হাদিস ৪৯১
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (র)…… নবী (সা) এর সহধর্মিণী আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) রাতে উঠে সালাতে দাঁড়াতেন আর আমি তাঁর ও কিবলার মাঝখানে আড়াআড়ি ভাবে তাঁর পারিবারিক বিছানায় শুয়ে থাকতাম।
হাদিস ৪৯২
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র)…… আবূ কাতাদা আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর মেয়ে যয়নবের গর্ভজাত ও আবুল আস ইবনে রাবী’য়া ইবনে আবদে শামস (র) এর ঔরসজাত কন্যা উমামা (রা) কে কাঁধে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যখন সিজদায় যেতেন তখন তাকে রেখে দিতেন আর যখন দাঁড়াতেন তখন তাকে তুলে নিতেন।
হাদিস ৪৯৩
আমর ইবনে যুরারা (র)…… মায়মুনা বিনতে হারিস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমার বিছানা নবী (সা) এর মুসল্লার বরাবর ছিল। আর আমি আমার বিছানায় থাকা অবস্থায় কোন কোন সময় তাঁর কাপড় আমার গায়ের উপর এসে পড়তো।
হাদিস ৪৯৪
আবূ নু’মান (র)…… মায়মুনা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী (সা) সালাত আদায় করতেন আর আমি তাঁর পাশে শুয়ে থাকতাম। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন তাঁর কাপড় আমার গায়ের উপর পড়তো। সে সময় আমি হায়েয অবস্থায় ছিলাম।
হাদিস ৪৯৫
আমর ইবনে আলী (র)…… আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: তোমরা আমাদেরকে কুকুর ও গাধার সমান করে বড়ই খারাপ করেছ। অথচ আমি নিজেকে এ অবস্থায় দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সা) সালাত আদায়ের সময় আমি তাঁর ও কিবলার মাঝখানে শুয়ে থাকতাম। তিনি যখন সিজদা করার ইচ্ছা করতেন তখন আমার পা দু’টোতে টোকা দিতেন। আমি তখন আমার পা দু’টো গুটিয়ে নিতাম।
হাদিস ৪৯৬
আহমদ ইবনে ইসহাক সারমারী (র)…… আবদুল্লাহ (ইবনে মাস’উদ (রা) )থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একবার রাসূলুল্লাহ (সা) কা’বার নিকটে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। আর কুরাইশের একদল তাদের মজলিসে ছিল। এমন সময় তাদের একজন বলল: তোমরা কি এই রিয়াকারকে দেখনি? তোমাদের এমন কে আছে, যে অমুক গোত্রের উট যবেহ করার স্থান পর্যন্ত যেতে রাযী? সেখানে থেকে গোবর , রক্ত ও গর্ভাশয় নিয়ে এসে অপেক্ষায় থাকবে যখন এ ব্যক্তি সিজদায় যাবে, তখন এগুলো তার দুই কাঁধের মাঝখানে রেখে দিবে। এ কাজের জন্য চরম হতভাগ্য ব্যক্তি (উকবা ইবনে আবূ মু’আইত) উঠে দাঁড়াল (এবং তা নিয়ে আসলো)। যখন রাসূলুল্লাহ (সা) সিজদায় স্থির রয়ে গেলেন। এতে তারা হাসাহাসি করতে লাগলো। একজন আরেক জনের উপর লুটিয়ে পড়তে লাগল। (এই অবস্থা দেখে) এক ব্যক্তি ফাতিমা (রা) এর কাছে গেল। তিনি তখন ছোট বালিকা ছিলেন। তিনি দৌড়ে চলে আসলেন। তখনও নবী (সা) সিজদারত ছিলেন। ফাতিমা (রা) সেগুলো তাঁর উপর থেকে ফেলে দিলেন এবং মুশরিকদের লক্ষ্য করে গালমন্দ করতে লাগলেন। যখন রাসূলুল্লাহ (সা) সালাত শেষ করলেন তখন তিনি বললেন: “আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর”। তারপর তিনি নাম ধরে বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমর ইবনে হিশাম, উতবা ইবনে রাবী’য়া, শায়বা ইবনে রাবী’য়া, ওয়ালীদ ইবনে উতবা, উমাইয়া ইবনে খালাফ, উকবা ইবনে আবূ মু’আইত এবং উমারা ইবনে ওয়ালিদকে ধ্বংশ কর”। আবদুল্লাহ (ইবনে মাস’উদ (রা)) বলেন: আল্লাহর কসম! আমি এদের সবাইকে বদর যুদ্ধের দিন নিহত লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা) বলতেন: এই কুয়াবাসীদের উপর চিরকালের জন্য অভিশাপ।