- সূরার নাম: সূরা বুরূজ
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা বুরূজ
আয়াতঃ 085.001
শপথ গ্রহ-নক্ষত্র শোভিত আকাশের,
By the heaven, holding the big stars .
وَالسَّمَاء ذَاتِ الْبُرُوجِ
Waalssama-i thati alburooji
YUSUFALI: By the sky, (displaying) the Zodiacal Signs;
PICKTHAL: By the heaven, holding mansions of the stars,
SHAKIR: I swear by the mansions of the stars,
KHALIFA: The sky and its galaxies.
=============
সূরা বুরূজ বা রাশিচক্র – ৮৫
২২ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : প্রাথমিক মক্কী সূরাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এই সূরাটি ৯১ নং সূরাটির সমসাময়িক।
পূণ্যাত্মাদের উপরে নির্যাতনের বিষয় এই সূরাতে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ্ শত্রুদের মোকাবিলা করেছেন এখনও তিনি তা করবেন।
সূরা বুরূজ বা রাশিচক্র – ৮৫
২২ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। শপথ, সেই আকাশের ৬০৫১, যা [ প্রদর্শন করে ] রাশিচক্র [ তারকারাশি ] ৬০৫২ ;
৬০৫১। ‘বুরূজ’ অর্থাৎ গ্রহ-নক্ষত্র। দেখুন [ ১৫ : ১৬ ] আয়াতের টিকা ১৯৫০। তারকাখচিত আকাশ এবং নক্ষত্র মন্ডলী রাতের নেত্র বা চক্ষু স্বরূপ। সুতারাং কেউ যেনো মনে না করে যে, অন্ধকার রাতের অপরাধের জন্য কেউ সাক্ষী থাকবে না। লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র মন্ডলীকে সাক্ষী করা হয়েছে শপথের উচ্চারণের দ্বারা।
৬০৫২। আয়াত [ ১ – ৩ ] তিনটি নিদর্শনের প্রতি আবেদন করা হয়েছে এবং এরই প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র বিবৃতি দান করা হয়েছে [৪ – ৮] আয়াতে। অন্যায় অত্যাচারীর বিরুদ্ধে নিন্দা ঘোষণা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি মোমেন ব্যক্তিদের ঈমানের জন্য তাদের পুড়িয়ে মেরেছিলো। তিনটি নিদর্শন নিম্নরূপ : ১) রাতের নক্ষত্র খচিত আকাশ যেখানে ছায়াপথ ও রাশিচক্র দৃশ্যমান। ২) বিচার দিবস, যেদিন সকল পাপীদের শাস্তি প্রদান করা হবে। এবং ৩) কিছু লোক যাদের সাক্ষীস্বরূপ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 085.002
এবং প্রতিশ্রুত দিবসের,
And by the Promised Day (i.e. the Day of Resurrection);
وَالْيَوْمِ الْمَوْعُودِ
Waalyawmi almawAAoodi
YUSUFALI: By the promised Day (of Judgment);
PICKTHAL: And by the Promised Day.
SHAKIR: And the promised day,
KHALIFA: The promised day.
২। শপথ, প্রতিশ্রুত [ শেষ বিচার ] দিবসের ; ৬০৫৩
৬০৫৩। ‘প্রতিশ্রুত দিবস ‘ -অর্থাৎ বিচার দিবস; যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে পৃথিবীতে তাদের কৃত প্রতিটি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কাজের হিসাব সৃষ্টিকর্তার নিকট দাখিল করতে হবে। এটা কোনও ধারণা নয় এ হচ্ছে অকাট্য সত্য যা মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্যের সাথে সম্পৃক্ত। এই সত্যকে প্রত্যাদেশের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে, এবং এই বিচার দিবস অবশ্যই সংঘটিত হবে। সেদিন হবে পাপীদের করুণ পরিণতি সেদিন হবে তাদের জন্য প্রকৃত দুঃখের দিন।
আয়াতঃ 085.003
এবং সেই দিবসের, যে উপস্থিত হয় ও যাতে উপস্থিত হয়
And by the witnessing day (i.e. Friday), and by the witnessed day [i.e. the day of ’Arafât (Hajj) the ninth of Dhul-Hîjjah];
وَشَاهِدٍ وَمَشْهُودٍ
Washahidin wamashhoodin
YUSUFALI: By one that witnesses, and the subject of the witness;-
PICKTHAL: And by the witness and that whereunto he beareth testimony,
SHAKIR: And the bearer of witness and those against whom the witness is borne.
KHALIFA: The witness and the witnessed.
