- সূরার নাম: সূরা কারেয়া
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা কারেয়া
আয়াতঃ 101.001
করাঘাতকারী,
Al-Qâri’ah (the striking Hour i.e. the Day of Resurrection),
الْقَارِعَةُ
AlqariAAatu
YUSUFALI: The (Day) of Noise and Clamour:
PICKTHAL: The Calamity!
SHAKIR: The terrible calamity!
KHALIFA: The Shocker.
================
সূরা কারি’আ বা মহা প্রলয় -১০১
১১ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এটি একটি মক্কী সূরা যা শেষ বিচার দিনকে মহাপ্রলয়ের দিন রূপে বর্ণনা করেছে। সেদিন মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও হতবিহ্বল হয়ে পড়বে। পৃথিবী লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। কিন্তু পৃথিবীতে কৃত মানুষের প্রতিটি কর্ম রয়ে যাবে এবং তা ন্যায় ও অন্যায়ের বাটখাড়াতে ওজন করে তার প্রকৃত মূল্যমানের প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সূরা কারি’আ বা মহা প্রলয় -১০১
১১ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। মহা প্রলয়ের [ দিন ] ৬২৫১।
৬২৫১। প্রচন্ড শব্দের দিন বা মহা প্রলয় বা শেষ বিচারের দিন, যেদিন এই সুশৃঙ্খল পৃথিবীর সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে পড়বে এবং পৃথিবী প্রচন্ড বেগে প্রকম্পিত হবে। দেখুন [ ৯৯ : ১ ] আয়াতের টিকা ৬২৩৫ এবং [ ৮৮ : ১ ] আয়াতের টিকা ৬০৯৬। বর্তমানে আমাদের চোখে যে দৃশ্যমান পৃথিবী তার মানচিত্র মুছে যাবে। সে অভিজ্ঞতা হবে এক কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা। কিন্তু সেটাই হবে নূতন পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা লগ্ন
আয়াতঃ 101.002
করাঘাতকারী কি?
What is the striking (Hour)?
مَا الْقَارِعَةُ
Ma alqariAAatu
YUSUFALI: What is the (Day) of Noise and Clamour?
PICKTHAL: What is the Calamity?
SHAKIR: What is the terrible calamity!
KHALIFA: What a shocker!
২। মহা প্রলয়ের [ দিন ] কি ?
৩। মহা প্রলয়ের [ দিন ] সম্বন্ধে তোমাকে কি ভাবে জানানো যাবে ?
৪। এটা সেদিন, যেদিন মানুষ পতঙ্গের ন্যায় বিক্ষিপ্ত হবে, ৬২৫২
৬২৫২। নূতন পৃথিবী সৃষ্টির প্রাক্কালে যখন পুরাতন পৃথিবী প্রচন্ড আলোড়নে লন্ড ভন্ড হয়ে পড়বে, তখন মানুষের অসহায় অবস্থাকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পতঙ্গ হচ্ছে ক্ষুদ্র,অসহায়, হালকা এক প্রাণী। প্রচন্ড বাতাসের মাঝে তাদের যেরূপ দিগভ্রান্ত, বিক্ষিপ্ত অবস্থা হয়, এই উপমার সাহায্যে কেয়ামত দিবসে মানুষের হতভম্ভ, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অসহায়, অবস্থাকে সে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ বিচার দিবসের আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়বে। পৃথিবীর স্মৃতি ক্ষীণ হয়ে আসবে, নূতন পৃথিবীর ধারণা তার মাঝে নূতন আশার জন্ম দেবে। কিন্তু নূতন পৃথিবী হবে ন্যায় ও সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত – যেখানে পৃথিবীতে কৃত কোন সৎ কাজকেই হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না। প্রতিটি অসৎ কাজকেই তার ফল বা মূল্য শোধ করতে হবে।
আয়াতঃ 101.003
করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?
And what will make you know what the striking (Hour) is?
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ
Wama adraka ma alqariAAatu
YUSUFALI: And what will explain to thee what the (Day) of Noise and Clamour is?
PICKTHAL: Ah, what will convey unto thee what the Calamity is!
SHAKIR: And what will make you comprehend what the terrible calamity is?
KHALIFA:Do you have any idea what the Shocker is?
২। মহা প্রলয়ের [ দিন ] কি ?
৩। মহা প্রলয়ের [ দিন ] সম্বন্ধে তোমাকে কি ভাবে জানানো যাবে ?
৪। এটা সেদিন, যেদিন মানুষ পতঙ্গের ন্যায় বিক্ষিপ্ত হবে, ৬২৫২
৬২৫২। নূতন পৃথিবী সৃষ্টির প্রাক্কালে যখন পুরাতন পৃথিবী প্রচন্ড আলোড়নে লন্ড ভন্ড হয়ে পড়বে, তখন মানুষের অসহায় অবস্থাকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পতঙ্গ হচ্ছে ক্ষুদ্র,অসহায়, হালকা এক প্রাণী। প্রচন্ড বাতাসের মাঝে তাদের যেরূপ দিগভ্রান্ত, বিক্ষিপ্ত অবস্থা হয়, এই উপমার সাহায্যে কেয়ামত দিবসে মানুষের হতভম্ভ, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অসহায়, অবস্থাকে সে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষ বিচার দিবসের আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়বে। পৃথিবীর স্মৃতি ক্ষীণ হয়ে আসবে, নূতন পৃথিবীর ধারণা তার মাঝে নূতন আশার জন্ম দেবে। কিন্তু নূতন পৃথিবী হবে ন্যায় ও সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত – যেখানে পৃথিবীতে কৃত কোন সৎ কাজকেই হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না। প্রতিটি অসৎ কাজকেই তার ফল বা মূল্য শোধ করতে হবে।
আয়াতঃ 101.006
অতএব যার পাল্লা ভারী হবে,
Then as for him whose balance (of good deeds) will be heavy,
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ
Faamma man thaqulat mawazeenuhu
YUSUFALI: Then, he whose balance (of good deeds) will be (found) heavy,
PICKTHAL: Then, as for him whose scales are heavy (with good works),
SHAKIR: Then as for him whose measure of good deeds is heavy,
KHALIFA: As for him whose weights are heavy.
৬। তখন, [ ভালো কাজের ] পাল্লা যার ভারী হবে ৬২৫৪,
৬২৫৪। সৎ কাজ বা ভালো কাজকে সেদিন ওজন করা হবে ন্যায় ও অন্যায়ের বাটখাড়াতে এবং প্রকৃত মূল্যমান ধার্যকরা হবে। এই মূল্যায়নের সময়ে শুধুমাত্র সৎ কাজের পরিণতি ও ফলাফলই বিচার করা হবে না, বিচার করা হবে প্রতিটি কাজের উদ্দেশ্য বা নিয়ত। প্রকৃতপক্ষে কি উদ্দেশ্যে কাজটি করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রলোভন, প্ররোচণা, উত্তেজনা, কাজের পরিবেশ, সমসাময়িক সমাজের অবস্থান, পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সামাজিক সংশোধন অর্থাৎ এক কথায় খুঁটিনাটি প্রতিটি ব্যাপারেরই ভিত্তিকে প্রত্যেকের কাজকে মূল্যায়নের জন্য বিচার বিবেচনা করা হবে। ঠিক একই ভাবে মন্দ কাজকেও বিচার ও মূল্যায়ন করা হবে। এই মূল্যায়নে ভালো কাজের পাল্লা ভারী হলে তা মানুষকে সন্তোষজনক ও আনন্দদায়ক আলয়ে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। অবশ্য এই বাসস্থান হবে নূতন পৃথিবীতে। অবশ্য যে বাটখাড়ার বা পাল্লার উল্লেখ এখানে করা হলো তা হচ্ছে রূপক অর্থে।