হাদিস ৫৮৮
আবদুল্লাহ্ইব্ন ইউসুফ (র.)……আবূ হুরায়রা (রা.) থকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্(সা.) বলেছেনঃ আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত। যুহরে সালাত আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ইশা ও ফজরের সালাত (জামা’আতে) আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত।
হাদিস ৫৮৯
মুসাদ্দাদ (র.)…… আবদুল্লাহ্ইব্ন হারিস (রা.) থকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার বর্ষণ সিক্ত দিনে ইব্ন আব্বাস (রা.) আমাদের উদ্দেশ্যে খুত্বা দিচ্ছিলেন। এ দিকে মুয়আয্যিন আযান দিতে গিয়ে যখন -এ পৌছল, তখন তিনি তাকে এ ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন যে, ‘লোকেরা যেন আব্বাসে সালাত আদায় করে নেয়।’ এতে লোকেরা একে অপরের দিকে তাকাতে লাগল। তখন ইব্ন আব্বাস (রা.) বললেন, তাঁর চাইতে যিনি অধিক উত্তম ছিলেন (রাসূলুল্লাহ্(সা.)) তিনিই এরূপ করেছেন। অবশ্য জুমু’আর সালাত ওয়াজিব। (তবে ওযরের কারণে নিজ আবাসে সালাত আদায় করার অনুমতি রয়েছে)।
হাদিস ৫৯০
আবদুল্লাহ্ইব্ন মাসলামা (র.)……আবদুল্লাহ্ইব্ন উমর (রা.) থকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(সা.) বলেছেনঃ বিলাল (রা.) রাত থাকতেই আযান দেন। কাজেই ইব্ন উম্মে মাকতূম (রা.) আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা (সাহ্রীর) পানাহার করতে পার। আবদুল্লাহ্(রা.) বলেন, ইব্ন উম্মে মাকতূম (রা.) ছিলেন অন্ধ। যতক্ষন না তাঁকে বলে দেওয়া হত যে, ‘ভোর হয়েছে, ভোর হয়েছে’-ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি আযান দিতেন না।
হাদিস ৫৯১
আবদুল্লাহ্ইব্ন ইউসুফ (র.)……হাফসা (রা.) থকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মুআয্যিন সুব্হে সাদিকের প্রতীক্ষায় থাকত (ও আযান দিত) এবং ভোর স্পষ্ট হতো- জামা’আত দাঁড়ানোর আগে রাসূলুল্লাহ্(সা.) সংক্ষেপে দু’রাকাআত সালাত আদায় করে নিতেন।
হাদিস ৫৯২
আবূ নু’আইম (র.)…… আযিশা (রা.) থকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(সা.) ফজরের আযান ও ইকামতের মাঝে দু’রাকাত সালাত সংক্ষেপে আদায় করতেন।
হাদিস ৫৯৩
আবদুল্লাহ্ইব্ন ইউসুফ (র.)…… আবদুল্লাহ্ইব্ন উমর(রা..) থকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্(সা.) বলেছেনঃ বিলাল (রা.) রাত থাকতে আযান দিয়ে থাকেন। কাজেই তোমরা (সাহ্রী) পানাহার করতে থাক; যতক্ষণ না ইব্ন উম্মে মাক্তূম (রা.) আযান দেন।
হাদিস ৫৯৪
আহ্মদ ইব্ন ইউনুস (র.)…… আবদুল্লাহ্ইব্ন মাসঊদ (রা.) থকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরাশাদ করেছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে সাহ্রী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কেননা, সে রাত থাকতে আযান দেয়-যেন তোমাদের মধ্যে যারা তাহাজ্জুদের সালাতে রত তারা ফিরে যায় আর যারা ঘুমন্ত তাদেরকে জাগিয়ে দেয়। তারপর তিনি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ ফজর বা সুবহে সাদিক বলা যায় না, যখন এরূপ হয়-তিনি একবার আঙ্গুল উপরের দিকে উঠিয়ে নীচের দিকে নামিয়ে ইশারা করলেন, যতক্ষন না এরূপ হয়ে যায়। বর্ণনাকারী যুহাইর (র.) তাঁর শাহাদাত আঙ্গুলদ্বয় একটি আপরটির উপর রাখার পর তাঁর ডানে ও বামে প্রসারিত করে দেখালেন।
হাদিস ৫৯৫
ইসহাক ইউসুফ ইব্ন ঈসা (র.)……আয়িশা (রা.) সূএে নবী (সা.) থকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিলাল (রা.) রাত থাকতে আযান দিয়ে থাকেন। কাজেই, ইব্ন উম্মে মাকতূম (রা.) যতক্ষণ আযান না দেয়, ততক্ষন তোমরা পানাহার করতে পার।
হাদিস ৫৯৬
ইসহাক ওয়াসিতী (র.)……আবদুল্লাহ্ইব্ন মুগাফ্ফাল মুযানী (রা.)থকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্(রা.) বলেছেনঃ প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মধ্যে সালাত রয়েছে। একথা তিনি তিনবার বলেন। (তারপর বলেন) যে চায় তার জন্য।
হাদিস ৫৯৭
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ…….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুআযযিন যখন আযান দিত, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী গণের মধ্যে কয়েকজন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি -এর বের হওয়া পর্যন্ত (মসজিদের) স্তম্ভের কাছে গিয়ে দাঁড়াতেন এবং এ অবস্থায় মাগরিবের আগে দু’রাকাআত সালাত আদায় করতেন। অথচ মাগরিবের আযান ও ইকামতের মধ্যে কিছু (সময়) থাকত না। উসমান ইবনে জাবালা ও আবু দাউদ রহ. শু’বা রহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, এ দুয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধান খুবই সামান্য হত।
হাদিস ৫৯৮
আবুল ইয়ামান রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মুআযযিন ফজরের সালাতের প্রথম আযান শেষ করতেন তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে যেতেন এবং সুবহে সাদিকের পর ফজরের সালাতের আগে দু’রাকাআত সালাত সংক্ষেপে আদায় করতেন, তারপর ডান কাতে শুয়ে পড়তেন এবং ইকামতের জন্য মুআযযিন তাঁর কাছে না আসা পর্যন্ত শুয়ে থাকতেন।
হাদিস ৫৯৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করা যায় । প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করা যায়। তৃতীয়বার একথা বলার পর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে।