১৪। সেই সাফল্য লাভ করবে, ৬০৯১ যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে ৬০৯২
১৫। এবং আপন প্রভুর নাম স্মরণ করবে, এবং নামায পড়বে।
৬০৯১। “সাফল্য” – আধ্যাত্মিক জীবনে সর্বোচ্চ সমৃদ্ধিকে বুঝানো হয়েছে আত্মিক প্রশান্তি বা আধ্যাত্মিক মুক্তি। এই অবস্থা হচ্ছে ‘মহা -অগ্নিতে ” প্রবেশের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা।
৬০৯২। আধ্যাত্মিক জীবনে সফলতা লাভের সোপান হচ্ছে আত্মার পবিত্রতা অর্জন করা। এই পবিত্রতা হতে হবে ১) শারীরিক অর্থাৎ নিজস্ব দেহ এবং পারিপার্শ্বিক। ২) মানসিক অর্থাৎ চিন্তা ও কথায় পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন রীপু বা প্রবৃত্তির দমন। ৩) আত্মিক ভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে যার জন্য প্রয়োজন হবে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সৎ কাজের মাধ্যমে বা পবিত্র জীবন যাপন প্রণালীর মাধ্যমে তা অর্জন করা। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হওয়া।
আয়াতঃ 087.016
বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও,
Nay, you prefer the life of this world;
بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
Bal tu/thiroona alhayata alddunya
YUSUFALI: Day (behold), ye prefer the life of this world;
PICKTHAL: But ye prefer the life of the world
SHAKIR: Nay! you prefer the life of this world,
KHALIFA: Indeed, you are preoccupied with this first life.
১৬। না, [ স্মরণ কর ] তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও ;
১৭। অথচ পরকাল উৎকৃষ্টতর এবং স্থায়ী।
১৮। এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে এ কথা আছে, ৬০৯৩
৬০৯৩। পূত পবিত্র জীবন যাপনের উপদেশ কোন নূতন তত্ব নয়। প্রতিটি কিতাবধারী জাতির জন্য এই উপদেশ বিদ্যমান। পার্থিব জীবনের দম্ভ ও অহংকারের অসারতা এবং এই জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের ঘোষণা পূর্বের ধর্মগ্রন্থ সমূহেও দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষ ভুলে যায় এবং বারে বারে তা নূতন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।
আয়াতঃ 087.017
অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
Although the Hereafter is better and more lasting.
وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
Waal-akhiratu khayrun waabqa
YUSUFALI: But the Hereafter is better and more enduring.
PICKTHAL: Although the Hereafter is better and more lasting.
SHAKIR: While the hereafter is better and more lasting.
KHALIFA: Even though the Hereafter is far better and everlasting.
১৬। না, [ স্মরণ কর ] তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও ;
১৭। অথচ পরকাল উৎকৃষ্টতর এবং স্থায়ী।
১৮। এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে এ কথা আছে, ৬০৯৩
৬০৯৩। পূত পবিত্র জীবন যাপনের উপদেশ কোন নূতন তত্ব নয়। প্রতিটি কিতাবধারী জাতির জন্য এই উপদেশ বিদ্যমান। পার্থিব জীবনের দম্ভ ও অহংকারের অসারতা এবং এই জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের ঘোষণা পূর্বের ধর্মগ্রন্থ সমূহেও দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষ ভুলে যায় এবং বারে বারে তা নূতন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।
আয়াতঃ 087.018
এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে;
Verily! This is in the former Scriptures,
إِنَّ هَذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَى
Inna hatha lafee alssuhufi al-oola
YUSUFALI: And this is in the Books of the earliest (Revelation),-
PICKTHAL: Lo! This is in the former scrolls.
SHAKIR: Most surely this is in the earlier scriptures,
KHALIFA: This is recorded in the earlier teachings.
১৬। না, [ স্মরণ কর ] তোমরা পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দাও ;
১৭। অথচ পরকাল উৎকৃষ্টতর এবং স্থায়ী।
১৮। এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে এ কথা আছে, ৬০৯৩
৬০৯৩। পূত পবিত্র জীবন যাপনের উপদেশ কোন নূতন তত্ব নয়। প্রতিটি কিতাবধারী জাতির জন্য এই উপদেশ বিদ্যমান। পার্থিব জীবনের দম্ভ ও অহংকারের অসারতা এবং এই জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের ঘোষণা পূর্বের ধর্মগ্রন্থ সমূহেও দেয়া হয়েছে। তবুও মানুষ ভুলে যায় এবং বারে বারে তা নূতন করে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।
আয়াতঃ 087.019
ইব্রাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে।
The Scriptures of Ibrâhim (Abraham) and Mûsa (Moses).
صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى
Suhufi ibraheema wamoosa
YUSUFALI: The Books of Abraham and Moses.
PICKTHAL: The Books of Abraham and Moses.
SHAKIR: The scriptures of Ibrahim and Musa.
KHALIFA: The teachings of Abraham and Moses.
১৯। ইব্রাহীম ৬০৯৪ ও মুসার গ্রন্থে ৬০৯৫।
৬০৯৪। এই আয়াতে হযরত ইব্রাহীমের গ্রন্থের উল্লেখ আছে। তিনি কিতাব প্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পৃথিবীর বুকে তা হারিয়ে যায়। ওল্ড টেস্টামেন্টে বলা হয়েছে যে হযরত ইব্রাহীম রাসুল ছিলেন [ Gen xx 7 ]| Mr. G. H . Box কর্তৃক গ্রীক ভাষা থেকে অনূদিত গ্রন্থ কে Testament of Abraham [ Published by the Society for the promotion of Christian Knowledge , London 1927 ] ইব্রাহীমের গ্রন্থ বলে মনে করা হয়। গ্রীক ভাষার এই গ্রন্থটি হীব্রু ভাষা থেকে অনূদিত। গ্রীক ভাষার এই গ্রন্থটি সম্ভবতঃ ২য় খৃষ্টাব্দে লেখা হয় মিশরে। কিন্তু বর্তমানে গ্রীক ভাষাতে লেখা যে গ্রন্থটি পাওয়া যায় তা ৯ম বা ১০ম খৃষ্টাব্দে লেখা। খৃষ্টানদের মাঝে এই গ্রন্থটির জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। সম্ভবতঃ Jewish Midrash কেও ইব্রাহীমের গ্রন্থ বলে উল্লেখ করা হয়।