৩। শপথ, যে সাক্ষ্য দেয় এবং যার সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়া হয়; ৬০৫৪
৬০৫৪। এই আয়াতের আক্ষরিক অর্থ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। বিভিন্ন তফসীরকারগণ বিভিন্ন ভাবে এই আয়াতকে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। সংক্ষিপ্ত এই বাক্যটি রূপকধর্মী যা নিম্নোক্ত ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে বাক্যটি শেষ বিচারের সাথে সম্পৃক্ত। দ্রষ্টা বা সাক্ষী বিভিন্ন প্রকার হতে পারে যথা : ১) রসুলগণ [ ৩ : ৮১ ] ; আল্লাহ্ স্বয়ং [ ৩ : ৮১ এবং ১০ : ৬১ ] ; হিসাব লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাগণ [ ৫০: ২১ ] ; পাপীরা কুকর্মের জন্য তাদের যে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার করেছিলো সে সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সমূহ [ ২৪ : ২৪ ] ; প্রত্যেকের ‘আমলনামা’ [ ১৭ : ১৪ ] ; অথবা পাপী ব্যক্তি নিজে [ ১৭ : ১৪ ]। ” যার সন্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়া হয়।” বা যাকে উপস্থিত করা হয় যথা : পাপ কার্য, অথবা পাপী, যার বিরুদ্ধে প্রামাণিক সাক্ষ্য উপস্থিত করা হয়। এগুলির শপথ গ্রহণের মাধ্যমে এই সাবধান বাণী প্রেরণ করা হয়েছে যে, পাপীরা কোনভাবেই বিচার দিবসে নিস্কৃতি লাভ করতে পারবে না তাদের পাপ কাজের পরিণাম থেকে। একমাত্র অনুতাপ ও আত্মসংশোধনের মাধ্যমেই সে পরিত্রাণ পেতে পারে ও আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভ করতে সক্ষম হবে।
আয়াতঃ 085.004
অভিশপ্ত হয়েছে গর্ত ওয়ালারা অর্থাৎ,
Cursed were the people of the ditch (the story of the Boy and the King).
قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ
Qutila as-habu alukhdoodi
YUSUFALI: Woe to the makers of the pit (of fire),
PICKTHAL: (Self-)destroyed were the owners of the ditch
SHAKIR: Cursed be the makers of the pit,
KHALIFA: Woe to the people of the canyon.
৪। দুভার্গ্য কুন্ডের অধিপতির, ৬০৫৫
৫। জ্বালানিপূর্ণ যে কুন্ডে ছিলো [ অফুরন্ত ] অগ্নি
৬০৫৫। কে এই ব্যক্তি ছিলো যে মুমিনদের কেবল ঈমানের কারণে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করেছিলো ? এই ব্যক্তির পরিচয়ের জন্য আমাদের খুব বেশী সন্ধান করার প্রয়োজন নাই, কারণ মধ্য যুগে এরূপ বহু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস বলে যে, মধ্যযুগে ইউরোপে বহু লোককে পুড়িয়ে মারা হয় কারণ তাদের প্রচলিত ধর্মীয় মতের সাথে ঐ সব হতভাগ্যের ধর্মীয় মতবাদের মিল ছিলো না। কোরাণে বর্ণিত আছে যে, প্রাচীন আরবে নমরূদ বাদশা হযরত ইব্রাহীমকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। কারণ প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাসের তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু আল্লাহ্ আগুনকে আদেশ দিয়েছিলেন,” হে অগ্নি,তুমি ইব্রাহীমের উপরে শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।” [ ২১ : ৬৯ ] আয়াত ও টিকা ২৭২৫। আর একটি উদাহরণ হচ্ছে ‘ইয়েমেনের শেষ হিমাইরাইট [ Himayarite] রাজা, যিনি ধর্মীয় বিশ্বাসে ছিলো ইহুদী। এই রাজা নাজরানার খৃষ্টানদের পুড়িয়ে মারার নির্দ্দেশ দান করেন। সম্ভবতঃ তার সময়কাল ছিলো ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষ ভাগ অর্থাৎ ৫৭০ খৃষ্টাব্দে রাসুল হযরত মুহম্মদ মুস্তফার (সা) আবির্ভাবের পূর্ববর্তী সময়ে। এই আয়াতের আবেদন কোনও নির্দ্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য নয়, এর আবেদন সার্বজনীন। মোশরেক আরবদের নও মুসলিমদের উপরে যে অত্যাচার তাও এর সাথে তুলনীয়। যেমন তারা নওমুসলিমদের নগ্ন করে উম্মুক্ত প্রান্তরে গ্রীষ্মের দ্বিপ্রহরেরর মরুসূর্যের প্রচন্ড তাপের মাঝে বেঁধে রেখে দিত। এই অত্যাচার অগ্নিকুন্ডে পুড়িয়ে মারার থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক নয়।
আয়াতঃ 085.005
অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা;
Fire supplied (abundantly) with fuel,
النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ
Alnnari thati alwaqoodi
YUSUFALI: Fire supplied (abundantly) with fuel:
PICKTHAL: Of the fuel-fed fire,
SHAKIR: Of the fire (kept burning) with fuel,
KHALIFA: They ignited a blazing fire.
