- সূরার নাম: সূরা আদিয়াত
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা আদিয়াত
আয়াতঃ 100.001
শপথ উর্ধ্বশ্বাসে চলমান অশ্বসমূহের,
By the (steeds) that run, with panting (breath),
وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا
WaalAAadiyati dabhan
YUSUFALI: By the (Steeds) that run, with panting (breath),
PICKTHAL: By the snorting courses,
SHAKIR: I swear by the runners breathing pantingly,
KHALIFA: By the fast gallopers.
==============
সূরা আদিয়াত বা যারা দৌড়ায় -১০০
১১ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভুমিকা ও সার সংক্ষেপ : এটি প্রাথমিক মক্কী সূরাগুলির অন্যতম। এই সূরাটির ভাবের গাম্ভীর্য ও ভাষার ছন্দের দিক থেকে ৭৯ নং সূরার সাথে তুলনীয়। এই সূরাতে অপ্রতিরোধ্য আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও শক্তির বিপরীতে তুলনা করা হয়েছে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, তুচ্ছতা, অসহায়ত্ব এবং অজ্ঞতাকে।
সূরা আদিয়াত বা যারা দৌড়ায় -১০০
১১ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। শপথ সেই সব অশ্বরাজির, যারা উর্দ্ধশ্বাসে ধাবমান ; ৬২৪১
৬২৪১। [ ৬-৮ ] আয়াতে যে বিবৃতি দান করা হয়েছে সেই বিবৃতিকে জোড়ালো করা হয়েছে রূপকধর্মী শপথের মাধ্যমে যার বর্ণনা আছে [ ১ -৫ ] আয়াতে। এই শপথের ব্যাখ্যা তিন ভাবে করা সম্ভবঃ
১) যুদ্ধ ক্ষেত্রে ধাবমান অশ্বরাজির দিকে দৃষ্টিপাত করতে বলা হয়েছে। এসব অশ্বরাজি তাদের প্রভুর আদেশে প্রভাতে যুদ্ধক্ষেত্রে অভিযান করে। এভাবেই তারা শত্রুকে দিনের আলোর সুযোগ দান করে। এ সব অশ্বরাজি শত্রুর অস্ত্র এবং ব্যুহ ভেদ করে বীরদর্পে তাদের মাঝে ঢুকে পড়ে তারা অকুতোভয়, তারা তাদের জীবনের ভয় করে না। তাদের নিকট প্রভুর আদেশ পালনই হচ্ছে সর্বোচ্চ কর্তব্যকর্ম। অকৃতজ্ঞ মানুষ কি কখনও আল্লাহ্র প্রতি ততটুকু বিশ্বস্ততা প্রদর্শন করে ? না; বরং সে আল্লাহ্র প্রতি অকৃতজ্ঞ। মানুষের কর্ম-ই প্রমাণ করে যে, সে আল্লাহ্ অপেক্ষা ধন সম্পদ অধিক পছন্দ করে। পার্থিব সম্পদের লাভ তা চিরস্থায়ী লাভ নয়।
২) যুদ্ধের অশ্বরাজীর ন্যায় সেই সব সাহসী মানুষ যারা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বস্ততার জন্য সংহত হয় এবং সংগ্রাম করে এদেরই বিপরীত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কাপুরুষ মানুষ যারা তুচ্ছ এবং অকৃতজ্ঞ।
৩) যুদ্ধ, সংঘর্ষ এবং বিজয় সব কিছু তুলনীয় আধ্যাত্মিক জগতের সাথে। আধ্যাত্মিক জগতের এই যুদ্ধ এবং বিজয় হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যারা সম্পূর্ণ রূপে পাপে নিমজ্জিত।
আয়াতঃ 100.002
অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিবিচ্ছুরক অশ্বসমূহের
Striking sparks of fire (by their hooves),
فَالْمُورِيَاتِ قَدْحًا
Faalmooriyati qadhan
YUSUFALI: And strike sparks of fire,
PICKTHAL: Striking sparks of fire
SHAKIR: Then those that produce fire striking,
KHALIFA: Igniting sparks.
