- সূরার নাম: সূরা হুমাযাহ
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা হুমাযাহ
আয়াতঃ 104.001
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ,
Woe to every slanderer and backbiter.
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ
Waylun likulli humazatin lumazatin
YUSUFALI: Woe to every (kind of) scandal-monger and-backbiter,
PICKTHAL: Woe unto every slandering traducer,
SHAKIR: Woe to every slanderer, defamer,
KHALIFA: Woe to every backbiter, slanderer.
=============
সূরা হুমাযা বা কুৎসা রটনাকারী -১০৪
৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই মক্কী সূরাতে সকল প্রকার কলঙ্ক রটনা, পশ্চাতে নিন্দা করা, স্বার্থপরের ন্যায় সম্পদ কুক্ষিগত করা ইত্যাদি নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। কারণ এ সব মানুষের হৃদয়ের সুকুমার বৃত্তি ও স্নেহ ভালোবাসাকে ধ্বংস করে।
সূরা হুমাযা বা কুৎসা রটনাকারী -১০৪
৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। প্রত্যেক কুৎসা রটনাকারী ও পিছনে নিন্দাকারীর জন্য দুর্ভাগ্য ৬২৬৬,
২। যে সম্পদের পাহাড় গড়ে এবং নিয়মিত তা গুণে রাখে [ নিরাপত্তার কারণে ], ;
৩। ধারণা করে যে, তার ঐশ্বর্য্য তাকে অমর করবে।
৬২৬৬। মানুষের মাঝে বিরাজিত তিনটি পাপকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা করা হয়েছে :
১) কুৎসা রটনাকারী, যারা মহিলা বা পুরুষদের সম্বন্ধে খারাপ কথা বলে অথবা কটাক্ষ বা বক্রোক্তি করে অথবা মন্দ আচরণ বা বিদ্রূপ ব্যঙ্গের উদ্দেশ্যে অনুকরণ করে, অথবা অপমান করে ইত্যাদি;
২) গীবতকারী অর্থাৎ যারা পশ্চাতে নিন্দা করে, ব্যক্তির চরিত্রহানি বা মানহানি করে। তাদের বক্তব্য যদি সঠিকও হয়, কিন্তু তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য যদি ব্যক্তির চরিত্র সংশোধন অপেক্ষা ব্যক্তির চরিত্র হননই হয়ে থাকে, তবে তা-ও গীবতের পর্যায়ে পড়ে। কারণ আল্লাহ্ বিচার করবেন কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত দ্বারা কর্ম দ্বারা নয়।
৩) যারা সম্পদের পাহাড় গড়তে ভালোবাসে, কিন্তু তা কখনও জনহিতকর কাজে ব্যয় করে না। এ সব লোকেরা কখনও পরলোকের কথা বা মৃত্যুর কথা চিন্তা করে না। অর্থের আদান -প্রদান ও প্রাপ্তি তাদের পরলোকের জীবনকে ভুলিয়ে দেয়, যেনো তারা অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। অর্থের প্রতি প্রচন্ড মোহ থেকে কৃপণতা স্বভাবের জন্ম হয় যা একটি কুৎসিত মনের প্রকাশ।
আয়াতঃ 104.002
যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে
Who has gathered wealth and counted it,
الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ
Allathee jamaAAa malan waAAaddadahu
YUSUFALI: Who pileth up wealth and layeth it by,
PICKTHAL: Who hath gathered wealth (of this world) and arranged it.
SHAKIR: Who amasses wealth and considers it a provision (against mishap);
KHALIFA: He hoards money and counts it.
