- সূরার নাম: সূরা তাকাসূর
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা তাকাসূর
আয়াতঃ 102.001
প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
The mutual rivalry for piling up of worldly things diverts you,
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
Alhakumu alttakathuru
YUSUFALI: The mutual rivalry for piling up (the good things of this world) diverts you (from the more serious things),
PICKTHAL: Rivalry in worldly increase distracteth you
SHAKIR: Abundance diverts you,
KHALIFA: You remain preoccupied with hoarding.
============
সূরা তাকাসুর – ১০২
৮ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটি সম্ভবতঃ প্রাথমিক মক্কী সূরার অর্ন্তগত। মানুষের চাওয়া ও পাওয়ার বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধার বিরুদ্ধে সাবধান বাণী প্রেরণ করা হয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে পার্থিব সম্পদ, ক্ষমতা, ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিষের প্রাচুর্যের দ্বারা নিজেকে শক্তিশালী ভাবার প্রবণতা। ফলে এসব জিনিষের প্রতি তাঁর ভূবনগ্রাসী আসক্তি লক্ষ্য করা যায়। নিজেকে বড় ও শক্তিশালী করার প্রবণতা থেকে জন্ম নেয় যে আসক্তি সেই আসক্তির কবলে তার সকল চিন্তা ভাবনা, পরিশ্রম সব কিছুকে সমর্পন করে, পরলোকের বা পারলৌকিক জীবনের জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য সময় ব্যয় করার সময় তার থাকে না।
সূরা তাকাসুর – ১০২
৮ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। [ ওহে মানব ] পার্থিব সম্পদ বৃদ্ধির প্রতিযোগীতা তোমাদের [ গুরুতর বিষয় থেকে ] অন্যমনষ্ক করে রাখে ৬২৫৭,
৬২৫৭। ধন-সম্পদ,ক্ষমতা, প্রভাব প্রতিপত্তি, এ সবের প্রতি মানুষের আকর্ষণ স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষ যখন এগুলির আসক্তিতে ভালো -মন্দ, ন্যায় অন্যায়ের মাঝে পার্থক্যের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখনই ব্যক্তির জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। সে বৈধ পন্থা ব্যতীত অবৈধ পন্থার স্মরণাপন্ন হয়। অবৈধ পন্থায় সম্পদ সংগ্রহ করা, ক্ষমতা ও প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জন করা এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য ব্যয় না করাই হচ্ছে বিকৃত মানসিকতা যা তাকে পাপের পথে টেনে নিয়ে যায়। এই মানসিকতাতে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ আক্রান্ত হতে পারে, আবার একটি জাতি জাতিগত ভাবেও আক্রান্ত হতে পারে। [যেমন বাংলাদেশীরা আক্রান্ত ] এরূপ ক্ষেত্রে মানুষ মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পৃথিবীতে বাঁচার জন্য এবং পৃথিবীর অন্যান্য জাতির সাথে প্রতিযোগীতার জন্য ধনসম্পদের, প্রভাব -প্রতিপত্তির, ক্ষমতা লাভের প্রয়োজন আছে সত্য, তবে অবৈধ পন্থায় অর্জন কখনও সুফল বয়ে আনবে না। এর পরেও আল্লাহ্ বলেছেন যে, যদি সে অর্জন বৈধ পথেও হয়, তবুও এ সবের জন্য প্রবল আসক্তি মনকে মোহাচ্ছন্ন করে ফেলে, ফলে মনের মাঝে দম্ভ ও অহংকারের জন্ম নেয় এবং প্রবল প্রতিযোগীতার মনোভাব তার সকল চিন্তা ভাবনার রাজ্য দখল করে নেয়। এরূপ ক্ষেত্রে ব্যক্তির সময় থাকে না আল্লাহ্র কথা ভাবার বা পরলোকের কথা চিন্তা করার বা আধ্যাত্মিক উন্নতির চেষ্টা করা। এরূপ ক্ষেত্রেই সতর্ক করা হয়েছে ধন -সম্পদ ও প্রভাব প্রতিপত্তির প্রবল আকাঙ্খার বিরুদ্ধে। এই আকাঙ্খা তীব্র হলে তার থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। আমৃত্যু তাকে এই কামনা ও আসক্তির পিছনে ছুটে বেড়াতে হয়। “সম্পদ বৃদ্ধির প্রতিযোগীতা তোমাদের অন্যমনস্ক করে রাখে।”
আয়াতঃ 102.002
এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।
Until you visit the graves (i.e. till you die).
حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
Hatta zurtumu almaqabira
YUSUFALI: Until ye visit the graves.
PICKTHAL: Until ye come to the graves.
SHAKIR: Until you come to the graves.
KHALIFA: Until you go to the graves.
২। যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপণীত হও ৬২৫৮।
৬২৫৮। এই আয়াতটির অর্থ হচ্ছে মানুষ পার্থিব ধন-সম্পদের পিছনে এতটাই মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যে মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তেও সে এই নাগপাশ ছিন্ন করতে পারে না, মৃত্যুর সাথে সাথে যখন তাকে কবরে নীত করা হয়, পৃথিবীর সকল আড়ম্বর পূর্ণ জীবন, জাঁকজমক, ক্ষমতা প্রতিপত্তি সকল কিছুই পিছনে ফেলে রেখে যেতে হয়। সঙ্গে কিছুই নিতে পারে না। এই হচ্ছে বাস্তব সত্য। মৃত্যুর পরেই তার সম্মুখে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ধরা পড়বে। তবে কেন মানুষ সময় থাকতে প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনের চেষ্টা করে না ?
আয়াতঃ 102.003
এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
Nay! You shall come to know!
كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
Kalla sawfa taAAlamoona
YUSUFALI: But nay, ye soon shall know (the reality).
PICKTHAL: Nay, but ye will come to know!
SHAKIR: Nay! you shall soon know,
KHALIFA: Indeed, you will find out.
৩। কিন্তু না, শীঘ্রই তোমরা [ বাস্তবতা ] জানতে পারবে।
৪। আবার বলি, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে।
৫। না, তোমাদের যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকতো; তবে তোমরা [সাবধান ] হতে। ৬২৫৯
৬২৫৯। সূরা [ ৬৯ : ৫১ ] আয়াতের টিকাতে [ ৫৬৭৩ নং ] তিন ধরণের জ্ঞানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এই শ্রেণীর প্রথমটি হচ্ছে : নিজস্ব যুক্তি,জ্ঞান, বিবেক,বুদ্ধির দ্বারা বা অন্যের নিকট থেকে শুনে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়। একে বলে, “Ilm-ul-yaqin”। দ্বিতীয় ধরণ হচ্ছে চাক্ষুস দেখে যে জ্ঞান অর্জন করা যায় একে বলে “Ain-ul-yaqin”। ‘নিশ্চিত জ্ঞান ‘ দ্বারা তৃতীয় ধরণের জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে যাকে বলা হয়েছে “Haqq-ul-yaqin” বা নিশ্চিত জ্ঞান যা ভুল ভ্রান্তির উর্দ্ধে।
যে কোন বিষয় সম্বন্ধে পড়াশুনা করে অনুসন্ধান করে যুক্তি তর্কের সাহায্যে চিন্তা করে বিষয়টির সম্বন্ধে ধারণা জন্মে ও ধীরে ধীরে ধারণা স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়। মানুষের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে গণমাধ্যম যথাঃ রেডিও, টিভি, সংবাদপত্র অনেক সময়েই বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এই উদাহরণটি দেয়া হলো মানুষের মানসিক দক্ষতাসমূহ বুঝানোর জন্য। আল্লাহ্ মানুষকে জ্ঞান আহরণের এই বিশেষ দক্ষতাটি দান করেছেন, মানুষ যেনো আল্লাহ্র এবাদতকে স্পর্শ থেকে স্পর্শাতীত ; মূর্ত থেকে বিমূর্ত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য থেকে অতীন্দ্রিয় এবং পার্থিব থেকে স্বর্গীয় লোকে আত্মার উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। কারণ আধ্যাত্মিক জগত আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, এক বিমূর্ত জগত। যদি আমরা আমাদের মনকে অতীন্দ্রিয় আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করার জন্য নির্দ্দেশ দান করি এবং সেভাবেই চিন্তা ও কাজ করি, তাহলেই আমরা মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর এই জীবনকে অস্থায়ী বস্তুর প্রতি আসক্তিতে ব্যয় না করে উচ্চতর জীবনে উত্তরণের জন্য যা প্রকৃত প্রয়োজন, যা জীবনে স্থায়ী সুখ ও শান্তি বয়ে আনতে পারবে তাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। যদি পৃথিবীর জীবনে আমরা আমাদের চিন্তার জগতে ঈমানের বা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন না করি তবে অবশ্যই আমাদের তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে।
আয়াতঃ 102.004
অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
Again, Nay! You shall come to know!
