- সূরার নাম: সূরা কিয়ামত
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা কিয়ামত
আয়াতঃ 075.001
আমি শপথ করি কেয়ামত দিবসের,
I swear by the Day of Resurrection;
لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ
La oqsimu biyawmi alqiyamati
YUSUFALI: I do call to witness the Resurrection Day;
PICKTHAL: Nay, I swear by the Day of Resurrection;
SHAKIR: Nay! I swear by the day of resurrection.
KHALIFA: I swear by the Day of Resurrection.
================
সূরা কিয়ামত বা পুণরুত্থান – ৭৫
৪০ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটিও প্রাথমিক মক্কী সূরা। তবে পূর্বের সূরা দুটি অবতীর্ণ হওয়ার বেশ পরে এটি অবতীর্ণ হয়।
এই সূরার বিষয়বস্তু হচ্ছে মৃত্যুর পরে পুণরুত্থান। পুণরুত্থানের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে সেই সব লোকদের মনঃস্তাত্বিক ইতিহাস যাদের বর্তমানে বা ভবিষ্যতে কখনই সংশোধন করা সম্ভব নয়।
================
সূরা কিয়ামত বা পুণরুত্থান – ৭৫
৪০ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। আমি শপথ করছি কেয়ামত দিবসের ৫৮০৯।
৫৮০৯। দেখুন [ ৭০ : ৪ ] আয়াত ও টিকা ৫৭০০। এই আয়াত ও পরবর্তী আয়াতে দুটো বিষয়ের প্রতি মনোযোগের সাথে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
১) কেয়ামত দিবস – যে দিবসে পৃথিবীর সকল কাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে; পাপীরা পুণরুত্থান দিবসে তাদের উপযুক্ত প্রতিদান লাভ করবে।
২) প্রতিটি মানুষের মাঝে বিবেক বিদ্যমান যে বিবেক তাকে তার পাপের দরুণ ভৎর্সনা করবে যদি না সে সেই বিবেককে অবদমিত করে রাখে।
আয়াতঃ 075.002
আরও শপথ করি সেই মনের, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়-
And I swear by the self-reproaching person (a believer).
وَلَا أُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِ
Wala oqsimu bialnnafsi allawwamati
YUSUFALI: And I do call to witness the self-reproaching spirit: (Eschew Evil).
PICKTHAL: Nay, I swear by the accusing soul (that this Scripture is true).
SHAKIR: Nay! I swear by the self-accusing soul.
KHALIFA: And I swear by the blaming soul.
২। এবং শপথ করছি আত্ম-ভৎর্সনাকারী আত্মার ৫৮১০।
৫৮১০। জ্ঞানী ব্যক্তিরা আত্মার বিকাশকে তিনটি ধাপে বর্ণনা করেছেন।
১) ‘Ammara’ [ ১২ : ৫৩ ] – এ অবস্থায় আত্মার পাপের প্রতি আসক্তি প্রবল থাকে। যদি তা প্রতিরোধ করা না হয় এবং নিয়ন্ত্রিত করা না হয়, তবে সে সব আত্মার ধ্বংস অবশ্যম্ভবী।
২) ‘lawwana’ – এ অবস্থা প্রাপ্ত আত্মারা নিজের মাঝে বিবেকের পীড়ন অনুভব করে, ফলে তারা পাপকে প্রতিহত করে এবং আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে,অনুতাপের মাধ্যমে এবং আল্লাহ্র করুণা ও দয়ার প্রার্থী হয়। এ সব আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম।
৩) ‘Mutmainna’ [ ৮৯ : ২৭ ] – এটা হচ্ছে আত্মিক উন্নতির সর্বোচ্চ ধাপ। যে এই ধাপে পৌঁছাতে সক্ষম হন তাঁর জন্য আছে অপার শান্তি ও বিশ্রাম। আত্মার বিকাশের দ্বিতীয় ধাপকে বলা যায় আত্মার মাঝে বিবেকের প্রকাশ। যদিও ইংরেজীতে বিবেক অর্থ করা হয় মনের এক বিশেষ দক্ষতা বা অবস্থা – তারা বিবেককে আত্মিক বিকাশের ধাপ হিসেবে পরিগণিত করতে সম্মত নয়।
আয়াতঃ 075.003
মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না?
Does man (a disbeliever) think that We shall not assemble his bones?
أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَلَّن نَجْمَعَ عِظَامَهُ
Ayahsabu al-insanu allan najmaAAa AAithamahu
YUSUFALI: Does man think that We cannot assemble his bones?
PICKTHAL: Thinketh man that We shall not assemble his bones?
SHAKIR: Does man think that We shall not gather his bones?
KHALIFA: Does the human being think that we will not reconstruct his bones?
—————-
৩। মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অস্থিসমুহ একত্র করতে পারবো না। ৫৮১১
৫৮১১। অবিশ্বাসীরা সাধারণতঃ মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাসী নয়। সুতারাং তারা বলে যে, ” যখন আমরা অস্থিতে পরিণত ও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাব, তখনও কি নতুন করে সৃজিত হয়ে উত্থিত হব ?” [ ১৭ : ৪৯]। এই বক্তব্য থেকে আল্লাহ্র ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাস সুস্পষ্টরূপে প্রতিভাত হয়। তাদের এই জিজ্ঞাসার একটাই উত্তর আর তা হচ্ছে : আল্লাহ্ সে ভাবেই আমাদের বলেছেন এবং তিনি তা করবেন। মৃত্যুই মনুষ্য জন্মের শেষ কথা নয়।
আয়াতঃ 075.004
পরন্ত আমি তার অংগুলিগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।
Yes, We are Able to put together in perfect order the tips of his fingers.
بَلَى قَادِرِينَ عَلَى أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُ
Bala qadireena AAala an nusawwiya bananahu
YUSUFALI: Nay, We are able to put together in perfect order the very tips of his fingers.
PICKTHAL: Yea, verily. We are Able to restore his very fingers!
SHAKIR: Yea! We are able to make complete his very fingertips
KHALIFA: Yes indeed; we are able to reconstruct his finger tip.
৪। বস্তুত আমি তাদের অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত পুণর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম। ৫৮১২
১২। ” অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত ” এই বাক্যটি দ্বারা বুঝাতে চাওয়া হয়েছে যে, শরীরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জটিল অংশেরও পুণঃসৃষ্টি আল্লাহ্র পক্ষে সম্ভব।
আয়াতঃ 075.005
বরং মানুষ তার ভবিষ্যত জীবনেও ধৃষ্টতা করতে চায়
Nay! (Man denies Resurrection and Reckoning. So) he desires to continue committing sins.
بَلْ يُرِيدُ الْإِنسَانُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُ
Bal yureedu al-insanu liyafjura amamahu
YUSUFALI: But man wishes to do wrong (even) in the time in front of him.
PICKTHAL: But man would fain deny what is before him.
SHAKIR: Nay! man desires to give the lie to what is before him.