১। প্রত্যেক কুৎসা রটনাকারী ও পিছনে নিন্দাকারীর জন্য দুর্ভাগ্য ৬২৬৬,
২। যে সম্পদের পাহাড় গড়ে এবং নিয়মিত তা গুণে রাখে [ নিরাপত্তার কারণে ], ;
৩। ধারণা করে যে, তার ঐশ্বর্য্য তাকে অমর করবে।
৬২৬৬। মানুষের মাঝে বিরাজিত তিনটি পাপকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা করা হয়েছে :
১) কুৎসা রটনাকারী, যারা মহিলা বা পুরুষদের সম্বন্ধে খারাপ কথা বলে অথবা কটাক্ষ বা বক্রোক্তি করে অথবা মন্দ আচরণ বা বিদ্রূপ ব্যঙ্গের উদ্দেশ্যে অনুকরণ করে, অথবা অপমান করে ইত্যাদি;
২) গীবতকারী অর্থাৎ যারা পশ্চাতে নিন্দা করে, ব্যক্তির চরিত্রহানি বা মানহানি করে। তাদের বক্তব্য যদি সঠিকও হয়, কিন্তু তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য যদি ব্যক্তির চরিত্র সংশোধন অপেক্ষা ব্যক্তির চরিত্র হননই হয়ে থাকে, তবে তা-ও গীবতের পর্যায়ে পড়ে। কারণ আল্লাহ্ বিচার করবেন কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত দ্বারা কর্ম দ্বারা নয়।
৩) যারা সম্পদের পাহাড় গড়তে ভালোবাসে, কিন্তু তা কখনও জনহিতকর কাজে ব্যয় করে না। এ সব লোকেরা কখনও পরলোকের কথা বা মৃত্যুর কথা চিন্তা করে না। অর্থের আদান -প্রদান ও প্রাপ্তি তাদের পরলোকের জীবনকে ভুলিয়ে দেয়, যেনো তারা অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। অর্থের প্রতি প্রচন্ড মোহ থেকে কৃপণতা স্বভাবের জন্ম হয় যা একটি কুৎসিত মনের প্রকাশ।
আয়াতঃ 104.003
সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে!
He thinks that his wealth will make him last forever!
يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ
Yahsabu anna malahu akhladahu
YUSUFALI: Thinking that his wealth would make him last for ever!
PICKTHAL: He thinketh that his wealth will render him immortal.
SHAKIR: He thinks that his wealth will make him immortal.
KHALIFA: As if his money will make him immortal.
১। প্রত্যেক কুৎসা রটনাকারী ও পিছনে নিন্দাকারীর জন্য দুর্ভাগ্য ৬২৬৬,
২। যে সম্পদের পাহাড় গড়ে এবং নিয়মিত তা গুণে রাখে [ নিরাপত্তার কারণে ], ;
৩। ধারণা করে যে, তার ঐশ্বর্য্য তাকে অমর করবে।
৬২৬৬। মানুষের মাঝে বিরাজিত তিনটি পাপকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা করা হয়েছে :
১) কুৎসা রটনাকারী, যারা মহিলা বা পুরুষদের সম্বন্ধে খারাপ কথা বলে অথবা কটাক্ষ বা বক্রোক্তি করে অথবা মন্দ আচরণ বা বিদ্রূপ ব্যঙ্গের উদ্দেশ্যে অনুকরণ করে, অথবা অপমান করে ইত্যাদি;
২) গীবতকারী অর্থাৎ যারা পশ্চাতে নিন্দা করে, ব্যক্তির চরিত্রহানি বা মানহানি করে। তাদের বক্তব্য যদি সঠিকও হয়, কিন্তু তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য যদি ব্যক্তির চরিত্র সংশোধন অপেক্ষা ব্যক্তির চরিত্র হননই হয়ে থাকে, তবে তা-ও গীবতের পর্যায়ে পড়ে। কারণ আল্লাহ্ বিচার করবেন কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত দ্বারা কর্ম দ্বারা নয়।
৩) যারা সম্পদের পাহাড় গড়তে ভালোবাসে, কিন্তু তা কখনও জনহিতকর কাজে ব্যয় করে না। এ সব লোকেরা কখনও পরলোকের কথা বা মৃত্যুর কথা চিন্তা করে না। অর্থের আদান -প্রদান ও প্রাপ্তি তাদের পরলোকের জীবনকে ভুলিয়ে দেয়, যেনো তারা অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। অর্থের প্রতি প্রচন্ড মোহ থেকে কৃপণতা স্বভাবের জন্ম হয় যা একটি কুৎসিত মনের প্রকাশ।
আয়াতঃ 104.004
কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে।
Nay! Verily, he will be thrown into the crushing Fire.
كَلَّا لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ
Kalla layunbathanna fee alhutamati
YUSUFALI: By no means! He will be sure to be thrown into That which Breaks to Pieces,
PICKTHAL: Nay, but verily he will be flung to the Consuming One.
SHAKIR: Nay! he shall most certainly be hurled into the crushing disaster,
KHALIFA: Never; he will be thrown into the Devastator.