৪। দুভার্গ্য কুন্ডের অধিপতির, ৬০৫৫
৫। জ্বালানিপূর্ণ যে কুন্ডে ছিলো [ অফুরন্ত ] অগ্নি
৬০৫৫। কে এই ব্যক্তি ছিলো যে মুমিনদের কেবল ঈমানের কারণে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করেছিলো ? এই ব্যক্তির পরিচয়ের জন্য আমাদের খুব বেশী সন্ধান করার প্রয়োজন নাই, কারণ মধ্য যুগে এরূপ বহু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস বলে যে, মধ্যযুগে ইউরোপে বহু লোককে পুড়িয়ে মারা হয় কারণ তাদের প্রচলিত ধর্মীয় মতের সাথে ঐ সব হতভাগ্যের ধর্মীয় মতবাদের মিল ছিলো না। কোরাণে বর্ণিত আছে যে, প্রাচীন আরবে নমরূদ বাদশা হযরত ইব্রাহীমকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। কারণ প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাসের তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু আল্লাহ্ আগুনকে আদেশ দিয়েছিলেন,” হে অগ্নি,তুমি ইব্রাহীমের উপরে শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।” [ ২১ : ৬৯ ] আয়াত ও টিকা ২৭২৫। আর একটি উদাহরণ হচ্ছে ‘ইয়েমেনের শেষ হিমাইরাইট [ Himayarite] রাজা, যিনি ধর্মীয় বিশ্বাসে ছিলো ইহুদী। এই রাজা নাজরানার খৃষ্টানদের পুড়িয়ে মারার নির্দ্দেশ দান করেন। সম্ভবতঃ তার সময়কাল ছিলো ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষ ভাগ অর্থাৎ ৫৭০ খৃষ্টাব্দে রাসুল হযরত মুহম্মদ মুস্তফার (সা) আবির্ভাবের পূর্ববর্তী সময়ে। এই আয়াতের আবেদন কোনও নির্দ্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য নয়, এর আবেদন সার্বজনীন। মোশরেক আরবদের নও মুসলিমদের উপরে যে অত্যাচার তাও এর সাথে তুলনীয়। যেমন তারা নওমুসলিমদের নগ্ন করে উম্মুক্ত প্রান্তরে গ্রীষ্মের দ্বিপ্রহরেরর মরুসূর্যের প্রচন্ড তাপের মাঝে বেঁধে রেখে দিত। এই অত্যাচার অগ্নিকুন্ডে পুড়িয়ে মারার থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক নয়।
আয়াতঃ 085.006
যখন তারা তার কিনারায় বসেছিল।
When they sat by it (fire),
إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌ
Ith hum AAalayha quAAoodun
YUSUFALI: Behold! they sat over against the (fire),
PICKTHAL: When they sat by it,
SHAKIR: When they sat by it,
KHALIFA: Then sat around it.
৬। দেখো ! যখন তারা [ আগুনের ] পার্শ্বে উপবিষ্ট ছিলো ; ৬০৫৬
৭। বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে তারা যা করেছিলো, [সব কিছুর ] তারা সাক্ষী ছিলো
৬০৫৬। এখানে অত্যাচারীর মনোভাবকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ডের পার্শ্বে বসে তারা তৃপ্তির সাথে হতভাগ্যদের [যারা অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হবে ] মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।
আয়াতঃ 085.007
এবং তারা বিশ্বাসীদের সাথে যা করেছিল, তা নিরীক্ষণ করছিল।
And they witnessed what they were doing against the believers (i.e. burning them).
وَهُمْ عَلَى مَا يَفْعَلُونَ بِالْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌ
Wahum AAala ma yafAAaloona bialmu/mineena shuhoodun
YUSUFALI: And they witnessed (all) that they were doing against the Believers.
PICKTHAL: And were themselves the witnesses of what they did to the believers.
SHAKIR: And they were witnesses of what they did with the believers.
KHALIFA: To watch the burning of the believers.
