মন্তব্য : বাঙ্গালী জাতির জাতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুৎসা রটনা কারী ও গীবতকারী রূপে। এই জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি না পেলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
আয়াতঃ 104.006
এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,
The fire of Allâh, kindled,
نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ
Naru Allahi almooqadatu
YUSUFALI: (It is) the Fire of (the Wrath of) Allah kindled (to a blaze),
PICKTHAL: (It is) the fire of Allah, kindled,
SHAKIR: It is the fire kindled by Allah,
KHALIFA: GOD’s blazing Hellfire.
৫। তুমি কি জান হুতামা কি ?
৬। ইহা আল্লাহ্র [ ক্রোধের ] প্রজ্জ্বলিত আগুন,
৭। যা হৃদয় পর্যন্ত উঁচু হয়ে উঠবে ৬২৬৮
৬২৬৮। হুতামাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ” ইহা আল্লাহ্র,ক্রোধের প্রজ্বলিত আগুন বা হুতাশন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” অর্থাৎ কুৎসা রটনাকারী, গীবতকারী ও কৃপণ ব্যক্তিদের মাঝে কখনও সংহতি ও একতা হতে পারে না। তারা কাউকে বিশ্বাস করবে না; অন্য কেউ তাদের বিশ্বাস করবে না। ফলে তাদের অন্তরের মাঝে মানুষের জন্য ভালোবাসা জন্মাবে না, মানুষও তাদের ভালোবাসবে না। অবিশ্বাসে ভরা, ভালোবাসাহীন জীবন তাদের অন্তরের শান্তি নষ্ট করে দেবে এবং অন্তর হুতাশনে ভরিয়ে দেবে যা প্রজ্বলিত আগুনের মত যন্ত্রণাদায়ক মনে হবে। এই আগুনের বর্ণনা হচ্ছে ; ” যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভাষার প্রকাশকে। আরবীতে হৃদয় শব্দটি দ্বারা বিশাল ভাবের প্রকাশ ঘটানো হয়। আরবীতে ‘হৃদয়’ শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় স্নেহ, ভালোবাসা, দয়া, করুণা, ইত্যাদি মনের কোমল অনুভূতি সমূহ বা সুকুমার বৃত্তিসমূহ। শুধু তা-ই নয় ব্যপক অর্থে এই শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় অনুভব ও উপলব্ধির ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। চিন্তা করুণ, যে এই নিন্দনীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত তার অন্তরে আল্লাহ্ হুতাশন সৃষ্টি করে দেবেন যার ফলে তার আত্মার কোমল অনুভূতি সমূহ ও আধ্যাত্মিক জগতকে বোঝার ও উপলব্ধি করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে মানুষের দেহ ধারণ করলেও এরা মানসিক ও মানবিক গুণে বঞ্চিত হবে।
মন্তব্য : বাঙ্গালী জাতির জাতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুৎসা রটনা কারী ও গীবতকারী রূপে। এই জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি না পেলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
আয়াতঃ 104.007
যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।
Which leaps up over the hearts,
الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ
Allatee tattaliAAu AAala al-af-idati
YUSUFALI: The which doth mount (Right) to the Hearts:
PICKTHAL: Which leapeth up over the hearts (of men).
SHAKIR: Which rises above the hearts.
KHALIFA: It burns them inside out.
৫। তুমি কি জান হুতামা কি ?
৬। ইহা আল্লাহ্র [ ক্রোধের ] প্রজ্জ্বলিত আগুন,
৭। যা হৃদয় পর্যন্ত উঁচু হয়ে উঠবে ৬২৬৮
৬২৬৮। হুতামাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ” ইহা আল্লাহ্র,ক্রোধের প্রজ্বলিত আগুন বা হুতাশন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” অর্থাৎ কুৎসা রটনাকারী, গীবতকারী ও কৃপণ ব্যক্তিদের মাঝে কখনও সংহতি ও একতা হতে পারে না। তারা কাউকে বিশ্বাস করবে না; অন্য কেউ তাদের বিশ্বাস করবে না। ফলে তাদের অন্তরের মাঝে মানুষের জন্য ভালোবাসা জন্মাবে না, মানুষও তাদের ভালোবাসবে না। অবিশ্বাসে ভরা, ভালোবাসাহীন জীবন তাদের অন্তরের শান্তি নষ্ট করে দেবে এবং অন্তর হুতাশনে ভরিয়ে দেবে যা প্রজ্বলিত আগুনের মত যন্ত্রণাদায়ক মনে হবে। এই আগুনের বর্ণনা হচ্ছে ; ” যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভাষার প্রকাশকে। আরবীতে হৃদয় শব্দটি দ্বারা বিশাল ভাবের প্রকাশ ঘটানো হয়। আরবীতে ‘হৃদয়’ শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় স্নেহ, ভালোবাসা, দয়া, করুণা, ইত্যাদি মনের কোমল অনুভূতি সমূহ বা সুকুমার বৃত্তিসমূহ। শুধু তা-ই নয় ব্যপক অর্থে এই শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় অনুভব ও উপলব্ধির ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। চিন্তা করুণ, যে এই নিন্দনীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত তার অন্তরে আল্লাহ্ হুতাশন সৃষ্টি করে দেবেন যার ফলে তার আত্মার কোমল অনুভূতি সমূহ ও আধ্যাত্মিক জগতকে বোঝার ও উপলব্ধি করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে মানুষের দেহ ধারণ করলেও এরা মানসিক ও মানবিক গুণে বঞ্চিত হবে।
মন্তব্য : বাঙ্গালী জাতির জাতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুৎসা রটনা কারী ও গীবতকারী রূপে। এই জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি না পেলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
আয়াতঃ 104.008
এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,
Verily, it shall be closed in on them,
إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ
lnnaha AAalayhim mu/sadatun
YUSUFALI: It shall be made into a vault over them,
PICKTHAL: Lo! it is closed in on them
SHAKIR: Surely it shall be closed over upon them,
KHALIFA: They will be confined therein.
৮। নিশ্চয় উহা তাদের চারিদিকে বেষ্টন করে থাকবে,
৯। দীর্ঘায়িত স্তম্ভ সমূহের [ মত ] ৬২৬৯।
৬২৬৯। যারা এই পাপে আচ্ছন্ন থাকবে তারা আল্লাহ্র শাস্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে যাবে, যা তাদের জন্য হবে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। আগুনের দ্বারা পরিবেষ্টিত হলে অক্সিজেনের অভাবে এবং ধোঁয়া দ্বারা যেরূপ শ্বাস রুদ্ধ হয়ে পড়ে, এ সব লোকের অবস্থা হবে তদ্রূপ। শাস্তির আগুনের স্তম্ভ সমূহ তাদের পরিবেষ্টিত করে ফেলবে। এই যন্ত্রণা দায়ক স্তম্ভ, জীবিত অবস্থাতেই হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং হৃদয়ে দহনের তীব্র যন্ত্রণা জীবদ্দশাতেই মানুষ অনুভব করবে। পরলোকের শাস্তি তো ভবিষ্যতের জন্য রইলই।