৪। না কখনও না ! অবশ্যই সে হুতামায় নিক্ষিপ্ত হবে [যা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করবে ] ৬২৬৭
৬২৬৭। ‘Hutama’ যার অর্থ ধ্বংসকারী বা যা টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে দেয়। যে তিনটি সামাজিক পাপের উল্লেখ এখানে করা হয়েছে তাদেরই প্রকৃত রূপকে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে হুতামা দ্বারা। কুৎসা রটনাকারী ও গীবত কারীরা কখনও কোনও ব্যাপারেই নিজেদের মাঝে সংহতি ও একতা রক্ষা করতে পারবে না। তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হবে তারা কখনও পারস্পরিক বিশ্বাস রক্ষা করতে পারবে না। অপরের কুৎসা রটনা করা ও গীবত করা একধরণের মানসিক ব্যধি। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানসিক অবস্থাকেই এখানে বর্ণনা করা হয়েছে হুতামা শব্দটি দ্বারা। লক্ষ্য করুণ আয়াতটির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমগ্র বাঙ্গালী জাতিই এই ব্যাধিতে আক্রান্ত যে কারণে বাঙ্গালীরা জাতি হিসেবে ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সংহতি ও একতা রাখতে অক্ষম। তাদের একতা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়বে।
অপর পক্ষে কৃপণতা ও অর্থের প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণও মানসিক ব্যাধির জন্ম দেয়। কৃপণতার ফলে ব্যক্তির মন মানসিকতা এ রূপ ধারণ করে যে, সে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য অর্থ সাহায্য করতে বা ব্যয় করতে সব সময়েই কুণ্ঠিত থাকবে ফলে সে মানুষের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা থেকে বঞ্চিত হবে, মানুষ তাকে কখনও বিশ্বাস করবে না। এদের শেষ পরিণতি ‘হুতামায়’। অর্থাৎ পারস্পরিক বিশ্বাস ও একতার ব্যাপারে এরা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়বে।
আয়াতঃ 104.005
আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?
And what will make you know what the crushing Fire is?
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ
Wama adraka ma alhutamatu
YUSUFALI: And what will explain to thee That which Breaks to Pieces?
PICKTHAL: Ah, what will convey unto thee what the Consuming One is!
SHAKIR: And what will make you realize what the crushing disaster is?
KHALIFA: Do you know what the Devastator is?
৫। তুমি কি জান হুতামা কি ?
৬। ইহা আল্লাহ্র [ ক্রোধের ] প্রজ্জ্বলিত আগুন,
৭। যা হৃদয় পর্যন্ত উঁচু হয়ে উঠবে ৬২৬৮
৬২৬৮। হুতামাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ” ইহা আল্লাহ্র,ক্রোধের প্রজ্বলিত আগুন বা হুতাশন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” অর্থাৎ কুৎসা রটনাকারী, গীবতকারী ও কৃপণ ব্যক্তিদের মাঝে কখনও সংহতি ও একতা হতে পারে না। তারা কাউকে বিশ্বাস করবে না; অন্য কেউ তাদের বিশ্বাস করবে না। ফলে তাদের অন্তরের মাঝে মানুষের জন্য ভালোবাসা জন্মাবে না, মানুষও তাদের ভালোবাসবে না। অবিশ্বাসে ভরা, ভালোবাসাহীন জীবন তাদের অন্তরের শান্তি নষ্ট করে দেবে এবং অন্তর হুতাশনে ভরিয়ে দেবে যা প্রজ্বলিত আগুনের মত যন্ত্রণাদায়ক মনে হবে। এই আগুনের বর্ণনা হচ্ছে ; ” যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভাষার প্রকাশকে। আরবীতে হৃদয় শব্দটি দ্বারা বিশাল ভাবের প্রকাশ ঘটানো হয়। আরবীতে ‘হৃদয়’ শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় স্নেহ, ভালোবাসা, দয়া, করুণা, ইত্যাদি মনের কোমল অনুভূতি সমূহ বা সুকুমার বৃত্তিসমূহ। শুধু তা-ই নয় ব্যপক অর্থে এই শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় অনুভব ও উপলব্ধির ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। চিন্তা করুণ, যে এই নিন্দনীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত তার অন্তরে আল্লাহ্ হুতাশন সৃষ্টি করে দেবেন যার ফলে তার আত্মার কোমল অনুভূতি সমূহ ও আধ্যাত্মিক জগতকে বোঝার ও উপলব্ধি করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে মানুষের দেহ ধারণ করলেও এরা মানসিক ও মানবিক গুণে বঞ্চিত হবে।
মন্তব্য : বাঙ্গালী জাতির জাতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুৎসা রটনা কারী ও গীবতকারী রূপে। এই জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি না পেলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
আয়াতঃ 104.006
এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,
The fire of Allâh, kindled,
نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ
Naru Allahi almooqadatu
YUSUFALI: (It is) the Fire of (the Wrath of) Allah kindled (to a blaze),
PICKTHAL: (It is) the fire of Allah, kindled,
SHAKIR: It is the fire kindled by Allah,
KHALIFA: GOD’s blazing Hellfire.