৬। দেখো ! যখন তারা [ আগুনের ] পার্শ্বে উপবিষ্ট ছিলো ; ৬০৫৬
৭। বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে তারা যা করেছিলো, [সব কিছুর ] তারা সাক্ষী ছিলো
৬০৫৬। এখানে অত্যাচারীর মনোভাবকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ডের পার্শ্বে বসে তারা তৃপ্তির সাথে হতভাগ্যদের [যারা অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হবে ] মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।
আয়াতঃ 085.008
তারা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল শুধু এ কারণে যে, তারা প্রশংসিত, পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল,
They had nothing against them, except that they believed in Allâh, the All-Mighty, Worthy of all Praise!
وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَن يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
Wama naqamoo minhum illa an yu/minoo biAllahi alAAazeezi alhameedi
YUSUFALI: And they ill-treated them for no other reason than that they believed in Allah, Exalted in Power, Worthy of all Praise!-
PICKTHAL: They had naught against them save that they believed in Allah, the Mighty, the Owner of Praise,
SHAKIR: And they did not take vengeance on them for aught except that they believed in Allah, the Mighty, the Praised,
KHALIFA: They hated them for no other reason than believing in GOD, the Almighty, the Praiseworthy.
৮। এবং তারা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিলো শুধু এই কারণে যে, তারা ছিলো আল্লাহ্র [ একত্বে ] বিশ্বাসী,যিনি ক্ষমতায় মহাপরাক্রমশালী, সকল প্রশংসার যোগ্য ; –
৯। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যার অধীনে। এবং আল্লাহ্ সকল কিছুর সাক্ষী। ৬০৫৭
৬০৫৭। যারা অন্য কোনও অপরাধে নয়, শুধুমাত্র এক আল্লাহ্তে বিশ্বাসের দরুণ মোমেন বান্দাদের উপরে অত্যাচার ও নির্যাতন চালায়, তাদের জন্য অনন্ত দোযখের আগুনের আশ্বাস দান করা হয়েছে। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ের দ্রষ্টা।
আয়াতঃ 085.009
যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের ক্ষমতার মালিক, আল্লাহর সামনে রয়েছে সবকিছু।
Who, to Whom belongs the dominion of the heavens and the earth! And Allâh is Witness over everything.
الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
Allathee lahu mulku alssamawati waal-ardi waAllahu AAala kulli shay-in shaheedun
YUSUFALI: Him to Whom belongs the dominion of the heavens and the earth! And Allah is Witness to all things.
PICKTHAL: Him unto Whom belongeth the Sovereignty of the heavens and the earth; and Allah is of all things the Witness.
SHAKIR: Whose is the kingdom of the heavens and the earth; and Allah is a Witness of all things.
KHALIFA: To Him belongs the kingship of the heavens and the earth. And GOD witnesses all things.
৮। এবং তারা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিলো শুধু এই কারণে যে, তারা ছিলো আল্লাহ্র [ একত্বে ] বিশ্বাসী,যিনি ক্ষমতায় মহাপরাক্রমশালী, সকল প্রশংসার যোগ্য ; –
৯। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যার অধীনে। এবং আল্লাহ্ সকল কিছুর সাক্ষী। ৬০৫৭
৬০৫৭। যারা অন্য কোনও অপরাধে নয়, শুধুমাত্র এক আল্লাহ্তে বিশ্বাসের দরুণ মোমেন বান্দাদের উপরে অত্যাচার ও নির্যাতন চালায়, তাদের জন্য অনন্ত দোযখের আগুনের আশ্বাস দান করা হয়েছে। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ের দ্রষ্টা।
আয়াতঃ 085.010
যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা,
Verily, those who put into trial the believing men and believing women (by torturing them and burning them), and then do not turn in repentance, (to Allâh), will have the torment of Hell, and they will have the punishment of the burning Fire.
إِنَّ الَّذِينَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوبُوا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيقِ
Inna allatheena fatanoo almu/mineena waalmu/minati thumma lam yatooboo falahum AAathabu jahannama walahum AAathabu alhareeqi
YUSUFALI: Those who persecute (or draw into temptation) the Believers, men and women, and do not turn in repentance, will have the Penalty of Hell: They will have the Penalty of the Burning Fire.
PICKTHAL: Lo! they who persecute believing men and believing women and repent not, theirs verily will be the doom of hell, and theirs the doom of burning.
SHAKIR: Surely (as for) those who persecute the believing men and the believing women, then do not repent, they shall have the chastisement of hell, and they shall have the chastisement of burning.
KHALIFA: Surely, those who persecute the believing men and women, then fail to repent, have incurred the retribution of Gehenna; they have incurred the retribution of burning.
