হাদিস ৪০১
হাফসা ইবনে উমর (র)…… আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন তার সামনে বা ডানে থুথু না ফেলে; বরং তার বাঁয়ে বা পায়ের নীচে ফেলে।
হাদিস ৪০২
আদম (র) ………আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) বলেন, “মু’মিন যখন সালাতে থাকে, তখন সে তার রবের সঙ্গে একান্তে কথা বলে। কাজেই সে যেন তার সামনে, ডানে থুথু না ফেলে।”
হাদিস ৪০৩
আলী (র) ………আবূ সা’ঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) একবার মসজিদের কিবলার দিকের দেয়ালে কফ দেখলেন, তখন তিনি কাঁকর দিয়ে তা মুছে দিলেন। তারপর সামনের দিকে অথবা ডান দিকে থুথু ফেলতে নিষেধ করলেন। কিন্তু (প্রয়োজনে)বাঁ দিকে অথবা পায়ের নীচে ফেলতে বললেন। যুহরী (র) হুমাইদ (র) এর মাধ্যমে আবূ সা’ঈদ খুদরী (রা) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
হাদিস ৪০৪
আদম (র) ………আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) বলেছেন, মসজিদে থুথু ফেলা গুনাহ, আর তার কাফফারা (প্রতিকার) হল তা পুঁতে ফেলা।
হাদিস ৪০৫
ইসহাক ইবনে নাসর (র)……আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (সা)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ালে সে তার সামনের দিকে থুথু ফেলবে না। সে সে যতক্ষণ তার মুসলায় থাকে, ততক্ষণ মহান আল্লাহর সঙ্গে চুপে চুপে কথা বলে। আর ডান দিকেও ফেলবে না। কেননা তার ডান দিকে থাকে ফিরিশতা। সে যেন তার বাঁ দিকে অথবা পায়ের নীচে থুথু ফেলে এবং পরে তা পুঁতে ফেলে।
হাদিস ৪০৬
মালিক ইবনে ইবনে ইসমা’ঈল (র)……আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত যে , নবী (সা) কিবলার দিকে (দেয়ালে) কফ দেখে তা নিজ হাতে মুছে ফেললেন আর তাঁর চেহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেল। বা সে কারণে তাঁর চেহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেল এবং এর প্রতি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ পেল। তিনি বললেন “যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায়, তখন তার রবের সঙ্গে চুপে চুপে কথা বলে। অথবা (বলেছেন)তখন তার রব কিবলা ও তার মাঝখানে থাকেন। কাজেই সে সে যেন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে, বরং (প্রয়োজনে)বাঁ দিকে বা পায়ের নীচে ফেলবে।” তারপর তিনি চাদরের কোণ ধরে তাতে থুথু ফেলে এক অংশের উপর অপর অংশ ভাঁজ করে দিলেন এবং বললেন “অথবা এরূপ করবে।”
হাদিস ৪০৭
আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র)……আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সা) বলেছেন, “তোমরা কি মনে কর যে, আল্লাহর দৃষ্টি কেবল কিবলার দিকে? আল্লাহর কসম! আমার কাছে তোমাদের খুশূ (বিনয়) ও রুকু কিছুই গোপন থাকে না। অবশ্যই আমি আমার পেছন থেকেও তোমাদের দেখি।”
হাদিস ৪০৮
ইয়াহইয়া ইবনে সালিহ (র)……আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি মিম্বরে উঠলেন এবং ইরশাদ করলেন, “তোমাদের সালাতে রুকুতে আমি অবশ্যই তোমাদের আমার পেছন থেকে দেখি, যেমন এখন তোমাদের দেখছি”।
হাদিস ৪০৯
আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র)……আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা) যুদ্ধের জন্যে তৈরী ঘোড়াকে ‘হাফয়া’ (নামক স্থান) থেকে ‘সানিয়াতুল ওয়াদা’ পর্যন্ত দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন। আর যে ঘোড়া যুদ্ধের জন্য তৈরী নয়, সে ঘোড়াকে ‘সানিয়া’ থেকে যুরাইক গোত্রের মসজিদ পর্যন্ত দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন। আর এই প্রতিযোগিতায় আব্দুল্লাহ ইবনে উমর অগ্রগামী ছিলেন।
হাদিস ৪১০
ইব্রাহীম (র)……আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) এর কাছে বাহরাইন থেকে কিছু মাল এলো। তিনি বললেন: এগুলো মসজিদে রেখে দাও। রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এ যাবত যত মাল আনা হয়েছে তার মধ্যে এ মালই ছিল পরিমাণে সবচে বেশী। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা) সালাতে চলে গেলেন এবং এর দিকে ভ্রুক্ষেপও করলেন না। সালাত শেষ করে তিনি এসে মালের কাছে গিয়ে বসলেন। তিনি যাকেই দেখলেন, কিছু মাল তাকে দিয়ে দিলেন। ইতিমধ্যে আব্বাস (রা) এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাকেও কিছু দিন। কারণ আমি নিজে ও আকিলের (এ দু’জন বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের কয়েদি ছিলেন) পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দিয়েছি। রাসূল (সা) তাকে বললেন: নিয়ে যান তিনি তা কাপড়ে ভর নিলেন। তারপর তা উঠাতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু পারলেন না। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কাউকে বলুন, যেন আমাকে এটি উঠিয়ে দেয়। তিনি বললেন: না। আব্বাস (রা) বললেন: তাহলে আপনি নিজেই তুলে দিন তিনি বললেন: না। তারপর আব্বাস (রা) তা থেকে কিছু মাল রেখে দিলেন। তারপর আবার তা তুলতে চেষ্টা করলেন। (এবারও তুলতে না পেরে) তিনি বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! কাউকে আদেশ করুন যেন আমাকে তুলে দেয়। তিনি বললেন: না। তাহলে আপনিই আমাকে তুলে দিন। তিনি বললেন: না। তারপর আব্বাস (রা) আরো কিছু মাল নামিয়ে রাখলেন। এবার তিনি উঠাতে পারলেন এবং তা নিজের কাঁদে তুলে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) তার লোভ দেখে এতই অবাক হয়েছিলেন যে, তিনি চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত আব্বাসের দিকে তাকিয়ে থাকলেন।রাসূলুল্লাহ (সা) একটি দিরহাম বাকী থাকা পর্যন্ত উঠলেন না।
আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র)……আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নবী (সা) কে মসজিদে পেলাম আর তার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সাহাবী। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি আমাকে বললেন: তোমাকে কি আবূ তালহা পাঠিয়েছেন? আমি বললাম জী হাঁ। তিনি বললেন: খাবারের জন্য? আমি বললাম: জী হাঁ তখন তার আশেপাশে যারা ছিলেন, তাঁদেরকে বললেন: উঠ। তারপর তিনি চলতে শুরু করলেন।(রাবী বলেন) আমি তাঁদের সামনে সামনে চললাম।