KHALIFA: But the human being tends to believe only what he sees in front of him.
৫। তবুও মানুষ পাপ করতে চায়, [ এমনকি ] ভবিষ্যতেও ৫৮১৩,
৫৮১৩। “এমন কি ভবিষ্যতেও ” এই বাক্যটি দ্বারা যে মৃত্যু ও কেয়ামতকে বিশ্বাস করে না সে তার অতীত পাপের জন্য অনুতাপ করবে না। যে সব পাপী কেয়ামত দিবসকে অস্বীকার করে, বুঝতে হবে তাদের মাঝে বিবেক অনুপস্থিত, সুতারাং তারা তাদের পাপের পথে চলতে বদ্ধ পরিকর যা তাদের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করবে।
আয়াতঃ 075.006
সে প্রশ্ন করে-কেয়ামত দিবস কবে?
He asks: ”When will be this Day of Resurrection?”
يَسْأَلُ أَيَّانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ
Yas-alu ayyana yawmu alqiyamati
YUSUFALI: He questions: “When is the Day of Resurrection?”
PICKTHAL: He asketh: When will be this Day of Resurrection?
SHAKIR: He asks: When is the day of resurrection?
KHALIFA: He doubts the Day of Resurrection!
৬। সে জিজ্ঞাসা করে পুণরুত্থানের দিন কবে আসবে ? ” ৫৮১৪
৫৮১৪। প্রশ্নটি হচ্ছে উপহাসমূলক এবং এর মাধ্যমে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। কাফেররা বিশ্বাস করে না পরলোকের জবাবদিহিতায়। প্রকৃত পক্ষে তারা পরলোকের অনন্ত জীবনে বিশ্বাসী নয়। তারা বিশ্বাস করে যে মৃত্যুই জীবনের শেষ পরিসমাপ্তি।
আয়াতঃ 075.007
যখন দৃষ্টি চমকে যাবে,
So, when the sight shall be dazed,
فَإِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ
Fa-itha bariqa albasaru
YUSUFALI: At length, when the sight is dazed,
PICKTHAL: But when sight is confounded
SHAKIR: So when the sight becomes dazed,
KHALIFA: Once the vision is sharpened.
৭। অবশেষে, যখন চক্ষু স্থির হয়ে যাবে ৫৮১৫;
৫৮১৫। শেষ বিচারের দিনের ছবি এই আয়াতে আঁকা হয়েছে, সেদিন আল্লাহ্র মহিমা ও নূরের ছটায় সারা বিশ্ব ব্রহ্মান্ড আলোকিত হয়ে পড়বে। সেই অত্যুজ্জ্বল আলোর তীব্রতা এতটাই প্রখর হবে যে, সাধারণ মানুষের চোখ সে আলোতে ধাঁধিয়ে যাবে। বর্তমানের চেনা পৃথিবী ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। দেখুন সূরা [ ২৪ : ৪৮]।
আয়াতঃ 075.008
চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।
And the moon will be eclipsed,
وَخَسَفَ الْقَمَرُ
Wakhasafa alqamaru
YUSUFALI: And the moon is buried in darkness.
PICKTHAL: And the moon is eclipsed
SHAKIR: And the moon becomes dark,
KHALIFA: And the moon is eclipsed.
৮। এবং চাঁদ অন্ধকারে ডুবে যাবে ৫৮১৬, –
৫৮১৬। সে দিন সেই আলোতে শুধু যে মানুষের চক্ষু ধাঁধিঁয়ে যাবে তাই-ই নয়, চাঁদের আলোও অন্তর্হিত হয়ে পড়বে। চাঁদ সেদিন তার আলোর উৎস বঞ্চিত হয়ে যাবে ফলে সে পৃথিবীতে আলো প্রতিফলিত করতে অক্ষম হবে। ঠিক সেরূপ অনন্ত সত্য ব্যতীত – যে সত্য ভ্রান্ত, সে সত্য চাঁদের আলোর ন্যায় প্রতিফলিত সত্য অর্থাৎ যার কোন প্রকৃত ভিত্তি নাই তা সব অন্তর্হিত হয়ে পড়বে এবং প্রকৃত বা অনন্ত সত্যের রূপ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে জুড়ে বিরাজ করবে।
আয়াতঃ 075.009
এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে-
And the sun and moon will be joined together (by going one into the other or folded up or deprived of their light, etc.)
وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ
WajumiAAa alshshamsu waalqamaru
YUSUFALI: And the sun and moon are joined together,-
PICKTHAL: And sun and moon are united,
SHAKIR: And the sun and the moon are brought together,
KHALIFA: And the sun and the moon crash into one another.
৯। সূর্য এবং চন্দ্র একত্রে মিলিত হবে ৫৮১৭,
৫৮১৭। চন্দ্রের নিকট সূর্য হচ্ছে আলোর উৎস। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, সূর্যের আলোকেও সৃষ্টি করা হয়েছে। কেয়ামত দিবসে শুধু যে চাঁদই তার আলো হারিয়ে ফেলবে তাই-ই নয়, সূর্যও তার আলো হারিয়ে ফেলবে। সূর্য চন্দ্র প্রত্যেকেই হবে বৈশিষ্ট্যহীন,নিস্প্রভ, শূন্য, যাদের আলো নিভিয়ে দেয়া হয়েছে, যাদের অত্যুজ্জ্বল আলোর বন্যা শেষ করে দেয়া হয়েছে। কারণ আল্লাহ্র নূরের অত্যুজ্জ্বল বন্যায় সর্বদিক উদ্ভাসিত থাকবে সেই নূতন পৃথিবীতে। দেখুন [ ৩৯ : ৬৯ ] আয়াতের টিকা ৪৩৪৪।
আয়াতঃ 075.010
সে দিন মানুষ বলবেঃ পলায়নের জায়গা কোথায় ?
On that Day man will say: ”Where (is the refuge) to flee?”
يَقُولُ الْإِنسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ
Yaqoolu al-insanu yawma-ithin ayna almafarru
YUSUFALI: That Day will Man say: “Where is the refuge?”
PICKTHAL: On that day man will cry: Whither to flee!
SHAKIR: Man shall say on that day: Whither to fly to?
KHALIFA: The human being will say on that day, “Where is the escape?”
১০। সেদিন মানুষ বলবে, ” [ আজ ] আশ্রয় কোথায় ? ”
১১। না কোন নিরাপদ আশ্রয়স্থল নাই !
