাকে, আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাও। আর নেককার না হলে সে বলতে থাকে হায় আফসুস ! তোমরা এটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ ? মানব জাতি ব্যতীত সবাই তার চিৎকার শুনতে পায়। মানুষেরা তা শুনলে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলত।
হাদীস নং ১২৩৬
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা জানাযা নিয়ে দ্রুতগতিতে চলবে। কেননা, সে যদি পূণ্যবান হয়, তবে এটা উত্তম, যার দিকে তোমরা তাকে এগিয়ে দিচ্ছ আর যদি সে অন্য কিছু হয়, তবে সে একটি অকল্যাণ, যাকে তোমরা তোমাদের ঘাড় থেকে দ্রুত নামিয়ে ফেলছ।
হাদীস নং ১২৩৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………..আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন : যখন জানাযা (খাটিয়ায়) রাখা হয় এবং পুরুষ লোকেরা তা তাদের কাধে তুলে নেয়, সে নেককার হলে, তখন বলতে থাকে আমাকে সামনে এগিয়ে দাও। আর নেককার না হলে সে আপন পরিজনকে বলতে থাকে, হায় আফসুস ! এটা নিয়ে তোমরা কোথায় যাচ্ছ ? মানুষ জাতি ব্যতীত সবাই তার চিৎকার শুনতে পায়। মানুষ যদি তা শুনতে পেত তবে অবশ্য সজ্ঞা হারিয়ে ফেলত।
হাদীস নং ১২৩৮
মুসাদ্দাদ রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আবিসিনিয়ার বাদশাহ) নাজাশীর জানাযা আদায় করেন। আমি দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় কাতারে ছিলাম।