- সূরার নাম: সূরা গাশিয়াহ
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা গাশিয়াহ
আয়াতঃ 088.001
আপনার কাছে আচ্ছন্নকারী কেয়ামতের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি?
Has there come to you the narration of the overwhelming (i.e. the Day of Resurrection);
هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ
Hal ataka hadeethu alghashiyati
YUSUFALI: Has the story reached thee of the overwhelming (Event)?
PICKTHAL: Hath there come unto thee tidings of the Overwhelming?
SHAKIR: Has not there come to you the news of the overwhelming calamity?
KHALIFA: Are you aware of the Overwhelming?
=============
সূরা গাশিয়াহ্ বা আচ্ছাদনকারী ঘটনা – ৮৮
২৬ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : প্রাথমিক মক্কী সূরাগুলির মধ্যে এই সূরাটি সর্বশেষ অবতীর্ণ হয়। সম্ভবতঃ এটির সময়কাল হচ্ছে ৫৩ নং সূরার সমসাময়িক। এই সূরার বিষয়বস্তু হচ্ছে পরলোকের জীবনে ভালো ও মন্দের পরিণতি যেদিন সকল কিছুর প্রকৃত মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে এবং সমন্বয় সাধন করা হবে। এই পৃথিবীতেও আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহ আমাদের বিচার দিবসের জবাবদিহিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণ ও মঙ্গলময়। তিনি এক মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে এই বিশাল সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেছেন।
সূরা গাশিয়াহ্ বা আচ্ছাদনকারী ঘটনা – ৮৮
২৬ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। তোমার নিকট কি আচ্ছাদনকারী ঘটনার [ কেয়ামত ] সংবাদ পৌঁছেছে ? ৬০৯৬
৬০৯৬। ‘Gashiya’ – শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ‘যাহা আচ্ছন্ন করে ” ; আবৃত করে ; ম্লান করে, চাপা দেয় ইত্যাদি যা মানুষের সমগ্র চেতনাকে নাশ করে দেবে। যেহেতু কেয়ামত সকলকেই আচ্ছন্ন করবে,সে কারণে এ স্থলে অনুবাদ হিসেবে কেয়ামত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
আয়াতঃ 088.002
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে লাঞ্ছিত,
Some faces, that Day, will be humiliated (in the Hell-fire, i.e. the faces of all disbelievers, Jews and Christians, etc.).
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ خَاشِعَةٌ
Wujoohun yawma-ithin khashiAAatun
YUSUFALI: Some faces, that Day, will be humiliated,
PICKTHAL: On that day (many) faces will be downcast,
SHAKIR: (Some) faces on that day shall be downcast,
KHALIFA: Faces on that day will be shamed.
২। কিছু মুখ সেদিন অপদস্ত হবে ৬০৯৭
৬০৯৭। দেখুন [ ৭৫ : ২২, ২৪ ] আয়াত।
আয়াতঃ 088.003
ক্লিষ্ট, ক্লান্ত।
Labouring (hard in the worldly life by worshipping others besides Allâh), weary (in the Hereafter with humility and disgrace) .
عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ
AAamilatun nasibatun
YUSUFALI: Labouring (hard), weary,-
PICKTHAL: Toiling, weary,
SHAKIR: Laboring, toiling,
KHALIFA: Laboring and exhausted.
৩। ক্লিষ্ট ও ক্লান্ত হবে, ৬০৯৮
৬০৯৮। পাপীরা যখন তাদের কৃতকর্মের ফল স্বরূপ দোযখের আগুনকে প্রত্যক্ষ করবে, তাদের মুখে কষ্ট ও ক্লান্তির ছাপ ফুটে উঠবে।
আয়াতঃ 088.004
তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে।
They will enter in the hot blazing Fire,
تَصْلَى نَارًا حَامِيَةً
Tasla naran hamiyatan
YUSUFALI: The while they enter the Blazing Fire,-
PICKTHAL: Scorched by burning fire,
SHAKIR: Entering into burning fire,
KHALIFA: Suffering in a blazing Hellfire.
