হাদিস ৭২৪
উমর ইবনে হাফস রহ……আবু মামার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা খাব্বাব রা. কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনারা কি করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাঁড়ির (মুবারকের) নড়াচড়ায়।
হাদিস ৭২৫
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ…….. আবু মামার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা খাব্বাব ইবনে আরত রা. কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কি করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাঁড়ির (মুবারকের) নড়াচড়ায়।
হাদিস ৭২৬
মাক্কী ইবনে ইবরাহীম রহ………আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহর ও আসরের প্রথম দু’রাকাআতে সূরা ফাতিহার সাথে একটি সূরা পড়তেন। আর কখনো কখনো কোন আয়াত আমাদের শুনিয়ে পড়তেন।
হাদিস ৭২৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উম্মুল ফাযল রা. তাকে “ওয়াল মুরসালাত” সূরাটি তিলাওয়াত করতে শুনে বললেন, বেটা। তুমি এ সূরা তিলাওয়াত করে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মাগরিবের সালাতে এ সূরাটি পড়তে শেষবারের মত শুনেছিলাম।
হাদিস ৭২৮
আবু আসিম রহ……….মারওয়অন ইবনে হাকাম রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা যায়েদ ইবনে সাবিত রা. আমাকে বললেন, কি ব্যাপার, মাগরিবের সালাতে তুমি যে কেবল ছোট ছোট সূরা তিলাওয়াত কর? অথচ আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দুটি দীর্ঘ সূরার মধ্যে দীর্ঘতমটি থেকে পাঠ করতে শুনেছি।
হাদিস ৭২৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..জুবাইর ইবনে মুতইম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মাগরিবের সালাতে সূরা তূর থেকে পড়তে শুনেছি।
হাদিস ৭৩০
আবু নুমান রহ……..আবু রাফি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি আবু হুরায়রা রা.-এর সঙ্গে ইশার সালাত আদায় করলাম। সেদিন তিনি إذا السماء انشفت সূরাটি তিলাওয়াত করে সিজদা করলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি আবু কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে এ সিজদা করেছি, তাই তাঁর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ সূরায় সিজদা করব।
হাদিস ৭৩১
আবুল ওয়ালীদ রহ…….আদী (ইবনে সাবিত) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বারা রা. থেকে শুনেছি যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে ইশার সালাতের প্রথম দু’রাকাআতের এক রাকাআতে সূরা والتين الزيتون পাঠ করতেন।
হাদিস ৭৩২
মুসাদ্দাদ রহ……..আবু রাফি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা রা.-এর সঙ্গে ইশার সালাত আদায় করলাম। তিনি إذا السماء انشقت সূরাটি তিলাওয়াত করে সিজদা করলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ সিজদা কেন ? তিনি বলেন, আমি আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে এ সূরায় সিজদা করেছি, তাই তাঁর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমি এতে সিজদা করব।
হাদিস ৭৩৩
খাল্লাদ ইবনে ইয়াহইয়া রহ…….বারা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইশার সালাতে والتين الزيتون পড়তে শুনেছি। আমি কাউকে তাঁর চাইতে সুন্দর কণ্ঠ অথবা কিরাআত শুনিনি।
হাদিস ৭৩৪
সুলাইমান ইবনে হারব রহ……..জাবির ইবনে সামুরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর রা. সাদ রা.-কে বললেন আপনার বিরুদ্ধে তারা (কুফাবাসীরা) সর্ব বিষয়ে অভিযোগ করেছে, এমনকি সালাত সম্পর্কেও। সাদ রা. বললেন, আমি প্রথম দু’রাকাআতে কিরাআত দীর্ঘ করে থাকি এবং শেষের দু’রাকাআতে তা সংক্ষেপ করি। আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে যেরূপ সালাত আদায় করেছি, অনুরূপই সালাত আদায়ের ব্যাপারে আমি ত্র“টি করিনি। উমর রা. বললেন, আপনি ঠিকই বলছেন, আপনার ব্যাপারে ধারনা তো এ রূপই ছিল, কিংবা (তিনি বলেছিলেন) আপনার সম্পর্কে আমার এ রূপই ধারণা।
হাদিস ৭৩৫
আদম রহ……..সাইয়ার ইবনে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও আমার পিতা আবু বারযা আসলামী রা.-এর নিকট উপস্থিত হয়ে সালাত সমূহের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত সূর্য সজীব থাকতে থাকতেই মদীনার প্রান্ত সীমায় ফিরে আসতে পারত। মাগরিব সম্পর্কে তিনি কি বলেছিলেন, তা আমি ভুলে গেছি। আর তিনি ইশা রাতের তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করতে কোন দ্বিধা করতেন না। এবং ইশার আগে ঘুমানো ও পরে কথাবার্তা বলা তিনি পছন্দ করতেন না। আর তিনি ফজর আদায় করতেন এমন সময় যে, সালাত শেষে ফিরে যেতে লোকেরা তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারত। এর দু’রাকাআতে অথবা রাবী বলেছেন, এক রাকাআতে তিনি ষাট থেকে একশ আয়াত পড়তেন।
হাদিস ৭৩৬
মুসাদ্দাদ রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,প্রত্যেক সালাতেই কিরাআত পড়া হয়। তবে যে সব সালাত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও আমরাও তোমাদের শুনিয়ে পড়ব। আর যে সব সালাতে আমাদের না শুনিয়ে পড়েছেন, আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে পড়ব। যদি তোমরা সূরা ফাতিহার চাইতে বেশী না পড়, সালাত আদায় হয়ে যাবে। আর যদি বেশী পড় তা উত্তম।