হাদিস ৪৩৮
কুতায়বা ইবনে সা’ঈদ (র)……জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি তীর সাথে করে মসজিদে নববী অতিক্রম করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বললেন: এর ফলকগুলো হাতে ধরে রাখ।
হাদিস ৪৩৯
মূসা ইবনে ইসমা’ঈল (র) ……আবূ বুরদা (র) এর পিতা আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি তীর নিয়ে আমাদের মসজিদ অথবা বাজার দিয়ে চলে সে যেন তার ফলক হতে ধরে রাখে, যাতে করে তার হাতে কোন মুসলমান আঘাত না পায়।
হাদিস ৪৪০
আবুল ইয়ামান (র) ……আবূ সালমা ইবনে আবদুর রহমান ইবনে আওফ (র) থেকে বর্ণিত, হাসসান ইবনে সাবিত আনসারী (রা) আবূ হুরায়রা (রা) আল্লাহর কসম দিয়ে এ কথার সাক্ষ্য চেয়ে বলেন: আপনি কি নবী (সা) কে একথা বলতে শুনেছেন, হে হসসান! রাসূলুল্লাহ (সা) এর পক্ষ থেকে (কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের) জওয়াব দাও। হে আল্লাহ! হাসসানকে রূহুল কুদুস (জিবরাঈল আঃ)দ্বারা সাহায্য করুন। আবূ হুরায়রা (রা) জওয়াবে বললেন: হাঁ।
হাদিস ৪৪১
আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ (র) ……আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে আমার ঘরের দরজায় দেখলাম। তখন হাবশার লোকেরা মসজিদে (বর্শা দ্বারা অনুশীলন করছিল। রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর চাদর দিয়ে আমাকে আড়াল করে রাখছিলেন। আমি ওদের অনুশীলন দেখছিলাম।
ইবরাহীম ইবনে মুনযির (র)……আয়িশা (রা) থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে। তিনি বলেছেন: আমি নবী (সা) কে দেখলাম এমতাবস্থায় হাবশীরা তাদের বর্শা নিয়ে অনুশীলন করছিল।
হাদিস ৪৪২
আলী ইবনে (রা) আবদুল্লাহ (র) …..আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বারীরা (রা) তাঁর কাছে এসে কিতাবের দেনা শোদের জন্য সাহায্য চাইলেন। তখন তিনি বললেন: তুমি চাইলে আমি (তোমার মূল্য) তোমার মালিককে দিয়ে দিব এ শর্তে যে, উত্তরাধিকার-স্বত্ব থাকবে আমার। তাঁর মালিক আয়িশা (রা) কে বললোঃ আপনি চাইলে বাকী মূল্য বারীরাকে দিতে পারেন। রাবী সুফিয়ান (র) আর একবার বলেছেন: আপনি চাইলে তাকে আযাদ করতে পারেন, তবে উত্তরাধিকার-স্বত্ব থাকবে আমাদের। যখন রাসূলুল্লাহ (সা) আসলেন তখন আমি তাঁর কাছে ব্যাপারটি বললাম। তিনি বললেন: তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কারণ উত্তরাধিকার-স্বত্ব থাকেই তারই, যে আযাদ করে। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা) মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন। সুফিয়ান (র) আর একবার বলেন: এরপর রাসূলুল্লাহ (সা) মিম্বরে আরোহণ করে বললেন: লোকদের কি হলো? তারা এমন সব শর্ত করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। কেউ যদি এমন শর্ত আরোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তাঁর সে শর্তের কোন মূল্য নেই। এমনকি এরূপ শর্ত একশবার আরোপ করলেও। মালিক (র) ……আমরা (র) থেকে রাবী’য়া (রা) এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন।, তবে মিম্বরে আরোহণের কথা উল্লেখ করেন নি। আলী (রা) ……আমরা (র) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। জাফর ইবনে আওন (র) ইয়াহইয়া (র) এর মাধ্যমে আমরা (র) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি আয়িশা (রা) থেকে শুনেছি।
হাদিস ৪৪৩
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ (র) ……কা’ব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি মসজিদের ভিতরে ইবনে আবূ হাদারাদ (রা) এর কাছে তাঁর পাওনা ঋণের তাগাতা করলেন। দু’জনের মধ্যে এ নিয়ে বেশ উচ্চৈঃস্বরে কথাবার্তা হলো। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর ঘর থেকেই তাদের কথার আওয়াজ শুনলেন এবং তিন পর্দা সরিয়ে তাদের কাছে বেরিয়ে গেলেন। আর ডাক দিয়ে বললেন: হে কা’ব! কা’ব (রা) উত্তর দিলেন, লাব্বাইক ইয়া রাসূলুল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন: তোমর পাওনা ঋণ থেকে এতটুকু ছেড়ে দাও। আর হাতে ইশারা করে বোঝালেন, অর্থাৎ অর্ধেক পরিমাণ। তখন কা’ব (রা) বললেন: আমি তাই করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! তখন তিনি ইবনে আবূ হাদরাদকে বললেন: উঠ আর বাকীটা দিয়ে দাও।
হাদিস ৪৪৪
সুলায়মান ইবনে হারব (র) ……আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, একজন কালো বর্ণের পুরুষ অথবা বলেছেন কাল বর্ণের মহিলা মসজিদ ঝাড়ু দিত। সে ইন্তিকাল করল। নবী (সা) তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। সাহাবীগণ বললেন, সে ইন্তিকাল করেছে। তিনি বললেন: তোমরা আমাকে খবর দিলে না কেন? আমাকে তার কবরটা দেখয়ে দাও। তারপর তিনি তার কবরের কাছে গেলেন এবং তার জনাযার সালাত আদায় করলেন।
হাদিস ৪৪৫
আবদান (র) ……আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: মদ সম্পর্কীয় সূরা বাকারার আয়াতসমূহ নাযিল হলে নবী (সা) মসজিদে গিয়ে সে সব আয়াত সাহাবীগণকে পাঠ করে শুনালেন। তারপর তিনি মদের ব্যবসা হারাম ঘোষনা করলেন।
হাদিস ৪৪৬
আহমদ ইবনে ওয়াফিদ (র)…… আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, একজন পুরুষ অথবা বলেছেন একজন মহিলা মসজিদ ঝাড়ু দিতেন।[রাবী সাবিত (র) বলেন:] আমার মনে হয় তিনি বলেছেন একজন মহিলা। তারপর তিনি নবী (সা) এর হদীস বর্ণনা করে বলেন, নবী (সা) তার কবরে জানাযার সালাত আদায় করেছেন।
হাদিস ৪৪৭
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (র)…… আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) বলেছেন; গত রাতে একটা অবাধ্য জিন হঠাৎ করে আমার সামনে প্রকাশ পেল। রাবী বলেন, অথবা তিনি অনুরূপ কোন কথা বলেছেন, যেন সে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টি করতে করে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার উপর ক্ষমতা দিলেন। আমি ইচ্ছা করে করেছিলাম যে, তাকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখি, যাতে ভোরবেলা তোমরা সবাই তাকে দেখতে পাও। কিন্তু তখন আমার ভাই সুলায়মান (আঃ) এর উক্তি আমার স্মরণ হলো, “হে রব! আমাকে দান কর এমন রাজত্ব যার অধিকারী আমার পরে কেউ না হয়।”(৩৮:৩৫) (বর্ণনাকারী) রাওহ (র) বলেন; নবী (সা) সেই শয়তানটিকে অপমানিত অবস্থায় তাড়িয়ে দিলেন।