হাদিস ৮১৯
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বেলন, আমি একটি গাধার উপর আরোপহণ করে অগ্রসর হলাম। তখন আমি প্রায় সাবালক। এ সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় প্রাচীর ব্যতীত অন্য কিছু সামনে রেখে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। আমি কোন এক কাতারের সম্মুখ দিয়ে অগ্রসর হয়ে এর জায়গায় নেমে পড়লাম এবং গাধাটিকে চরে বেড়ানোর জন্য ছেড়ে দিলাম। এরপর আমি কাতারে প্রবেশ করলাম। আমার এ কাজে কেউ আপত্তি করলেন না।
হাদিস ৮২০
আবুল ইয়ামান ও আইয়াশ রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সালাত আদায় করতে অনেক বিলম্ব করলেন। অবশেষে উমর রা. তাঁকে আহবান করে বললেন, নারী ও শিশুরা ঘুমিয়ে পড়েছে। আয়িশা রা. বলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে বললেন : তোমরা ব্যতীত পৃথিবীর আর কেউ এ সালাত আদায় করে না। (রাবী বলেন) মদীনাবাসী ব্যতীত আর কেউ সে সময় সালাত আদায় করতেন না।
হাদিস ৮২১
আমর ইবনে আলী রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কখনো ঈদের মাঠে গমন করেছেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, গিয়েছি। তবে তাঁর কাছে আমার যে মর্যাদা ছিল তা না থাকলে আমি অল্প বয়স্ক হওয়ার কারণে সেখানে যেতে পারতাম না। তিনি কাসীর ইবনে সালাতের বাড়ীর কাছে যে নিশানা ছিল সেখানে আসলেন (নামাযান্তে) পরে খুতবা দিলেন। এরপর মহিলাদের নিকট গিয়ে তিনি তাদের ওয়াজ ও নসীহত করেন। এবং তাদের সাদকা করতে নির্দেশ দেন। ফলে মহিলারা তাদের হাতের আংটি খুলে বিলাল রা.-এর কাপড়ের মধ্যে ফেলতে লাগলেন। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও বিলাল রা. বাড়ী চলে এলেন।
হাদিস ৮২২
আবুল ইয়ামান রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সালাত আদায় করতে অনেক বিলম্ব করলেন। ফলে উমর রা. তাকে আহবান করে বললেন, মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এসে বললেন : এ সালাতের জন্য পৃথিবীতে অন্য কেউ অপেক্ষারত নেই। সে সময় মদীনাবাসী ব্যতীত অন্য কোথাও সালাত আদায় করা হত না। মদীনাবাসীরা সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশের দৃশ্যমান লালিমা অদৃশ্য হওয়ার সময় থেকে রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ সময় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ইশার সালাত আদায় করতেন।
হাদিস ৮২৩
উবাইদুল্লাহ ইবনে মূসা রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যদি তোমাদের স্ত্রী গণ রাতে মসজিদে আসার জন্য তোমাদের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করে, তাহলে তাদের অনুমতি দিবে। শুবা রহ……….ইবনে উমর রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনায় উবাইদুল্লাহ ইবনে মূসা রহ. এর অনুসরণ করেছেন।
হাদিস ৮২৪
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……..হিন্দ বিনতে হারিস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী সালামা রা. তাকে জানিয়েছেন, মহিলাগণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময় ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর সাথে সাথে উঠে যেতেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাঁর সঙ্গে সালাত আদায়কারী পুরুষগণ, আল্লাহ যতক্ষণ ইচ্ছা করেন, (তথায়) অবস্থান করতেন। তারপর যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠতেন, তখন পুরুষগণও উঠে যেতেন।
হাদিস ৮২৫
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা ও আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের সালাত শেষ করতেন তখন মহিলাগণ চাদরে সর্বাঙ্গ আচ্ছাদিত করে ঘরে ফিরতেন। অন্ধকারের কারণে তখন তাদেরকে চিনা যেতো না।
হাদিস ৮২৬
মুহাম্মদ ইবনে মিসকীন রহ………আবু কাতাদা আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আমি সালাতে দাঁড়িয়ে তা দীর্ঘায়িত করব বলে ইচ্ছা করি, এরপর শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে আমি সালাত সংক্ষিপ্ত করি এ আশংকায় যে, তার মায়ের কষ্ট হবে।
হাদিস ৮২৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন যে, মহিলারা কি অবস্থা সৃষ্টি করেছে, তা হলে বনী ইসরাঈলের মহিলাদের যেমন নিষেধ করা হয়েছিল, তেমনি এদেরও মসজিদে আসা নিষেধ করে দিতেন। (রাবী) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ রহ. বলেন) আমি আমরাহ রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তাদের কি নিষেধ করা হয়েছিল ? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
হাদিস ৮২৮
ইয়াহইয়া ইবনে কাযআ রহ……..উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম ফিরাতেন, তখন মহিলাগণ তাঁর সালাম শেষ করার পর উঠে যেতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ানোর আগে নিজ জায়গায় কিছুক্ষণ অবস্থান করতেন। রাবী (যুহরী রহ.) বলেন, আমাদের মনে হয়, তিনি এজন্য যে, অবশ্য আল্লাহ ভাল জানেন, যাতে মহিলাগণ চলে যেতে পারেন, পুরুষগণ তাদের যাওয়ার আগেই।