হাদিস ৬৪০
উবায়দুল্লাহ ইবন ইসমাইল (র.)………… ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো সামনে রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, অপর দিকে সালাতের ইকামত হয়ে যায়, তখন আগে খাবার খেয়ে নিবে। খাওয়া রেখে সালাতে তাড়াহুড়া করবে না। (নাফি’ (র.) বলেন) ইবন উমর (রাঃ) এর জন্য খাবার পরিবেশন করা হত, সে সময় সালাতের ইকামত দেয়া হত, তিনি খাবার শেষ না করে সালাতে আসতেন না। অথচ তিনি ইমামের কিরাআত শুনতে পেতেন। যুহাইর (র.) ও ওয়াহব ইবন উসমান (র.) মুসা ইবন ওকবা (র.) সূত্রে ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন খাবার খেতে থাক, তখন সালাতের ইকামত হয়ে গেলেও খাওয়া শেষ না করে তাড়াহুড়া করবে না। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী (র.) বলেন, আমাকে ইব্রাহীম ইবন মুনযির (র.) এ হাদিসটি ওয়াহাব ইবন উসমান (র.) থেকে বর্ননা করেছেন এবং ওয়াহাব হলেন মদীনাবাসী।
হাদিস ৬৪১
যুহাইর (র.) ও ওয়াহব ইবন উসমান (র.) মুসা ইবন ওকবা (র.) সূত্রে ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন খাবার খেতে থাক, তখন সালাতের ইকামত হয়ে গেলেও খাওয়া শেষ না করে তাড়াহুড়া করবে না। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী (র.) বলেন, আমাকে ইব্রাহীম ইবন মুনযির (র.) এ হাদিসটি ওয়াহাব ইবন উসমান (র.) থেকে বর্ননা করেছেন এবং ওয়াহাব হলেন মদীনাবাসী।
হাদিস ৬৪২
আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ (র.)………… আমর ইবন উমাইয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দেখলাম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (বকরির) সামনের রানের গোশত কেটে খাচ্ছেন, এমন সময় তাঁকে সালাতের জন্য ডাকা হল। তিনি তখনই ছুরি রেখে দিয়ে উঠে গেলেন ও সালাত আদায় করলেন, কিন্তু এজন্য নতুন উযু করেন নি।
হাদিস ৬৪৩
হাদিস ৬৪৪
ইসহাক ইবন নাসর (র.)………… আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ক্রমে তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। আয়িশা (রাঃ) বললেন তিনি তো কোমল হৃদয়ের লোক। যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন তিনি লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে পারবেন না। নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবারো বললেন, আবু বকরকে বল, সে যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। আয়িশা (রাঃ) আবার সে কথা বললেন। তখন তিনি আবার বললেন, আবু বকরকে বল, সে যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। তোমরা ইউসুফের (আঃ) সাথী রমণীদেরই মত। তারপর একজন সংবাদ দাতা আবু বকর (রাঃ) এর নিকট সংবাদ নিয়ে আসলেন এবং তিনি নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জীবদ্দশায়ই লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন।
হাদিস ৬৪৫
আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র.)………… উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্তিম রোগে আক্রান্ত অবস্থায় বললেন, আবু বকর (রাঃ) কে বল, সে যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আবু বকর (রাঃ) যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন তাঁর কান্নার দরুন লোকেরা তাঁর কিছুই শুনতে পাবেনা। কাজেই উমর (রাঃ) কে লোকদের নিয়ে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি হাফসা (রাঃ) কে বললাম, তুমিও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বল যে,আবু বকর (রাঃ) আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্নার দরুন লোকেরা তাঁর কিছুই শুনতে পাবেনা। তাই উমর (রাঃ) কে লোকদের নিয়ে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিন। হাফসা (রাঃ)ও তাই করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, থাম, তোমরা তোমরা ইউসুফের (আঃ) সাথী রমণীদেরই ন্যায়। আবু বকর (রাঃ) কে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। হাফসা (রাঃ) তখন আয়িশা (রাঃ) কে বললেন, আমি তোমার কাছ থেকে কখনও কল্যাণকর কিছু পাইনি।
হাদিস ৬৪৬
আবু ইয়ামান (র.)………… আনাস ইবন মালিক আনসারী (রাঃ) যিনি নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনুসারী, খাদিম ও সাহাবী ছিলেন। তিনি বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্তিম রোগে আক্রান্ত অবস্থায় আবু বকর (রাঃ) সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। অবশেষে যখন সোমবার এবং লোকেরা সালাতের জন্য কাতারে দাঁড়ালো, তখন নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুজরা শরীফের পর্দা উঠিয়ে আমাদের দিকে তাকালেন। তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর চেহারা যেন কোরআনে করীমের পৃষ্ঠা (এর ন্যায় ঝলমল করছিল)। তিনি মুচকি হাসলেন। নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দেখতে পেয়ে আমরা খুশিতে প্রায় আত্মহারা হয়ে গিয়ে ছিলাম এবং আবু বকর (রাঃ) কাতারে দাঁড়ানোর জন্য পিছন দিকে সরে আসছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হয়তো সালাতে আসবেন। নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে ইশারায় বললেন যে, তোমরা তোমাদের সালাত পূর্ণ করে নাও। এরপর তিনি পর্দা ফেলে দিলেন। সে দিনই তিনি ইনতিকাল করেন।