হাদিস ৬৬৪
আহমদ (র.)………… ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মুনা (রাঃ) এর ঘরে ঘুমালাম। নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সে রাতে তাঁর কেছে ছিলেন। তিনি নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উযু করলেন। তারপর সালাতে দাঁড়ালেন। আমিও তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে ধরে তাঁর ডানপাশে নিয়ে আসলেন। আর তিনি তের রাকআত সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নাক ডাকতে শুরু করল। এবং তিনি যখন ঘুমাতেন তাঁর নাক ডাকত। তারপর তাঁর কাছে মুয়াজ্জিন এলেন, তিনি বেরিয়ে গিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন এবং নতুন উজু করেননি। আমর (রাঃ) বলেন, এ হাদিস আমি বুকাইর (রাঃ) কে শুনালে তিনি বলেন, কুরাইব (র.) ও এ হাদীস আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।
হাদিস ৬৬৫
মুসাদ্দাদ (র.)………… ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি আমার খালার (মায়মুনা) (রাঃ) এর কাছে রাত যাপন করলাম। নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাতের সালাতে দাঁড়ালেন। আমিও তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করতে দাঁড়ালাম। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তিনি আমার মাথা ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করালেন।
হাদিস ৬৬৬
মুসলিম (র.)………… জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মু’আয ইবন জাবাল (রাঃ) নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গে সালাত আদায় করার পর ফিরে গিয়ে আপন গোত্রের ইমামতি করতেন। এই হাদিস মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রা.) সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, মুয়ায ইবন জাবাল (রাঃ) নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গে সালাত আদায় করার পর ফিরে গিয়ে নিজ গোত্রের ইমামতি করতেন। একদিন তিনি ইশার সালাতে সুরা বাকারা পাঠ করেন, এতে এক ব্যক্তি জামা’আত থেকে বেরিয়ে যায়। এ জন্য মু’আয (রাঃ) তার সমালোচনা করেন, এ খবর নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট পৌছালে তিনি তিনবার ‘ফুতান’ অথবা ‘ফাতিনান’ (বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী) শব্দটি বললেন। এবং তিনি তাকে আওসাতে মুফাসসালের দুটি সুরা পাঠের নির্দেশ দেন। আমর (রাঃ) বলেন, কোন দুটি সুরার কথা বলেছিলেন, তা আমার স্মরণ নেই।
এই হাদিস মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রা.) সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, মুয়ায ইবন জাবাল (রাঃ) নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গে সালাত আদায় করার পর ফিরে গিয়ে নিজ গোত্রের ইমামতি করতেন। একদিন তিনি ইশার সালাতে সুরা বাকারা পাঠ করেন, এতে এক ব্যক্তি জামা’আত থেকে বেরিয়ে যায়। এ জন্য মু’আয (রাঃ) তার সমালোচনা করেন, এ খবর নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট পৌছালে তিনি তিনবার ‘ফুতান’ অথবা ‘ফাতিনান’ (বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী) শব্দটি বললেন। এবং তিনি তাকে আওসাতে মুফাসসালের দুটি সুরা পাঠের নির্দেশ দেন। আমর (রাঃ) বলেন, কোন দুটি সুরার কথা বলেছিলেন, তা আমার স্মরণ নেই।
হাদিস ৬৬৭
আহমদ ইবন ইউনুস (র.)………… আবু মাসউদ(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সাহাবী এসে বললেন ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি অমুকের কারণে ফজরের সালাতে অনুপস্থিত থাকি। তিনি জামা’আতে সালাতকে খুব দীর্ঘ করেন। আবু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নসীহত করতে গিয়ে সেদিনের ন্যায় এত বেশি রাগান্বিত আর কোন দিন দেখিনি। তিনি বলেন, তোমাদের মাঝে বিতৃষ্ণা সৃষ্টিকারী রয়েছে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ অন্য লোক নিয়ে সালাত আদায় করে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা, তাঁদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও হাজতমন্দ লোকও থাকে।
হাদিস ৬৬৮
আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র.)………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে, তখন সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা তাঁদের মাঝে দুর্বল, অসুস্থ ও বৃদ্ধ রয়েছে। আর যদি কেউ একাকী সালাত আদায় করে তখন ইচ্ছামত দীর্ঘ করতে পারে।
হাদিস ৬৬৯
মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র.)………… আবু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সাহাবী এসে বলল ইয়া রাসূলুল্লাহ! অমুক ব্যক্তির জন্য আমি ফজরের সালাতে অনুপস্থিত থাকি। কেননা তিনি আমাদের সালাত খুব দীর্ঘ করেন। এ শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাগান্বিত হলেন। আবু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নসীহত করতে গিয়ে সেদিনের ন্যায় এত বেশি রাগান্বিত আর কোন দিন দেখিনি। তারপর তিনি বলেনঃ হে লোকেরা! তোমাদের মাঝে বিতৃষ্ণা সৃষ্টিকারী রয়েছে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদের ইমামতি করে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা, তাঁদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও হাজতমন্দ লোকও থাকে।
হাদিস ৬৭০
আদম ইবন আবু ইয়াস (র.)………… জাবির ইবন আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সাহাবী দু’টি পানি বহনকারী উট নিয়ে আসছিলেন। রাতের অন্ধকার তখন ঘনীভূত হয়ে এসেছে। এ সময় তিনি মু’আয (রাঃ) কে সালাত আদায়রত পান, তিনি তার উট দুটি বসিয়ে দিয়ে মু’আয (রাঃ) এর দিকে (সালাত আদায় করতে) এগিয়ে এলেন, মু’আয (রাঃ) সুরা বাকারা বাঁ সুরা নিসা পড়তে শুরু করেন। এতে সাহাবী (জামা’আত ছেড়ে) চলে যান। পরে তিনি জানতে পারেন যে, মু’আয (রাঃ) এর জন্য তার সমালোচনা করেছেন। তিনি নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এসে মু’আয (রাঃ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এতে নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে মু’আয! তুমি কি লোকদের ফিতনায় ফেলতে চাও? বা তিনি বলেছিলেন তুমি কি ফিতনা সৃষ্টিকারী? তিনি একথা তিনবার বলেন। তারপর তিনি বললেন, তুমি ‘সাব্বিহিস্মি রাব্বিকা, ওয়াশশামসি ওয়াদুহা হা’ এবং ওয়াল্লাইলি ইজা ইয়াগশা (সুরা) দ্বারা সালাত আদায় করলেনা কেন? কারন তোমার পিছনে দুর্বল, বৃদ্ধ ও হাজতমন্দ লোক সালাত আদায় করে। (শু’বা (র.) বলেন) আমার ধারণা শেষোক্ত বাক্যটি হাদিসের অংশ। সায়ীদ ইবন মাসরুক, মিসওয়ার এবং শাইবানী (র.) – ও অনুরূপ রেওয়ায়াত করেছেন। আমর, উবাইদুল্লাহ ইবন মিকসাম আবু যুবাইর (র.) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মু’আয (রাঃ) ইশার সালাতে সুরা বাকারা পাঠ করেছিলেন। আ’মাশ (র.) ও মুহারিব (র.) সূত্রে অনুরূপ রিওয়ায়েত করেন।