১২। সেদিন [ একমাত্র ] তোমার প্রভুর নিকট থাকবে বিশ্রামের স্থান।
১৩। সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে [ যা কিছু ] সে অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং যা কিছু সে পিছনে রেখে এসেছে ৫৮১৮।
৫৮১৮। ভালো-মন্দ, পাপ-পূণ্য, কোনও কাজই মহাকালের খাতায় হারিয়ে যায় না। মানুষের প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য সকল পাপ, মানুষ ভালো বা মন্দ যে কাজই করুক না কেন, সবই তাৎক্ষনিক ভাবে আল্লাহ্র নিকট নীত হয়। পৃথিবীতে মানুষ ভালো যা গ্রহণ করে, মন্দ যা প্রতিহত করে, তাঁর চিন্তা ও চেতনার জগতে যা সে ধারণ করে বা প্রতিফলিত করে বা ত্যাগ করে সবই মহাকালের খাতায় মানুষের পরলোকে গমনের বহু পূর্বেই ধারণ করা হয়ে থাকে।
আয়াতঃ 075.011
না কোথাও আশ্রয়স্থল নেই।
No! There is no refuge!
كَلَّا لَا وَزَرَ
Kalla la wazara
YUSUFALI: By no means! No place of safety!
PICKTHAL: Alas! No refuge!
SHAKIR: By no means! there shall be no place of refuge!
KHALIFA: Absolutely, there is no escape.
১০। সেদিন মানুষ বলবে, ” [ আজ ] আশ্রয় কোথায় ? ”
১১। না কোন নিরাপদ আশ্রয়স্থল নাই !
১২। সেদিন [ একমাত্র ] তোমার প্রভুর নিকট থাকবে বিশ্রামের স্থান।
১৩। সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে [ যা কিছু ] সে অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং যা কিছু সে পিছনে রেখে এসেছে ৫৮১৮।
৫৮১৮। ভালো-মন্দ, পাপ-পূণ্য, কোনও কাজই মহাকালের খাতায় হারিয়ে যায় না। মানুষের প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য সকল পাপ, মানুষ ভালো বা মন্দ যে কাজই করুক না কেন, সবই তাৎক্ষনিক ভাবে আল্লাহ্র নিকট নীত হয়। পৃথিবীতে মানুষ ভালো যা গ্রহণ করে, মন্দ যা প্রতিহত করে, তাঁর চিন্তা ও চেতনার জগতে যা সে ধারণ করে বা প্রতিফলিত করে বা ত্যাগ করে সবই মহাকালের খাতায় মানুষের পরলোকে গমনের বহু পূর্বেই ধারণ করা হয়ে থাকে।
আয়াতঃ 075.012
আপনার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাঁই হবে।
Unto your Lord (Alone) will be the place of rest that Day.
إِلَى رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمُسْتَقَرُّ
Ila rabbika yawma-ithin almustaqarru
YUSUFALI: Before thy Lord (alone), that Day will be the place of rest.
PICKTHAL: Unto thy Lord is the recourse that day.
SHAKIR: With your Lord alone shall on that day be the place of rest.
KHALIFA: To your Lord, on that day, is the final destiny.
১০। সেদিন মানুষ বলবে, ” [ আজ ] আশ্রয় কোথায় ? ”
১১। না কোন নিরাপদ আশ্রয়স্থল নাই !
১২। সেদিন [ একমাত্র ] তোমার প্রভুর নিকট থাকবে বিশ্রামের স্থান।
১৩। সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে [ যা কিছু ] সে অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং যা কিছু সে পিছনে রেখে এসেছে ৫৮১৮।
৫৮১৮। ভালো-মন্দ, পাপ-পূণ্য, কোনও কাজই মহাকালের খাতায় হারিয়ে যায় না। মানুষের প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য সকল পাপ, মানুষ ভালো বা মন্দ যে কাজই করুক না কেন, সবই তাৎক্ষনিক ভাবে আল্লাহ্র নিকট নীত হয়। পৃথিবীতে মানুষ ভালো যা গ্রহণ করে, মন্দ যা প্রতিহত করে, তাঁর চিন্তা ও চেতনার জগতে যা সে ধারণ করে বা প্রতিফলিত করে বা ত্যাগ করে সবই মহাকালের খাতায় মানুষের পরলোকে গমনের বহু পূর্বেই ধারণ করা হয়ে থাকে।
আয়াতঃ 075.013
সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে যা সামনে প্রেরণ করেছে ও পশ্চাতে ছেড়ে দিয়েছে।
On that Day man will be informed of what he sent forward (of his evil or good deeds), and what he left behind (of his good or evil traditions).
يُنَبَّأُ الْإِنسَانُ يَوْمَئِذٍ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ
Yunabbao al-insanu yawma-ithin bima qaddama waakhkhara
YUSUFALI: That Day will Man be told (all) that he put forward, and all that he put back.
PICKTHAL: On that day man is told the tale of that which he hath sent before and left behind.
SHAKIR: Man shall on that day be informed of what he sent before and (what he) put off.
KHALIFA: The human being will be informed, on that day, of everything he did to advance himself, and everything he did to regress himself.
১০। সেদিন মানুষ বলবে, ” [ আজ ] আশ্রয় কোথায় ? ”
১১। না কোন নিরাপদ আশ্রয়স্থল নাই !
১২। সেদিন [ একমাত্র ] তোমার প্রভুর নিকট থাকবে বিশ্রামের স্থান।
১৩। সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে [ যা কিছু ] সে অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং যা কিছু সে পিছনে রেখে এসেছে ৫৮১৮।
৫৮১৮। ভালো-মন্দ, পাপ-পূণ্য, কোনও কাজই মহাকালের খাতায় হারিয়ে যায় না। মানুষের প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য সকল পাপ, মানুষ ভালো বা মন্দ যে কাজই করুক না কেন, সবই তাৎক্ষনিক ভাবে আল্লাহ্র নিকট নীত হয়। পৃথিবীতে মানুষ ভালো যা গ্রহণ করে, মন্দ যা প্রতিহত করে, তাঁর চিন্তা ও চেতনার জগতে যা সে ধারণ করে বা প্রতিফলিত করে বা ত্যাগ করে সবই মহাকালের খাতায় মানুষের পরলোকে গমনের বহু পূর্বেই ধারণ করা হয়ে থাকে।
আয়াতঃ 075.014
বরং মানুষ নিজেই তার নিজের সম্পর্কে চক্ষুমান।
Nay! Man will be a witness against himself [as his body parts (skin, hands, legs, etc.) will speak about his deeds].
بَلِ الْإِنسَانُ عَلَى نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ
Bali al-insanu AAala nafsihi baseeratun
YUSUFALI: Nay, man will be evidence against himself,
PICKTHAL: Oh, but man is a telling witness against himself,
SHAKIR: Nay! man is evidence against himself,
KHALIFA: The human being will be his own judge.