২। যারা ক্ষুরাঘাতে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ বের করে, ৬২৪২
৬২৪২। ‘ক্ষুরাঘাতে ” অর্থাৎ দ্রুত ধাবমান অশ্বরাজির ক্ষুরের আঘাতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছোটে। যদি আমরা ধারণা করি যে, অশ্বরাজির সারিবদ্ধ দৌড় শুরু হয় রাত্রির শেষ প্রহরে যেনো প্রভাতে তারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে পৌঁছাতে সক্ষম হয়; তবে সে ক্ষেত্রে রাত্রির অন্ধকারে তাদের ক্ষুরাঘাতের অগ্নি স্ফুলিঙ্গ দৃশ্যমান হবে।
আয়াতঃ 100.003
অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের
And scouring to the raid at dawn
فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحًا
Faalmugheerati subhan
YUSUFALI: And push home the charge in the morning,
PICKTHAL: And scouring to the raid at dawn,
SHAKIR: Then those that make raids at morn,
KHALIFA: Invading (the enemy) by morning.
৩। যারা অভিযান করে প্রভাত কালে, ৬২৪৩
৬২৪৩। বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, আক্রমণটি হবে প্রভাতে। কারণ কাপুরুষের ন্যায় রাতের আঁধারে শত্রুকে আক্রমণ করা নয়। বীরত্ব ও পৌরুষ হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের লক্ষণ। দিনের আলো সত্বেও শত্রুরা পরাজিত হবে, তা শুধুমাত্র আল্লাহ্র সৈনিকদের তেজ,শক্তি,ও নির্ভীক মনোবলের জন্যই নয়, কারণ শত্রুরা হবে অলস এবং যুদ্ধের জন্য অপ্রস্তুত।
আয়াতঃ 100.004
ও যারা সে সময়ে ধুলি উৎক্ষিপ্ত করে
And raise the dust in clouds the while,
فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا
Faatharna bihi naqAAan
YUSUFALI: And raise the dust in clouds the while,
PICKTHAL: Then, therewith, with their trail of dust,
SHAKIR: Then thereby raise dust,
KHALIFA: Striking terror therein.
৪। ফলে ধূলির ঝড় উত্থিত করে ৬২৪৪,
৬২৪৪। ‘ধূলির ঝড় উত্থিত করে ‘ বাক্যটি রূপকধর্মী। দ্রুতগামী অশ্বের ক্ষুরের ধূলায় ঝড়ের সৃষ্টি হয় যাতে দৃষ্টি ব্যহত হয়। ঠিক সেরূপ হচ্ছে তাদের অবস্থা যারা আল্লাহ্র সত্যকে প্রতিহত করে, তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে,তাদের স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধি লোপ পায়। ধূলির ন্যায় অজ্ঞতা ও হতবুদ্ধি অবস্থা তাদের স্বাভাবিক বুদ্ধিকে ঢেকে দেয়।
আয়াতঃ 100.005
অতঃপর যারা শক্রদলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে-
Penetrating forthwith as one into the midst (of the foe);
فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعًا
Fawasatna bihi jamAAan
YUSUFALI: And penetrate forthwith into the midst (of the foe) en masse;-
PICKTHAL: Cleaving, as one, the centre (of the foe),
SHAKIR: Then rush thereby upon an assembly:
KHALIFA: Penetrating to the heart of their territory.
৫। এবং অগ্রবর্তী হয়ে শত্রুব্যুহ ভেদ করে ৬২৪৫,
৬২৪৫। যে গতিতে অশ্ব শত্রু বুহ্যের মধ্যে ঢুকে পড়ে তা এখানে রূপক বর্ণনাহিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। মন্দ ও পাপের সম্মিলিত শক্তি যতই চেষ্টা করুক – তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই তাদের দ্রুত ধ্বংসের কারণ হবে। আমাদের চারিপার্শ্বের প্রতিদিনের জীবনে এরূপ বহু উদাহরণ প্রতিদিন ঘটে থাকে। অপরাধীরা অপরাধের চরম শিখরে পৌঁছানোর পরে তাদের নিজস্ব কর্মেই তারা নিজেরা ধ্বংস হয়।
আয়াতঃ 100.006
নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ।
Verily! Man (disbeliever) is ungrateful to his Lord;
إِنَّ الْإِنسَانَ لِرَبِّهِ لَكَنُودٌ
Inna al-insana lirabbihi lakanoodun
YUSUFALI: Truly man is, to his Lord, ungrateful;
PICKTHAL: Lo! man is an ingrate unto his Lord
SHAKIR: Most surely man is ungrateful to his Lord.
