হাদিস ১৫২
আবুল ওলীদ হিশাম ইবন ‘আবদুল মালিক (র)… আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন তখন আমি ও আরাকটি ছেলে পানির পাত্র নিয়ে আসতাম। অর্থ তিনি তা দিয়ে ইসতিনজা করতেন।
হাদিস ১৫৩
সুলায়মান ইবন হারব (র)… আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে তাঁর পিছনে পানির পাত্র নিয়ে যেতাম।
হাদিস ১৫৪
মুহাম্মদ ইবন বাশশার (র) আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী যখন শৌচাগারে যেতেন তখন আমি ও আরাকটি ছেলে পানির পাত্র এবং ‘আনাযা নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইসতিনজা করতেন।
হাদিস ১৫৫
মু‘আয ইবন ফাযালা (র)… আবূ কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ বলেন, তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন শৌচাগারে যায় তখন তার পুরূষাঙ্গ যেন ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাতে ইসতিনজা না করে।
হাদিস ১৫৬
মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র)…আবূ কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন পেসাব করে তখন সে যেন কখনো ডান হাত তার পুরূষাঙ্গ না ধরে এবং ডান হাত দিয়ে ইসতিনজা না করে এবং পান করার সময় যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে।
হাদিস ১৫৭
আহমদ ইবন মুহাম্মদ আল-মক্কী (র)… আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলে আমি তাঁর অনুসরণ করলাম। আর তিনি এদিক ওদিক তাকাতেন না। যখন আমি তাঁর নিকটবর্তী হলাম তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘আমাকে কিছু পাথর কুড়িয়ে দাও, আমি তা দিয়ে ইসতিনজা করব।’ (বর্ণনাকারী বলেন), বা এ ধরনের কোন কথা বললেন, আর আমার জন্য হাড় বা গোবর আনবে না।’ তখন আমি আমার কাপড়ের কোচায় করে কয়েকটি পাথর এনে তাঁর পাশে রাখলাম এবং আমি তাঁর থেকে সরে গেলাম। তিনি প্রয়োজন শেষে সেগুলো ব্যবহার করলেন।
হাদিস ১৫৮
আবূ নু‘আয়ম (র)… ‘আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী একবার শৌচ কাজে যাবার সময় তিনটি পাথর কুড়িয়ে দিতে আমাকে আদেশ দিলেন। তখন আমি দু’টি পাথর পেলাম এবং তৃতীয়টির জন্য খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু পেলাম না। তাই একখণ্ড শুকনো গোবর নিয়ে তাঁর কাছে গেলাম। তিনি পাথর দু’টি নিলেন এবং গোবর খণ্ড ফেলে দিয়ে বললেন, এটা অপবিত্র।
হাদিস ১৫৯
মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র)… ইবন ‘আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ‘নবী এক উযূতে একবার করে ধুয়েছেন।’
হাদিস ১৬০
হুসায়ন ইবন ‘ঈসা (র)… ‘আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ‘নবী উযূতে দু’বার করে ধুয়েছেন।’
হাদিস ১৬১
আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ আল-উওয়ায়সী (র)…হুমরান (র) থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এরপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর হাঁত মুখমন্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত তিনবার কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। এরপর মাথা মসেহ করেলন। তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি আমার মত এ রকম উযূ করবে, তারপর দু’রাক’আত সালাত আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হবে।’
ইবরাহীম (র)… ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘উরওয়া হুমরান থেকে বর্ণনা করেন, ‘উসমান (রা) উযূ করে বললেন, আমি তোমাদেরকে একটি হাদীস বর্ণনা করব। যদি একটি আয়াতে কারীমা না হত, তবে আমি তোমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করতাম না। আমি নবী – কে বলতে শুনেছি, যে কোন ব্যক্তি সুন্দর করে উযূ করবে এবং সালাত আদায় করবে, পরের সালাত আদায় করা পর্যন্ত তার মখ্যবর্তী যত গুনাহ আছে সব মাফ করে দেওয়া হবে। ‘উরওয়া (র) বলেন, সে আয়াতটি হলঃ
আমি যে সব স্পষ্ট নিদর্শন অবতীর্ণ করেছি তা যারা গোপন করে… (২ঃ১৫৯)
হাদিস ১৬২
‘আব্দান (র)… আবূ ইদরিস (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি আবূ হুরায়রা (রা) – কে বলতে শুনেছেন, নবী ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি উযূ করে সে যেন নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে। আর যে ইসতিনজা করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করে।
বুখারি হাদিস ১৬৩
‘আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)… আবূ হুরায়রা (র) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযূ করে তখন সে যেন নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে। আর যে ইসতিনজা করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন উযূর পানিতে হাত ঢুকানোর আগে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে।
বুখারি হাদিস ১৬৪
মূসা (র)… ‘আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর (র) থেকে বর্ণিত যে, নবী এক সফরে আমাদের পিছনে রয়ে গিয়েছিলেন, এরপর তিনি আমাদের কাছে পৌঁছে গেলেন। তখন আমরা আসরের সালাত শুরু করতে দেরী করে ফেলেছিলাম। তাই আমরা উযূ করছিলাম এবং (তাড়াতাড়ির কারণে) আমাদের পা মাসেহ করার মতো হালকাভাবে ধুয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চস্বরে বললেনঃ ‘পায়ের গোড়ালীগুলোর জন্য জাহান্নামের আযাব রয়েছে।’ দু’বার অথবা তিনবার তিনি একথা বললেন।