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
Thumma kalla sawfa taAAlamoona
YUSUFALI: Again, ye soon shall know!
PICKTHAL: Nay, but ye will come to know!
SHAKIR: Nay! Nay! you shall soon know.
KHALIFA: Most assuredly, you will find out.
৩। কিন্তু না, শীঘ্রই তোমরা [ বাস্তবতা ] জানতে পারবে।
৪। আবার বলি, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে।
৫। না, তোমাদের যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকতো; তবে তোমরা [সাবধান ] হতে। ৬২৫৯
৬২৫৯। সূরা [ ৬৯ : ৫১ ] আয়াতের টিকাতে [ ৫৬৭৩ নং ] তিন ধরণের জ্ঞানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এই শ্রেণীর প্রথমটি হচ্ছে : নিজস্ব যুক্তি,জ্ঞান, বিবেক,বুদ্ধির দ্বারা বা অন্যের নিকট থেকে শুনে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়। একে বলে, “Ilm-ul-yaqin”। দ্বিতীয় ধরণ হচ্ছে চাক্ষুস দেখে যে জ্ঞান অর্জন করা যায় একে বলে “Ain-ul-yaqin”। ‘নিশ্চিত জ্ঞান ‘ দ্বারা তৃতীয় ধরণের জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে যাকে বলা হয়েছে “Haqq-ul-yaqin” বা নিশ্চিত জ্ঞান যা ভুল ভ্রান্তির উর্দ্ধে।
যে কোন বিষয় সম্বন্ধে পড়াশুনা করে অনুসন্ধান করে যুক্তি তর্কের সাহায্যে চিন্তা করে বিষয়টির সম্বন্ধে ধারণা জন্মে ও ধীরে ধীরে ধারণা স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়। মানুষের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে গণমাধ্যম যথাঃ রেডিও, টিভি, সংবাদপত্র অনেক সময়েই বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এই উদাহরণটি দেয়া হলো মানুষের মানসিক দক্ষতাসমূহ বুঝানোর জন্য। আল্লাহ্ মানুষকে জ্ঞান আহরণের এই বিশেষ দক্ষতাটি দান করেছেন, মানুষ যেনো আল্লাহ্র এবাদতকে স্পর্শ থেকে স্পর্শাতীত ; মূর্ত থেকে বিমূর্ত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য থেকে অতীন্দ্রিয় এবং পার্থিব থেকে স্বর্গীয় লোকে আত্মার উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। কারণ আধ্যাত্মিক জগত আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, এক বিমূর্ত জগত। যদি আমরা আমাদের মনকে অতীন্দ্রিয় আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করার জন্য নির্দ্দেশ দান করি এবং সেভাবেই চিন্তা ও কাজ করি, তাহলেই আমরা মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর এই জীবনকে অস্থায়ী বস্তুর প্রতি আসক্তিতে ব্যয় না করে উচ্চতর জীবনে উত্তরণের জন্য যা প্রকৃত প্রয়োজন, যা জীবনে স্থায়ী সুখ ও শান্তি বয়ে আনতে পারবে তাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। যদি পৃথিবীর জীবনে আমরা আমাদের চিন্তার জগতে ঈমানের বা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন না করি তবে অবশ্যই আমাদের তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে।
আয়াতঃ 101.004
যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত
It is a Day whereon mankind will be like moths scattered about,
يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ
Yawma yakoonu alnnasu kaalfarashi almabthoothi
YUSUFALI: (It is) a Day whereon men will be like moths scattered about,
PICKTHAL: A day wherein mankind will be as thickly-scattered moths
SHAKIR: The day on which men shall be as scattered moths,
KHALIFA: That is the day when the people come out like swarms of butterflies.