৪। তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে;
৫। তাদের ফুটন্ত প্রস্রবণ থেকে পান করানো হবে,
৬। তিক্ত [কন্টকময় ] দারী ব্যতীত তাদের জন্য অন্য কোন খাবার থাকবে না ৬০৯৯,
৬০৯৯। ‘দারী ‘ হচ্ছে আরবদেশের এক প্রকার কণ্টকময় গুল্ম। এই গুল্ম যখন সবুজ থাকে তখন একে শিব্রাক বলা হয় এবং যখন শুকিয়ে যায় তখন তাকে ‘দারী ‘ বলে। এই গুল্ম বিষাক্ত এবং কোন জন্তুই তা খায় না। ‘যাকুমের ‘ ন্যায় এটি দোযখের খাদ্য। দেখুন যাকুমের জন্য [৫৬ : ৫২ ] অথবা [ ১৭: ৬০ ] আয়াত ও ২২৫০ টিকা।
আয়াতঃ 088.005
তাদেরকে ফুটন্ত নহর থেকে পান করানো হবে।
They will be given to drink from a boiling spring,
تُسْقَى مِنْ عَيْنٍ آنِيَةٍ
Tusqa min AAaynin aniyatin
YUSUFALI: The while they are given, to drink, of a boiling hot spring,
PICKTHAL: Drinking from a boiling spring,
SHAKIR: Made to drink from a boiling spring.
KHALIFA: Drinking from a flaming spring.
৪। তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে;
৫। তাদের ফুটন্ত প্রস্রবণ থেকে পান করানো হবে,
৬। তিক্ত [কন্টকময় ] দারী ব্যতীত তাদের জন্য অন্য কোন খাবার থাকবে না ৬০৯৯,
৬০৯৯। ‘দারী ‘ হচ্ছে আরবদেশের এক প্রকার কণ্টকময় গুল্ম। এই গুল্ম যখন সবুজ থাকে তখন একে শিব্রাক বলা হয় এবং যখন শুকিয়ে যায় তখন তাকে ‘দারী ‘ বলে। এই গুল্ম বিষাক্ত এবং কোন জন্তুই তা খায় না। ‘যাকুমের ‘ ন্যায় এটি দোযখের খাদ্য। দেখুন যাকুমের জন্য [৫৬ : ৫২ ] অথবা [ ১৭: ৬০ ] আয়াত ও ২২৫০ টিকা।
আয়াতঃ 088.006
কন্টকপূর্ণ ঝাড় ব্যতীত তাদের জন্যে কোন খাদ্য নেই।
No food will there be for them but a poisonous thorny plant,
لَّيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ
Laysa lahum taAAamun illa min dareeAAin
YUSUFALI: No food will there be for them but a bitter Dhari’
PICKTHAL: No food for them save bitter thorn-fruit
SHAKIR: They shall have no food but of thorns,
KHALIFA: They will have no food except the useless variety.
৪। তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে;
৫। তাদের ফুটন্ত প্রস্রবণ থেকে পান করানো হবে,
৬। তিক্ত [কন্টকময় ] দারী ব্যতীত তাদের জন্য অন্য কোন খাবার থাকবে না ৬০৯৯,
৬০৯৯। ‘দারী ‘ হচ্ছে আরবদেশের এক প্রকার কণ্টকময় গুল্ম। এই গুল্ম যখন সবুজ থাকে তখন একে শিব্রাক বলা হয় এবং যখন শুকিয়ে যায় তখন তাকে ‘দারী ‘ বলে। এই গুল্ম বিষাক্ত এবং কোন জন্তুই তা খায় না। ‘যাকুমের ‘ ন্যায় এটি দোযখের খাদ্য। দেখুন যাকুমের জন্য [৫৬ : ৫২ ] অথবা [ ১৭: ৬০ ] আয়াত ও ২২৫০ টিকা।
আয়াতঃ 088.007
এটা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং ক্ষুধায়ও উপকার করবে না।
Which will neither nourish nor avail against hunger.
لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِن جُوعٍ
La yusminu wala yughnee min jooAAin
YUSUFALI: Which will neither nourish nor satisfy hunger.
PICKTHAL: Which doth not nourish nor release from hunger.
SHAKIR: Which will neither fatten nor avail against hunger.
KHALIFA: It never nourishes, nor satisfies hunger.
