হাদিস ৩৯৭
‘আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)……’আবদুল্লাহ ইবন ‘উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কিবলার দিকে দেওয়ালে থুথু দেখে তা পরিষ্কার করে দিলেন। তারপর লোকদের দিকে ফিরে বললেনঃ যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করে সে যেন তাঁর সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কেননা, সে যখন সালাত আদায় করে তখন তাঁর সামনের দিকে আল্লাহ তা’আলা থাকেন।
হাদিস ৩৯৮
‘আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)……উম্মুল মু’মিনীন হযরত ‘আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কিবলার দিকের দেয়ালের শ্লেষ্মা, থুথু কিংবা কফ দেখলেন এবং তা পরিষ্কার করলেন।
হাদিস ৩৯৯
মূসা ইবন ইস্মা’ঈল (র)……আবূ হুরায়রা ও আবূ সা’ইদ (খুদরী)(রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) মসজিদের দেওয়ালে কফ দেখে কাঁকর দিয়ে তা মুছে ফেললেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যেন সামনের দিকে অথবা ডান দিকে কফ না ফেলে, বরং সে যেন তাঁর বাম দিকে অথবা তাঁর পায়ের নীচে ফেলে।
হাদিস ৪০০
ইয়াহইয়া ইবন বুকায়র (র)……আবূ হুরায়রা (রা) ও আবূ সা’ঈদ (খুদরী) (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) মসজিদের দেয়ালে কফ দেখলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) কিছু কাঁকর নিলেন এবং তা মুছে ফেললেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ কফ ফেললে তা যেন সামনে অথবা ডানে না ফেলে বরং (প্রয়োজনে) সে বাঁ দিকে অথবা বাঁ পায়ের নিচে ফেলবে।
হাদিস ৪০১
হাফসা ইবনে উমর (র)…… আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন তার সামনে বা ডানে থুথু না ফেলে; বরং তার বাঁয়ে বা পায়ের নীচে ফেলে।
হাদিস ৩৮৬
‘আলী ইবন ‘আবদুল্লাহ (র)……আবূ আয়্যূব আনসারী (রা০ থেকে বর্ণিত যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ যখন তোমরা পায়খানা করতে যাও, তখন কিবলার দিকে মুখ করবে না কিংবা পিঠ ও দিবে না, বরং তোমরা পূর্বদিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। আবূ আয়্যূব আনসারী (রা) বলেনঃ আমরা যখন সিরিয়ায় এলাম তখন পায়খানাগুলো কিবলামুখী বানানো পেলাম। আমরা কিছুটা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহ তা’লার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতাম। যুহরী (র) ‘আতা (র) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আমি আবূ আয়্যূব (রা)-কে নবী (সঃ) এর নিকট থেকে অনুরুপ বর্ণনা করতে শুনেছি।
হাদিস ৩৮৭
হুমায়দী (র)…… ‘আমর ইবন দীনার (র) বলেনঃ আমরা ইবন ‘উমর (রা) কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম—যে ব্যক্তি উমরার জন্য বায়তুল্লাহর তাওায়াফ করেছেন কিন্তু সাফা-মারওয়া সা’ঈ করে নি, সে কি তাঁর স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হতে পারবে? তিনি জবাব দিলেন, নবী (সঃ) এসে সাতবার বায়তুল্লাহর তাওওয়াফ করেছেন, মাকামে ইবরাহীমের কাছে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন আর সাফা-মারওয়া সা’ঈ করেছেন। তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। আমরা জাবির ইবন ‘আবদুল্লাহ (রা) কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেছেনঃ সাফা-মারুওায়া সা’ঈ করার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর কাছে যাবে না।
হাদিস ৩৮৮
মুসাদ্দাদ (র)……মুজাহিদ (র) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি ‘উমর (রা)-এর নিকট এলেন, এবং বললেনঃ ইনি হলেন রাসূলুল্লাহ (সঃ), তিনি কাবা ঘরে প্রবেশ করেছেন। ইবন ‘উমর বলেন; আমি সেদিকে এগিয়ে গেলাম এবং দেখলাম যে, নবী (সঃ) কা’বা থেকে বেরিয়ে পরেছেন। আমি বিলাল (রা)কে উভয় কপাটের মাঝখানে দাঁড়ানো দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (সঃ) কি কা’বা ঘরের অভ্যন্তরে সালাত আদায় করেছেন? তিনি জবাব দিলেন, হাঁ, কা’বায় প্রবেশ করার সময় তোমার বা দিকের দুই স্তম্ভের মধ্যখানে দুই রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। তাঁর পর তিনি বের হলেন এবং কা’বার সামনে দুই রাক’আত সালাত আদায় করেলেন।
হাদিস ৩৮৯
ইসহাক ইবন নসর (র)……ইবন ‘আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যখন নবী (সঃ) কা’বায় প্রবেশ করেন, তখন তাঁর সকল দিকে দুয়া করেছেন, সালাত আদায় না করেই বেরিয়ে এসেছেন এবং বের হওয়ার পর কা’বার সামনে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন, আর বলেছেন, এই কিবলা।
হাদিস ৩৯০
‘আবদুল্লাহ ইবন রাজা’ (র)……বারা’ ইবন ‘আযিব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ) বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী হয়ে ষোল বা সতের মাস সালাত আদায় করেছেন। আর রাসূলুল্লাহ (সঃ) কা’বার দিকে কিবলা করা পছন্দ করতেন। মহান আল্লাহ নাযিল করেনঃ “আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করেছি। (২:১৪৪) তারপর তিনি কাবার দিকে মুখ করেন। আর নির্বোধ লোকেরা –তারা ইয়াহুদী, বলতো, “তারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করে আসছিলো, তা থেকে কিসে তাঁদের কে ফিরিয়ে দিল? বলুনঃ (হে নবী (সঃ)) পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করেন। (২:১৪২)তখন নবী (সঃ) এর সঙ্গে এক ব্যক্তি সালাত আদায় করলেন এবং বেরিয়ে গেলেন। তিনি আসরের সালাতের সময় আনসারগনের এক গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্চছিল। তাঁরা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ (তিনি নিজেই) সাক্ষী যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সঙ্গে তিনি সালাত আদায় করেছেন, আর তিনি (রাসূলুল্লাহ (সঃ)) কা’বার দিকে মুখ করেছেন। তখন সে গোত্রের লোকজন ঘুরে কা’বার দিকে মুখ করলেন।