১০। নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাসী নর ও নারীদের উপরে অত্যাচার করেছে এবং পরে অনুতপ্ত হয় নাই, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি, আছে দহন যন্ত্রনা।৬০৫৮
৬০৫৮। ‘দহন যন্ত্রণা ‘ – এই শাস্তিটি জাহান্নামের শাস্তির উপরেও থাকবে। ধারণা করা হয়, এই শব্দটির বিশেষ গুরুত্ব আছে। দোযখের শাস্তি ছাড়াও এই বিশেষ শাস্তিটি তাদেরই প্রদান করা হবে যারা মোমেন বান্দাদের জন্য অগ্নিকুন্ড প্রজ্জ্বলিত করেছিলো। সুতারাং এ সব অপরাধীদের জন্য বিশেষ ধরণের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আয়াতঃ 085.011
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য।
Verily, those who believe and do righteous good deeds, for them will be Gardens under which rivers flow (Paradise). That is the great success.
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْكَبِيرُ
Inna allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati lahum jannatun tajree min tahtiha al-anharu thalika alfawzu alkabeeru
YUSUFALI: For those who believe and do righteous deeds, will be Gardens; beneath which rivers flow: That is the great Salvation, (the fulfilment of all desires),
PICKTHAL: Lo! those who believe and do good works, theirs will be Gardens underneath which rivers flow. That is the Great Success.
SHAKIR: Surely (as for) those who believe and do good, they shall have gardens beneath which rivers flow, that is the great achievement.
KHALIFA: Surely, those who believed and led a righteous life, have deserved gardens with flowing streams. This is the greatest triumph.
১১। যারা বিশ্বাসী এবং সৎকর্মশীল, তাদের জন্য আছে বেহেশত ৬০৫৯, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেটাই হবে [ তাদের ] মহামুক্তি [ সকল আকাঙ্খার পরিপূর্ণতা ] ৬০৬০
৬০৫৯। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ৫ : ১১৯ ] ; [ ৯ : ৭২ ] এবং [ ২২ : ১৯] আয়াত।
৬০৬০। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ৫ : ১১৯ ] ও টিকা ৮৩৩।
আয়াতঃ 085.012
নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন।
Verily, (O Muhammad (Peace be upon him)) the Grip (Punishment) of your Lord is severe.
إِنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيدٌ
Inna batsha rabbika lashadeedun
YUSUFALI: Truly strong is the Grip (and Power) of thy Lord.
PICKTHAL: Lo! the punishment of thy Lord is stern.
SHAKIR: Surely the might of your Lord is great.
KHALIFA: Indeed, your Lord’s blow is severe.
১২। অবশ্যই তোমার প্রভুর দৃঢ়মুষ্ঠি [ এবং ক্ষমতা ] অত্যন্ত শক্তিশালী।
১৩। তিনিই প্রথম সৃষ্টি করেন এবং [ জীবনকে ] পূণঃস্থাপন করতে পারেন। ৬০৬১
৬০৬১। ‘প্রথম সৃষ্টি করেন’ বাক্যটির ব্যাখ্যার জন্য দেখুন [ ২ : ১১৭ ] আয়াতের টিকা ১২০।
আয়াতঃ 085.013
তিনিই প্রথমবার অস্তিত্ব দান করেন এবং পুনরায় জীবিত করেন।
Verily, He it is Who begins (punishment) and repeats (punishment in the Hereafter) (or originates the creation of everything, and then repeats it on the Day of Resurrection).
إِنَّهُ هُوَ يُبْدِئُ وَيُعِيدُ
Innahu huwa yubdi-o wayuAAeedu
YUSUFALI: It is He Who creates from the very beginning, and He can restore (life).
PICKTHAL: Lo! He it is Who produceth, then reproduceth,
SHAKIR: Surely He it is Who originates and reproduces,
KHALIFA: He is the One who initiates and repeats.
১২। অবশ্যই তোমার প্রভুর দৃঢ়মুষ্ঠি [ এবং ক্ষমতা ] অত্যন্ত শক্তিশালী।
১৩। তিনিই প্রথম সৃষ্টি করেন এবং [ জীবনকে ] পূণঃস্থাপন করতে পারেন। ৬০৬১
৬০৬১। ‘প্রথম সৃষ্টি করেন’ বাক্যটির ব্যাখ্যার জন্য দেখুন [ ২ : ১১৭ ] আয়াতের টিকা ১২০।
আয়াতঃ 085.014
তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়;
And He is Oft-Forgiving, full of love (towards the pious who are real true believers of Islâmic Monotheism),
وَهُوَ الْغَفُورُ الْوَدُودُ
Wahuwa alghafooru alwadoodu
YUSUFALI: And He is the Oft-Forgiving, Full of Loving-Kindness,
PICKTHAL: And He is the Forgiving, the Loving,
SHAKIR: And He is the Forgiving, the Loving,
KHALIFA: And He is the Forgiving, Most Kind.