১৪। বরং মানুষ নিজেই নিজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দেবে, ৫৮১৯
১৫। যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে।
৫৮১৯। দেখুন সূরা [ ২৪ : ২৪ ] আয়াত ও টিকা ২৯৭৬। যেখানে বলা হয়েছে, ” যেদিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করতো।” প্রতিটি মানুষের দ্বৈত সত্ত্বা বিদ্যমান। একটি সত্ত্বা তার বিবেক যা তাকে সত্য ও ন্যায়ের পথে সর্বদা আহ্বান করে ও পাপ কাজে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। অন্য সত্ত্বা পাপের পথে প্রলোভিত করে এটা হচ্ছে ব্যক্তির অন্ধকার সত্ত্বা। সুতারাং ভালো মন্দ সকল কাজের প্রমাণ মানুষ নিজেই। মানুষ নিজেই নিজের সম্বন্ধে সম্যক অবগত বা প্রমাণ স্বরূপ। পৃথিবীতে পাপীদের বিবেক থাকে অর্দ্ধমৃত অবস্থায় ; পাপের প্রচন্ড চাপে বিবেক থাকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু কেয়ামত দিবসের চিত্র হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। মানুষ তার কৃত পাপ কর্মকে অস্বীকার করলেও, বিবেক সেদিন হবে জাগ্রত ও শক্তিশালী। এই বিবেকের অনুশাসনে পাপীদের নিজস্ব অংগ প্রত্যঙ্গ যার মাধ্যমে সে পাপ কার্য সমাধা করেছে তারা পৃথিবীর পাপ কার্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপিত হবে। মানুষ নিজের সম্বন্ধে কি বলে, বা অন্যে তার সম্বন্ধে কি ধারণা করে তার দ্বারা তার বিচার হবে না তার বিচার হবে প্রকৃতপক্ষে সে কিভাবে নিজেকে পৃথিবীর জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছে প্রকাশ্যে বা গোপনে যে ভাবেই হোক না কেন, তারই প্রেক্ষাপটে। অর্থাৎ মানুষ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে সে কি ছিলো সেটাই হবে তার বিচারের বিবেচ্য বিষয়। আর এ ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা প্রধান সাক্ষী হবে সে নিজে অর্থাৎ তার বিবেক বা ব্যক্তিত্ব যা তার প্রতিটি পাপ কাজের বিরুদ্ধাচারণ করবে ও নিন্দা জ্ঞাপন করবে।
আয়াতঃ 075.015
যদিও সে তার অজুহাত পেশ করতে চাইবে।
Though he may put forth his excuses (to cover his evil deeds).
وَلَوْ أَلْقَى مَعَاذِيرَهُ
Walaw alqa maAAatheerahu
YUSUFALI: Even though he were to put up his excuses.
PICKTHAL: Although he tender his excuses.
SHAKIR: Though he puts forth his excuses.
KHALIFA: No excuses will be accepted.
১৪। বরং মানুষ নিজেই নিজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দেবে, ৫৮১৯
১৫। যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে।
৫৮১৯। দেখুন সূরা [ ২৪ : ২৪ ] আয়াত ও টিকা ২৯৭৬। যেখানে বলা হয়েছে, ” যেদিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করতো।” প্রতিটি মানুষের দ্বৈত সত্ত্বা বিদ্যমান। একটি সত্ত্বা তার বিবেক যা তাকে সত্য ও ন্যায়ের পথে সর্বদা আহ্বান করে ও পাপ কাজে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। অন্য সত্ত্বা পাপের পথে প্রলোভিত করে এটা হচ্ছে ব্যক্তির অন্ধকার সত্ত্বা। সুতারাং ভালো মন্দ সকল কাজের প্রমাণ মানুষ নিজেই। মানুষ নিজেই নিজের সম্বন্ধে সম্যক অবগত বা প্রমাণ স্বরূপ। পৃথিবীতে পাপীদের বিবেক থাকে অর্দ্ধমৃত অবস্থায় ; পাপের প্রচন্ড চাপে বিবেক থাকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু কেয়ামত দিবসের চিত্র হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। মানুষ তার কৃত পাপ কর্মকে অস্বীকার করলেও, বিবেক সেদিন হবে জাগ্রত ও শক্তিশালী। এই বিবেকের অনুশাসনে পাপীদের নিজস্ব অংগ প্রত্যঙ্গ যার মাধ্যমে সে পাপ কার্য সমাধা করেছে তারা পৃথিবীর পাপ কার্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপিত হবে। মানুষ নিজের সম্বন্ধে কি বলে, বা অন্যে তার সম্বন্ধে কি ধারণা করে তার দ্বারা তার বিচার হবে না তার বিচার হবে প্রকৃতপক্ষে সে কিভাবে নিজেকে পৃথিবীর জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছে প্রকাশ্যে বা গোপনে যে ভাবেই হোক না কেন, তারই প্রেক্ষাপটে। অর্থাৎ মানুষ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে সে কি ছিলো সেটাই হবে তার বিচারের বিবেচ্য বিষয়। আর এ ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা প্রধান সাক্ষী হবে সে নিজে অর্থাৎ তার বিবেক বা ব্যক্তিত্ব যা তার প্রতিটি পাপ কাজের বিরুদ্ধাচারণ করবে ও নিন্দা জ্ঞাপন করবে।
আয়াতঃ 075.016
তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না।
Move not your tongue concerning (the Qur’ân, O Muhammad SAW) to make haste therewith.
لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ
La tuharrik bihi lisanaka litaAAjala bihi
YUSUFALI: Move not thy tongue concerning the (Qur’an) to make haste therewith.
PICKTHAL: Stir not thy tongue herewith to hasten it.
SHAKIR: Do not move your tongue with it to make haste with it,
KHALIFA: Do not move your tongue to hasten it.
