হাদিস ২৬৫
মুহাম্মদ ইবনে বাশ্শার রহ……মুহাম্মদ ইবনে মুনতাশির রহ. তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি আয়িশা রা. এর কাছে (আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর রা.)এর উক্তিটি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন : আল্লাহ্ আবু আবদুর রহমানকে রহম করুন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুশবু লাগাতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তারপর ভোরবেলায় এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধতেন যে, তাঁর দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়তো।
হাদিস ২৬৬
মুহাম্মদ ইবনে বাশ্শার রহ…….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রী গণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন ? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাকে ত্রিশ জনের শক্তি দেওয়া হয়েছে। সাঈদ রা. কাতাদা রা. থেকে বর্ণনা করেন, আনাস রা. তাদের কাছে হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগার জনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন।
হাদিস ২৬৭
আবুল ওয়ালীদ রহ……..আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমার অধিক মযী বের হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা আমার স্ত্রী হওয়ার কারণে আমি একজনকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠালাম। তিনি প্রশ্ন করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : উযূ কর এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেল।
হাদিস ২৬৮
আবু নু’মান রহ………মুহাম্মদ ইবনে মুনতাশির রহ. তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, আমি আয়িশা রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম এবং আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর রা.-এর উক্তি উল্লেখ করলাম, -“আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পসন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ে। আয়িশা রা. বললেন : আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সুগন্ধি লাগিয়েছি, তারপর তিনি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহরাম অবস্থায় প্রভাত হয়েছে।
হাদিস ২৬৯
আদম ইবনে ইয়াস রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি যেন এখনো দেখছি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইহরাম অবস্থায় তাঁর খুশবুর ঔজ্জ্বল্য রয়েছে।
হাদিস ২৭০
আবদান রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন তিনি দু’হাত ধুইতেন এবং সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। তারপর গোসল করতেন। পরে তাঁর হাত দিয়ে চুল খিলাল করতেন। চামড়া ভিজেছে বলে যখন তিনি নিশ্চিত হতেন , তখন তাতে তিনবার পানি ঢালতেন। তারপর সমস্ত শরীর ধুয়ে ফেলতেন। আয়িশা রা. আরো বলেছেন : আমি ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্র থেকে গোসল করতাম। আমরা একই সাথে তা থেকে আজলা ভরে পানি নিতাম।
হাদিস ২৭১
ইউসুফ ইবনে ঈসা রহ…….মায়মূনা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলেন। তারপর দু’বার বা তিনবার ডান হাতে বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধুইলেন। তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেওয়ালে দু’বার বা তিনবার ঘষলেন। পরে তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও দু’হাত ধুইলেন। তারপর তাঁর মাথায় পানি ঢাললেন এবং তাঁর শরীর ধুইলেন। একটু সরে গিয়ে তাঁর দুই পা ধুইলেন। মায়মূনা রা. বলেন : এরপর আমি একখন্ড কাপড় দিলে তিনি তা নিলেন না, বরং নিজ হাতে পানি ঝেড়ে ফেলতে থাকলেন।
হাদিস ২৭২
আবদুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মদ রহ…….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : একবার সালাতের ইকামত দেওয়া হলে সবাই দাড়িয়ে কাতার সোজা করছিলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে বেরিয়ে আসলেন। তিনি মুসাল্লায় দাঁড়ালে তাঁর মনে হলো যে, তিনি জানাবাত অবস্থায় আছেন। তখন তিনি আমাদের বললেন : স্ব স্ব স্থানে দাঁড়িয়ে থাক। তিনি ফিরে গিয়ে গোসল করে আবার আমাদের সামনে আসলেন এবং তাঁর মাথা থেকে পানি ঝরছিল। তিনি তাকবীর (তাহরীমা) বাঁধলেন, আর আমরাও তাঁর সাথে সালাত আদায় করলাম।
আবুল আ’লা রহ. যহরী রহ. থেকে এবং আওযাঈ রহ. ও যহরী রহ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিস ২৭৩
আবদান রহ…..মায়মূনা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম এবং কাপড় দিয়ে পর্দা করে দিলাম। তিনি দু’হাতের উপর পানি ঢেলে উভয় হাত ধুয়ে নিলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধুইলেন। পরে হাতে মাটি লাগিয়ে ঘষে নিলেন এবং ধুয়ে ফেললেন। এরপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, চেহারা ও দু’হাত (কনুই পর্যন্ত) ধুইলেন। তারপর মাথায় পানি ঢাললেন ও সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত করলেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। এরপর আমি তাকে একটা কাপড় দিলাম কিন্তু তিনি তা নিলেন না। তিনি দু’হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।
হাদিস ২৭৪
খাল্লাদ ইবনে ইয়াহ্ইয়া রহ……আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমাদের কারও জানাবাতের গোসলের প্রয়োজন হলে সে দু’হাতে পানি নিয়ে তিনবার মাথায় ঢালত।