হাদীস নং ৮৫১
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ………আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য জুমুআর দিন গোসল করা কর্তব্য।
হাদীস নং ৮৫২
মুসলিম ইবনে ইবরাহীম রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ। কিন্তু কিয়ামতের দিন মর্যাদার দিক দিয়ে সবার আগে। তবে তাদের কিতাব প্রদান করা হয়েছে আমাদের আগে এবং আমাদের তা দেয় হয়েছে তাদের পরে। তারপর এই দিন (শুক্রবার নির্ধারণ) সম্বন্ধে তাদের মধ্যে মতানৈক্য হয়েছে। আল্লাহ আমাদের এ শুক্রবার সম্পর্কে হিদায়েত দান করেছেন। পরের দিন (শনিবার) ইয়াহুদীদের এবং তারপরের দিন (রবিবার) নাসারাদের। এরপর কিছুক্ষণ নীরব থেকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : প্রত্যেক মুসলিমের উপর হক রয়েছে যে, প্রতি সাত দিনের এক দিন সে গোসল করবে, তার মাথা ও শরীর ধৌত করবে। আবান ইবনে সালিহ রহ. আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : প্রত্যেক মুসলিমের উপর হক রয়েছে যে, প্রতি সাত দিনের এক দিন সে যেন গোসল করে।
হাদীস নং ৮৫৩
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……….ইবনে উমর রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা মহিলাগণকে রাতে (সালাতের জন্য) মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দিবে।
হাদীস নং ৮৫৪
ইউসুফ ইবনে মূসা রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর রা.-এর স্ত্রী (আতিকাহ বিনতে যায়েদ) ফজর ও ইশার সালাতের জামাআতে মসজিদে হাজির হতেন। তাকে বলা হল, আপনি কেন (সালাতের জন্য) বের হন? অথচ আপনি জানেন যে, উমর রা. তা অপছন্দ করেন এবং মর্যাদা হানিকর মনে করেন। তিনি জবাব দিলেন, তা হলে এমন কি বাধা রয়েছে রয়েছে যে, উমর রা স্বয়ং আমাকে নিষেধ করছেন না ? বলা হল, তাকে বাধা দেয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : আল্লাহর দাসীদের আল্লাহর মসজিদে যেতে নিষেধ করো না।
হাদীস নং ৮৫৫
মুসাদ্দাদ রহ………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর মুআযযিনকে এক বর্ষণমুখর দিনে বললেন, যখন তুমি (আযানে) ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বলবে, তখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলবে না, বলবে, ‘সাললু ফী বুয়ুতিকুম’ তোমরা নিজ নিজ বাসগৃহে সালাত আদায় কর। তা লোকেরা অপছন্দ করল। তখন তিনি বললেন : আমার চাইতে উত্তম ব্যক্তিই (নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা করেছেন। জুমুআ নি:সন্দেহ জরুরী। আমি অপছন্দ করি যে, তোমাদেরকে মাটি ও কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়ত করার অসুবিধায় ফেলি।
হাদীস নং ৮৫৬
আহমদ ইবনে সালিহ রহ……… নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন তাদের বাড়ী ও উচু এলাকা থেকেও জুমআর সালাতের জন্য পালাক্রমে আসতেন। আর যেহেতু তারা ধুলো-বালির মধ্য দিয়ে আগমন করতেন, তাই তারা ধুলা মলিন ও ঘর্মাক্ত হয়ে যেতেন। তাদের দেহ থেকে ঘাম বের হত। একদিন তাদের একজন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট ছিলেন। তিনি তাকে বললেন : যদি তোমরা এ দিনটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে।
হাদীস নং ৮৫৭
আবদান রহ………ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আমরাহ রহ.-কে জুমুআর দিনে গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আমরাহ রহ. বলেন, আয়িশা রা. বলেছেন যে, লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরের পরে জুমুআর জন্য যেতেন তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাদের বলা হল, যদি তোমরা গোসল করে নিতে।
হাদীস নং ৮৫৮
সুরাইজ ইবনে নুমান রহ………আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুআর সালাত আদায় করতেন, যখন সূর্য হেলে যেতো।
হাদীস নং ৮৫৯
আবদান রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রথম ওয়াক্তেই জুমুআর সালাতে যেতাম এবং জুমুআর পরে কাইলুলা (দুপুরের বিশ্রাম) করতাম।
হাদীস নং ৮৬০
মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দামী রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচণ্ড শীতের সময় প্রথম ওয়াক্তেই সালাত আদায় করতেন। আর প্রখর গরমের সময় ঠান্ডা করে (বিলম্ব করে)) সালাত আদায় করতেন। অর্থাৎ জুমুআর সালাত। ইউনুস ইবনে বুকাইর রহ. আমাদের বলেছেন, আর তিনি সালাত শব্দের উল্লেখ করেছেন, জুমুআর শব্দের উল্লেখ করেন নি। আর বিশর ইবনে সাবিত রহ. বলেন, আমাদের কাছে আবু খালদা রহ. বর্ণনা করছেন যে, জুমুআর ইমাম আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। তারপর তিনি আনাস রা. কে বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত কি ভাবে আদায় করতেন ?
হাদীস নং ৮৬১
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………আবায়া ইবনে রিফাআ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জুমুআর সালাতে যাওয়ার সময় আবু আব্বাস রা.-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তিনি বললেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছি যে, যার দু’পা আল্লাহর পথে ধুলি ধু সারিত হয়, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।