১৬। [ হে মুহম্মদ ] তাড়াতাড়ি [ কুর-আনকে ] আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিহ্বা তাহার [ জিব্রাইলের ] সাথে নাড়িও না। ৫৮২০
১৭। ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই ;
১৮। অতএব, যখন আমি তা পাঠ করি, তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর,
১৯। উপরন্তু এর ব্যাখ্যার [ ও বুঝানোর ] দায়িত্ব আমারই।
৫৮২০। এ পর্যন্ত কেয়ামত পরিস্থিতির ভয়াবহতা আলোচিত হলো। পরেও আলোচনা আসবে। মাঝ খানে চার আয়াতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে একটি বিশেষ নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে, যা ওহী নাযিল হওয়ার সময় অবতীর্ণ আয়াতগুলি সম্পর্কিত। অনরুপ আয়াত দেখুন [ ২০: ১১৪ ] ও টিকা ২৬৩৯। সেখানে বলা হয়েছে, “আপনার প্রতি আল্লাহ্র ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরাণ গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না।” সূরা নং ৭৫ হচ্ছে প্রাথমিক অবতীর্ণ সূরাগুলির অন্যতম এবং এই আয়াতের নির্দ্দেশ পরের সূরার নির্দ্দেশ অপেক্ষা সামান্য ভিন্নতর। এই নির্দ্দেশ গুলির তাৎক্ষনিক অর্থ হচ্ছে যে এর মাধ্যমে রাসুলকে (সা) নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে যে, প্রত্যাদেশকে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে, যেনো তা তাঁর অন্তরে গভীর ভাবে প্রবেশ লাভ করে ও রেখাপাত করে। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ কোরান সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্। এবং সময়ের বৃহত্তর পরিসরে আল্লাহ্র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। কোরাণকে আল্লাহ্ মানুষের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করেছেন, সংরক্ষণ করেছেন এবং এর সামান্যতম অংশও হারিয়ে যেতে দেন নাই। আজ থেকে চৌদ্দশ বৎসর পূর্বে কোরাণ যা ছিলো চৌদ্দশত বৎসর পরেও কোরাণ সেই অবিকৃত অবস্থায় আছে যা অন্যান্য কিতাবের বা ধর্মগ্রন্থের বেলায় ঘটে নাই। এখানে কোরাণ অনুসরণ মানে চুপ করে জিব্রাইলের পাঠ শ্রবণ করা। পরবর্তী আয়াত সমূহে রাসুলকে বলা হয়েছে যে, অবতীর্ণ আয়াত সমূহের সঠিক মর্ম ও উপদেশসমূহ বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র। অর্থাৎ এর সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে আল্লাহ্র দেয়া মানসিক দক্ষতার তারতম্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকে কোরাণের বাণীর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। যদিও এই আয়াতটি রাসুলকে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়, তবুও এর আবেদন সার্বজনীন। আল্লাহ্র কালাম হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অধৈর্য্য বা তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নাই। তাড়াহুড়োর মাধ্যমে এই বাণীকে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। কোরাণের বাণীকে প্রশান্ত হৃদয়ে গভীর অভিনিবেশ সহকারে, আন্তরিক মনোযোগের সাথে, হৃদয়ঙ্গম করার জন্য চেষ্টা করতে হবে, তবেই প্রত্যেকেই তার স্ব স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী তা অনুধাবনে সক্ষম হবে। কারণ আল্লাহ্ সকলকে সমান মানসিক দক্ষতা প্রদান করেন নাই। সুতারাং আমাদের যে মন্দ প্রথা চালু আছে আমরা বিশাস করি যে, না বুঝে আরবীতে দ্রুত কোরাণ সমাপ্ত করলেই অশেষ সওয়াব লাভ করা যাবে তা সঠিক নয়।
আয়াতঃ 075.017
এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব।
It is for Us to collect it and to give you (O Muhammad SAW) the ability to recite it (the Qur’ân),
إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ
Inna AAalayna jamAAahu waqur-anahu
YUSUFALI: It is for Us to collect it and to promulgate it:
PICKTHAL: Lo! upon Us (resteth) the putting together thereof and the reading thereof.
SHAKIR: Surely on Us (devolves) the collecting of it and the reciting of it.
KHALIFA: It is we who will collect it into Quran.
১৬। [ হে মুহম্মদ ] তাড়াতাড়ি [ কুর-আনকে ] আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিহ্বা তাহার [ জিব্রাইলের ] সাথে নাড়িও না। ৫৮২০
১৭। ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই ;
১৮। অতএব, যখন আমি তা পাঠ করি, তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর,
১৯। উপরন্তু এর ব্যাখ্যার [ ও বুঝানোর ] দায়িত্ব আমারই।
৫৮২০। এ পর্যন্ত কেয়ামত পরিস্থিতির ভয়াবহতা আলোচিত হলো। পরেও আলোচনা আসবে। মাঝ খানে চার আয়াতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে একটি বিশেষ নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে, যা ওহী নাযিল হওয়ার সময় অবতীর্ণ আয়াতগুলি সম্পর্কিত। অনরুপ আয়াত দেখুন [ ২০: ১১৪ ] ও টিকা ২৬৩৯। সেখানে বলা হয়েছে, “আপনার প্রতি আল্লাহ্র ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরাণ গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না।” সূরা নং ৭৫ হচ্ছে প্রাথমিক অবতীর্ণ সূরাগুলির অন্যতম এবং এই আয়াতের নির্দ্দেশ পরের সূরার নির্দ্দেশ অপেক্ষা সামান্য ভিন্নতর। এই নির্দ্দেশ গুলির তাৎক্ষনিক অর্থ হচ্ছে যে এর মাধ্যমে রাসুলকে (সা) নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে যে, প্রত্যাদেশকে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে, যেনো তা তাঁর অন্তরে গভীর ভাবে প্রবেশ লাভ করে ও রেখাপাত করে। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ কোরান সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্। এবং সময়ের বৃহত্তর পরিসরে আল্লাহ্র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। কোরাণকে আল্লাহ্ মানুষের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করেছেন, সংরক্ষণ করেছেন এবং এর সামান্যতম অংশও হারিয়ে যেতে দেন নাই। আজ থেকে চৌদ্দশ বৎসর পূর্বে কোরাণ যা ছিলো চৌদ্দশত বৎসর পরেও কোরাণ সেই অবিকৃত অবস্থায় আছে যা অন্যান্য কিতাবের বা ধর্মগ্রন্থের বেলায় ঘটে নাই। এখানে কোরাণ অনুসরণ মানে চুপ করে জিব্রাইলের পাঠ শ্রবণ করা। পরবর্তী আয়াত সমূহে রাসুলকে বলা হয়েছে যে, অবতীর্ণ আয়াত সমূহের সঠিক মর্ম ও উপদেশসমূহ বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র। অর্থাৎ এর সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে আল্লাহ্র দেয়া মানসিক দক্ষতার তারতম্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকে কোরাণের বাণীর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। যদিও এই আয়াতটি রাসুলকে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়, তবুও এর আবেদন সার্বজনীন। আল্লাহ্র কালাম হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অধৈর্য্য বা তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নাই। তাড়াহুড়োর মাধ্যমে এই বাণীকে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। কোরাণের বাণীকে প্রশান্ত হৃদয়ে গভীর অভিনিবেশ সহকারে, আন্তরিক মনোযোগের সাথে, হৃদয়ঙ্গম করার জন্য চেষ্টা করতে হবে, তবেই প্রত্যেকেই তার স্ব স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী তা অনুধাবনে সক্ষম হবে। কারণ আল্লাহ্ সকলকে সমান মানসিক দক্ষতা প্রদান করেন নাই। সুতারাং আমাদের যে মন্দ প্রথা চালু আছে আমরা বিশাস করি যে, না বুঝে আরবীতে দ্রুত কোরাণ সমাপ্ত করলেই অশেষ সওয়াব লাভ করা যাবে তা সঠিক নয়।
আয়াতঃ 075.018
অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন।
And when We have recited it to you [O Muhammad SAW through Jibrael (Gabriel)], then follow you its (the Qur’ân’s) recital.
فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ
Fa-itha qara/nahu faittabiAA qur-anahu
YUSUFALI: But when We have promulgated it, follow thou its recital (as promulgated):
PICKTHAL: And when We read it, follow thou the reading;
SHAKIR: Therefore when We have recited it, follow its recitation.
KHALIFA: Once we recite it, you shall follow such a Quran.
