আয়াতঃ 084.017
এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে
And by the night and whatever it gathers in its darkness;
وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
Waallayli wama wasaqa
YUSUFALI: The Night and its Homing;
PICKTHAL: And by the night and all that it enshroudeth,
SHAKIR: And the night and that which it drives on,
KHALIFA: And the night as it spreads.
১৭। এবং রাত্রির এবং যারা নীড়ে ফেরে তাদের ৬০৪৫
৬০৪৫। ২) সাধারণভাবে আমরা বলে থাকি যে, চব্বিশ ঘণ্টার অর্দ্ধেক অর্থাৎ ১২ [ বার ] ঘন্টা দিন ও ১২ [ বার ] ঘন্টা রাত্রি। অবশ্য ঋতু ভেদে তা কম বেশী হয়। রাত্রির আগমনে পৃথিবীর সকল প্রাণী নিজ নিজ বাসস্থানে প্রত্যাগমন করে। মানুষ দিনমান কর্ম উপলক্ষে ইতঃস্তত বিচরণশীল হয়। নিশাগমনে সকলে নিজ নিজ গৃহে প্রত্যার্পন করে থাকে। কিন্তু সকলেরই এই গৃহে অবস্থানের স্থায়ীত্ব খুবই স্বল্প। ঠিক সেরূপ হচ্ছে পৃথিবীতে আত্মার অবস্থান। পৃথিবীর স্বল্পকালীন জীবন, মৃত্যুর মাঝে শেষ হয়ে যায়। এর পরে শুরু হবে নূতন পৃথিবীতে নূতন জীবন।
আয়াতঃ 084.018
এবং চন্দ্রের, যখন তা পূর্ণরূপ লাভ করে,
And by the moon when it is at the full,
وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ
Waalqamari itha ittasaqa
YUSUFALI: And the Moon in her fullness:
PICKTHAL: And by the moon when she is at the full,
SHAKIR: And the moon when it grows full,
KHALIFA: And the moon and its phases.
১৮। এবং চন্দ্রের, যখন তা পূর্ণ হয়। ৬০৪৬
৬০৪৬। ৩) জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে সম্পূর্ণ পূর্ণচন্দ্রের স্থায়ীত্ব খুবই স্বল্পক্ষণ। যে মূহুর্তে তা পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়, তার পরের মূর্হুত থেকে তার ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। আবার অমাবস্যাতে চন্দ্রের ক্ষয় সম্পূর্ণ হয়ে,নূতন চাঁদের বৃদ্ধি শুরু হয়ে যায়। পৃথিবীর জীবনে মানুষের জীবনও তথৈবচ। এখানে কিছুই তার জন্য স্থায়ী নয়। শারীরিক ভাবে সে ক্রমান্বয়ে শৈশব,কৈশর, যৌবন, পৌরত্ব ও বার্দ্ধক্য ইত্যাদি ধাপ গুলি অতিক্রম করে। কোনও ধাপেই সে স্থায়ী হয় না। এ কথা যে শুধুমাত্র মানুষের স্থুল শারীরিক পরিবর্তনের জন্য প্রযোজ্য,তাই-ই নয়, একথা প্রযোজ্য মানুষের জ্ঞান,বুদ্ধি, বিবেক,প্রজ্ঞা,আধ্যাত্মিক সকল বিষয়ের জন্য প্রযোজ্য। এগুলি কোনও এক স্থানে স্থির নয়।
আয়াতঃ 084.019
নিশ্চয় তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহণ করবে।
You shall certainly travel from stage to stage (in this life and in the Hereafter).
لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ
Latarkabunna tabaqan AAan tabaqin
YUSUFALI: Ye shall surely travel from stage to stage.
PICKTHAL: That ye shall journey on from plane to plane.
SHAKIR: That you shall most certainly enter one state after another.
KHALIFA: You will move from stage to stage
১৯। অবশ্যই তোমরা ভ্রমণ করবে ধাপে ধাপে ৬০৪৭।
৬০৪৭। সূরা [ ৬৭ : ৩ ] আয়াতে ‘Tibaqan’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে আকাশের স্তরকে বুঝানোর জন্য যা একটির উপরে একটি অবস্থান করবে। এই আয়াতে ঐ একই শব্দকে ব্যবহার করা হয়েছে মানুষের আধ্যাত্মিক জগতকে বুঝানোর জন্য যা ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে উন্নতির পথে অগ্রসর হয়। অর্থাৎ একদিনের চেষ্টায় আধ্যাত্মিক সাফল্য লাভ করা সম্ভব নয়
আয়াতঃ 084.020
অতএব, তাদের কি হল যে, তারা ঈমান আনে না?
What is the matter with them, that they believe not?
فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
Fama lahum la yu/minoona
YUSUFALI: What then is the matter with them, that they believe not?-
PICKTHAL: What aileth them, then, that they believe not
SHAKIR: But what is the matter with them that they do not believe,
KHALIFA: Why do they not believe?
২০। তবে তাদের কি হয়েছে যে, তারা বিশ্বাস করবে না ? ৬০৪৮
৬০৪৮। একমাত্র মানুষের জন্যই আল্লাহ্ সর্বোচ্চ পরিণতি নির্ধারিত করেছেন। পৃথিবীর স্বল্পকালীন জীবনে মানুষ জানে না পৃথিবীর জীবনের পূর্বে সে কোথায় ছিলো, আবার মৃত্যুর পরে সে কোথায় যাবে। কোনও বিজ্ঞানই এর সঠিক জবাব দিতে সক্ষম নয়। এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় বিশ্বাসের উপরে নির্ভরশীল। ধর্ম আমাদের বলে যে পৃথিবীর জীবন হচ্ছে আত্মার একটি ধাপ বা ক্ষণস্থায়ী বাসস্থান। যার শেষ পরিণতি পরলোকের স্থায়ী জীবন। সুতারাং মানুষের উচিত আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে গ্রহণ করা এবং এরই অনুশীলনের মাধ্যমে, আধ্যাত্মিক জগতের উন্নতি সাধন করা। যদি সে তা না করে তবে বুঝতে হবে যে, তার ইচ্ছার মাঝে কোনও ত্রুটি আছে। লক্ষ্য করুন ১৯ নং আয়াতে মানুষকে দ্বিতীয় পুরুষ ‘তোমরা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু [ ২০ : ২৪ ] নং আয়াতে মানুষকে তৃতীয় পুরুষ [ তাদের ] রূপে সম্বোধন করা হয়েছে। বুঝাতে চাওয়া হয়েছে যে, যারা আল্লাহ্র অনুশাসন না মেনে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, তারা আল্লাহ্র নিকট নিজস্ব প্রিয়জন বলে প্রতীয়মান হয় না।
আয়াতঃ 084.021