হাদিস ৪২৭
মুসাদ্দাদ (র) ……আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি মসজিদে নববীতে ঘুমাতেন। তিনি ছিলেন অবিবাহিত। তাঁর কোন পরিবার-পরিজন ছিল না।
হাদিস ৪২৮
কুতায়বা ইবনে সা’ঈদ (র) ……সাহল ইবনে সা’দ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) ফাতিমা (রা) এর ঘরে এলেন, কিন্তু আলী (রা) কে ঘরে পেলেন না। তিনি ফাতিমা (রা) কে জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার চাচাতো ভাই কোথায়? তিনি বললেন: আমার ও তাঁর মধ্যে কিছু ঘটেছে। তিনি আমার সাথে রাগ করে বাইরে চলে গেছেন। আমার কাছে দুপুরের বিশ্রামও করেন নি। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা) এক ব্যক্তিকে বললেন: দেখ তো সে কোথায়? সে ব্যক্তি খোঁজে এসে বললোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা) তিনি মসজিদে শুয়ে আছেন। রাসূলুল্লাহ (সা) এলেন, তখন আলী (রা) কাত হয়ে শুয়ে ছিলেন। তাঁর শরীরের এক পাশের চাদর পড়ে গিয়েছে এবং তাঁর শরীরে মাটি লেগেছে। রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর শরীরের মাটি ঝেড়ে দিতে দিতে বললেন: উঠ, হে আবূ তুরাব! উঠ, হে আবূ তুরাব!
হাদিস ৪২৯
ইউসুফ ইবনে ঈসা (র) ……আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি সত্তরজন আসহাবে সুফফাকে দেখেছি, তাঁদের কারো গায়ে বড় চাদর ছিল না। হয়ত ছিল কেবল তহবন্দ কিংবা ছোট চাদর, যা তাঁরা ঘাড়ে বেঁধে রাখতেন।(নীচের দিকে) কারো নিসফে সাক বা অর্ধ হাঁটু পর্যন্ত আর কারো টাখনু পর্যন্ত ছিল। তাঁরা লজ্জা-স্থান দেখা যাওয়ার ভয়ে কাপড় হাতে ধরে একত্র করে রাখতেন।
হাদিস ৪৩০
খাল্লাদ ইবনে ইয়াহইয়া (র) ……জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নবী (সা) এর কাছে আসলাম। তিনি তখন মসজিদে ছিলেন। তখন মিস’আর (র) বলেন: আমার মনে পড়ে রাবী মুহারিব (র) চাশতের সময়ের কথা বলেছেন। তখন নবী (সা) বললেন: তুমি দু’রাকাত সালাত আদায় কর। জাবির বলেন: নবী (সা) এর কাছে আমার কিছু পাওনা ছিল। তিনি তা তিয়ে দিলেন এবং কিছু বেশীও দিলেন।
হাদিস ৪৩১
আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র) ……আবূ কাতাদা সালামী (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন দু’রাকাত সালাত আদায় করে নেয়।
হাদিস ৪৩২
আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র) ……আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) তোমাদের কেউ মসজিদে সালাতের পর হাসাদের পূর্ব পর্যন্ত যেখানে সে সালাত আদায় করেছ সেখানে যতক্ষণ না বসে থাকে ততক্ষণ ফিরিশতারা তার জন্যে দোয়া করতে থাকেন। তাঁরা বলেন: হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন! হে আল্লাহ! তার প্রতি রহম করুন।
হাদিস ৪৩৩
আলী ইবনে আবদুল্লাহ (র) …… আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা) এর সময় এর সময়ে মসজিদ তৈরী হয় কাঁচা ইট দিয়ে, তার ছাদ ছিল খেজুরের ডালের খুঁটি ছিল খেজুর গাছের আবূ বকর (রা) এতে কিছু বাড়ান নি। অবশ্য উমর (রা) বাড়িয়েছেন। আর তার ভিত্তি তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর যুগে যে ভিত্তি ছিল তার উপর কাঁচা ইট ও খেজুরের ডাল দিয়ে নির্মাণ করেন এবং তিনি খুঁটিগুলো পরিবর্তন করে কাঠের (খুঁটি) লাগান। তারপর উসমান (রা) তাতে পরিবর্তন সাধন করেন এবং অনেক বৃদ্ধি করেন। তিনি দেয়াল তৈরী করেন নকশী পাথর ও চুন-সুরকি দিয়ে। খুঁটিও দেন নকশা করা পাথরের, ছাদ বানান সেগুন কাঠ দিয়ে।
হাদিস ৪৩৪
মুসাদ্দাদ (র) ……ইকরিমা (র) বর্ণিত, তিনি বলেন: ইবনে আব্বাস (রা) আমাকে ও তার ছেলে আলী (রা) কে বললেনঃ তোমরা উভয়ই আবূ সা’ঈদ (রা) কাছে যাও এবং তাঁর থেকে হদীস শুনে আস। আমরা গেলাম। তখন তিনি এক বাগানে কাজ করছেন। তিনি আমাদেরকে দেখে চাদরে হাঁটু মুড়ি দিয়ে বসলেন এবং পরে হাদিস বর্ণনা শুরু করলেন। শেষ পর্যায়ে তিনি মসজিদে নববী নির্মাণ আলোচনায় আসলেন। তিনি বললেন: আমরা একটা একটা করে কাঁচা ইট বহন করছিলাম আর আম্মার (রা) দুটো দুটো করে কাঁচা ইট বহন করছিলেন। নবী (সা) তা দেখে তাঁর দেহ থেকে মাটি ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে লাগলেনঃ আম্মারের জন্য আফসোস, তাকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে। সে তাদেরকে আহবান করবে জান্নাতের দিকে আর তারা আহবান করবে জাহান্নামের দিকে। আবূ সা’ঈদ (রা) বলেন: তখন আম্মার (রা) বললেন: আমি ফিতনা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।
হাদিস ৪৩৫
কুতায়বা ইবনে সা’ঈদ (র) …… সাহল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) এক মহিলার নিকট লোক পাঠিয়ে বললেন: তুমি তমার গোলাম কাঠমিস্ত্রীকে বল, সে যেন আমার বসার জন্যে কাঠের মিম্বর তৈরী করে দেয়।
হাদিস ৪৩৬
খাল্লাদ ইবনে ইয়াহইয়া (র)……জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, এক মহিলা বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কি আপনার বসার জন্যে কিছু তৈরী করে দিব? আমার এক কাঠমিস্ত্রী গোলাম আছে। তিনি বললেন: যদি তোমার ইচ্ছা হয়। তারপর তিনি একটি মিম্বর তৈরী করিয়ে দিলেন।
হাদিস ৪৩৭
ইয়াহইয়া ইবনে সুলায়মান (র) ……উবায়দুল্লাহ খাওলানী (র) থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান ইবনে আফফান (রা) কে বলতে শুনেছেন, তিনি যখন মসজিদে নববী নির্মাণ করেছিলেন তখন লোকজনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলেন: তোমরা আমার উপর অনেক বাড়াবাড়ি করছ অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনে-ছিঃ যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে, বুকায়র (র) বলেন: আমার মনে হয় রাবী ‘আসিম’ (র) তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্যে জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরী করবেন।