আয়াতঃ 074.025
এতো মানুষের উক্তি বৈ নয়।
”This is nothing but the word of a human being!”
إِنْ هَذَا إِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ
In hatha illa qawlu albashari
YUSUFALI: “This is nothing but the word of a mortal!”
PICKTHAL: This is naught else than speech of mortal man.
SHAKIR: This is naught but the word of a mortal.
KHALIFA: “This is human made.”
২০। হ্যাঁ, দুর্ভাগ্য তার; কেমন করে সে [ ষড়যন্ত্রের ] সিদ্ধান্তে উপনীত হলো।
২১। অতঃপর সে চর্তুদ্দিকে তাকালো;
২২। অতঃপর সে ভ্রূকুঞ্চিত এবং মুখ বিকৃত করলো ;
২৩। অতঃপর সে পিছন ফিরলো এবং দম্ভ প্রকাশ করলো।
২৪। অতঃপর সে বলেছিলো, ৫৭৯০, ” এটা তো প্রাচীনকাল হতে প্রাপ্ত যাদু ব্যতীত অন্য কিছু নয় ;
২৫। ” এটা তো মরণশীল মানুষের কথা।”
৫৭৯০। তফসীরকারদের মতানুসারে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় ওয়ালীদ বিন্ মুগাইরের আচরণ উপলক্ষে। ওয়ালিদ বিন মুগাইর ছিলো প্রাচীন ইটালীর নগরী সিবারিসের অধিবাসী বা সিবারাইট। তার মর্মস্থল পর্যন্ত ছিলো মোশরেকীতে পরিপূর্ণ। সে ছিলো এক আরব যার মোশরেকী ছিলো সংশোধনের অতীত। ফলে আল্লাহ্র রাসুলের জন্য সে ছিলো এক জঘন্য ব্যক্তি ও চিরশত্রু। সে এবং আবু জহল প্রথম থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে রাসুলকে (সা) সর্বপ্রকারে নির্যাতন করতে এবং ইসলামের প্রচারে বাঁধার সৃষ্টি করতে। রাসুল (সা) ও রাসুলের অনুসারী সাহাবাদের উপরে তারা যত প্রকার সম্ভব অত্যাচার ও নির্যাতন চালাতো। এরই পটভূমিতে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। কিন্তু এই আয়াতের আবেদন ব্যপক ও বিশ্বজনীন। ওয়ালিদের ন্যায় ব্যক্তি পৃথিবীর সর্বস্থানে সর্বকালে বিদ্যমান ছিলো, আছে এবং থাকবে। এরা ঐশ্বরিক বাণীর মর্ম অনুধাবনে অক্ষম সুতারাং ঐশ্বরিক বাণীর যে অলৌকিক প্রভাব সাধারণ মানুষের উপরে তা দর্শনে তারা হতভম্ব হয়ে পড়তো এবং তা ছিলো তাদের জন্য ব্যাখ্যার অতীত। সুতারাং তারা তা ব্যাখ্যা করতো যাদু হিসেবে। পরলোকের অনন্ত জীবন এবং সে জীবনের প্রত্যাশাকে তারা বিভ্রান্তি ব্যতীত অন্য কিছুই ধারণা করতো না।
আয়াতঃ 074.026
আমি তাকে দাখিল করব অগ্নিতে।
I will cast him into Hell-fire
سَأُصْلِيهِ سَقَرَ
Saosleehi saqara
YUSUFALI: Soon will I cast him into Hell-Fire!
PICKTHAL: Him shall I fling unto the burning.
SHAKIR: I will cast him into hell.
KHALIFA: I will commit him to retribution.
২৬। শীঘ্রই আমি তাঁকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবো ৫৭৯১।
৫৭৯১। পাপীদের মানসিকতা বিকৃত। আর এই বিকৃত মানসিকতার সমাপ্তি ঘটবে দোযখের আগুনে যা তার অন্তরের অন্তঃস্থলকে দহন করতে সক্ষম হবে।
আয়াতঃ 074.027
আপনি কি বুঝলেন অগ্নি কি?