৫। তুমি কি জান হুতামা কি ?
৬। ইহা আল্লাহ্র [ ক্রোধের ] প্রজ্জ্বলিত আগুন,
৭। যা হৃদয় পর্যন্ত উঁচু হয়ে উঠবে ৬২৬৮
৬২৬৮। হুতামাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ” ইহা আল্লাহ্র,ক্রোধের প্রজ্বলিত আগুন বা হুতাশন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” অর্থাৎ কুৎসা রটনাকারী, গীবতকারী ও কৃপণ ব্যক্তিদের মাঝে কখনও সংহতি ও একতা হতে পারে না। তারা কাউকে বিশ্বাস করবে না; অন্য কেউ তাদের বিশ্বাস করবে না। ফলে তাদের অন্তরের মাঝে মানুষের জন্য ভালোবাসা জন্মাবে না, মানুষও তাদের ভালোবাসবে না। অবিশ্বাসে ভরা, ভালোবাসাহীন জীবন তাদের অন্তরের শান্তি নষ্ট করে দেবে এবং অন্তর হুতাশনে ভরিয়ে দেবে যা প্রজ্বলিত আগুনের মত যন্ত্রণাদায়ক মনে হবে। এই আগুনের বর্ণনা হচ্ছে ; ” যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভাষার প্রকাশকে। আরবীতে হৃদয় শব্দটি দ্বারা বিশাল ভাবের প্রকাশ ঘটানো হয়। আরবীতে ‘হৃদয়’ শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় স্নেহ, ভালোবাসা, দয়া, করুণা, ইত্যাদি মনের কোমল অনুভূতি সমূহ বা সুকুমার বৃত্তিসমূহ। শুধু তা-ই নয় ব্যপক অর্থে এই শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় অনুভব ও উপলব্ধির ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। চিন্তা করুণ, যে এই নিন্দনীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত তার অন্তরে আল্লাহ্ হুতাশন সৃষ্টি করে দেবেন যার ফলে তার আত্মার কোমল অনুভূতি সমূহ ও আধ্যাত্মিক জগতকে বোঝার ও উপলব্ধি করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে মানুষের দেহ ধারণ করলেও এরা মানসিক ও মানবিক গুণে বঞ্চিত হবে।
মন্তব্য : বাঙ্গালী জাতির জাতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুৎসা রটনা কারী ও গীবতকারী রূপে। এই জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি না পেলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
আয়াতঃ 104.007
যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।
Which leaps up over the hearts,
الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ
Allatee tattaliAAu AAala al-af-idati
YUSUFALI: The which doth mount (Right) to the Hearts:
PICKTHAL: Which leapeth up over the hearts (of men).
SHAKIR: Which rises above the hearts.
KHALIFA: It burns them inside out.
৫। তুমি কি জান হুতামা কি ?