KHALIFA: The human being is unappreciative of his Lord.
৬। সত্যিই মানুষ তার প্রভুর নিকট অকৃতজ্ঞ ; ৬২৪৬
৬২৪৬। যে সব ব্যক্তি আল্লাহ্র নির্দ্দেশিত পথে চলেন এবং অসত্য, অন্যায় ও পাপের বিরুদ্ধে বিরামহীন ভাবে সংগ্রাম করেন তাদের বিপরীত বৈষম্য সে সব মানুষ যারা তাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র নিকট অকৃতজ্ঞ। যে আল্লাহ্ তাঁকে সৃষ্টি করেছেন, তাকে প্রতিপালন করেন এবং তার কল্যাণের জন্য অনুগ্রহ দান করেন – তাঁকেই সে ভুলে যায়। তাদের অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায় তাদের চিন্তায়, কথায় এবং কাজে। তারা হয় আল্লাহকে সম্পূর্ণ ভুলে থাকে, নয়তো আল্লাহ্র অনুগ্রহের অপব্যবহার দ্বারা অনুগ্রহকে অস্বীকার করে অথবা আল্লাহ্র সৃষ্টির প্রতি অত্যাচার ও অবিচার দ্বারা তাদের আল্লাহ্র প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। এসব লোক যুদ্ধক্ষেত্রের অশ্বের থেকেও অধম, কারণ অশ্ব এই জীবন বিপন্ন করে প্রভুর আদেশ পালন করে থাকে।
আয়াতঃ 100.007
এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত
And to that fact he bears witness (by his deeds);
وَإِنَّهُ عَلَى ذَلِكَ لَشَهِيدٌ
Wa-innahu AAala thalika lashaheedun
YUSUFALI: And to that (fact) he bears witness (by his deeds);
PICKTHAL: And lo! he is a witness unto that;
SHAKIR: And most surely he is a witness of that.
KHALIFA: He bears witness to this fact.
৭। এ বিষয়ে সে [তার কাজের ] সাক্ষ্য বহন করে ; ৬২৪৭
৬২৪৭। মানুষ তার কার্যবলীর দ্বারা প্রমাণ করে যে সে আল্লাহ্র প্রতি কৃত অঙ্গীকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
আয়াতঃ 100.008
এবং সে নিশ্চিতই ধন-সম্পদের ভালবাসায় মত্ত।
And verily, he is violent in the love of wealth.
وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ
Wa-innahu lihubbi alkhayri lashadeedun
YUSUFALI: And violent is he in his love of wealth.
PICKTHAL: And lo! in the love of wealth he is violent.
SHAKIR: And most surely he is tenacious in the love of wealth.
KHALIFA: He loves material things excessively.
৮। এবং তার ঐশ্বর্যের আকাঙ্খা অত্যন্ত প্রবল ৬২৪৮
৬২৪৮। মানুষের ধন-সম্পত্তির প্রতি আসক্তি প্রবল। হায়রে ! নির্বোধ মানুষ, অস্থায়ী পার্থিব সম্পদের জন্য সে আল্লাহ্র শুভাশীষের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। ধন -সম্পদের আসক্তি মানুষকে পার্থিব দুনিয়ার উর্দ্ধে চিন্তা করার সুযোগ দান করে না। আধ্যাত্মিক জগতের দ্বার তার জন্য অবরুদ্ধ থেকে যায়। সে হয় অকৃতজ্ঞ
আয়াতঃ 100.009
সে কি জানে না, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত হবে
Knows he not that when the contents of the graves are brought out and poured forth (all mankind is resurrected).
أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِي الْقُبُورِ
Afala yaAAlamu itha buAAthira ma fee alquboori
YUSUFALI: Does he not know,- when that which is in the graves is scattered abroad
PICKTHAL: Knoweth he not that, when the contents of the graves are poured forth
SHAKIR: Does he not then know when what is in the graves is raised,
KHALIFA: Does he not realize that the day will come when the graves are opened?
