হাদিস ৮১২
মুসাদ্দাদ রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের যুদ্ধের সময় বলেন, যে ব্যক্তি এই জাতীয় বৃক্ষ থেকে অর্থাৎ কাচা রসুন ভক্ষণ করবে সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের কাছে না আসে।
হাদিস ৮১৩
সাঈদ ইবনে উফাইর রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি রসুন অথবা পিয়াজ খায় সে যেন আমাদের থেকে দূরে থাকে অথবা বলেছেন, সে যেন আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে আর নিজ ঘরে বসে থাকে। (উক্ত সনদে আরো বর্ণিত আছে যে,) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে একটি পাত্র যার মধ্যে শাক-সব্জী ছিল আনা হলো। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গন্ধ পেলেন এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তাকে সে পাত্রে রক্ষিত শাক-সব্জী সম্পর্কে অবহিত করা হলো, তখন একজন সাহাবী (আবু আইয়ূব রা.) কে উদ্দেশ্য করে বললেন, তাঁর কাছে এগুলো পৌঁছিয়ে দাও। কিন্তু তিনি তা খেতে অপছন্দ মনে করলেন, এ দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তুমি খাও। আমি যার সাথে গোপনে আলাপ করি তাঁর সাথে তুমি আলাপ করি তাঁর সাথে তুমি আলাপ কর না (ফেরেশতার সাথে আমার আলাপ হয় তাঁরা দুর্গন্ধকে অপছন্দ করেন) আহমাদ ইবনে সালিহ রহ. ইবনে ওয়াহাব রহ. থেকে বলেছেন أتي ببدر ইবনে ওয়াহব-এর অর্থ বলেছেন, খাঞ্চা যার মধ্যে শাক-সব্জী ছিল। আর লায়স ও আবু সাফওয়া রহ. ইউনুস রহ. থেকে রিওয়ায়েত বর্ণনায় قدر এর বর্ণনা উল্লেখ করেন নি। (ইমাম বুখারী রহ. বলেন) قدر এর বর্ণনা যুহরী রহ.-এর উক্তি, না হাদীসের অংশ তা আমি বলতে পারছি না।
হাদিস ৮১৪
আবু মামার রহ………আবদুল আযীয রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আনাস ইবনে মালিক রা.-কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রসুন খাওয়া সম্পর্কে কি বলতে শুনেছেন ? তখন আনাস রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি এ জাতীয় গাছ থেকে খায় সে যেন, অবশ্যই আমদের কাছে না আসে এবং আমাদের সঙ্গে সালাত আদায় না করে।
হাদিস ৮১৫
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ……….শাবী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আমাকে খবর দিয়েছেন, যিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে একটি পৃথক কবরের কাছে গেলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে লোকদের ইমামতি করেন। লোকজন কাতারবন্দী হয়ে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে গেল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবু আমর ! কে আপনাকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ? তিনি বললেন, ইবনে আব্বাস রা.।
হাদিস ৮১৬
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জুমুআর দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক (মুসলমানের) গোসল করা কর্তব্য।
হাদিস ৮১৭
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রাতে আমার খালা (উম্মুল মু’মিনীন) মায়মূনা রা. এর কাছে রাত্র কাটালাম। সে রাতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও সেখানে নিদ্রা যান। রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হলে তিনি উঠলেন এবং একটি ঝুলন্ত মশক থেকে পানি নিয়ে হালকা উযূ করলেন। আমর (বর্ণনাকারী) এটাকে হালকা এবং অতি কম বুঝালেন। এরপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আমি উঠে তাঁর মতই সংক্ষিপ্ত উযূ করলাম, এরপর এসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বামপাশে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন তিনি আমাকে ঘুরিয়ে তাঁর ডানপাশে করে দিলেন। এরপর যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা সালাত আদায় করলেন, এরপর বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের আওয়াজ হতে লাগল, এরপর মুআযযিন এসে সালাতের কথা জানালে তিনি উঠে তাঁর সালাতের জন্য চলে গেলেন এবং সালাত আদায় করলেন। কিন্তু (নতুন) উযূ করলেন না। সুফিয়ান রহ. বলেন, আমি আমর রা. কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, লোকজন বলে থাকেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোখ নিদ্রায় যেত কিন্তু তাঁর কালব (হৃদয়) জাগ্রত থাকত। আমর রহ. বললেন, উবাইদ ইবনে উমাইর রহ. কে আমি বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয়ই নবীগণের স্বপ্ন অহী। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেন إني أرى في المنام أني أذبحك (ইবরাহীম আ. ইসমাঈল আ.কে বললেন) আমি স্বপ্নে দেখলাম, তোমাকে কুরবানী করছি…………(৩৭ : ১০২)।
হাদিস ৮১৮
ইসমাঈল রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, ইসহাক রহ.এর দাদী মুলাইকা রা. খাদ্য তৈরী করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দাওয়াত করলেন। তিনি তার তৈরী খাবার খেলেন। এরপর তিনি বললেন : তোমরা উঠে দাঁড়াও, আমি তোমাদের নিয়ে সালাত আদায় করব। আনাস রা. বলেন, আমি একটি চাটাইয়ে দাঁড়ালাম যা অধিক ব্যবহারের কারণে কালো হয়ে গিয়েছিল। আমি এতে পানি ছিটিয়ে দিলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়ালেন, আমার সঙ্গে একটি ইয়াতিম বাচ্চাও দাঁড়াল এবং বৃদ্ধা আমাদের পিছনে দাঁড়ালেন। আমাদের নিয়ে তিনি দু’রাকাআত সালাত আদায় করলেন।