আয়াতঃ 084.014
সে মনে করত যে, সে কখনও ফিরে যাবে না।
Verily, he thought that he would never come back (to Us)!
إِنَّهُ ظَنَّ أَن لَّن يَحُورَ
Innahu thanna an lan yahoora
YUSUFALI: Truly, did he think that he would not have to return (to Us)!
PICKTHAL: He verily deemed that he would never return (unto Allah).
SHAKIR: Surely he thought that he would never return.
KHALIFA: He thought that he will never be called to account.
১৪। সে তো মনে করেছিলো, তাকে [ আমার ] নিকট ফিরে আসতে হবে না ৬০৪২
১৫। না, না ! নিশ্চয়ই তার প্রভু [ সর্বদা ] তার সম্বন্ধে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
৬০৪২। পাপী ও দুবৃর্ত্ত লোকদের মাঝে এরূপ ধারণা বিদ্যমান থাকে যে পৃথিবীর জীবনই এ জীবনের শেষ। সুতারাং চিন্তা ভাবনাহীন উদ্দাম জীবনের স্রোতে তারা গা ভাসিয়ে দেয়, যে জীবনের কোন দায় দায়িত্ব তাদের নাই। কিন্তু তারা ভুলে যায় স্রষ্টা মানুষকে পৃথিবীর কর্মশালায় বিশাল দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। সে পৃথিবীতে আল্লাহ্র প্রতিনিধি। সুতারাং মানুষের প্রতিটি কাজ, কথা ও চিন্তার জন্য তার জবাবদিহিতা থাকবে আল্লাহ্র নিকট। সে ভুলে যায় যে প্রত্যেককে মৃত্যুর পরে আল্লাহ্র দরবারে নীত করা হবে এবং পৃথিবীর প্রতিটি কর্মের জবাবদিহিতার জন্য তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে, যারা এসব মনে রাখেন এবং আল্লাহ্র নির্দ্দের্শিত পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে পরলোকে জবাবদিহিতার জন্য সদা সতর্ক থাকেন। তাঁরাই ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে আত্মিক মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু যারা এই সত্যকে ভুলে যায় ও উদ্দাম জীবনযাপন করে এবং তাদের উপরে অর্পিত দায়িত্বকে অবজ্ঞা করে তাদের জন্যই পরলোকে আছে জাহান্নামের আগুন।
আয়াতঃ 084.015
কেন যাবে না, তার পালনকর্তা তো তাকে দেখতেন।
Yes! Verily, his Lord has been ever beholding him!
بَلَى إِنَّ رَبَّهُ كَانَ بِهِ بَصِيرًا
Bala inna rabbahu kana bihi baseeran
YUSUFALI: Nay, nay! for his Lord was (ever) watchful of him!
PICKTHAL: Nay, but lo! his Lord is ever looking on him!
SHAKIR: Yea! surely his Lord does ever see him.
KHALIFA: Yes indeed, his Lord was Seer of him.
১৪। সে তো মনে করেছিলো, তাকে [ আমার ] নিকট ফিরে আসতে হবে না ৬০৪২
১৫। না, না ! নিশ্চয়ই তার প্রভু [ সর্বদা ] তার সম্বন্ধে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
৬০৪২। পাপী ও দুবৃর্ত্ত লোকদের মাঝে এরূপ ধারণা বিদ্যমান থাকে যে পৃথিবীর জীবনই এ জীবনের শেষ। সুতারাং চিন্তা ভাবনাহীন উদ্দাম জীবনের স্রোতে তারা গা ভাসিয়ে দেয়, যে জীবনের কোন দায় দায়িত্ব তাদের নাই। কিন্তু তারা ভুলে যায় স্রষ্টা মানুষকে পৃথিবীর কর্মশালায় বিশাল দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। সে পৃথিবীতে আল্লাহ্র প্রতিনিধি। সুতারাং মানুষের প্রতিটি কাজ, কথা ও চিন্তার জন্য তার জবাবদিহিতা থাকবে আল্লাহ্র নিকট। সে ভুলে যায় যে প্রত্যেককে মৃত্যুর পরে আল্লাহ্র দরবারে নীত করা হবে এবং পৃথিবীর প্রতিটি কর্মের জবাবদিহিতার জন্য তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে, যারা এসব মনে রাখেন এবং আল্লাহ্র নির্দ্দের্শিত পথে জীবনযাপনের মাধ্যমে পরলোকে জবাবদিহিতার জন্য সদা সতর্ক থাকেন। তাঁরাই ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে আত্মিক মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু যারা এই সত্যকে ভুলে যায় ও উদ্দাম জীবনযাপন করে এবং তাদের উপরে অর্পিত দায়িত্বকে অবজ্ঞা করে তাদের জন্যই পরলোকে আছে জাহান্নামের আগুন।
আয়াতঃ 084.016
আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার
So I swear by the afterglow of sunset;
فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ
Fala oqsimu bialshshafaqi
YUSUFALI: So I do call to witness the ruddy glow of Sunset;
PICKTHAL: Oh, I swear by the afterglow of sunset,
SHAKIR: But nay! I swear by the sunset redness,
KHALIFA: I solemnly swear by the rosy dusk.
১৬। সুতারাং আমি শপথ করি ৬০৪৩, সূর্যাস্তের গোলাপী আভার ; ৬০৪৪
৬০৪৩। এখানে যে শপথগুলি করা হয়েছে তাদের শেষ উদ্দেশ্যকে বর্ণনা করা হয়েছে ১৯ নং আয়াতে যেখানে বলা হয়েছে, ” নিশ্চয় তোমরা ধাপে ধাপে আরোহণ করবে।” এ জীবনের কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। জীবনের এই অস্থায়ীশীলতাকে বুঝানো হয়েছে তিনটি দৃশ্যের উল্লেখের মাধ্যমে, যাদের শপথ করা হয়েছে। এই দৃশ্যগুলি মানুষ অনাদি অনন্তকাল থেকে পর্যবেক্ষণ করে আসছে,তবুও তারা ক্ষণস্থায়ী। স্বল্পকালীন তাদের অবস্থান, যেনো চোখের পলকে তারা অন্তর্হিত হয়ে যায়। দেখুন পরবর্তী টিকা সমূহ। পৃথিবীতে মানুষের জীবনও ঠিক তদ্রূপ ক্ষণস্থায়ী, দ্রুত ধাবমান দৃশ্যের ন্যায়। এ জীবন পরিপূর্ণতা ও স্থিতি লাভ করবে কবির ভাষায়, ” হেথা নয়, হেথা নয়,অন্য কোন খানে।”
৬০৪৪। ১) সূর্যের অবস্থান হচ্ছে জীবনের এক বাস্তব সত্য। সূর্য জীবনের সাথে এতটাই ওতপ্রেতভাবে জড়িত থাকে যে, মানুষ সূর্যকে দেবতারূপে পূঁজা করার প্রয়াস পায়। প্রভাতের সূর্য, মধ্যাহ্নের সূর্য, সন্ধ্যাকাশের দিগন্তের শেষ সূর্য প্রতিটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দিক্চক্রবালে যখন দিবসের সূর্য অস্ত যায় তখন পশ্চিম আকাশ রংএর আলপনায় ভরে যায়, তবে তার স্থায়ীত্ব খুবই স্বল্প। প্রভাতে সূর্যদয় থেকে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রতি মূহুর্তে সূর্যের রূপ পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এর দ্বারা সূর্যের ন্যায় শক্তিশালী বাস্তব সত্যের রূপের ক্ষণস্থায়ীত্বকে তুলে ধরা হয়েছে।