হাদিস ৪৬৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র)…… আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি একটা মাদী গাধার উপর সওয়ার হয়ে এলাম, তখন আমি ছিলাম সাবালক হওয়ার নিকটবর্তী। রাসূলুল্লাহ (সা) সামনে দেওয়াল ব্যতীত অন্যকিছুকে সুতরা বানিয়ে মিনায় লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। কাতারের কিছু অতিক্রম করে আমি সওয়ারী থেকে অবতরণ করলাম। গাধীটিকে চরাতে দিয়ে আমি কাতারের শামিল হয়ে গেলাম। আমাকে কেউই এ কাজে বাধা দেয়নি।
হাদিস ৪৭০
ইসহাক (র)……ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) ঈদের দিন যখন বের হতেন তখন তাঁর সামনে ছোট নেযা(বল্লম) পুঁতে রাখতে নির্দেশ দিতেন। সেদিকে মুখ করে তিনি সালাত আদায় করতেন। আর লোকজন তাঁর পেছনে দাঁড়াত। সফরেও তিনি তাই করতেন। এ থেকে শাসকগণও এটা অবলম্বন করেছেন।
হাদিস ৪৭১
আবুল ওয়ালীদ (র)……আওন ইবনে জুহায়ফা (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, নবী (সা) সাহাবীগণকে নিয়ে ‘বাতহা’ নামক স্থানে যোহরের দু’রাকা’আত ও আসরের দু’রাকা’আত সালাত আদায় করেন। তখন তাঁর সামনে ছড়ি পুঁতে রাখা হয়েছিল। তাঁর সম্মুখ দিয়ে (সুতরার বাইরে) মহিলা ও গাধা চলাচল করতো।
হাদিস ৪৭২
আমর ইবনে যূহারা (র)…… সাহল ইবনে সা’দ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) এর সালাতের স্থান ও দেওয়ালের মাঝখানে একটা বকরী চলার মত ব্যবধান ছিল।
হাদিস ৪৭৩
মাক্কী ইবনে ইবরাহীম (র)…… সালমা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: মসজিদের দেওয়াল ছিল মিম্বরের এত কাছে যে, মাঝখান দিয়ে একটা বকরীরও চলাচল কঠিন ছিল।
হাদিস ৪৭৪
মুসাদ্দাদ (র)…… আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) এর সামনে বর্শা পুঁতে রাখা হতো, আর তিনি সেদিকে সালাত আদায় করতেন।
হাদিস ৪৭৫
আদম (র)…… আওন ইবনে আবূ জুহায়ফা (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আমার পিতার কাছ থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন: একদিন দুপুরে আমাদের সামনে রাসূলুল্লাহ (সা) তাশরীফ আনলেন। তাঁকে উযূর পানি দেওয়া হলো। তিনি উযূ করলেন এবং আমাদের নিয়ে যোহর ও আসরের সালাত আদায় করলেন। সালাতের সময় তাঁর সামনে ছিল লৌহযুক্ত ছড়ি, যার বাইরের দিক দিয়ে মহিলা ও গাধা চলাচল করতো।
হাদিস ৪৭৬
মুহাম্মদ ইবনে হাতিম ইবনে বযী (র)…… আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী (সা) যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন, তখন আমি ও একজন বালক তাঁর পিছনে যেতাম। আর আমাদের সাথে থাকতো একটা লাঠি বা একটা ছড়ি অথবা একটা ছোট নেযা, আরো থাকতো একটা পানির পাত্র। তিনি তাঁর প্রয়োজনে সেরে নিলে আমরা তাঁকে ঐ পাত্রটি দিতাম।
হাদিস ৪৭৭
সুলায়মান ইবনে হারব (র)…… আবূ জুহায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদিন দুপুরে রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের সামনে তাশরীফ আনলেন। তিনি ‘বাতহা’ নামক স্থানে যোহর ও আসরের সালাত দু’রাকা’আত করে আদায় করলেন। তখন তাঁর সামনে একটা লোহযুক্ত ছড়ি পুঁতে রাখা হয়েছিল। তিনি যখন উযূ করছিলেন, তখন সাহাবীগণ তাঁর উযূর পানি নিজেদের শরীরে (বরকতের জন্য) মাসেহ করতে লাগলো।
হাদিস ৪৭৮
মক্কী ইবনে ইবরাহীম (র)…… ইয়াযিদ ইবনে আবূ উবায়দা (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি সালাম ইবনে আকওয়া (রা) এর কাছে আসতাম। তিনি সর্বদা মসজিদে নববীর সেই স্তম্ভের কাছে সালাত আদায় করতেন যা ছিল মাসাহাফের নিকটবর্তী। আমি তাঁকে বললাম হে আবূ সালিম! আমি আপনাকে সর্বদা এই স্তম্ভ খুজে বের করে সামনে রেখে সালাত আদায় করতে দেখি (এর কারণ কি?) তিনি বললেন: আমি নবী (সা) কে এটি খুঁজে বের করে এর কাছে সালাত আদায় করেত দেখেছি।
হাদিস ৪৭৯
কাবীসা (র)…… আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নবী (সা) এর বিশিষ্ট সাহাবীদের পেয়েছি। তারা মাগরিবের সময় দ্রুত স্তম্ভের কাছে যেতেন। শু’বা (র) আমর (র) সূত্রে আনাস (রা) থেকে (এ হাদীসে) অতিরিক্ত বলেছেন: নবী (সা) বেরিয়ে আসা পর্যন্ত।
হাদিস ৪৮০
মূসা ইবনে ইসমাঈল (র)…… ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী (সা) বায়তুল্লাহ-এ প্রবেশ করেছিলেন। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন উসামা ইবনে যায়েদ (রা), উসমান ইবনে তালহা (রা) এবং বিলাল (রা)। তিনি অনেক্ষণ ভিতরে ছিলেন। তারপর বের হলেন। আর আমিই প্রথম ব্যক্তি যে তাঁর পরে প্রবেশ করেছে। আমি বিলাল (রা) কে জিজ্ঞাসা করলাম: নবী (সা) কোথায় সালাত আদায় করেছেন? তিনি জবাব দিলেন: সামনের দুই স্তম্ভের মাঝে।
হাদিস ৪৮১
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র)…… আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) আর উসামা ইবনে যায়েদ, বিলাল এবং উসমান ইবনে তালহা হাজাবী (রা) কা’বা শরীফে প্রবেশ করলেন। নবী (সা) এর প্রবেশের সাথে সাথে উসমান (রা) কা’বার দরজা বন্ধ করে দিলেন। তাঁরা কিছুক্ষণ ভিতরে ছিলেন। বিলাল (রা) বের হলে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম: নবী (সা) কি করলেন? তিনি জওয়াব দিলেন: একটা স্তম্ভ বামদিকে, আর স্তম্ভ ডানদিকে আর তিনটা স্তম্ভ পেছনে রাখলেন। আর তখন বায়তুল্লাহ ছিল ছয় স্তম্ভ বিশিষ্ট। তারপর তিনি সালাত আদায় করলেন। [ইমাম বুখারী (র) বলেন] ইসমাঈল (র) আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, ইমাম মালিক (র) বলেছেন যে, তাঁর (নবীর) ডান পাশে দুটো স্তম্ভ ছিল।