১৪। এবং তিনি বারে বারে ক্ষমাশীল এবং স্নেহপরায়ণ,
১৫। মহিমান্বিত আরশের প্রভু,
১৬। যা ইচ্ছা করেন তাই করেন। ৬০৬২
৬০৬২। আল্লাহ্র ‘ইচ্ছাই’ হচ্ছে তাঁর হুকুমসমূহ এবং সৃষ্ট কর্ম,তাঁর বিধানসমূহ। এই তিনের মাঝে কোনও পার্থক্য নাই। কোনও অবস্থাতেই তার ইচ্ছার কোনও পরিবর্তন ঘটে না। কোনও পরিবেশই তাঁর ইচ্ছার প্রতিপালনে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে না। তিনি সর্বশক্তিমান ও সম্মানীত। আল্লাহ্র এই মহিমান্বিত রূপের সাথে পরবর্তী দুটি আয়াতে মানুষের শক্তির তুলনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 085.015
মহান আরশের অধিকারী।
Owner of the throne, the Glorious
ذُو الْعَرْشِ الْمَجِيدُ
Thoo alAAarshi almajeedi
YUSUFALI: Lord of the Throne of Glory,
PICKTHAL: Lord of the Throne of Glory,
SHAKIR: Lord of the Arsh, the Glorious,
KHALIFA: Possessor of the glorious throne.
১৪। এবং তিনি বারে বারে ক্ষমাশীল এবং স্নেহপরায়ণ,
১৫। মহিমান্বিত আরশের প্রভু,
১৬। যা ইচ্ছা করেন তাই করেন। ৬০৬২
৬০৬২। আল্লাহ্র ‘ইচ্ছাই’ হচ্ছে তাঁর হুকুমসমূহ এবং সৃষ্ট কর্ম,তাঁর বিধানসমূহ। এই তিনের মাঝে কোনও পার্থক্য নাই। কোনও অবস্থাতেই তার ইচ্ছার কোনও পরিবর্তন ঘটে না। কোনও পরিবেশই তাঁর ইচ্ছার প্রতিপালনে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে না। তিনি সর্বশক্তিমান ও সম্মানীত। আল্লাহ্র এই মহিমান্বিত রূপের সাথে পরবর্তী দুটি আয়াতে মানুষের শক্তির তুলনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 085.016
তিনি যা চান, তাই করেন।
He does what He intends (or wills).
فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ
FaAAAAalun lima yureedu
YUSUFALI: Doer (without let) of all that He intends.
PICKTHAL: Doer of what He will.
SHAKIR: The great doer of what He will.
KHALIFA: Doer of whatever He wills.
১৪। এবং তিনি বারে বারে ক্ষমাশীল এবং স্নেহপরায়ণ,
১৫। মহিমান্বিত আরশের প্রভু,
১৬। যা ইচ্ছা করেন তাই করেন। ৬০৬২
৬০৬২। আল্লাহ্র ‘ইচ্ছাই’ হচ্ছে তাঁর হুকুমসমূহ এবং সৃষ্ট কর্ম,তাঁর বিধানসমূহ। এই তিনের মাঝে কোনও পার্থক্য নাই। কোনও অবস্থাতেই তার ইচ্ছার কোনও পরিবর্তন ঘটে না। কোনও পরিবেশই তাঁর ইচ্ছার প্রতিপালনে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে না। তিনি সর্বশক্তিমান ও সম্মানীত। আল্লাহ্র এই মহিমান্বিত রূপের সাথে পরবর্তী দুটি আয়াতে মানুষের শক্তির তুলনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 085.017
আপনার কাছে সৈন্যবাহিনীর ইতিবৃত্ত পৌছেছে কি?
Has the story reached you of the hosts,
هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْجُنُودِ
Hal ataka hadeethu aljunoodi
YUSUFALI: Has the story reached thee, of the forces-
PICKTHAL: Hath there come unto thee the story of the hosts
SHAKIR: Has not there come to you the story of the hosts,
KHALIFA: Did you note the history of the troops?
১৭। তোমার নিকট কি পৌঁছেছে সৈন্যবাহিনীর কাহিনী ? ৬০৬৩
১৮। ফেরাউন ও সামুদের ?
