হাদীস নং ৮৭২
সাঈদ ইবনে আব মারয়াম রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (মসজিদে নববীতে) এমন একটি (খেজুর গাছের) খুঁটি ছিল যার সাথে হেলান দিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়াতেন। এরপর যখন তাঁর জন্য মিম্বর স্থাপন করা হল, আমরা তখন খুঁটি থেকে দশ মাসের গর্ভবতী উটনীর মত ক্রন্দন করার শব্দ শুনতে পেলাম। এমনকি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বার থেকে নেমে এসে খুঁটির উপর হাত রাখলেন।
হাদীস নং ৮৭৩
আদম ইবনে ইয়াস রহ……..সালিম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারের উপর থেকে খুতবা দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমুআর সালাতে আসে সে যেন গোসল কর নেয়।
হাদীস নং ৮৭৪
উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর কাওয়ারিরী রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। এরপর বসতেন এবং পুনরায় দাঁড়াতেন। যেমন তোমরা এখন করে থাক।
হাদীস নং ৮৭৫
মুআয ইবনে ফাযালা রহ………..আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন মিম্বারের উপর বসলেন এবং আমরা তাঁর চারপাশে বসলাম।
হাদীস নং ৮৭৬
মুহাম্মদ ইবনে মা’মার রহ……….আমর ইবনে তাগলিব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কিছু মাল বা কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী উপস্থিত করা হলো তিনি তা বন্টন করে দিলেন। বন্টনের সময় কিছু লোককে দিলেন এবং কিছু লোককে বাদ দিলেন। তারপর তাঁর নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, যাদের তিনি দেননি. তারা অসন্তুষ্ট হয়েছে। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা করলেন ও তাঁর মহিমা বর্ণনা করলেন, তারপর বললেন : আম্ম বা’দ। আল্লাহর শপথ ! আমি কোন লোককে দেই আর কোন লোককে দেই না। যাকে আমি দেই না, সে যাকে আমি দেই, তার চাইতে আমার কাছে অধিক প্রিয়। তবে আমি এমন লোকদের দেই যাদের অন্তরে অধৈর্য ও মালের প্রতি লিপ্সা দেখতে পাই ; আর কিছু লোককে আল্লাহ যাদের অন্তরে অমুখাপেক্ষিতা ও কল্যাণ রেখেছেন, তাদের সে অবস্থার উপর ন্যস্ত করি। তাদের মধ্যে আমর ইবনে তাগলিব একজন। বর্ণনাকারী আমর ইবনে তাগলিব রা. বলেন, আল্লাহর শপথ! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণীর পরিবর্তে আমি লাল উটও পছন্দ করি না।
হাদীস নং ৮৭৭
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক রাতের মধ্যভাগে বের হলেন এবং মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করলেন। তাঁর সঙ্গে সাহাবীগণও সালাত আদায় করলেন, সকালে তাঁরা এ নিয়ে আলোচনা করলেন। ফলে (দ্বিতীয় রাতে) এর চাইতে অধিক সংখ্যক সাহাবী একত্রিত হলেন এবং তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলেন। পরের দিন সকালেও তাঁরা এ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। ফলে তৃতীয় রাতে মসজিদে লোকসংখ্যা অত্যাধিক বৃদ্বি পেল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন এবং সাহাবীগণ তাঁর সঙ্গে সালাত করলেন। চতুর্থ রাতে মসজিদে মুসল্লীগণের স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। অবশেষে তিনি ফজরের সালাতের জন্য বের হলেন এবং ফজরের সালাত শেষ করে লোকদের দিকে ফিরলেন। তারপর আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করেন। এরপর বললেন : আম্মা বা’দ (তারপর বক্তব্য এই যে) এখানে তোমাদের উপস্থিতি আমার কাছে গোপন ছিল না, কিন্তু আমার আশংকা ছিল, তা তোমাদের জন্য ফরয করে দেওয়া হয় আর তোমরা তা আদায় করতে অসমর্থ হয়ে পড়।
হাদীস নং ৮৭৮
আবুল ইয়ামান রহ………আবু হুমাইদ সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, এক সন্ধ্যায় সালাতের পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং তৌহিদের সাক্ষ্য বাণী পাঠ করলেন। আর যথাযথভাবে আল্লাহর প্রশংসা করলেন। এরপর বললেন, ‘আম্ম বা’দ’।
হাদীস নং ৮৭৯
আবুল ইয়ামান রহ……….মিসওয়াব ইবনে মাখরামা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন। এরপর আমি তাকে সৌদিদের সাক্ষ্য বাণী পাঠ করার পর বলতে শুনলাম, ‘আম্মা বা’দ’।
হাদীস নং ৮৮০
ইসমাঈল ইবনে আবান রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপর আরোহণ করলেন। এ ছিল তাঁর জীবনের শেষ মজলিস। তিনি বসেছিলেন, তাঁর দুকাঁধের উপর বড় চাদর জড়ানো ছিল এবং মাথায় বাঁধা ছিল কালো পট্রি। তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর মহিমা বর্ণনা করলেন, এরপর বললেন, হে লোক সকল ! তোমরা আমার নিকট আস। লোকজন তাঁর নিকট একত্র হলেন। এরপর তিনি বললেন : ‘আম্মা বা’দ’। শুনে রাখ, এ আনসার গোত্র সংখ্যায় কমতে থাকবে এবং অন্য লোকেরা সংখ্যায় বাড়তে থাকবে। কাজেই যে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মতের কোন বিষয়ের কর্তৃত্ব লাভ করবে এবং সে এর সাহায্যে কারো ক্ষতি বা উপকার করার সুযোগ পাবে, সে যেন এই আনসারদের সৎ লোকদের ভাল কাজগুলো গ্রহণ করে এবং তাদের মন্দ কাজগুলো ক্ষমা করে দেয়।
হাদীস নং ৮৮১
মুসাদ্দাদ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’খুতবা দিতেন আর দু’খুতবার মাঝে বসতেন।