২। মহা প্রলয়ের [ দিন ] কি ?
৩। মহা প্রলয়ের [ দিন ] সম্বন্ধে তোমাকে কি ভাবে জানানো যাবে ?
৪। এটা সেদিন, যেদিন মানুষ পতঙ্গের ন্যায় বিক্ষিপ্ত হবে, ৬২৫২
৬২৫২। নূতন পৃথিবী সৃষ্টির প্রাক্কালে যখন পুরাতন পৃথিবী প্রচন্ড আলোড়নে লন্ড ভন্ড হয়ে পড়বে, তখন মানুষের অসহায় অবস্থাকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পতঙ্গ হচ্ছে ক্ষুদ্র,অসহায়, হালকা এক প্রাণী। প্রচন্ড বাতাসের মাঝে তাদের যেরূপ দিগভ্রান্ত, বিক্ষিপ্ত অবস্থা হয়, এই উপমার সাহায্যে কেয়ামত দিবসে মানুষের হতভম্ভ, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অসহায়, অবস্থাকে সে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ বিচার দিবসের আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়বে। পৃথিবীর স্মৃতি ক্ষীণ হয়ে আসবে, নূতন পৃথিবীর ধারণা তার মাঝে নূতন আশার জন্ম দেবে। কিন্তু নূতন পৃথিবী হবে ন্যায় ও সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত – যেখানে পৃথিবীতে কৃত কোন সৎ কাজকেই হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না। প্রতিটি অসৎ কাজকেই তার ফল বা মূল্য শোধ করতে হবে।
আয়াতঃ 102.005
কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে।
Nay! If you knew with a sure knowledge (the end result of piling up, you would not have occupied yourselves in worldly things)
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
Kalla law taAAlamoona AAilma alyaqeeni
YUSUFALI: Nay, were ye to know with certainty of mind, (ye would beware!)
PICKTHAL: Nay, would that ye knew (now) with a sure knowledge!
SHAKIR: Nay! if you had known with a certain knowledge,
KHALIFA: If only you could find out for certain.
৩। কিন্তু না, শীঘ্রই তোমরা [ বাস্তবতা ] জানতে পারবে।
৪। আবার বলি, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে।
৫। না, তোমাদের যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকতো; তবে তোমরা [সাবধান ] হতে। ৬২৫৯
৬২৫৯। সূরা [ ৬৯ : ৫১ ] আয়াতের টিকাতে [ ৫৬৭৩ নং ] তিন ধরণের জ্ঞানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এই শ্রেণীর প্রথমটি হচ্ছে : নিজস্ব যুক্তি,জ্ঞান, বিবেক,বুদ্ধির দ্বারা বা অন্যের নিকট থেকে শুনে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়। একে বলে, “Ilm-ul-yaqin”। দ্বিতীয় ধরণ হচ্ছে চাক্ষুস দেখে যে জ্ঞান অর্জন করা যায় একে বলে “Ain-ul-yaqin”। ‘নিশ্চিত জ্ঞান ‘ দ্বারা তৃতীয় ধরণের জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে যাকে বলা হয়েছে “Haqq-ul-yaqin” বা নিশ্চিত জ্ঞান যা ভুল ভ্রান্তির উর্দ্ধে।
যে কোন বিষয় সম্বন্ধে পড়াশুনা করে অনুসন্ধান করে যুক্তি তর্কের সাহায্যে চিন্তা করে বিষয়টির সম্বন্ধে ধারণা জন্মে ও ধীরে ধীরে ধারণা স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়। মানুষের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে গণমাধ্যম যথাঃ রেডিও, টিভি, সংবাদপত্র অনেক সময়েই বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এই উদাহরণটি দেয়া হলো মানুষের মানসিক দক্ষতাসমূহ বুঝানোর জন্য। আল্লাহ্ মানুষকে জ্ঞান আহরণের এই বিশেষ দক্ষতাটি দান করেছেন, মানুষ যেনো আল্লাহ্র এবাদতকে স্পর্শ থেকে স্পর্শাতীত ; মূর্ত থেকে বিমূর্ত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য থেকে অতীন্দ্রিয় এবং পার্থিব থেকে স্বর্গীয় লোকে আত্মার উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। কারণ আধ্যাত্মিক জগত আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, এক বিমূর্ত জগত। যদি আমরা আমাদের মনকে অতীন্দ্রিয় আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করার জন্য নির্দ্দেশ দান করি এবং সেভাবেই চিন্তা ও কাজ করি, তাহলেই আমরা মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর এই জীবনকে অস্থায়ী বস্তুর প্রতি আসক্তিতে ব্যয় না করে উচ্চতর জীবনে উত্তরণের জন্য যা প্রকৃত প্রয়োজন, যা জীবনে স্থায়ী সুখ ও শান্তি বয়ে আনতে পারবে তাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। যদি পৃথিবীর জীবনে আমরা আমাদের চিন্তার জগতে ঈমানের বা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন না করি তবে অবশ্যই আমাদের তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে।
আয়াতঃ 102.006
তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে,
Verily, You shall see the blazing Fire (Hell)!
لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ
Latarawunna aljaheema
YUSUFALI: Ye shall certainly see Hell-Fire!
PICKTHAL: For ye will behold hell-fire.
SHAKIR: You should most certainly have seen the hell;
KHALIFA: You would envision Hell.
৬। তোমরা অবশ্যই দোযখের আগুন দেখবে। ৬২৬০
৬২৬০। দেখুন সূরা [ ১৯ : ৭১ – ৭২ ] আয়াত ও টিকা ২৫১৮।
আয়াতঃ 102.007
অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে,
And again, you shall see it with certainty of sight!
ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ
Thumma latarawunnaha AAayna alyaqeeni
YUSUFALI: Again, ye shall see it with certainty of sight!
PICKTHAL: Aye, ye will behold it with sure vision.
SHAKIR: Then you shall most certainly see it with the eye of certainty;
KHALIFA: Then you would see it with the eye of certainty.
৭। আবার বলি, তোমরা উহা নিশ্চিত দৃষ্টিতে দেখতে পাবে।
৮। অতঃপর, সেদিন তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে সেই সব আনন্দ সর্ম্পকে [ যা তোমরা উপভোগ করতে ] ৬২৬১
৬২৬১। পৃথিবীর উপভোগের প্রতিটি আনন্দ যা সে ভোগ করেছে সেগুলি সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হবে। যে আনন্দকে সে প্রশয় দান করেছে, হতে পারে তা দম্ভ,গর্ব, মিথ্যা অহংকার যার কোনও মুল্য নাই বা বিকৃত আনন্দ ও পাপ অথবা প্রকৃতপক্ষে এমন বিষয় সে উপভোগ করেছে যা আল্লাহ্র বিধান সম্মত, প্রতিটি বিষয়েই তার দায়িত্ব থাকবে এবং এই দায়িত্ব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে। আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে সংযত জীবন যাপন করা।
আয়াতঃ 102.008
এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
Then, on that Day, you shall be asked about the delight (you indulged in, in this world)!
ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ
Thumma latus-alunna yawma-ithin AAani alnnaAAeemi
YUSUFALI: Then, shall ye be questioned that Day about the joy (ye indulged in!).
PICKTHAL: Then, on that day, ye will be asked concerning pleasure.
SHAKIR: Then on that day you shall most certainly be questioned about the boons.
KHALIFA: Then you will be questioned, on that day, about the blessings you had enjoyed.
৭। আবার বলি, তোমরা উহা নিশ্চিত দৃষ্টিতে দেখতে পাবে।
৮। অতঃপর, সেদিন তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে সেই সব আনন্দ সর্ম্পকে [ যা তোমরা উপভোগ করতে ] ৬২৬১
৬২৬১। পৃথিবীর উপভোগের প্রতিটি আনন্দ যা সে ভোগ করেছে সেগুলি সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হবে। যে আনন্দকে সে প্রশয় দান করেছে, হতে পারে তা দম্ভ,গর্ব, মিথ্যা অহংকার যার কোনও মুল্য নাই বা বিকৃত আনন্দ ও পাপ অথবা প্রকৃতপক্ষে এমন বিষয় সে উপভোগ করেছে যা আল্লাহ্র বিধান সম্মত, প্রতিটি বিষয়েই তার দায়িত্ব থাকবে এবং এই দায়িত্ব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে। আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে সংযত জীবন যাপন করা।