৬০৬৩। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র ক্ষমতা, যা অসীম ও সার্বভৌম তার সাথে মানুষের সর্বোচ্চ শক্তিমানের তুলনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুটি উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে। ১) বিশাল সাম্রাজ্য,শক্তিশালী সেনাবাহিনী, অঢেল পার্থিব সম্পদ এবং সমসাময়িক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের দ্বারা পরিবৃত্ত অঢেল ক্ষমতার অধিকারী ফেরাউনের ধ্বংসের কাহিনী, দেখুন [ ৭৯ : ১৫ – ২৬ ]। ২) সামুদ জাতির কথা। সামুদরা ছিলো স্থাপত্য শিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে। পার্থিব সম্পদের অধিকারী সামুদ জাতি ছিলো বস্তুগত সভ্যতার অধিকারী। ফলে তারা আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করেছিলো, ফলে তারা ধ্বংস হয়ে যায়। দেখুন [ ৭ : ৭৩ – ৭৯ ] আয়াত ও টিকা ১০৪৩।
আয়াতঃ 085.018
ফেরাউনের এবং সামুদের?
Of Fir’aun (Pharaoh) and Thamûd?
فِرْعَوْنَ وَثَمُودَ
FirAAawna wathamooda
YUSUFALI: Of Pharaoh and the Thamud?
PICKTHAL: Of Pharaoh and (the tribe of) Thamud?
SHAKIR: Of Firon and Samood?
KHALIFA: Pharaoh and Thamoud?
১৭। তোমার নিকট কি পৌঁছেছে সৈন্যবাহিনীর কাহিনী ? ৬০৬৩
১৮। ফেরাউন ও সামুদের ?
৬০৬৩। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র ক্ষমতা, যা অসীম ও সার্বভৌম তার সাথে মানুষের সর্বোচ্চ শক্তিমানের তুলনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুটি উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে। ১) বিশাল সাম্রাজ্য,শক্তিশালী সেনাবাহিনী, অঢেল পার্থিব সম্পদ এবং সমসাময়িক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের দ্বারা পরিবৃত্ত অঢেল ক্ষমতার অধিকারী ফেরাউনের ধ্বংসের কাহিনী, দেখুন [ ৭৯ : ১৫ – ২৬ ]। ২) সামুদ জাতির কথা। সামুদরা ছিলো স্থাপত্য শিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে। পার্থিব সম্পদের অধিকারী সামুদ জাতি ছিলো বস্তুগত সভ্যতার অধিকারী। ফলে তারা আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করেছিলো, ফলে তারা ধ্বংস হয়ে যায়। দেখুন [ ৭ : ৭৩ – ৭৯ ] আয়াত ও টিকা ১০৪৩।
আয়াতঃ 085.019
বরং যারা কাফের, তারা মিথ্যারোপে রত আছে।
Nay! The disbelievers (persisted) in denying (Prophet Muhammad (Peace be upon him) and his Message of Islâmic Monotheism).
بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي تَكْذِيبٍ
Bali allatheena kafaroo fee taktheebin
YUSUFALI: And yet the Unbelievers (persist) in rejecting (the Truth)!
PICKTHAL: Nay, but those who disbelieve live in denial
SHAKIR: Nay! those who disbelieve are in (the act of) giving the lie to the truth.
KHALIFA: Those who disbelieve are plagued with denial.
১৯। তবুও অবিশ্বাসীরা [ সত্যকে ] প্রত্যাখান করতে [ অনমনীয় ] ৬০৬৪
৬০৬৪। যুগে যুগে পৃথিবীর শক্তিশালী জাতিসমূহ যারা আল্লাহ্র বিধানসমূহকে প্রত্যাখান করেছে, তারা পৃথিবীর বুকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সব উদাহরণ দেখার পরেও অবিশ্বাসীদের চেতনা ফিরে আসে না। একমাত্র আল্লাহ্ জানেন তাদের পরিণতি।
আয়াতঃ 085.020
আল্লাহ তাদেরকে চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।
And Allâh encompasses them from behind! (i.e. all their deeds are within His Knowledge, and He will requite them for their deeds).
وَاللَّهُ مِن وَرَائِهِم مُّحِيطٌ
WaAllahu min wara-ihim muheetun
YUSUFALI: But Allah doth encompass them from behind!
PICKTHAL: And Allah, all unseen, surroundeth them.
SHAKIR: And Allah encompasses them on every side.
KHALIFA: GOD is fully aware of them.