৯। সে কি তবে জানে না, যা কিছু কবরে আছে তখন তা উঠানো হবে ৬২৪৯
১০। এবং মানুষের অন্তরে যা [ লুক্কায়িত ] আছে তা প্রকাশিত হবে, –
৬২৪৯। “কবরে যাহা আছে ” – কবর হচ্ছে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার প্রতীক। মৃতদেহ, গোপন ষড়যন্ত্র, মন্দ চিন্তা এবং কল্পনা, যা দীর্ঘকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকে; শেষের সে দিনে কোন কিছুই আর লুকিয়ে রাখা যাবে না। সব কিছুই বিচারের জন্য আল্লাহ্র সম্মুখীন করা হবে। মানুষ বহু কিছুই ভুলে যায় – সেদিন সব ভুলে যাওয়া কথা ও কাজ সবই সুস্পষ্ট রূপে ধরা পড়বে।
আয়াতঃ 100.010
বং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে?
And that which is in the breasts (of men) shall be made known.
وَحُصِّلَ مَا فِي الصُّدُورِ
Wahussila ma fee alssudoori
YUSUFALI: And that which is (locked up) in (human) breasts is made manifest-
PICKTHAL: And the secrets of the breasts are made known,
SHAKIR: And what is in the breasts is made apparent?
KHALIFA: And all secrets are brought out.
৯। সে কি তবে জানে না, যা কিছু কবরে আছে তখন তা উঠানো হবে ৬২৪৯
১০। এবং মানুষের অন্তরে যা [ লুক্কায়িত ] আছে তা প্রকাশিত হবে, –
৬২৪৯। “কবরে যাহা আছে ” – কবর হচ্ছে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার প্রতীক। মৃতদেহ, গোপন ষড়যন্ত্র, মন্দ চিন্তা এবং কল্পনা, যা দীর্ঘকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকে; শেষের সে দিনে কোন কিছুই আর লুকিয়ে রাখা যাবে না। সব কিছুই বিচারের জন্য আল্লাহ্র সম্মুখীন করা হবে। মানুষ বহু কিছুই ভুলে যায় – সেদিন সব ভুলে যাওয়া কথা ও কাজ সবই সুস্পষ্ট রূপে ধরা পড়বে।
আয়াতঃ 100.011
সেদিন তাদের কি হবে, সে সম্পর্কে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত।
Verily, that Day (i.e. the Day of Resurrection) their Lord will be Well-Acquainted with them (as to their deeds), (and will reward them for their deeds).
إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ
Inna rabbahum bihim yawma-ithin lakhabeerun
YUSUFALI: That their Lord had been Well-acquainted with them, (even to) that Day?
PICKTHAL: On that day will their Lord be perfectly informed concerning them.
SHAKIR: Most surely their Lord that day shall be fully aware of them.
KHALIFA: They will find out, on that day, that their Lord has been fully Cognizant of them.
১১। সেদিন উহাদের কি ঘটবে, তাদের প্রভু সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত, ৬২৫০
৬২৫০। আল্লাহ্র জ্ঞান সব কিছুকেই পরিবেষ্টিত করে আছে। মানুষের অন্তরের সকল গোপনীয়তা, ভুলে যাওয়া সকল কথা ও কাজ সব কিছু আল্লাহ্র নিকট আমলনামায় রক্ষিত আছে। এ সব কিছুই বিচার দিবসে প্রকাশ করা হবে।
আয়াতঃ 101.005
এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত।
And the mountains will be like carded wool,
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ
Watakoonu aljibalu kaalAAihni almanfooshi
YUSUFALI: And the mountains will be like carded wool.
PICKTHAL: And the mountains will become as carded wool.
SHAKIR: And the mountains shall be as loosened wool.
KHALIFA: The mountains will be like fluffy wool.
৫। এবং পর্বত সমূহ পরিণত হবে ধূণিত পশমের ন্যায় ৬২৫৩
৬২৫৩। দেখুন [ ৭০ : ৯ ] আয়াতের টিকা ৫৬৮২। পর্বত হচ্ছে কাঠিন্য ও স্থায়ীত্বের প্রতীক। পৃথিবীর জীবনে পর্বতকে মনে হয় তা ধ্বংস করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। কিন্তু সেই মহা প্রলয়ের দিনে পর্বত শুধু ধ্বংসই হবে না, তা হবে “ধূণিত পশমের মত”। এটা একটি রূপক বর্ণনা যার সাহায্যে তুলনা করা হয়েছে পৃথিবীতে যাকে আমরা চিরস্থায়ী ও দৃঢ় ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করি, পরলোকের জীবনে, নুতন পৃথিবীতে তা বাতাসে মিলিয়ে যাবে, যার কোন অস্তিত্বই থাকবে না।