১৬। [ হে মুহম্মদ ] তাড়াতাড়ি [ কুর-আনকে ] আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিহ্বা তাহার [ জিব্রাইলের ] সাথে নাড়িও না। ৫৮২০
১৭। ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই ;
১৮। অতএব, যখন আমি তা পাঠ করি, তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর,
১৯। উপরন্তু এর ব্যাখ্যার [ ও বুঝানোর ] দায়িত্ব আমারই।
৫৮২০। এ পর্যন্ত কেয়ামত পরিস্থিতির ভয়াবহতা আলোচিত হলো। পরেও আলোচনা আসবে। মাঝ খানে চার আয়াতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে একটি বিশেষ নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে, যা ওহী নাযিল হওয়ার সময় অবতীর্ণ আয়াতগুলি সম্পর্কিত। অনরুপ আয়াত দেখুন [ ২০: ১১৪ ] ও টিকা ২৬৩৯। সেখানে বলা হয়েছে, “আপনার প্রতি আল্লাহ্র ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরাণ গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না।” সূরা নং ৭৫ হচ্ছে প্রাথমিক অবতীর্ণ সূরাগুলির অন্যতম এবং এই আয়াতের নির্দ্দেশ পরের সূরার নির্দ্দেশ অপেক্ষা সামান্য ভিন্নতর। এই নির্দ্দেশ গুলির তাৎক্ষনিক অর্থ হচ্ছে যে এর মাধ্যমে রাসুলকে (সা) নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে যে, প্রত্যাদেশকে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে, যেনো তা তাঁর অন্তরে গভীর ভাবে প্রবেশ লাভ করে ও রেখাপাত করে। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ কোরান সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্। এবং সময়ের বৃহত্তর পরিসরে আল্লাহ্র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। কোরাণকে আল্লাহ্ মানুষের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করেছেন, সংরক্ষণ করেছেন এবং এর সামান্যতম অংশও হারিয়ে যেতে দেন নাই। আজ থেকে চৌদ্দশ বৎসর পূর্বে কোরাণ যা ছিলো চৌদ্দশত বৎসর পরেও কোরাণ সেই অবিকৃত অবস্থায় আছে যা অন্যান্য কিতাবের বা ধর্মগ্রন্থের বেলায় ঘটে নাই। এখানে কোরাণ অনুসরণ মানে চুপ করে জিব্রাইলের পাঠ শ্রবণ করা। পরবর্তী আয়াত সমূহে রাসুলকে বলা হয়েছে যে, অবতীর্ণ আয়াত সমূহের সঠিক মর্ম ও উপদেশসমূহ বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র। অর্থাৎ এর সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে আল্লাহ্র দেয়া মানসিক দক্ষতার তারতম্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকে কোরাণের বাণীর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। যদিও এই আয়াতটি রাসুলকে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়, তবুও এর আবেদন সার্বজনীন। আল্লাহ্র কালাম হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অধৈর্য্য বা তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নাই। তাড়াহুড়োর মাধ্যমে এই বাণীকে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। কোরাণের বাণীকে প্রশান্ত হৃদয়ে গভীর অভিনিবেশ সহকারে, আন্তরিক মনোযোগের সাথে, হৃদয়ঙ্গম করার জন্য চেষ্টা করতে হবে, তবেই প্রত্যেকেই তার স্ব স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী তা অনুধাবনে সক্ষম হবে। কারণ আল্লাহ্ সকলকে সমান মানসিক দক্ষতা প্রদান করেন নাই। সুতারাং আমাদের যে মন্দ প্রথা চালু আছে আমরা বিশাস করি যে, না বুঝে আরবীতে দ্রুত কোরাণ সমাপ্ত করলেই অশেষ সওয়াব লাভ করা যাবে তা সঠিক নয়।
আয়াতঃ 075.019
এরপর বিশদ বর্ণনা আমারই দায়িত্ব।
Then it is for Us (Allâh) to make it clear to you,
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ
Thumma inna AAalayna bayanahu
YUSUFALI: Nay more, it is for Us to explain it (and make it clear):
PICKTHAL: Then lo! upon Us (resteth) the explanation thereof.
SHAKIR: Again on Us (devolves) the explaining of it.
KHALIFA: Then it is we who will explain it.
১৬। [ হে মুহম্মদ ] তাড়াতাড়ি [ কুর-আনকে ] আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিহ্বা তাহার [ জিব্রাইলের ] সাথে নাড়িও না। ৫৮২০
১৭। ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই ;
১৮। অতএব, যখন আমি তা পাঠ করি, তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর,
১৯। উপরন্তু এর ব্যাখ্যার [ ও বুঝানোর ] দায়িত্ব আমারই।
৫৮২০। এ পর্যন্ত কেয়ামত পরিস্থিতির ভয়াবহতা আলোচিত হলো। পরেও আলোচনা আসবে। মাঝ খানে চার আয়াতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে একটি বিশেষ নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে, যা ওহী নাযিল হওয়ার সময় অবতীর্ণ আয়াতগুলি সম্পর্কিত। অনরুপ আয়াত দেখুন [ ২০: ১১৪ ] ও টিকা ২৬৩৯। সেখানে বলা হয়েছে, “আপনার প্রতি আল্লাহ্র ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরাণ গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না।” সূরা নং ৭৫ হচ্ছে প্রাথমিক অবতীর্ণ সূরাগুলির অন্যতম এবং এই আয়াতের নির্দ্দেশ পরের সূরার নির্দ্দেশ অপেক্ষা সামান্য ভিন্নতর। এই নির্দ্দেশ গুলির তাৎক্ষনিক অর্থ হচ্ছে যে এর মাধ্যমে রাসুলকে (সা) নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে যে, প্রত্যাদেশকে মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে, যেনো তা তাঁর অন্তরে গভীর ভাবে প্রবেশ লাভ করে ও রেখাপাত করে। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ কোরান সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্। এবং সময়ের বৃহত্তর পরিসরে আল্লাহ্র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। কোরাণকে আল্লাহ্ মানুষের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করেছেন, সংরক্ষণ করেছেন এবং এর সামান্যতম অংশও হারিয়ে যেতে দেন নাই। আজ থেকে চৌদ্দশ বৎসর পূর্বে কোরাণ যা ছিলো চৌদ্দশত বৎসর পরেও কোরাণ সেই অবিকৃত অবস্থায় আছে যা অন্যান্য কিতাবের বা ধর্মগ্রন্থের বেলায় ঘটে নাই। এখানে কোরাণ অনুসরণ মানে চুপ করে জিব্রাইলের পাঠ শ্রবণ করা। পরবর্তী আয়াত সমূহে রাসুলকে বলা হয়েছে যে, অবতীর্ণ আয়াত সমূহের সঠিক মর্ম ও উপদেশসমূহ বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র। অর্থাৎ এর সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে আল্লাহ্র দেয়া মানসিক দক্ষতার তারতম্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকে কোরাণের বাণীর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। যদিও এই আয়াতটি রাসুলকে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়, তবুও এর আবেদন সার্বজনীন। আল্লাহ্র কালাম হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অধৈর্য্য বা তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নাই। তাড়াহুড়োর মাধ্যমে এই বাণীকে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। কোরাণের বাণীকে প্রশান্ত হৃদয়ে গভীর অভিনিবেশ সহকারে, আন্তরিক মনোযোগের সাথে, হৃদয়ঙ্গম করার জন্য চেষ্টা করতে হবে, তবেই প্রত্যেকেই তার স্ব স্ব যোগ্যতা অনুযায়ী তা অনুধাবনে সক্ষম হবে। কারণ আল্লাহ্ সকলকে সমান মানসিক দক্ষতা প্রদান করেন নাই। সুতারাং আমাদের যে মন্দ প্রথা চালু আছে আমরা বিশাস করি যে, না বুঝে আরবীতে দ্রুত কোরাণ সমাপ্ত করলেই অশেষ সওয়াব লাভ করা যাবে তা সঠিক নয়।
আয়াতঃ 075.020
কখনও না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালবাস
Not [as you think, that you (mankind) will not be resurrected and recompensed for your deeds], but (you men) love the present life of this world,
كَلَّا بَلْ تُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ
Kalla bal tuhibboona alAAajilata
YUSUFALI: Nay, (ye men!) but ye love the fleeting life,
PICKTHAL: Nay, but ye do love the fleeting Now
SHAKIR: Nay! But you love the present life,
KHALIFA: Indeed, you love this fleeting life.
