হাদিস ৭৯৯
হিব্বান ইবনে মূসা রহ……..ইতবান ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করছি। তিনি যখন সালাম ফিরান তখন আমরাও সালাম ফিরাই।
হাদিস ৮০০
আবদান রহ……..মাহমুদ ইবনে রাবী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা তাঁর স্পষ্ট মনে আছে, যে তাদের বাড়ীতে রাখা একটি বালতির (পানি নিয়ে) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুলি করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি ইতবান ইবনে মালিক আনসারী রা. যিনি বনূ সালিম গোত্রের একজন, তাকে বলতে শুনেছি, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে বললাম, আমার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীন হয়ে গিয়েছে এবং আমার বাড়ী থেকে আমার কাওমের মসজিদ পর্যন্ত পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আমার একান্ত ইচ্ছা আপনি আমার বাড়িতে এসে এক জায়গায় সালাত আদায় করবেন সে জায়গাটুকু আমি সালাত আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট করে নিব। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : ইনশা আল্লাহ, আমি তা করব। পরদিন রোদের তেজ বৃদ্ধি পাওয়ার পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বকর রা. আমার বাড়িতে এলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশের অনুমতি চাইলে আমি তাকে দিলাম। তিনি না বসেই বললেন : তোমার ঘরের কোন স্থানে তুমি আমার সালাত আদায় পছন্দ কর। তিনি পছন্দ মত একটি জায়গা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত আদায়ের ইশারা করে দেখালেন। তারপর তিনি দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হলাম। অবশেষে তিনি সালাম ফিরালেন, আমরাও তাঁর সালামের সময় সালাম ফিরালাম।
হাদিস ৮০১
ইসহাক ইবনে নাসর রহ…….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সময় মুসল্লীগণ ফরয শেষ হলে উচ্চস্বরে যিকির করতেন। আব্বাস রা. বলেন, আমি এরূপ শুনে বুঝলাম, মুসল্লীগণ সালাত শেষ করে ফিরছেন।
হাদিস ৮০২
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাকবীর শুনে আমি বুঝতে পারতাম সালাত শেষ হয়েছে।
হাদিস ৮০৩
মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দরিদ্রলোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, সম্পদশালী ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের দ্বারা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী আবাস লাভ করছেন, তারা আমাদের মত সালাত আদায় করছেন, আমাদের মত সিয়াম পালন করছেন এবং অর্থের দ্বারা হজ্জ, উমরা, জিহাদ ও সাদকা করার মর্যাদাও লাভ করছেন। এ শুনে তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলব, যা তোমরা করলে, যারা নেক কাজে তোমাদের চাইতে অগ্রগামী হয়ে গিয়েছে, তাদের সমপর্যায়ে পৌছতে পারবে। তবে যারা পুনরায় এ ধরণের কাজ করবে তাদের কথা স্বতন্ত্র। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশ বার করে তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ) এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ করবে। (এ বিষয়টি নিয়ে) আমাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলো। কেউ বলল, আমরা তেত্রিশ বার তাসবীহ পড়ব। তেত্রিশ বার তাহমীদ আর চৌত্রিশ বার তাকবীর পড়ব। এরপর আমি তাঁর কাছে ফিরে গেলাম। তিনি বললেন,سبحان الله والحمد لله والله أكبر বলবে, যাতে সবগুলোই তেত্রিশ বার করে হয়ে যায়।
হাদিস ৮০৩
মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দরিদ্রলোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, সম্পদশালী ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের দ্বারা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী আবাস লাভ করছেন, তারা আমাদের মত সালাত আদায় করছেন, আমাদের মত সিয়াম পালন করছেন এবং অর্থের দ্বারা হজ্জ, উমরা, জিহাদ ও সাদকা করার মর্যাদাও লাভ করছেন। এ শুনে তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলব, যা তোমরা করলে, যারা নেক কাজে তোমাদের চাইতে অগ্রগামী হয়ে গিয়েছে, তাদের সমপর্যায়ে পৌছতে পারবে। তবে যারা পুনরায় এ ধরণের কাজ করবে তাদের কথা স্বতন্ত্র। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশ বার করে তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ) এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ করবে। (এ বিষয়টি নিয়ে) আমাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলো। কেউ বলল, আমরা তেত্রিশ বার তাসবীহ পড়ব। তেত্রিশ বার তাহমীদ আর চৌত্রিশ বার তাকবীর পড়ব। এরপর আমি তাঁর কাছে ফিরে গেলাম। তিনি বললেন,سبحان الله والحمد لله والله أكبر বলবে, যাতে সবগুলোই তেত্রিশ বার করে হয়ে যায়।
হাদিস ৮০৪
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ……..মুগীরা ইবনে শুবা রা.-এর কাতিব ওয়াররাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুগীরা ইবনে শুবা রা. আমাকে দিয়ে মুআবিয়া রা.-কে (এ মর্মে) একখানা পত্র লিখালেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাতের পর বলতেন لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير اللهم لا منع لما أعطيت ولا معطي لما منعت ولا ينفع ذا الجد منك الجد “এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। ইয়া আল্লাহ ! আপনি যা প্রদান করতে চান তা রোধ করব কেউ নেই, আর আপনি যা রোধ করেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আপনার কাছে (সৎকাজ ভিন্ন) কোন সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না।” শুবা রহ. আবদুল মালিক রহ. থেকে অনুরূপ বলেছেন, আপনার কাছে (সৎকাজ ছাড়া) এবং হাসান রহ. বলেন,جد অর্থ সম্পদ এবং শুবা রহ……..ওয়াররাদ রহ. থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।