১১। যে নিতান্ত হতভাগ্য সে ইহা উপেক্ষা করবে,
১২। মহা -আগুনে প্রবেশ করবে, ৬০৮৯
৬০৮৯। ‘মহা অগ্নি ‘ -যার দ্বারা পরলোকের সর্বোচ্চ শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। মহা-অগ্নি শব্দটি দ্বারা তুলনা করা হয়েছে স্বল্প শাস্তির সাথে যা মানুষ ভোগ করবে ছোট ছোট পাপ ও ত্রুটির কারণে।
আয়াতঃ 087.011
আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,
But it will be avoided by the wretched,
وَيَتَجَنَّبُهَا الْأَشْقَى
Wayatajannabuha al-ashqa
YUSUFALI: But it will be avoided by those most unfortunate ones,
PICKTHAL: But the most hapless will flout it,
SHAKIR: And the most unfortunate one will avoid it,
KHALIFA: The wicked will avoid it.
১০। যারা [আল্লাহ্কে ] ভয় করে সে উপদেশ গ্রহণ করবে।
১১। যে নিতান্ত হতভাগ্য সে ইহা উপেক্ষা করবে,
১২। মহা -আগুনে প্রবেশ করবে, ৬০৮৯
৬০৮৯। ‘মহা অগ্নি ‘ -যার দ্বারা পরলোকের সর্বোচ্চ শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। মহা-অগ্নি শব্দটি দ্বারা তুলনা করা হয়েছে স্বল্প শাস্তির সাথে যা মানুষ ভোগ করবে ছোট ছোট পাপ ও ত্রুটির কারণে।
আয়াতঃ 087.012
সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
Who will enter the great Fire and made to taste its burning,
الَّذِي يَصْلَى النَّارَ الْكُبْرَى
Allathee yasla alnnara alkubra
YUSUFALI: Who will enter the Great Fire,
PICKTHAL: He who will be flung to the great Fire
SHAKIR: Who shall enter the great fire;
KHALIFA: Consequently, he will suffer the great Hellfire.
১০। যারা [আল্লাহ্কে ] ভয় করে সে উপদেশ গ্রহণ করবে।
১১। যে নিতান্ত হতভাগ্য সে ইহা উপেক্ষা করবে,
১২। মহা -আগুনে প্রবেশ করবে, ৬০৮৯
৬০৮৯। ‘মহা অগ্নি ‘ -যার দ্বারা পরলোকের সর্বোচ্চ শাস্তিকে বুঝানো হয়েছে। মহা-অগ্নি শব্দটি দ্বারা তুলনা করা হয়েছে স্বল্প শাস্তির সাথে যা মানুষ ভোগ করবে ছোট ছোট পাপ ও ত্রুটির কারণে।
আয়াতঃ 087.013
অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।
Wherein he will neither die (to be in rest) nor live (a good living).
ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَى
Thumma la yamootu feeha wala yahya
YUSUFALI: In which they will then neither die nor live.
PICKTHAL: Wherein he will neither die nor live.
SHAKIR: Then therein he shall neither live nor die.
KHALIFA: Wherein he never dies, nor stays alive.
১৩। সেখানে সে মরবেও না, বাঁচবেও না। ৬০৯০
৬০৯০। এই আয়াতের মাধ্যমে পরলোকের যে শাস্তির ছবি আঁকা হয়েছে তা অত্যন্ত ভয়াবহ। এই শাস্তি তারাই ভোগ করবে যারা পৃথিবীর জীবনে পাপে নিমজ্জিত ছিলো এরা পৃথিবীর মাঝে সুখ ও শান্তির পরিবর্তে বিরোধ ও বিসংবাদের সৃষ্টি করেছে। এদের অতীত কুকর্ম এদের পরলোকের জীবনেও সঙ্গী হিসেবে থাকবে। ৫নং আয়াতে যে শুষ্ক খড়ের তুলনা করা হয়েছে এরা তার থেকেও নিকৃষ্ট। কারণ খড় উৎপন্ন হয় সতেজ, সবুজ তৃণভূমি যখন শুকিয়ে যায়। কিন্তু এরা ছিলো বিষাক্ত কাঁটা গাছের মত। সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এরা জাহান্নামে ” মরবেও না বাঁচবেও না।”
আয়াতঃ 087.014
নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়
Indeed whosoever purifies himself (by avoiding polytheism and accepting Islâmic Monotheism) shall achieve success,
قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّى
Qad aflaha man tazakka
YUSUFALI: But those will prosper who purify themselves,
PICKTHAL: He is successful who groweth,
SHAKIR: He indeed shall be successful who purifies himself,
KHALIFA: Successful indeed is the one who redeems his soul.
১৪। সেই সাফল্য লাভ করবে, ৬০৯১ যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে ৬০৯২
১৫। এবং আপন প্রভুর নাম স্মরণ করবে, এবং নামায পড়বে।
৬০৯১। “সাফল্য” – আধ্যাত্মিক জীবনে সর্বোচ্চ সমৃদ্ধিকে বুঝানো হয়েছে আত্মিক প্রশান্তি বা আধ্যাত্মিক মুক্তি। এই অবস্থা হচ্ছে ‘মহা -অগ্নিতে ” প্রবেশের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা।
৬০৯২। আধ্যাত্মিক জীবনে সফলতা লাভের সোপান হচ্ছে আত্মার পবিত্রতা অর্জন করা। এই পবিত্রতা হতে হবে ১) শারীরিক অর্থাৎ নিজস্ব দেহ এবং পারিপার্শ্বিক। ২) মানসিক অর্থাৎ চিন্তা ও কথায় পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন রীপু বা প্রবৃত্তির দমন। ৩) আত্মিক ভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে যার জন্য প্রয়োজন হবে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সৎ কাজের মাধ্যমে বা পবিত্র জীবন যাপন প্রণালীর মাধ্যমে তা অর্জন করা। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হওয়া।
আয়াতঃ 087.015
এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।
And remembers (glorifies) the Name of his Lord (worships none but Allâh), and prays (five compulsory prayers and Nawâfil additional prayers).
وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى
Wathakara isma rabbihi fasalla
YUSUFALI: And glorify the name of their Guardian-Lord, and (lift their hearts) in prayer.
PICKTHAL: And remembereth the name of his Lord, so prayeth,
SHAKIR: And magnifies the name of his Lord and prays.
KHALIFA: By remembering the name of his Lord and observing the contact prayers (Salat).