২০। না, [ হে মানুষ ] তোমরা প্রকৃত পক্ষে বহমান [ এই ] জীবনকে ভালোবাস ৫৮২১,
২১। এবং পরলোককে উপেক্ষা কর।
৫৮২১। এই আয়াতটি পূর্ববর্তী ১৫, আয়াতের সাথে সম্পর্কিত। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২১ : ৩৭]। প্রকৃতিগত ভাবেই মানুষের ধৈর্য্য কম। যে কোন ব্যাপারেই সে তাড়াহুড়ো করতে চায়। সে কারণেই সে পার্থিব অস্থায়ী জিনিষ,যা খুব সহজলভ্য তারই উপরে নিশ্চিতরূপে ভরসা করে, নির্ভর করতে চায়। কারণ সহজলভ্য জিনিষ খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা সম্ভব, তবে পার্থিব সকল কিছুই ক্ষণস্থায়ী। মৃত্যুর সাথে সাথে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরলোকের অনন্ত জীবন হচ্ছে স্থায়ী জীবন। যে জীবনের ব্যপ্তি ইহলোকের আধ্যাত্মিক জীবনের ধারাবাহিকতা থেকে অনন্ত পরলোকের জীবন পর্যন্ত পরিব্যপ্ত। কিন্তু পারলৌকিক জীবনের সাফল্য লাভ ঘটে ধীরে ধীরে। এই সাফল্যের শেষ পরিণতি লাভ হবে পরলোকের জীবনে। সুতারাং মানুষ আধ্যাত্মিক জীবনের এই ধীর সাফল্য অপেক্ষা পার্থিব জীবনের দ্রুত সাফল্যের প্রতি অধিক আগ্রহী। পূর্বের আয়াত সমূহে রাসুলকে (সা) উপদেশের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি ধৈর্য ও দৃঢ়তা এই উপদেশকে সার্বজনীন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.021
এবং পরকালকে উপেক্ষা কর।
And leave (neglect) the Hereafter.
وَتَذَرُونَ الْآخِرَةَ
Watatharoona al-akhirata
YUSUFALI: And leave alone the Hereafter.
PICKTHAL: And neglect the Hereafter.
SHAKIR: And neglect the hereafter.
KHALIFA: While disregarding the Hereafter.
২০। না, [ হে মানুষ ] তোমরা প্রকৃত পক্ষে বহমান [ এই ] জীবনকে ভালোবাস ৫৮২১,
২১। এবং পরলোককে উপেক্ষা কর।
৫৮২১। এই আয়াতটি পূর্ববর্তী ১৫, আয়াতের সাথে সম্পর্কিত। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২১ : ৩৭]। প্রকৃতিগত ভাবেই মানুষের ধৈর্য্য কম। যে কোন ব্যাপারেই সে তাড়াহুড়ো করতে চায়। সে কারণেই সে পার্থিব অস্থায়ী জিনিষ,যা খুব সহজলভ্য তারই উপরে নিশ্চিতরূপে ভরসা করে, নির্ভর করতে চায়। কারণ সহজলভ্য জিনিষ খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা সম্ভব, তবে পার্থিব সকল কিছুই ক্ষণস্থায়ী। মৃত্যুর সাথে সাথে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরলোকের অনন্ত জীবন হচ্ছে স্থায়ী জীবন। যে জীবনের ব্যপ্তি ইহলোকের আধ্যাত্মিক জীবনের ধারাবাহিকতা থেকে অনন্ত পরলোকের জীবন পর্যন্ত পরিব্যপ্ত। কিন্তু পারলৌকিক জীবনের সাফল্য লাভ ঘটে ধীরে ধীরে। এই সাফল্যের শেষ পরিণতি লাভ হবে পরলোকের জীবনে। সুতারাং মানুষ আধ্যাত্মিক জীবনের এই ধীর সাফল্য অপেক্ষা পার্থিব জীবনের দ্রুত সাফল্যের প্রতি অধিক আগ্রহী। পূর্বের আয়াত সমূহে রাসুলকে (সা) উপদেশের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি ধৈর্য ও দৃঢ়তা এই উপদেশকে সার্বজনীন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.022
সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে।
Some faces that Day shall be Nâdirah (shining and radiant).