৭। যা তাদের পুষ্টি দেবে না বা ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।
৮। [অন্য ] কিছু মুখ সেদিন আনন্দে উৎফুল্ল হবে,
৯। নিজেদের কর্ম সাফল্যে সন্তুষ্ট ৬১০০
৬১০০। লক্ষ্য করুন পাপী ও পূণ্যাত্মাদের ভাগ্যকে সমান্তরাল ভাবে তুলনা করা হয়েছে। পাপীদের বেলাতে ছিলো অপমান ও লাঞ্ছনা, পূণ্যাত্মাদের বেলাতে পরিতৃপ্তি ও আনন্দ। পাপীরা দোযখের আগুনের ভয়ে ক্লিষ্ট, ক্লান্ত ও অবনত, অপরপক্ষে পূণ্যাত্মাদের জন্য আছে বেহেশতের সুখের অনুভূতি ।পার্থিব জীবনে আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অবিরাম চেষ্টা, অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে পূণ্যাত্মাদের ইহকালে অত্যাচার ও নির্যাতনের সম্মূখীন হতে হয়েছে সত্য। কিন্তু বিনিময়ে তাঁরা পৃথিবীতেই লাভ করেছেন মানসিক শান্তি ও সন্তুষ্টি যা অমূল্য। যারা সত্যের সংগ্রামী – আল্লাহ্ তাদের আত্মিক শক্তি ও শান্তি দান করেন।
আয়াতঃ 088.008
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে, সজীব,
(Other) faces, that Day, will be joyful,
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ
Wujoohun yawma-ithin naAAimatun
YUSUFALI: (Other) faces that Day will be joyful,
PICKTHAL: In that day other faces will be calm,
SHAKIR: (Other) faces on that day shall be happy,
KHALIFA: Other faces on that day will be full of joy.
৭। যা তাদের পুষ্টি দেবে না বা ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।
৮। [অন্য ] কিছু মুখ সেদিন আনন্দে উৎফুল্ল হবে,
৯। নিজেদের কর্ম সাফল্যে সন্তুষ্ট ৬১০০
৬১০০। লক্ষ্য করুন পাপী ও পূণ্যাত্মাদের ভাগ্যকে সমান্তরাল ভাবে তুলনা করা হয়েছে। পাপীদের বেলাতে ছিলো অপমান ও লাঞ্ছনা, পূণ্যাত্মাদের বেলাতে পরিতৃপ্তি ও আনন্দ। পাপীরা দোযখের আগুনের ভয়ে ক্লিষ্ট, ক্লান্ত ও অবনত, অপরপক্ষে পূণ্যাত্মাদের জন্য আছে বেহেশতের সুখের অনুভূতি ।পার্থিব জীবনে আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অবিরাম চেষ্টা, অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে পূণ্যাত্মাদের ইহকালে অত্যাচার ও নির্যাতনের সম্মূখীন হতে হয়েছে সত্য। কিন্তু বিনিময়ে তাঁরা পৃথিবীতেই লাভ করেছেন মানসিক শান্তি ও সন্তুষ্টি যা অমূল্য। যারা সত্যের সংগ্রামী – আল্লাহ্ তাদের আত্মিক শক্তি ও শান্তি দান করেন।
আয়াতঃ 088.009
তাদের কর্মের কারণে সন্তুষ্ট।
Glad with their endeavour (for their good deeds which they did in this world, along with the true Faith of Islâmic Monotheism).
لِسَعْيِهَا رَاضِيَةٌ
LisaAAyiha radiyatun
YUSUFALI: Pleased with their striving,-
PICKTHAL: Glad for their effort past,
SHAKIR: Well-pleased because of their striving,
KHALIFA: Satisfied with their work.
৭। যা তাদের পুষ্টি দেবে না বা ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।
৮। [অন্য ] কিছু মুখ সেদিন আনন্দে উৎফুল্ল হবে,
৯। নিজেদের কর্ম সাফল্যে সন্তুষ্ট ৬১০০
৬১০০। লক্ষ্য করুন পাপী ও পূণ্যাত্মাদের ভাগ্যকে সমান্তরাল ভাবে তুলনা করা হয়েছে। পাপীদের বেলাতে ছিলো অপমান ও লাঞ্ছনা, পূণ্যাত্মাদের বেলাতে পরিতৃপ্তি ও আনন্দ। পাপীরা দোযখের আগুনের ভয়ে ক্লিষ্ট, ক্লান্ত ও অবনত, অপরপক্ষে পূণ্যাত্মাদের জন্য আছে বেহেশতের সুখের অনুভূতি ।পার্থিব জীবনে আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অবিরাম চেষ্টা, অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে পূণ্যাত্মাদের ইহকালে অত্যাচার ও নির্যাতনের সম্মূখীন হতে হয়েছে সত্য। কিন্তু বিনিময়ে তাঁরা পৃথিবীতেই লাভ করেছেন মানসিক শান্তি ও সন্তুষ্টি যা অমূল্য। যারা সত্যের সংগ্রামী – আল্লাহ্ তাদের আত্মিক শক্তি ও শান্তি দান করেন।
আয়াতঃ 088.010
তারা থাকবে, সুউচ্চ জান্নাতে।
In a lofty Paradise.
فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ
Fee jannatin AAaliyatin
YUSUFALI: In a Garden on high,
PICKTHAL: In a high Garden
SHAKIR: In a lofty garden,
KHALIFA: In an exalted Paradise.
১০। [ প্রবেশ করবে ] সুমহান বেহেশতে ৬১০১
৬১০১। পূণ্যাত্মাদের জন্য সর্বাপেক্ষা বড় নেয়ামত হচ্ছে তাদের মানসিক সুখ ও শান্তি যার উল্লেখ করা হয়েছে [ ৮- ৯ ] আয়াতে, যা তারা লাভ করেন তাদের পৃথিবীর কৃতকর্মের দরুণ। এর পরে উল্লেখ করা হয়েছে বাহ্যিক আনন্দের উপকরণের, উদ্যান হচ্ছে যার প্রধান উপকরণ। বাগানের বিপরীতে পাপীদের জন্য আছে দোযখের আগুন। বাগানের বর্ণনাতে বলা হয়েছে যে এর প্রধান সৌন্দর্য হবে সেখানে কোন “অসার বাক্য’ থাকবে না। এই বাগান হবে উচ্চ মর্যদা সম্পন্ন।
আয়াতঃ 088.011
তথায় শুনবে না কোন অসার কথাবার্তা।
Where they shall neither hear harmful speech nor falsehood,
لَّا تَسْمَعُ فِيهَا لَاغِيَةً
La tasmaAAu feeha laghiyatan
YUSUFALI: Where they shall hear no (word) of vanity:
PICKTHAL: Where they hear no idle speech,
SHAKIR: Wherein you shall not hear vain talk.
KHALIFA: In it, no nonsense is heard.
১১। সেখানে তারা কোন অহংকারের কথা শুনবে না ;
১২। সেখানে প্রবাহমান ঝরণা থাকবে ৬১০২
৬১০২। ফুটন্ত প্রস্রবণের [ ৫ নং আয়াত ] পরিবর্তে পূণ্যাত্মাদের জন্য থাকবে স্বচ্ছ পরিষ্কা র প্রস্রবণের পানি। পাপীরা থাকবে ভয়ে শঙ্কায় ক্লিষ্ট সেখানে পূণ্যাত্মারা থাকবে নরম গালিচা ও উপাধান দ্বারা পরিবৃত্ত।
আয়াতঃ 088.012
তথায় থাকবে প্রবাহিত ঝরণা।
Therein will be a running spring,
فِيهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ
Feeha AAaynun jariyatun
YUSUFALI: Therein will be a bubbling spring:
PICKTHAL: Wherein is a gushing spring,
SHAKIR: Therein is a fountain flowing,
KHALIFA: In it, a spring flows.
১১। সেখানে তারা কোন অহংকারের কথা শুনবে না ;
১২। সেখানে প্রবাহমান ঝরণা থাকবে ৬১০২
৬১০২। ফুটন্ত প্রস্রবণের [ ৫ নং আয়াত ] পরিবর্তে পূণ্যাত্মাদের জন্য থাকবে স্বচ্ছ পরিষ্কা র প্রস্রবণের পানি। পাপীরা থাকবে ভয়ে শঙ্কায় ক্লিষ্ট সেখানে পূণ্যাত্মারা থাকবে নরম গালিচা ও উপাধান দ্বারা পরিবৃত্ত।
আয়াতঃ 088.013
তথায় থাকবে উন্নত সুসজ্জিত আসন।
Therein will be thrones raised high,
فِيهَا سُرُرٌ مَّرْفُوعَةٌ
Feeha sururun marfooAAatun
YUSUFALI: Therein will be Thrones (of dignity), raised on high,
PICKTHAL: Wherein are couches raised
SHAKIR: Therein are thrones raised high,
KHALIFA: In it, there are luxurious furnishings.
