হাদিস ৬৭৯
আবদুল্লাহ ইবন মাসলামা (র.)………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’রাকাআত আদায় করে সালাত শেষ করে ফেললেন। যুল-ইয়াদাইন তাঁকে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সালাত কি কম করা হয়েছে? না আপনি ভুলে গেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (অন্যদের লক্ষ করে) বল্লেনঃ যুল-ইয়াদাইন কি ঠিকই বলছে? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁড়ালেন এবং আরও দু’রাকাআত সালাত আদায় করলেন, তারপর সালাম ফিরালেন এবং তাকবীর বলে স্বাভাবিক সিজদার মত অথবা তার চাইতে দীর্ঘ সিজদা করলেন।
হাদিস ৬৮০
আবুল ওয়ালীদ (র.)………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত দু’রাকাআত পড়লেন। তাঁকে বলা হল আপনি দু’রাকাআত সালাত আদায় করেছেন। তখন তিনি আরও দু’রাকাআত সালাত আদায় করলেন এবং সালাম ফেরানোর পর দুটি সিজদা করলেন।
হাদিস ৬৮১
ইসমাইল (র.)………… উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্তিম রোগে আক্রান্ত অবস্থায় বললেনঃ আবু বকর কে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে বললাম, আবু বকর (রাঃ) যখন আপনার স্থলে দাঁড়াবেন, তখন কান্নার কারণে সাহাবীগণ কিছুই শুনতে পারবেন না। কাজেই উমর (রাঃ) কে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিন। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার বললেনঃ আবু বকরকে বল লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে নিতে। আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন আমি হাফসা (রাঃ) কে বললাম, তুমি তাঁকে বল যে, আবু বকর (রাঃ) যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন কান্নার কারণে সাহাবীগণকে কিছুই শুনাতে পারবেন না। কাজেই উমর (রাঃ) কে বলুন তিনি যেন সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। হাফসা (রাঃ) তাই করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ চুপ কর! তোমরা ইউসুফের সাথি নারীদেরই মত। আবু বকরকে বল সে যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। এতে হাফসা (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) কে (অভিমান করে) বললেন, তোমার কাছ থেকে আমি কখনো আমার জন্য হিতকর কিছু পাইনি।
হাদিস ৬৮২
আবদুল ওয়ালীদ হিশাম ইবন আবদুল মালিক (র.)………… নু’মান ইবন বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নিবে, তা না হলে আল্লাহ্তা’লা তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে দেবেন।
হাদিস ৬৮৩
আবু মা’মার (র.) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তোমরা কাতার সোজা করে নেবে। আমি আমার পেছনের দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই।
হাদিস ৬৮৪
আহমদ ইবন আবু রাজা (র.)………… আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সালাতের ইকামত হচ্ছে, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের দিকে মুখ করে তাকালেন এবং বললেনঃ তোমরা কাতার গুলো সোজা করে নাও আর মিলে দাড়াও। কেননা, আমি আমার পেছনের দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই।
হাদিস ৬৮৫
আবু আসিমের (র.)………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পানিতে ডুবে, কলেরায়, প্লেগে এবং ভুমিধসে বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদ। যদি লোকেরা জানত যে, প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায়ে কি ফযিলত, তা হলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করে আগেভাগে আসার চেষ্টা করত। আর ইশা ও ফজরের জামা’আতের কি মর্তবা তা যদি তারা জানত তাহলে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত এবং সামনের কাতারের কী ফযিলত তা যদি জানত, তাহলে এর জন্য তারা কুরআন ব্যবহার করত।
হাদিস ৬৮৬
আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র.)………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ অনুসরণ করার জন্যই উমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করবে না। তিনি যখন রুকু করেন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলেন তখন তোমরা রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলবে। তিনি যখন সিজদা করবেন তোমরাও তখন সিজদা করবে। তিনি যখন বসে সালাত আদায় করেন, তখন তোমরাও সবাই বসে সালাত আদায় করবে। আর তোমরা সালাতে কাতার সোজা করে নিবে, কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিস ৬৮৭
আবুল ওয়ালীদ (র.)………… থেকে বর্ণিত যে, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা তোমাদের কাতার গুলো সোজা করে নেবে। কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিস ৬৮৮
মু’আয ইবন আসাদ (র.)………… আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার তিনি (আনাস) মদিনায় আসলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর যুগের তুলনায় আপনি আমাদের সময়ের অপছন্দনীয় কী দেখতে পাচ্ছেন? তিনি বললেন, অন্য কোন কাজ তেমন অপছন্দনীয় মনে হচ্ছে না। তবে তোমরা (সালাতে) কাতার ঠিকমত সোজা কর না। উকবা ইবন উবাইদ (র.) বুশাইর ইবন ইয়াসার (র.) থেকে বর্ণনা করেন যে, আনাস ইবন মালিক (রাঃ) আমাদের কাছে মদিনায় এলেন……… বাকী অংশ অনুরূপ।