- সূরার নাম: সূরা জ্বিন
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা জ্বিন
আয়াতঃ 072.001
বলুনঃ আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি;
Say (O Muhammad SAW): ”It has been revealed to me that a group (from three to ten in number) of jinns listened (to this Qur’ân). They said: ’Verily! We have heard a wonderful Recital (this Qur’ân)!
قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا
Qul oohiya ilayya annahu istamaAAa nafarun mina aljinni faqaloo inna samiAAna qur-anan AAajaban
YUSUFALI: Say: It has been revealed to me that a company of Jinns listened (to the Qur’an). They said, ‘We have really heard a wonderful Recital!
PICKTHAL: Say (O Muhammad): It is revealed unto me that a company of the Jinn gave ear, and they said: Lo! we have heard a marvellous Qur’an,
SHAKIR: Say: It has been revealed to me that a party of the jinn listened, and they said: Surely we have heard a wonderful Quran,
KHALIFA: Say, “I was inspired that a group of jinns listened, then said, `We have heard a wonderful Quran.
১। বল, ” আমার প্রতি প্রত্যাদেশ ৫৭২৭ প্রেরণ করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল ৫৭২৮ [ কুরআন পাঠ ] শুনেছে।” তারা বলেছিলো, ” আমরা তো এক বিস্ময়কর আবৃত্তি শুনেছি। ৫৭২৯
৫৭২৭। ওহী বা প্রত্যাদেশ বিভিন্নভাবে আল্লাহ্ পৃথিবীতে প্রেরণ করে থাকেন। আমাদের নবী হযরত মুহম্মদ মুস্তফা (সা) দিব্য দৃষ্টির সাহায্যে এবং অতিন্দ্রীয় শ্রবণ শক্তির সাহায্যে অদৃশ্য লোকের সকল কিছুই অনুধাবন করতে পারতেন। অদৃশ্যলোকের এরূপ একটি দৃশ্যের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আছে [ ৪৬ : ২৯- ৩২ ] আয়াতে এবং টিকা নং ৪৮০৯। জ্বিনেরা অবশ্যই অবগত ছিলো পূর্ববর্তী প্রত্যাদেশ যা হযরত মুসার নিকট প্রেরিত হয়েছিলো [ ৪৬ : ৩০ ] এবং এবং ক্রীশ্চানদের ত্রিতত্বের [ ৭২ : ৩ ] ভ্রান্তি সম্পর্কে। জ্বিনদের মাঝেও ভালো এবং মন্দের সংমিশ্রণ আছে। কিন্তু এই আয়াত সমূহে বলা হয়েছে যে তারা আল্লাহ্র একত্বের ধারণাকে শুনতে, বিশ্বাস করতে এবং প্রচার করতে দৃঢ় ভাবে আগ্রহী ছিলো।
৫৭২৮। জ্বিনদের জন্য দেখুন সূরা [ ৬: ১০০] আয়াতের টিকা ৯২৯। সাধারণভাবে জ্বিনদের সম্বন্ধে আমাদের বিশ্বাস যে, তারা আগুনের তৈরী অদৃশ্য প্রাণী। কিন্তু এই আয়াতের অর্থ যদি ব্যাপক অর্থে গ্রহণ করা হয়, তবে জ্বিন শব্দটি প্রযোজ্য হতে পারে আরবের নব আগন্তুকদের সম্বন্ধে যারা নূতন ধর্ম ইসলামের বাণী শুনেছিলো এবং বিশ্বাস করেছিলো তাদের ধারণামতে।
৫৭২৯। পবিত্র কোরআনের বাণী তাদের নিকট বিস্ময়কর বলে প্রতীয়মান হয়। কোরানের বাণীর বিষয়বস্তু, সমসাময়িক মোশরেক আরবদের জীবনযাত্রার পটভূমিতে এই বাণীর গভীরতা সত্যিই বিষ্ময়কর।
আয়াতঃ 072.002
যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করব না।
’It guides to the Right Path, and we have believed therein, and we shall never join (in worship) anything with our Lord (Allâh).
يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ وَلَن نُّشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا
Yahdee ila alrrushdi faamanna bihi walan nushrika birabbina ahadan
YUSUFALI: ‘It gives guidance to the Right, and we have believed therein: we shall not join (in worship) any (gods) with our Lord.
PICKTHAL: Which guideth unto righteousness, so we believe in it and we ascribe no partner unto our Lord.
SHAKIR: Guiding to the right way, so we believe in it, and we will not set up any one with our Lord:
KHALIFA: ” `It guides to righteousness, and we have believed in it; we will never set up any idols beside our Lord.
২। ” যা সঠিক পথ-নির্দ্দেশ দেয় এবং আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা আমাদের প্রভুর সাথে কখনও কাহাকেও শরীক করবো না।
৩। ” এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের প্রভুর মর্যদা ; তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্নী, না কোন সন্তান। ৫৭৩০
৫৭৩০। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভিন্ন অপবাদকে শপথ দ্বারা পরিত্যাগ করা হয়েছে। আল্লাহ্র কোনও পত্নী নাই বা তিনি কোন সন্তানও গ্রহণ করেন নাই।
আয়াতঃ 072.003
এবং আরও বিশ্বাস করি যে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই।
’And exalted be the Majesty of our Lord, He has taken neither a wife, nor a son (or offspring or children).
وَأَنَّهُ تَعَالَى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا
Waannahu taAAala jaddu rabbina ma ittakhatha sahibatan wala waladan