হাদিস ৬৯৮
আবুল ইয়ামান (র.)………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ইমাম নির্ধারন করা হয় তাঁর অনুসরণের জন্য। তাই যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলবে, যখন তিনি রুকু করেন তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলবে। আর তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করবে। যখন তিনি বসে সালাত আদায় করেন তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করবে।
হাদিস ৬৯৯
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলাম রহ…….সালিম ইবনে আবদুল্লাহ রা. তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর রুকুতে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও অনুরূপভাবে দুহাত উঠাতেন এবং سمع الله لمن حمده ও ربنا لك الحمد বলতেন। কিন্তু সিজদার সময় এরূপ করতেন না।
হাদিস ৭০০
মুহাম্মদ ইবনে মুকাতিল রহ…….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন এবং سمع الله لمن حمده বলতেন। তবে সিজদার সময় এরূপ করতেন না।
হাদিস ৭০১
ইসহাক ওয়াসিতী রহ………আবু কিলাবা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি মালিক ইবনে হুওয়ায়রিস রা.-কে দেখেছেন, তিনি যখন সালাত আদায় করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর দু’হাত উঠাতেন। আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন, আবার যখন রুককু থেকে মাথা উঠাতেন তখনও তাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছেন।
হাদিস ৭০২
আবুল ইয়ামান রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাকবীর দিয়ে সালাত শুরু করতে দেখেছি, তিনি যখন তাকবীর বলতেন তখন তাঁর উভয় হাত উঠাতেন এবং কাঁধ বরাবর করতেন। আর যখন রুকুর তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখনন سمع الله لمن حمده বলতেন, তখনও এরূপ করতেন এবং ربنا لك الحمد বলতেন। কিন্তু সিজদায় যেতে এরূপ করতেন না। আর সিজদা থেকে মাথা উঠাবার সময়ও এরূপ করতেন না।
হাদিস ৭০৩
আইয়্যাশ রহ………নাফি রহ. থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর রা. যখন সালাত শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং দু’হাত উঠাতেন আর যখন রুকু করতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন। এরপর যখন سمع الله لمن حمده বলতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন এবং দু’রাকাআত আদায়ের পর যখন দাঁড়াতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন। এ সমস্ত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত বলে ইবনে উমর রা. বলেছেন। এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবনে সালামা ইবনে উমর রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে তাহমান, আইউব ও মূসা ইবনে উকবা রহ. থেকে এ হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।
হাদিস ৭০৪
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ……….সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদের নির্দেশ দেওয়া হত যে, সালাতে প্রত্যেক ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রাখবে। আবু হাযিম রহ. বলেন, সাহল রহ. এ হাদীসটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতেন বলেই জানি। ইসমাঈল রহ. বলেন, এ হাদীসটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই বর্ণনা করা হত। তবে তিনি এরূপ বলেন নি যে, সাহল রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করতেন।
হাদিস ৭০৫
ইসমাঈল রহ…….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা কি মনে কিছুই আমার কাছে গোপন থাকে না। আর নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের দেখি আমার পিছনে দিক থেকেও।
হাদিস ৭০৬
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা রুকু ও সিজদাগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে। আল্লাহর শপথ! আমি আমার পিছনে থেকে বা রাবী বলেন, আমার পিঠের পিছনে থেকে তোমাদের দেখতে পাই, যখন তোমরা রুকু ও সিজদা কর।
হাদিস ৭০৭
হাফস ইবনে উমর রহ……..আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রা. এবং উমর রা. ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ দিয়ে সালাত শুরু করতেন।
হাদিস ৭০৮
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কি পাঠ করে থাকেন ? তিনি বললেন : এ সময় আমি বলি ইয়া আল্লাহ ! আপনি মাশরিক ও মাগরিবের মধ্যে যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন, আমার ও আমার ত্রুটি-বিচ্যুতির মধ্যে ঠিক তদ্রুপ দুরত্ব সৃষ্টি করে দিন। ইয়া আল্লাহ ! শুভ্র বস্ত্রকে যেরূপ নির্মল করা হয় আমাকেও সেরূপ পাক-সাফ করুন। আমার অপরাধসমূহ পানি, বরফ ও হিমশিলা দ্বারা বিধৌত করে দিন।