হাদীস নং ১১৫০
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু হুরায়রা রা বেশী হাদীস বর্ণনা করেছে। এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত হলে আমি জিজ্ঞাসা করলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গতরাতে ইশার সালাতে কোন সূরা পড়েছেন ? লোকটি বলল, আমি জানি না। আমি বললাম, কেন, তুমি কি সে সালাতে উপস্থিত ছিলে না ? সে বলল, হ্যাঁ, ছিলাম। আমি বললাম, কিন্তু আমি জানি তিনি অমুক অমুক সূরা পড়েছেন।
হাদীস নং ১১৫১
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সাললাতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’রাকাআত আদায় করে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুসল্লীগণ তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন। যখন তাঁর সালাত সমাপ্ত করার সময় হল এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম, তখন তিনি সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর বলে বসে বসেই দুটি সিজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন।
হাদীস নং ১১৫২
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের দু’রাকাআত আদায় করে দাঁড়িয়ে গেলেন। দু’রাকাআতের পর তিনি বসলেন না। সালাত শেষ হয়ে গেলে তিনি দুটি সিজদা করলেন এবং এরপর সালাম ফিরালেন।
হাদীস নং ১১৫৩
আবুল ওয়ালীদ রহ…………আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত পাঁচ রাকাআত আদায় করলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, সালাত কি বৃদ্ধি করা হয়েছে ? তিনি বললেন, এ প্রশ্ন কেন ? (প্রশ্নকারী) বললেন, আপনি তো পাঁচ রাকাআত সালাত আদায় করেছেন। এরপর সালাম ফিরানোর পর দুটি সিজদা করলেন।
হাদীস নং ১১৫৪
আদম রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। তখন যুল-ইয়াদাইন রা. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সালাত কি কম হয়ে গেল ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, সে যা বলছে, তা কি ঠিক ? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি আরও দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। পরে দুটি সিজদা করলেন। সাদ রা. বলেন, আমি উরওয়া ইবনে যুবাইর রা. কে দেখেছি, তিনি মাগরিবের দু’রাআত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন এবং কথা বললেন। পরে অবশিষ্ট সালাত আদায় করে দুটি সিজদা করলেন। এবং বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন।
হাদীস নং ১১৫৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’রাকাআত আদায় করে সালাত শেষ করলেন। যুল-ইয়াদাইন রা. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সালাত কি কম করে দেওয়া হয়েছে, না কি আপনি ভুলে গেছেন ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, যুল-ইয়াদাইন কি সত্য বলেছে ? মুসল্লীগণ বললেন, হ্যাঁ। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে আরও দু’রাকাআত সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বললেন, পরে সিজদা করলেন, স্বাভাবিক সিজদার মত বা তার চেয়ে দীর্ঘ। এরপর তিনি মাথা তুললেন।
হাদীস নং ১১৫৬
সুলাইমান ইবনে হারব রহ……….সালামা ইবনে আলকামা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ (ইবনে সীরীন) রহ. কে জিজ্ঞাসা করলাম সিজদায়ে সাহুর পর তাশাহুদ আছে কি ? তিনি বললেন, আবু হুরায়রা রা.এর হাদীসে তা নেই।
হাদীস নং ১১৫৭
হাফস ইবনে উমর রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের কোন এক সালাত দু’রাকাআত আদায় করে সালাম ফিরালেন। মুহাম্মদ রহ. বলেন, আমার প্রবল ধারণা, তা ছিল আসরের সালাত। তারপর মসজিদের একটি কাষ্ঠ খণ্ডের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং উহার উপর হাত রাখলেন। মুসল্লীগণের ভিতরে সামনের দিকে আবু বকর রা. ও উমর রা.ও ছিলেন। তাঁরা উভয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাড়াহুড়া-কারী মুসল্লীগণ বেরিয়ে পড়লেন। তাঁরা বলাবলি করতে লাগলেন, সালাত কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে ? কিন্তু এক ব্যক্তি, যাকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-ইয়াদাইন বলে ডাকতেন, জিজ্ঞাসা করল আপনি কি ভুলে গেছেন, না কি সলাত কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ? তিনি বললেন : আমি ভুলিনি আর সালাতও কম করা হয়নি। তখন তিনি দু’রাকাআত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। তারপর তাকবীর বলে সিজদা করলেন, স্বাভাবিক সিজদার ন্যায় বা তার চেয়ে দীর্ঘ। তারপর মাথা উঠিয়ে আবার তাকবীর বলে মাথা রাখলেন, অর্থাৎ তাকবীর বলে সিজদায় গিয়ে স্বাভাবিক সিজদার মত অথবা তার চাইতে দীর্ঘ সিজদা করলেন। এরপর মাথা উঠিয়ে তাকবীর বললেন।
হাদীস নং ১১৫৮
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে বুহাইনা আসাদী রা. যিনি বনূ আবদুল মুত্তালিবের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তাঁর থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাতে (দু’রাকাআত আদায় করার পর) না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। সালাত পূর্ণ করার পর সালাম ফিরাবার আগে তিনি বসা অবস্থায় ভুলে যাওয়া বৈঠকের স্থলে দু’টি সিজদা সম্পূর্ণ করলেন, প্রতি সিজদায় তাকবীর বললেন। মুসল্লীগণও তাঁর সঙ্গে এ দুটি সিজদা করল। ইবনে শিহাব রহ. থেকে তাকবীরের কথা বর্ণনায় ইবনে জুরাইজ রহ. লায়স রহ.-এর অনুসরণ করেছেন।