আয়াতঃ 087.004
এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন,
And Who brings out the pasturage,
وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَى
Waallathee akhraja almarAAa
YUSUFALI: And Who bringeth out the (green and luscious) pasture,
PICKTHAL: Who bringeth forth the pasturage,
SHAKIR: And Who brings forth herbage,
KHALIFA: He produces the pasture.
৪। এবং যিনি [ সবুজ ও সতেজ ] চারণভূমি উৎপন্ন করেন, ৬০৮৩
৫। পরে উহাকে ধূসর আবর্জনায় পরিণত করেন।
৬০৮৩। পঞ্চম : পৃথিবীর প্রতিটি জীবিত প্রাণ ধীরে ধীরে পূর্ণ কালপ্রাপ্ত হয় এবং শেষে একদিন মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। শষ্য শ্যামল ফসলের ক্ষেত ফসল কাটার পরে কর্তিত ফসলের মূলের অবশিষ্ট দ্বারা রিক্ত মাঠ বিরান পড়ে থাকে। এই উদাহরণের দ্বারা পৃথিবীর আবাহমানকালের নিয়মকে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর সকল জীবিত প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ন্যায় মানুষেরও পরিণতি একই। শুধু পার্থক্য হচ্ছে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মানব আত্মা শেষ হয়ে যায় না। মানুষের জন্য আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেন মর্যদাপূর্ণ ভবিষ্যত নিয়তি।
আয়াতঃ 087.005
অতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা।
And then makes it dark stubble.
فَجَعَلَهُ غُثَاء أَحْوَى
FajaAAalahu ghuthaan ahwa
YUSUFALI: And then doth make it (but) swarthy stubble.
PICKTHAL: Then turneth it to russet stubble.
SHAKIR: Then makes it dried up, dust-colored.
KHALIFA: Then turns it into light hay.
৪। এবং যিনি [ সবুজ ও সতেজ ] চারণভূমি উৎপন্ন করেন, ৬০৮৩
৫। পরে উহাকে ধূসর আবর্জনায় পরিণত করেন।
৬০৮৩। পঞ্চম : পৃথিবীর প্রতিটি জীবিত প্রাণ ধীরে ধীরে পূর্ণ কালপ্রাপ্ত হয় এবং শেষে একদিন মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। শষ্য শ্যামল ফসলের ক্ষেত ফসল কাটার পরে কর্তিত ফসলের মূলের অবশিষ্ট দ্বারা রিক্ত মাঠ বিরান পড়ে থাকে। এই উদাহরণের দ্বারা পৃথিবীর আবাহমানকালের নিয়মকে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর সকল জীবিত প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ন্যায় মানুষেরও পরিণতি একই। শুধু পার্থক্য হচ্ছে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মানব আত্মা শেষ হয়ে যায় না। মানুষের জন্য আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেন মর্যদাপূর্ণ ভবিষ্যত নিয়তি।
আয়াতঃ 087.006
আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না
We shall make you to recite (the Qur’ân), so you (O Muhammad (Peace be upon him)) shall not forget (it),
سَنُقْرِؤُكَ فَلَا تَنسَى
Sanuqri-oka fala tansa
YUSUFALI: By degrees shall We teach thee to declare (the Message), so thou shalt not forget,
PICKTHAL: We shall make thee read (O Muhammad) so that thou shalt not forget
SHAKIR: We will make you recite so you shall not forget,
KHALIFA: We will recite to you; do not forget.
৬। আমি তোমাকে [ কুর-আন ] শিক্ষা দেবো ধীরে ধীরে ৬০৮৪, যেনো তুমি ভুলে না যাও, ৬০৮৫ –
৬০৮৪। মানব আত্মা যখন আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোতে ধন্য হয়, তখন আধ্যাত্মিক জগতে আলোর পথে তাঁর অগ্রগতির যাত্রা শুরু হয়। এই অগ্রগতি হয় ধীরে ধীরে ও ক্রমান্বয়ে, অন্ধকার থেকে আলোর পথে। আল্লাহ্ তাঁকে “শিক্ষা দেন” বা হেদায়েত করেন ক্রমান্বয়ে। এই আয়াতটিতে রাসুলকে সম্বোধন করা হলেও এর আবেদন সার্বজনীন। পবিত্র কোরাণ অবতীর্ণ হয় সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ব্যপী ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে। এভাবেই আল্লাহ্র সকল প্রত্যাদেশ সমূহ ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে অবতীর্ণ হয়। সাধারণ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোরাণের আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা সমান্তরাল ভাবে দুধরণের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট, অপরটি হচ্ছে আয়াতের শিক্ষা যা সর্বযুগের সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য হয়ে থাকে। এখানে বক্তব্যকে : ১) রাসুলের (সা) জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে কোরাণ অবতীর্ণ হওয়াকে ২) পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য এটা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষা যা সর্বযুগে প্রযোজ্য। “যেনো তুমি ভুলে না যাও।” যারাই আল্লাহ্র বাণী হৃদয়ে ধারণ করে বুঝতে সক্ষম হবেন, তাঁরা তা ভুলবেন না। তাঁরা তার প্রকাশ ঘটাবেন তাদের বক্তব্যে, তাদের চরিত্রে, তাদের কাজের মাধ্যমে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটবে ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে। এবং যে এই পথ একবার অতিক্রম করবে সে তা ভুলতে পারবে না। তার ব্যক্তিত্ব,চরিত্র,হৃদয় সেই পথের আলোকে আলোকিত হয়ে যাবে।
৬০৮৫। আলোচ্য আয়াতে রাসুলকে (সা ) আশ্বাস দিয়েছেন যে, কোরাণ মুখস্ত করানোর দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্ নিয়েছেন। রাসুল (সা) ছিলেন নিরক্ষর। সুতারাং আল্লাহ্র বাণী তাঁর হৃদয়ে এবং আপামর মানুষের হৃদয়ে অংকিত করার দায়িত্ব রাব্বুল আলামীনের।
আয়াতঃ 087.007
আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়।
Except what Allâh, may will, He knows what is apparent and what is hidden.
إِلَّا مَا شَاء اللَّهُ إِنَّهُ يَعْلَمُ الْجَهْرَ وَمَا يَخْفَى
Illa ma shaa Allahu innahu yaAAlamu aljahra wama yakhfa