১৩। সেখানে থাকবে উন্নত [ মর্যদাসম্পন্ন ] সিংহাসন,
১৪। প্রস্তুত থাকবে পানপাত্র,
১৫। সারি সারি বালিশ,
১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।
আয়াতঃ 088.014
এবং সংরক্ষিত পানপাত্র
And cups set at hand.
وَأَكْوَابٌ مَّوْضُوعَةٌ
Waakwabun mawdooAAatun
YUSUFALI: Goblets placed (ready),
PICKTHAL: And goblets set at hand
SHAKIR: And drinking-cups ready placed,
KHALIFA: And drinks made available.
১৩। সেখানে থাকবে উন্নত [ মর্যদাসম্পন্ন ] সিংহাসন,
১৪। প্রস্তুত থাকবে পানপাত্র,
১৫। সারি সারি বালিশ,
১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।
আয়াতঃ 088.015
এবং সারি সারি গালিচা
And cushions set in rows,
وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ
Wanamariqu masfoofatun
YUSUFALI: And cushions set in rows,
PICKTHAL: And cushions ranged
SHAKIR: And cushions set in a row,
KHALIFA: And pitchers in rows.
১৩। সেখানে থাকবে উন্নত [ মর্যদাসম্পন্ন ] সিংহাসন,
১৪। প্রস্তুত থাকবে পানপাত্র,
১৫। সারি সারি বালিশ,
১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।
আয়াতঃ 088.016
এবং বিস্তৃত বিছানো কার্পেট।
And rich carpets (all) spread out.
وَزَرَابِيُّ مَبْثُوثَةٌ
Wazarabiyyu mabthoothatun
YUSUFALI: And rich carpets (all) spread out.
PICKTHAL: And silken carpets spread.
SHAKIR: And carpets spread out.
KHALIFA: And carpets throughout.
১৩। সেখানে থাকবে উন্নত [ মর্যদাসম্পন্ন ] সিংহাসন,
১৪। প্রস্তুত থাকবে পানপাত্র,
১৫। সারি সারি বালিশ,
১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।
আয়াতঃ 088.017
তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে?
Do they not look at the camels, how they are created?
أَفَلَا يَنظُرُونَ إِلَى الْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ
Wazarabiyyu mabthoothatun
Afala yanthuroona ila al-ibili kayfa khuliqat
YUSUFALI: Do they not look at the Camels, how they are made?-
PICKTHAL: Will they not regard the camels, how they are created?
SHAKIR: Will they not then consider the camels, how they are created?
KHALIFA: Why do they not reflect on the camels and how they are created?
১৩। সেখানে থাকবে উন্নত [ মর্যদাসম্পন্ন ] সিংহাসন,
১৪। প্রস্তুত থাকবে পানপাত্র,
১৫। সারি সারি বালিশ,
১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।
আয়াতঃ 088.018
এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে?
And at the heaven, how it is raised?
وَإِلَى السَّمَاء كَيْفَ رُفِعَتْ
Wa-ila alssama-i kayfa rufiAAat
YUSUFALI: And at the Sky, how it is raised high?-
PICKTHAL: And the heaven, how it is raised?
SHAKIR: And the heaven, how it is reared aloft,
KHALIFA: And the sky and how it is raised.
১৮। এবং আকাশের দিকে ? কি ভাবে উহাকে উর্দ্ধে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে ? ৬১০৪
৬১০৪। আকাশ হচ্ছে অনন্ত রহস্যের ভান্ডার মানুষের চোখে। দ্বিতীয়তঃ এই আকাশ সম্বন্ধে চিন্তা করতে বলা হয়েছে। সূদূর দিগন্তের নীল আকাশ দিনে সূর্য ও রাতে চন্দ্র ও নক্ষত্র রাজিকে ধারণ করে দিন ও রাত্রির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। মানুষ কি একবারও চিন্তা করে না কি সুনিপুন কৌশলে স্রষ্টা সূর্য ও চন্দ্রকে বিন্যস্ত করেছেন যাতে পৃথিবী যোজন মাইল দূরে থাকা সত্বেও উষ্ণতা ও আলো লাভ করে ? ঋতুর পরিবর্তন ঘটে, জোয়ার ভাটা সংঘটিত হয়। সূর্য চন্দ্রের অস্তিত্বের সাথে পৃথিবীর জীবনের অস্তিত্ব বর্তমান। এ ব্যতীত বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ আকাশের সীমাহীন রহস্যের সামান্য সন্ধান লাভ করে স্তুম্ভিত ও আশ্চর্য্য হয়ে যায়।
আয়াতঃ 088.019
এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে?
