হাদিস ৮২৯
আবু নুআইম রহ……….আনাস (ইবনে মালিক) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সুলাইম রা.-এর ঘরে সালাত আদায় করেন। আমি এবং একটি ইয়াতীম তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম আর উম্মে সুলাইম রা. আমাদের পিছনে দাঁড়ালেন।
হাদিস ৮৩০
ইয়াহইয়া ইবনে মূসা রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকার থাকতেই ফজরের সালাত আদায় করতেন। এরপর মু’মিনদের স্ত্রীগণ চলে যেতেন, অন্ধকারের জন্য তাদের চেনা যেত না অথবা বলেছেন, অন্ধকারের জন্য তাঁরা একে অপরকে চিনতেন না।
হাদিস ৮৩১
মুসাদ্দাদ রহ………আবদুল্লাহ রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের কারো স্ত্রী যদি (সালাতের জন্য মসজিদে যাওয়ার) অনুমতি চায় তা হলে স্বামী যেন তাকে বাঁধা না দেয়।
জুমু’আ অধ্যায় (৮৩২-৯০০)
হাদীস ৮৩২
আবু ইয়ামান রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ, কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা মর্যাদার দিক দিয়ে সবার আগে। পার্থক্য শুধু এই যে, তাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের আগে। তারপর তাদের সে দিন যে দিন তাদের জন্য ইবাদত ফরয করা হয়েছিল তারা এ বিষয়ে মতানৈক্য করেছে। কিন্তু সে বিষয়ে আল্লাহ আমাদের হিদায়েত করেছেন। কাজেই এ ব্যাপারে লোকেরা আমাদের পশ্চাদ্বর্তী। ইয়াহুদীদের (সম্মানিত দিন হল) আগামী কাল (শনিবার) এবং নাসারাদের আগামী পরশু (রবিবার)।
হাদীস ৮৩৩
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের মধ্যে কেউ জুমুআর সালাতে আসলে (তার আগে) সে যেন গোসল করে।
হাদীস নং ৮৩৪
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আসমা রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, উমর ইবনে ইবনে খাত্তাব রা. জুমুআর দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রথম যুগের একজন মুহাজির সাহাবী এলেন। উমর রা. তাকে ডেকে বললেন, এখন সময় কত? তিনি বললেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম, তাই ঘরে ফিরে আসতে পারিনি। এমন সময় আযান শুনতে পেয়ে শুধু উযূ করে নিলাম। উমর রা. বললেন, কেবল উযূই ? অথচ আপনি জানেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসলের আদেশ দিতেন।
হাদীস ৮৩৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : জুমুআর দিন প্রত্যেক বালিগের জন্য গোসল করা কর্তব্য।
হাদীস নং ৮৩৬
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……..আমর ইবনে সুলাইম আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন জুমুআর দিন প্রত্যেক বালিগের জন্য গোসল করা কর্তব্য। আর মিসওয়াক করবে এবং সুগন্ধি পাওয়অ গেলে তা ব্যবহার করবে। আমর (ইবনে সুলাইম) রহ. বলেন, গোসল সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তা কর্তব্য। কিন্তু মিসওয়াক ও সুগন্ধি কর্তব্য কিনা তা আল্লাহই ভাল জানেন। তবে হাদীসে এ রূপই আছে। আবু আবদুল্লাহ বুখারী রহ. বলেন, আবু বকর ইবনে মুনকাদির রহ. হলেন মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির-এর ভাই। কিন্তু তিনি আবু বকর হিসাবেই পরিচিত নন। বুকাইর ইবনে আশাজ্জ, সাঈদ ইবনে আবু হিলাল সহ অনেকে তাঁর থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির রহ.-এর কুনিয়াত (উপনাম) ছিল আবু বকর ও আবু আবদুল্লাহ।
হাদীস ৮৩৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ…….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি জুমুআর দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন, একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতী
হাদীস নং ৮৩৮
আবু নুআইম রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, জুমুআর দিন উমর ইবনে খাত্তাব রা. খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করেন। উমর রা. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সালাতে সময় মত আসতে তোমরা কেন বাঁধাগ্রস্ত হও ? তিনি বললেন, আযান শোনার সাথে সাথেই তো আমি উযূ করেছি। তখন উমর রা. বললেন, তোমরা কি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শোননি যে, যখন তোমাদের কেউ জুমুআর সালাতে রওয়ানা হয়, তখন সে যেন গোসল করে নেয়।
হাদীস নং ৮৩৯
আদম রহ………সালমান ফারিসী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তৈল থেকে ব্যবহার হরে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে এরপর বের হয় এবং দুজন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, তারপর তার নির্ধারিত সালাত আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমুআ থেকে আরেক জুমুআ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
হাদীস নং ৮৪০
আবুল ইয়ামান রহ……..তাউস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রা. কে বললাম, সাহাবীগণ বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : জুমুআর দিন গোসল কর এবং মাথা ধুয়ে ফেল যদিও তোমরা জুনুবী না হয়ে থাক এবং সুগন্ধি ব্যবহার কর। ইবনে আব্বাস রা. বললেন, গোসল সম্পর্কে নির্দেশ ঠিকই আছে, কিন্তু সুগন্ধি সম্পর্কে আমার জানা নেই।