৬। ইহা আল্লাহ্র [ ক্রোধের ] প্রজ্জ্বলিত আগুন,
৭। যা হৃদয় পর্যন্ত উঁচু হয়ে উঠবে ৬২৬৮
৬২৬৮। হুতামাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, ” ইহা আল্লাহ্র,ক্রোধের প্রজ্বলিত আগুন বা হুতাশন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” অর্থাৎ কুৎসা রটনাকারী, গীবতকারী ও কৃপণ ব্যক্তিদের মাঝে কখনও সংহতি ও একতা হতে পারে না। তারা কাউকে বিশ্বাস করবে না; অন্য কেউ তাদের বিশ্বাস করবে না। ফলে তাদের অন্তরের মাঝে মানুষের জন্য ভালোবাসা জন্মাবে না, মানুষও তাদের ভালোবাসবে না। অবিশ্বাসে ভরা, ভালোবাসাহীন জীবন তাদের অন্তরের শান্তি নষ্ট করে দেবে এবং অন্তর হুতাশনে ভরিয়ে দেবে যা প্রজ্বলিত আগুনের মত যন্ত্রণাদায়ক মনে হবে। এই আগুনের বর্ণনা হচ্ছে ; ” যা হৃদয়কে গ্রাস করবে।” এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভাষার প্রকাশকে। আরবীতে হৃদয় শব্দটি দ্বারা বিশাল ভাবের প্রকাশ ঘটানো হয়। আরবীতে ‘হৃদয়’ শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় স্নেহ, ভালোবাসা, দয়া, করুণা, ইত্যাদি মনের কোমল অনুভূতি সমূহ বা সুকুমার বৃত্তিসমূহ। শুধু তা-ই নয় ব্যপক অর্থে এই শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয় অনুভব ও উপলব্ধির ক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। চিন্তা করুণ, যে এই নিন্দনীয় ব্যাধিতে আক্রান্ত তার অন্তরে আল্লাহ্ হুতাশন সৃষ্টি করে দেবেন যার ফলে তার আত্মার কোমল অনুভূতি সমূহ ও আধ্যাত্মিক জগতকে বোঝার ও উপলব্ধি করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে মানুষের দেহ ধারণ করলেও এরা মানসিক ও মানবিক গুণে বঞ্চিত হবে।
মন্তব্য : বাঙ্গালী জাতির জাতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুৎসা রটনা কারী ও গীবতকারী রূপে। এই জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি না পেলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।
আয়াতঃ 104.008
এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,
Verily, it shall be closed in on them,
إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ
lnnaha AAalayhim mu/sadatun
YUSUFALI: It shall be made into a vault over them,
PICKTHAL: Lo! it is closed in on them
SHAKIR: Surely it shall be closed over upon them,
KHALIFA: They will be confined therein.
৮। নিশ্চয় উহা তাদের চারিদিকে বেষ্টন করে থাকবে,
৯। দীর্ঘায়িত স্তম্ভ সমূহের [ মত ] ৬২৬৯।
৬২৬৯। যারা এই পাপে আচ্ছন্ন থাকবে তারা আল্লাহ্র শাস্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে যাবে, যা তাদের জন্য হবে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। আগুনের দ্বারা পরিবেষ্টিত হলে অক্সিজেনের অভাবে এবং ধোঁয়া দ্বারা যেরূপ শ্বাস রুদ্ধ হয়ে পড়ে, এ সব লোকের অবস্থা হবে তদ্রূপ। শাস্তির আগুনের স্তম্ভ সমূহ তাদের পরিবেষ্টিত করে ফেলবে। এই যন্ত্রণা দায়ক স্তম্ভ, জীবিত অবস্থাতেই হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং হৃদয়ে দহনের তীব্র যন্ত্রণা জীবদ্দশাতেই মানুষ অনুভব করবে। পরলোকের শাস্তি তো ভবিষ্যতের জন্য রইলই।
আয়াতঃ 104.009
লম্বা লম্বা খুঁটিতে।
In pillars stretched forth (i.e. they will be punished in the Fire with pillars, etc.).
فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ
Fee AAamadin mumaddadatin
YUSUFALI: In columns outstretched.
PICKTHAL: In outstretched columns.
SHAKIR: In extended columns.
KHALIFA: In extended columns.
৮। নিশ্চয় উহা তাদের চারিদিকে বেষ্টন করে থাকবে,
৯। দীর্ঘায়িত স্তম্ভ সমূহের [ মত ] ৬২৬৯।
৬২৬৯। যারা এই পাপে আচ্ছন্ন থাকবে তারা আল্লাহ্র শাস্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে যাবে, যা তাদের জন্য হবে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। আগুনের দ্বারা পরিবেষ্টিত হলে অক্সিজেনের অভাবে এবং ধোঁয়া দ্বারা যেরূপ শ্বাস রুদ্ধ হয়ে পড়ে, এ সব লোকের অবস্থা হবে তদ্রূপ। শাস্তির আগুনের স্তম্ভ সমূহ তাদের পরিবেষ্টিত করে ফেলবে। এই যন্ত্রণা দায়ক স্তম্ভ, জীবিত অবস্থাতেই হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং হৃদয়ে দহনের তীব্র যন্ত্রণা জীবদ্দশাতেই মানুষ অনুভব করবে। পরলোকের শাস্তি তো ভবিষ্যতের জন্য রইলই।