And what will make you know exactly what Hell-fire is?
وَمَا أَدْرَاكَ مَا سَقَرُ
Wama adraka ma saqaru
YUSUFALI: And what will explain to thee what Hell-Fire is?
PICKTHAL: – Ah, what will convey unto thee what that burning is! –
SHAKIR: And what will make you realize what hell is?
KHALIFA: What retribution!
২৭। তুমি কি জাহান্নামের আগুনের ব্যাখ্যা জান ?
২৮। উহা তাদের তা সহ্য করার ক্ষমতাও দেবে না, আবার পরিত্যাগও করবে না। ৫৭৯২
২৯। মানুষের [গাত্রচর্মের ] রং পরিবর্তন করে কৃষ্ণবর্ণ করবে।
৫৭৯২। দোযখে পাপীদের অবস্থাকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তা হবে জীবনামৃত অবস্থা। সে সম্পূর্ণ জীবিতও থাকবে না বা সম্পূর্ণ মৃত্যুও তার ঘটবে না। দেখুন [ ৮৭ :১৩ ]। এ এক ত্রিশঙ্কু অবস্থা। সৎকর্মশীলদের কর্মের ফলাফল পরলোকেও তাদের সম্মান ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করবে, অপরপক্ষে পাপীদের কর্ম তাদের ধ্বংস ঢেকে আনবে যা পরলোকে তার সর্ব সত্ত্বাকে গ্রাস করে ফেলবে। কারণ সে আল্লাহ্র প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি পাপীরা তাদের অনুভূতিতে সর্বসত্তাতে শাস্তির অনুভূতি, যন্ত্রনার তীব্রতাকে সুতীক্ষ্ণ ভাবে অনুভবে সক্ষম হবে যা হবে অনন্তকাল স্থায়ী এবং যার থেকে তার মুক্তিলাভ ঘটবে না – আল্লাহ্র অনুগ্রহ ব্যতীত।
আয়াতঃ 074.028
এটা অক্ষত রাখবে না এবং ছাড়বেও না।
It spares not (any sinner), nor does it leave (anything unburnt)!
لَا تُبْقِي وَلَا تَذَرُ
La tubqee wala tatharu
YUSUFALI: Naught doth it permit to endure, and naught doth it leave alone!-
PICKTHAL: It leaveth naught; it spareth naught
SHAKIR: It leaves naught nor does it spare aught.
KHALIFA: Thorough and comprehensive.
২৭। তুমি কি জাহান্নামের আগুনের ব্যাখ্যা জান ?
২৮। উহা তাদের তা সহ্য করার ক্ষমতাও দেবে না, আবার পরিত্যাগও করবে না। ৫৭৯২
২৯। মানুষের [গাত্রচর্মের ] রং পরিবর্তন করে কৃষ্ণবর্ণ করবে।
৫৭৯২। দোযখে পাপীদের অবস্থাকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তা হবে জীবনামৃত অবস্থা। সে সম্পূর্ণ জীবিতও থাকবে না বা সম্পূর্ণ মৃত্যুও তার ঘটবে না। দেখুন [ ৮৭ :১৩ ]। এ এক ত্রিশঙ্কু অবস্থা। সৎকর্মশীলদের কর্মের ফলাফল পরলোকেও তাদের সম্মান ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করবে, অপরপক্ষে পাপীদের কর্ম তাদের ধ্বংস ঢেকে আনবে যা পরলোকে তার সর্ব সত্ত্বাকে গ্রাস করে ফেলবে। কারণ সে আল্লাহ্র প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি পাপীরা তাদের অনুভূতিতে সর্বসত্তাতে শাস্তির অনুভূতি, যন্ত্রনার তীব্রতাকে সুতীক্ষ্ণ ভাবে অনুভবে সক্ষম হবে যা হবে অনন্তকাল স্থায়ী এবং যার থেকে তার মুক্তিলাভ ঘটবে না – আল্লাহ্র অনুগ্রহ ব্যতীত।