২০। এবং আল্লাহ্ ওদের অলক্ষ্যে পরিবেষ্টন করে আছেন ৬০৬৫
৬০৬৫। সৃষ্টির সকল কিছুই আল্লাহ্র ক্ষমতার অধীন। সৃষ্টির সকল কিছুই আল্লাহ্র অস্তিত্ব দ্বারা পরিবেষ্টিত। পাপীরা মনে করতে পারে যে, তারা তাদের জ্ঞান ও বিচক্ষণতা দ্বারা নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারবে। কিন্তু তাদের অলক্ষ্যে আল্লাহ্র ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়। ফলে অপ্রত্যাশিত দিক থেকে তাদের পরাজয় আসে।
আয়াতঃ 085.021
বরং এটা মহান কোরআন,
Nay! This is a Glorious Qur’ân,
بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَّجِيدٌ
Bal huwa qur-anun majeedun
YUSUFALI: Day, this is a Glorious Qur’an,
PICKTHAL: Nay, but it is a glorious Qur’an.
SHAKIR: Nay! it is a glorious Quran,
KHALIFA: Indeed, it is a glorious Quran.
২১। না, না ইহা তো গৌরবময় কুর-আন,
২২। সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ ৬০৬৬।
৬০৬৬। ‘সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ ‘ – আল্লাহ্র বাণী কোনও ক্ষণস্থায়ী বস্তু নয়। এই বাণীর শিক্ষা শ্বাসত, চিরস্থায়ী সত্য। মানুষের জীবনে চলার পথে এই বাণীর হিত বা মঙ্গল সর্বযুগের সর্ব কালের মানুষের জন্য সমভাবে কার্যকর ছিলো, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সমাজ জীবন ও ব্যক্তিজীবন তখনই সুখ শান্তিতে উজ্জ্বল ও পরিতৃপ্ত হয়ে ওঠে যখন ব্যক্তি বা সমাজ আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী ন্যায় ও সত্যের দ্বারা পরিচালিত হয়। “সংরক্ষিত ফলক” দ্বারা বুঝানো হয়েছে আল্লাহ্র এই অমোঘ বিধান সমূহ কখনও কোনও যুগেই বিকৃত হয়ে যায় নাই। প্রাচীন যুগ থেকে অদ্যাবধি ধর্মের যে নৈতিক নীতিমালা তা রয়েছে অক্ষয় ও শ্বাসত সত্য যা চিরস্থায়ী থাকবে ভবিষ্যতেও। দেখুন [ ১৫ : ৯ ] আয়াত যেখানে বলা হয়েছে এই বাণী অবিকৃত অবস্থায় রক্ষা করা হবে। আল্লাহ্র এ বাণীর মুল গ্রন্থ হচ্ছে পবিত্র কোরাণ। দেখুন [ ৩ : ৭ ] আয়াতের টিকা ৩৪৭।
আয়াতঃ 085.022
লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ।
(Inscribed) in Al-Lauh Al-Mahfûz (The Preserved Tablet)!
فِي لَوْحٍ مَّحْفُوظٍ
Fee lawhin mahfoothin
YUSUFALI: (Inscribed) in a Tablet Preserved!
PICKTHAL: On a guarded tablet.
SHAKIR: In a guarded tablet.
KHALIFA: In a preserved master tablet.
২১। না, না ইহা তো গৌরবময় কুর-আন,
২২। সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ ৬০৬৬।
৬০৬৬। ‘সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ ‘ – আল্লাহ্র বাণী কোনও ক্ষণস্থায়ী বস্তু নয়। এই বাণীর শিক্ষা শ্বাসত, চিরস্থায়ী সত্য। মানুষের জীবনে চলার পথে এই বাণীর হিত বা মঙ্গল সর্বযুগের সর্ব কালের মানুষের জন্য সমভাবে কার্যকর ছিলো, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সমাজ জীবন ও ব্যক্তিজীবন তখনই সুখ শান্তিতে উজ্জ্বল ও পরিতৃপ্ত হয়ে ওঠে যখন ব্যক্তি বা সমাজ আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী ন্যায় ও সত্যের দ্বারা পরিচালিত হয়। “সংরক্ষিত ফলক” দ্বারা বুঝানো হয়েছে আল্লাহ্র এই অমোঘ বিধান সমূহ কখনও কোনও যুগেই বিকৃত হয়ে যায় নাই। প্রাচীন যুগ থেকে অদ্যাবধি ধর্মের যে নৈতিক নীতিমালা তা রয়েছে অক্ষয় ও শ্বাসত সত্য যা চিরস্থায়ী থাকবে ভবিষ্যতেও। দেখুন [ ১৫ : ৯ ] আয়াত যেখানে বলা হয়েছে এই বাণী অবিকৃত অবস্থায় রক্ষা করা হবে। আল্লাহ্র এ বাণীর মুল গ্রন্থ হচ্ছে পবিত্র কোরাণ। দেখুন [ ৩ : ৭ ] আয়াতের টিকা ৩৪৭।