হাদীস নং ৮৪১
ইবরাহীম ইবনে মূসা রহ………তাউস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি যখন জুমুআর দিন গোসল সংক্রান্ত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীর উল্লেখ করেন তখন আমি ইবনে আব্বাস রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পরিবারবর্গের সঙ্গে অবস্থান করতেন তখনও কি তিনি সুগন্ধি বা তৈল ব্যবহার করতেন ? তিনি বললেন, আমি তা জানি না।
হাদীস নং ৮৪২
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনে খাত্তাব রা. মসজিদে নববীর দরজার নিকটে এক জোড়া রেশমী পেষাক ( বিক্রি হতে) দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! যদি এটি আপনি খরিদ করতেন আর জুমুআর দিন এবং যখন আপনার কাছে প্রতিনিধি দল আসে তখন আপনি তা পরিধান করতেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এটা তো সে ব্যক্তিই পরিধান করে, আখিরাতে যার (মঙ্গলের) কোন অংশ নেই। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ ধরনের কয়েক জোড়া পোষাক আসে, তখন তার এক জোড়া তিনি উমর রা.-কে প্রদান করেন। উমর রা. আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আপনি আমাকে এটি পরিধান করতে দিলেন অথচ আপনি উতারিদের (রেশম) পোষাক সম্পর্কে যা বলার তা তো বলেছিলেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : আমি তোমাকে এটি নিজের পরিধানের জন্য প্রদান করিনি। উমর ইবনে খাত্তাব রা. তখন এটি মক্কায় তাঁর এক ভাইকে দিয়ে দেন, যে তখন মুশরিক ছিল।
হাদীস নং ৮৪৩
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমার উম্মতের জন্য বা তিনি বলেছেন, লোকদের জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তা হলে প্রত্যেক সালাতের সাথে তাদের মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।
হাদীস নং ৮৪৪
আবু মামার রহ………আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমি মিসওয়াক সম্পর্কে তোমাদের অনেক বলেছি।
হাদীস নং ৮৪৫
মুহাম্মদ ইবনে কাসীর রহ…………হুযাইফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে সালাতের জন্য উঠতেন তখন দাঁত মেজে মুখ পরিষ্কার করে নিতেন।
হাদীস নং ৮৪৬
ইসমাঈল রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা. একটি মিসওয়াক হাতে নিয়ে দাঁত মাজতে প্রবেশ করলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দিকে তাকালেন। আমি তাকে বললাম, হে আবদুর রহমান ! মিসওয়াকটি আমাকে দাও। সে তা আমাকে দিল। আমি ব্যবহৃত অংশ ভেঙ্গে ফেললাম এবং তা চিবিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দিলাম। তিনি আমার বুকে হেলান দিয়ে তা দিয়ে মিসওয়াক করলেন।
হাদীস নং ৮৪৭
আবু নুআইম রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুআর দিন ফজরের সালাতে (কোন সময়) الم تنزيل السجدة এবং هل أتى على الإنسان এ দুটি সূরা তিলাওয়াত করতেন।
হাদীস নং ৮৪৮
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মসজিদে জুমুআর সালাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম জুমুআর সালাত অনুষ্ঠিত হয় বাহরাইনে জুওয়াসা নামক স্থানে অবস্থিত আবদুল কায়স গোত্রের মসজিদে।
হাদীস নং ৮৪৯
বিশর ইবনে মুহাম্মদ রহ……….ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমরা সকলেই রক্ষণাবেক্ষণকারী। লাইস (ইবনে সাদ রা. আরো অতিরিক্ত বলেন, (পরবর্তী রাবী) ইউনুস রহ. বলেছেন, আমি একদিন ইবনে শিহাব রহ.-এর সঙ্গে ওয়াদিইল কুরা নামক স্থানে ছিলাম। তখন রুযাইক (ইবনে হুকায়ম রহ. ইবনে শিহাব রহ.-এর নিকট লিখলেন, আপনি কি মনে করেন, আমি কি (এখানে) জুমুআর সালাত আদায় করব ? রুযাইক রহ. তখন সেখানে তাঁর জমির কৃষি কাজের তত্ত্বাবধান করতেন। সেখানে একদল সুদানী ও অন্যান্য লোক বাস করত। রুযাইক রহ. সে সময় আইলা শহরের (আমীর) ছিলেন। ইবনে শিহাব রহ. তাঁকে জুমুআ কায়িম করার নির্দেশ দিয়ে লিখেছিলেন এবং আমি তাকে এ নির্দেশ দিতে শুনলাম। সালিম রহ. তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমরা সকলেই রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের (দায়িত্ব) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবার বর্গের অভিভাবক, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। ইবনে উমর রা. বলেন, আমার মনে হয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন : পুত্র তার পিতার ধন-সম্পদের রক্ষক এবং এগুলো সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তোমরা সবাই রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং সবাইকে তাদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।
হাদীস নং ৮৫০
আবুল ইয়ামান রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি জুমুআর সালাতে আসবে সে যেন গোসল করে।”