And at the mountains, how they are rooted and fixed firm?
وَإِلَى الْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ
Wa-ila aljibali kayfa nusibat
YUSUFALI: And at the Mountains, how they are fixed firm?-
PICKTHAL: And the hills, how they are set up?
SHAKIR: And the mountains, how they are firmly fixed,
KHALIFA: And the mountains and how they are constructed.
১৯। এবং পর্বত সমূহের প্রতি ? কি ভাবে উহাদের দৃঢ়ভাবে প্রোথিত করা হয়েছে ? ৬১০৫
৬১০৫। লক্ষ্য করুণ কি সুনিপুন ভাবে উদাহরণ গুলিকে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রাতে প্রয়োজনীয় প্রাণী উটের উল্লেখ দিয়ে শুরু করে সীমাহীন আকাশের চমৎকারীত্ব উল্লেখ করা হয়েছে যার প্রভাব সমগ্র পৃথিবীর জীবনের উপরে পড়ে। এই দুটি উদাহরণ আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে আমাদের সামাজিক জীবন ও সমগ্র পৃথিবীর জীবন ব্যবস্থাকে স্পর্শ করেছে। তৃতীয় উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে পর্বতের। পর্বতকে এমন ভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে, তা সমগ্র ভূমন্ডলের পানি সরবারহ করে থাকে নদী দ্বারা এবং পৃথিবীকে ভূঅভ্যন্তরস্থ চলমান শিলার কম্পন থেকে রক্ষা করে। নদীর উৎপত্তি হয় পর্বতে পরে তা বিভিন্ন দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে পতিত হয়। পর্বতমালা আবাহওয়াকে নানাভাবে নিয়ন্ত্রিত করে যার বিবরণ আছে ভূগোল বিজ্ঞানে। দেখুন [৭৯: ৩১ ] আয়াতের টিকা নং ৫৯৩৮।
আয়াতঃ 088.020
এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?
And at the earth, how it is spread out?
وَإِلَى الْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ
Wa-ila al-ardi kayfa sutihat
YUSUFALI: And at the Earth, how it is spread out?
PICKTHAL: And the earth, how it is spread?
SHAKIR: And the earth, how it is made a vast expanse?
KHALIFA: And the earth and how it is built.
২০। এবং পৃথিবীর প্রতি, কি ভাবে উহাকে বিস্তৃত করা হয়েছে ? ৬১০৬
৬১০৬। চতুর্থ এবং শেষ উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে সমগ্র ভূমন্ডলের, যেখানে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে এবং যা মানুষের বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে। ভূগোল বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানি যে, পৃথিবী গোলাকার ; কিন্তু কি আশ্চর্যভাবে বসবাসকারী মানুষের নিকট তা সমতল মনে হয়। ভূমন্ডলে সৃষ্টি করা হয়েছে সমতলভূমি, উপত্যকা, পর্বত, মরুভূমি, সমুদ্র ইত্যাদি। এ সব সৃষ্টির মাঝে এত সুসামঞ্জস্য বিদ্যমান,যে সামান্য চিন্তা করলেই মানুষের ধারণার মাঝে ধরা দেয় স্রষ্টার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর যা মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এর পরেও কি মানুষ পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য অনুধাবনে ব্যর্থ হবে? তারা কি স্রষ্টার অস্তিত্বকে অন্তরের মাঝে উপলব্ধিতে সক্ষম হবে না ? তারা কি বুঝতে সক্ষম হবে না যে, এ সকল কিছুই সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। মানুষ যাতে পৃথিবীর জীবনে এক নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদিত হয়। পৃথিবীতে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে সুনির্দ্দিষ্ট কর্তব্য সম্পাদনের জন্য, যার সুনির্দ্দিষ্ট হিসাব তাকে দিতে হবে।
আয়াতঃ 088.021
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা,
So remind them (O Muhammad (Peace be upon him)), you are only a one who reminds.
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ
Fathakkir innama anta muthakkirun
YUSUFALI: Therefore do thou give admonition, for thou art one to admonish.
PICKTHAL: Remind them, for thou art but a remembrancer,
SHAKIR: Therefore do remind, for you are only a reminder.
KHALIFA: You shall remind, for your mission is to deliver this reminder.
২১। সুতারাং তুমি উপদেশ দাও, কেননা তুমি তো একজন উপদেশদাতা।
২২। তুমি তো ওদের কর্মবিধায়ক নও। ৬১০৭
৬১০৭। রাসুলকে (সা) আল্লাহ্ প্রেরণ করেছেন মানুষকে উপদেশ দান করার জন্য। তাদের সঠিক পথের নির্দ্দেশনা দানের জন্য। মানুষের উপরে জোর জবরদস্তি করা তাঁর কাজ নয়। ধর্মের ব্যাপারে তিনি কাউকে শাস্তি দান করতে পারেন না। শাস্তি দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ্। তবে বিধর্মীদের সাবধান করা হয়েছে যে, পরলোকে তারা অবশ্যই শাস্তি লাভ করবে এবং সেদিন প্রতিটি জিনিষেরই প্রকৃত মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আয়াতঃ 088.022
আপনি তাদের শাসক নন,
You are not a dictator over them.
لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ
Lasta AAalayhim bimusaytirin
YUSUFALI: Thou art not one to manage (men’s) affairs.
PICKTHAL: Thou art not at all a warder over them.
SHAKIR: You are not a watcher over them;
KHALIFA: You have no power over them.
২১। সুতারাং তুমি উপদেশ দাও, কেননা তুমি তো একজন উপদেশদাতা।
২২। তুমি তো ওদের কর্মবিধায়ক নও। ৬১০৭
৬১০৭। রাসুলকে (সা) আল্লাহ্ প্রেরণ করেছেন মানুষকে উপদেশ দান করার জন্য। তাদের সঠিক পথের নির্দ্দেশনা দানের জন্য। মানুষের উপরে জোর জবরদস্তি করা তাঁর কাজ নয়। ধর্মের ব্যাপারে তিনি কাউকে শাস্তি দান করতে পারেন না। শাস্তি দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ্। তবে বিধর্মীদের সাবধান করা হয়েছে যে, পরলোকে তারা অবশ্যই শাস্তি লাভ করবে এবং সেদিন প্রতিটি জিনিষেরই প্রকৃত মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আয়াতঃ 088.023
কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়,
Save the one who turns away and disbelieves
إِلَّا مَن تَوَلَّى وَكَفَرَ
Illa man tawalla wakafara
YUSUFALI: But if any turn away and reject Allah,-
PICKTHAL: But whoso is averse and disbelieveth,
SHAKIR: But whoever turns back and disbelieves,
KHALIFA: As for those who turn away and disbelieve.
২৩। কিন্তু কেউ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, এবং আল্লাহকে প্রত্যাখান করে ; –
আয়াতঃ 088.024
আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন।
Then Allâh will punish him with the greatest punishment.
فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ
FayuAAaththibuhu Allahu alAAathaba al-akbara
YUSUFALI: Allah will punish him with a mighty Punishment,
PICKTHAL: Allah will punish him with direst punishment.
SHAKIR: Allah will chastise him with the greatest chastisement.
KHALIFA: GOD will commit them to the great retribution.
২৪। আল্লাহ্ তাকে মহাশাস্তি দেবেন,
আয়াতঃ 088.025
নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,
Verily, to Us will be their return;
إِنَّ إِلَيْنَا إِيَابَهُمْ
Inna ilayna iyabahum
YUSUFALI: For to Us will be their return;
PICKTHAL: Lo! unto Us is their return
SHAKIR: Surely to Us is their turning back,
KHALIFA: To us is their ultimate destiny.
২৫। নিশ্চয় আমার নিকটেই তাদের ফিরে আসতে হবে ;
আয়াতঃ 088.026
অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।
Then verily, for Us will be their reckoning.
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُمْ
Thumma inna AAalayna hisabahum
YUSUFALI: Then it will be for Us to call them to account.
PICKTHAL: And Ours their reckoning.
SHAKIR: Then surely upon Us is the taking of their account.
KHALIFA: Then we will call them to account.
২৬। অতঃপর ওদের হিসাব -নিকাশ আমারই কাজ।