হাদিস ৬২৭
মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র.)…………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে দিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্তা’লা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন।
১. ন্যায়পরায়ণ শাসক,
২. সে যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার রবের ইবাদাতের মধ্যে,
৩. সে ব্যক্তি যার কলব মসজিদের সাথে লাগা রয়েছে,
৪. সে দু’ব্যক্তি যারা পরস্পরকে ভালোবাসে আল্লাহর ওয়াস্তে, একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহর জন্য,
৫. সে ব্যক্তি যাকে কোন উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহ্বান জানায়, কিন্তু সে এ বলে তা প্রত্যাখ্যান করে যে, ‘আমি আল্লাহ্কে ভয় করি’,
৬. সে ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানে না,
৭. সে ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর জিকির করে, ফলে তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়।
হাদিস ৬২৭
মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র.)…………… আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে দিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্তা’লা তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন।
১. ন্যায়পরায়ণ শাসক,
২. সে যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার রবের ইবাদাতের মধ্যে,
৩. সে ব্যক্তি যার কলব মসজিদের সাথে লাগা রয়েছে,
৪. সে দু’ব্যক্তি যারা পরস্পরকে ভালোবাসে আল্লাহর ওয়াস্তে, একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহর জন্য,
৫. সে ব্যক্তি যাকে কোন উচ্চ বংশীয় রূপসী নারী আহ্বান জানায়, কিন্তু সে এ বলে তা প্রত্যাখ্যান করে যে, ‘আমি আল্লাহ্কে ভয় করি’,
৬. সে ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানে না,
৭. সে ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর জিকির করে, ফলে তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হয়।
হাদিস ৬২৮
কুতাইবা (র.)…………… হুমাইদ (র.)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কি আংটি বুবহার করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। একরাতে তিনি ইশার সালাত অর্ধরাত পর্যন্ত বিলম্বে আদায় করলেন। সালাত শেষ করে আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, লোকেরা সালাত আদায় করে ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু তোমরা যতক্ষণ সালাতের জন্য অপেক্ষা করেছ, ততক্ষণ সালাতে রত ছিলে বলে গণ্য করা হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন। এ সময় আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আংটির চমক দেখতে পাচ্ছিলাম।
হাদিস ৬২৯
আলী ইবন আবদুল্লাহ (র.)………… আবু হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল বা বিকালে যতবার মসজিদে যায়, আল্লাহ্তা’লা তার জন্য ততবার মেহমানদারীর আয়োজন করেন।
হাদিস ৬৩০
আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ (র.)………… আবদুল্লাহ ইবন মালিক ইবন বুহাইনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গেলেন। (অন্য সুত্রে ইমাম বুখারী (র.) বলেন, আব্দুর রাহমান(র.)…………. হাফস ইবন আসিম (র.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মালিক ইবন বুহাইনা নামক আযদ গোত্রীয় এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তিকে দু’রাকাআত সালাত আদায় করতে দেখলেন। তখন ইকামত হয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সালাত শেষ করলেন, লোকেরা সে লোকটিকে ঘিরে ফেলল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, ফজরের সালাত কি চার রাকাআত? ফজরের সালাত কি চার রাকাআত? গুনদার ও মুয়াজ (র.) শু’বা (র.) থেকে হাদিসটি বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন। (এ বর্ণনাটিই সঠিক) তবে হাম্মাদ (র.) ও সাদ (র.) এর মধ্যে সে হাফস (র.) থেকে হাদীসটি বর্ননা করতে গিয়ে মালিক ইবন বুহাইনা (র.) থেকে বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন।
হাদিস ৬৩১
উমর ইবন হাফস ইবন গিয়াস (র.)………… আসওয়াদ (র.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আয়িশা (রাঃ) এর কাছে নিলাম এবং সালাতের পাবন্দী ও উহার তা’যীম সম্বন্ধে আলোচনা করছিলাম। আয়েশা (রাঃ) বললেন, নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, তখন সালাতের সময় হলে আযান দেওয়া হল। তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বল। তাঁকে বলা হল যে, আবু বকর (রাঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবারো সে কথা বললেন এবং তারা আবারো তা-ই বললেন। তৃতীয়বারও তিনি সে কথা বললেন। তিনি আরো বললেনঃ তোমরা ইউসুফ (আঃ) এর সাথী মহিলাদের মত। আবু বকরকেই বল, যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে নেয়। আবু বকর (রাঃ) এগিয়ে গিয়ে সালাত আদায় শুরু করলেন। এদিকে নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেকে একটু হালকাবোধ করলেন। দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে বেরিয়ে এলেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমার চোখে এখনও স্পষ্ট ভাসছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর দু’পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়ে যাচ্ছিল। তখন আবু বকর (রাঃ) পেছনে সরে আসতে চাইলেন। নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে স্বস্থানে থাকার জন্য ইঙ্গিত করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে একটু সামনে আনা হলো, তিনি আবু বকর (রাঃ) এর পাশে বসলেন। আ’মাশকে জিজ্ঞাসা করা হলঃ তাহলে নবী (করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইমামতি করছিলেন। আবু বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অনুসরণে সালাত আদায় করছিলেন এবং লোকেরা আবু বকর (রাঃ) এর সালাতের অনুকরন করছিল। আ’মাশ (রাঃ) মাথার ইশারায় বললেন, হ্যাঁ। আবু দাউদ (র.) শু’বা (র.) সূত্রে আ’মাশ (রাঃ) থেকে হাদীসের কতকাংশ উল্লেখ করেছেন। আবু মু’আবিয়া (র.) অতিরিক্ত বলেছেন, তিনি আবু বকর (রাঃ) এর বাঁ দিকে বসেছিলেন এবং আবু বকর (রাঃ) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছিলেন।