যে কোন বিষয় সম্বন্ধে পড়াশুনা করে অনুসন্ধান করে যুক্তি তর্কের সাহায্যে চিন্তা করে বিষয়টির সম্বন্ধে ধারণা জন্মে ও ধীরে ধীরে ধারণা স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়। মানুষের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে গণমাধ্যম যথাঃ রেডিও, টিভি, সংবাদপত্র অনেক সময়েই বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এই উদাহরণটি দেয়া হলো মানুষের মানসিক দক্ষতাসমূহ বুঝানোর জন্য। আল্লাহ্ মানুষকে জ্ঞান আহরণের এই বিশেষ দক্ষতাটি দান করেছেন, মানুষ যেনো আল্লাহ্র এবাদতকে স্পর্শ থেকে স্পর্শাতীত ; মূর্ত থেকে বিমূর্ত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য থেকে অতীন্দ্রিয় এবং পার্থিব থেকে স্বর্গীয় লোকে আত্মার উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। কারণ আধ্যাত্মিক জগত আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, এক বিমূর্ত জগত। যদি আমরা আমাদের মনকে অতীন্দ্রিয় আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করার জন্য নির্দ্দেশ দান করি এবং সেভাবেই চিন্তা ও কাজ করি, তাহলেই আমরা মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর এই জীবনকে অস্থায়ী বস্তুর প্রতি আসক্তিতে ব্যয় না করে উচ্চতর জীবনে উত্তরণের জন্য যা প্রকৃত প্রয়োজন, যা জীবনে স্থায়ী সুখ ও শান্তি বয়ে আনতে পারবে তাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। যদি পৃথিবীর জীবনে আমরা আমাদের চিন্তার জগতে ঈমানের বা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন না করি তবে অবশ্যই আমাদের তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে।
আয়াতঃ 102.004
অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
Again, Nay! You shall come to know!
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
Thumma kalla sawfa taAAlamoona
YUSUFALI: Again, ye soon shall know!
PICKTHAL: Nay, but ye will come to know!
SHAKIR: Nay! Nay! you shall soon know.
KHALIFA: Most assuredly, you will find out.
৩। কিন্তু না, শীঘ্রই তোমরা [ বাস্তবতা ] জানতে পারবে।
৪। আবার বলি, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে।
৫। না, তোমাদের যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকতো; তবে তোমরা [সাবধান ] হতে। ৬২৫৯
৬২৫৯। সূরা [ ৬৯ : ৫১ ] আয়াতের টিকাতে [ ৫৬৭৩ নং ] তিন ধরণের জ্ঞানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এই শ্রেণীর প্রথমটি হচ্ছে : নিজস্ব যুক্তি,জ্ঞান, বিবেক,বুদ্ধির দ্বারা বা অন্যের নিকট থেকে শুনে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়। একে বলে, “Ilm-ul-yaqin”। দ্বিতীয় ধরণ হচ্ছে চাক্ষুস দেখে যে জ্ঞান অর্জন করা যায় একে বলে “Ain-ul-yaqin”। ‘নিশ্চিত জ্ঞান ‘ দ্বারা তৃতীয় ধরণের জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে যাকে বলা হয়েছে “Haqq-ul-yaqin” বা নিশ্চিত জ্ঞান যা ভুল ভ্রান্তির উর্দ্ধে।
যে কোন বিষয় সম্বন্ধে পড়াশুনা করে অনুসন্ধান করে যুক্তি তর্কের সাহায্যে চিন্তা করে বিষয়টির সম্বন্ধে ধারণা জন্মে ও ধীরে ধীরে ধারণা স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়। মানুষের এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে গণমাধ্যম যথাঃ রেডিও, টিভি, সংবাদপত্র অনেক সময়েই বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এই উদাহরণটি দেয়া হলো মানুষের মানসিক দক্ষতাসমূহ বুঝানোর জন্য। আল্লাহ্ মানুষকে জ্ঞান আহরণের এই বিশেষ দক্ষতাটি দান করেছেন, মানুষ যেনো আল্লাহ্র এবাদতকে স্পর্শ থেকে স্পর্শাতীত ; মূর্ত থেকে বিমূর্ত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য থেকে অতীন্দ্রিয় এবং পার্থিব থেকে স্বর্গীয় লোকে আত্মার উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। কারণ আধ্যাত্মিক জগত আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, এক বিমূর্ত জগত। যদি আমরা আমাদের মনকে অতীন্দ্রিয় আধ্যাত্মিক জগতকে অনুভব করার জন্য নির্দ্দেশ দান করি এবং সেভাবেই চিন্তা ও কাজ করি, তাহলেই আমরা মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে সক্ষম হব। পৃথিবীর এই জীবনকে অস্থায়ী বস্তুর প্রতি আসক্তিতে ব্যয় না করে উচ্চতর জীবনে উত্তরণের জন্য যা প্রকৃত প্রয়োজন, যা জীবনে স্থায়ী সুখ ও শান্তি বয়ে আনতে পারবে তাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। যদি পৃথিবীর জীবনে আমরা আমাদের চিন্তার জগতে ঈমানের বা বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন না করি তবে অবশ্যই আমাদের তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে।
আয়াতঃ 101.004
যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত
It is a Day whereon mankind will be like moths scattered about,
يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ
Yawma yakoonu alnnasu kaalfarashi almabthoothi
YUSUFALI: (It is) a Day whereon men will be like moths scattered about,
PICKTHAL: A day wherein mankind will be as thickly-scattered moths
SHAKIR: The day on which men shall be as scattered moths,
KHALIFA: That is the day when the people come out like swarms of butterflies.
২। মহা প্রলয়ের [ দিন ] কি ?
৩। মহা প্রলয়ের [ দিন ] সম্বন্ধে তোমাকে কি ভাবে জানানো যাবে ?
৪। এটা সেদিন, যেদিন মানুষ পতঙ্গের ন্যায় বিক্ষিপ্ত হবে, ৬২৫২
৬২৫২। নূতন পৃথিবী সৃষ্টির প্রাক্কালে যখন পুরাতন পৃথিবী প্রচন্ড আলোড়নে লন্ড ভন্ড হয়ে পড়বে, তখন মানুষের অসহায় অবস্থাকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পতঙ্গ হচ্ছে ক্ষুদ্র,অসহায়, হালকা এক প্রাণী। প্রচন্ড বাতাসের মাঝে তাদের যেরূপ দিগভ্রান্ত, বিক্ষিপ্ত অবস্থা হয়, এই উপমার সাহায্যে কেয়ামত দিবসে মানুষের হতভম্ভ, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অসহায়, অবস্থাকে সে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ বিচার দিবসের আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়বে। পৃথিবীর স্মৃতি ক্ষীণ হয়ে আসবে, নূতন পৃথিবীর ধারণা তার মাঝে নূতন আশার জন্ম দেবে। কিন্তু নূতন পৃথিবী হবে ন্যায় ও সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত – যেখানে পৃথিবীতে কৃত কোন সৎ কাজকেই হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না। প্রতিটি অসৎ কাজকেই তার ফল বা মূল্য শোধ করতে হবে।