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ
Wujoohun yawma-ithin nadiratun
YUSUFALI: Some faces, that Day, will beam (in brightness and beauty);-
PICKTHAL: That day will faces be resplendent,
SHAKIR: (Some) faces on that day shall be bright,
KHALIFA: Some faces, on that day, will be happy
২২। কিছু মুখ সেদিন [সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতায় ] দ্যুতি বিকিরণ করবে ; – ৫৮২২
২৩। তাদের প্রভুর দিকে তাকিয়ে থাকবে,
৫৮২২। অধিকাংশ ইসলামিক পন্ডিতগণের মতে এই আয়াতটি দ্বারা শেষ বিচারের দিনের পূর্ববর্তী ছোট বিচারকে বা অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। বিশেষতঃ [ ২৬ – ২৮] নং আয়াতের প্রসঙ্গ থেকে এই ধারণা লাভ করা যুক্তিসঙ্গত। এই ছোট বিচার বা অবস্থা যাকে কবর আযাব নামে আখ্যায়িত করা হয়, সংঘটিত হবে মৃত্যুর পরপরই যা চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত বিচার হবে শেষ বিচারের দিনে, যার বর্ণনা আছে ৫৪ নং সূরাতে। অন্যান্য আরও সূরাতে মৃত্যুর পর পরই পাপীরা যে অবস্থা প্রাপ্ত হবে তাদের বর্ণনা আছে যেমন আছে [ ৭ : ৩৭ ] আয়াতে। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে চূড়ান্ত বিচারের পূর্বে পাপীরা তিন ভাবে শাস্তির সম্মুখীন হবে :
১) তাদের পাপের শাস্তি এই পৃথিবীতেই শুরু হয়ে যেতে পারে অথবা তাদের আল্লাহ্ অবসর দেবেন যেনো তারা অনুতপ্ত হয়ে আত্মসংশোধনের সুযোগ লাভ করে। এটা হলো মৃত্যু পূর্ববর্তী অবস্থা।
২) মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থায় তাদের হবে প্রাপ্ত যন্ত্রণা যা কবর আযাব নামে অভিহিত। চূড়ান্ত বিচারের পূর্বেই এই যন্ত্রণার শুরু হবে। এবং
৩) শেষ বিচারের দিনে। তাদের পুনরুত্থান ঘটবে, যখন এই চেনা পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। [ ১৪ : ৪৮] আয়াত।
আয়াতঃ 075.023
তারা তার পালনকর্তার দিকে তাকিয়ে থাকবে।
Looking at their Lord (Allâh);
إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ
Ila rabbiha nathiratun
YUSUFALI: Looking towards their Lord;
PICKTHAL: Looking toward their Lord;
SHAKIR: Looking to their Lord.
KHALIFA: Looking at their Lord.
২২। কিছু মুখ সেদিন [সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতায় ] দ্যুতি বিকিরণ করবে ; – ৫৮২২
২৩। তাদের প্রভুর দিকে তাকিয়ে থাকবে,
৫৮২২। অধিকাংশ ইসলামিক পন্ডিতগণের মতে এই আয়াতটি দ্বারা শেষ বিচারের দিনের পূর্ববর্তী ছোট বিচারকে বা অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। বিশেষতঃ [ ২৬ – ২৮] নং আয়াতের প্রসঙ্গ থেকে এই ধারণা লাভ করা যুক্তিসঙ্গত। এই ছোট বিচার বা অবস্থা যাকে কবর আযাব নামে আখ্যায়িত করা হয়, সংঘটিত হবে মৃত্যুর পরপরই যা চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত বিচার হবে শেষ বিচারের দিনে, যার বর্ণনা আছে ৫৪ নং সূরাতে। অন্যান্য আরও সূরাতে মৃত্যুর পর পরই পাপীরা যে অবস্থা প্রাপ্ত হবে তাদের বর্ণনা আছে যেমন আছে [ ৭ : ৩৭ ] আয়াতে। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে চূড়ান্ত বিচারের পূর্বে পাপীরা তিন ভাবে শাস্তির সম্মুখীন হবে :
১) তাদের পাপের শাস্তি এই পৃথিবীতেই শুরু হয়ে যেতে পারে অথবা তাদের আল্লাহ্ অবসর দেবেন যেনো তারা অনুতপ্ত হয়ে আত্মসংশোধনের সুযোগ লাভ করে। এটা হলো মৃত্যু পূর্ববর্তী অবস্থা।
২) মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থায় তাদের হবে প্রাপ্ত যন্ত্রণা যা কবর আযাব নামে অভিহিত। চূড়ান্ত বিচারের পূর্বেই এই যন্ত্রণার শুরু হবে। এবং
৩) শেষ বিচারের দিনে। তাদের পুনরুত্থান ঘটবে, যখন এই চেনা পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। [ ১৪ : ৪৮] আয়াত।
আয়াতঃ 075.024
আর অনেক মুখমন্ডল সেদিন উদাস হয়ে পড়বে।
And some faces, that Day, will be Bâsirah (dark, gloomy, frowning, and sad),
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ بَاسِرَةٌ
Wawujoohun yawma-ithin basiratun
YUSUFALI: And some faces, that Day, will be sad and dismal,
PICKTHAL: And that day will other faces be despondent,
SHAKIR: And (other) faces on that day shall be gloomy,
KHALIFA: Other faces will be, on that day, miserable.
২৪। এবং কিছু মুখ সেদিন হবে বিষন্ন ও মলিন,
২৫। এই আশংকায় যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় তাদের উপরে আপতিত হবে।
২৬। হ্যাঁ, যখন [ প্রাণ বের হওয়ার জন্য ] তার কন্ঠের নিকট পৌঁছায়, ৫৮২৩
৫৮২৩। মৃত্যুর যন্ত্রণাকে এই আয়াতে প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.025
তারা ধারণা করবে যে, তাদের সাথে কোমর-ভাঙ্গা আচরণ করা হবে।
Thinking that some calamity was about to fall on them;
تَظُنُّ أَن يُفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ
Tathunnu an yufAAala biha faqiratun
YUSUFALI: In the thought that some back-breaking calamity was about to be inflicted on them;
PICKTHAL: Thou wilt know that some great disaster is about to fall on them.
SHAKIR: Knowing that there will be made to befall them some great calamity.
KHALIFA: Expecting the worst.
২৪। এবং কিছু মুখ সেদিন হবে বিষন্ন ও মলিন,
২৫। এই আশংকায় যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় তাদের উপরে আপতিত হবে।
২৬। হ্যাঁ, যখন [ প্রাণ বের হওয়ার জন্য ] তার কন্ঠের নিকট পৌঁছায়, ৫৮২৩
৫৮২৩। মৃত্যুর যন্ত্রণাকে এই আয়াতে প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.026
কখনও না, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে।
Nay, when (the soul) reaches to the collar bone (i.e. up to the throat in its exit),
كَلَّا إِذَا بَلَغَتْ التَّرَاقِيَ
Kalla itha balaghati alttaraqiya
YUSUFALI: Yea, when (the soul) reaches to the collar-bone (in its exit),
PICKTHAL: Nay, but when the life cometh up to the throat
SHAKIR: Nay! When it comes up to the throat,
KHALIFA: Indeed, when (the soul) reaches the throat.
২৪। এবং কিছু মুখ সেদিন হবে বিষন্ন ও মলিন,
২৫। এই আশংকায় যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় তাদের উপরে আপতিত হবে।
২৬। হ্যাঁ, যখন [ প্রাণ বের হওয়ার জন্য ] তার কন্ঠের নিকট পৌঁছায়, ৫৮২৩
৫৮২৩। মৃত্যুর যন্ত্রণাকে এই আয়াতে প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.027
এবং বলা হবে, কে ঝাড়বে
And it will be said: ”Who can cure him and save him from death?”
وَقِيلَ مَنْ رَاقٍ
Waqeela man raqin
YUSUFALI: And there will be a cry, “Who is a magician (to restore him)?”
PICKTHAL: And men say: Where is the wizard (who can save him now)?
SHAKIR: And it is said: Who will be a magician?
KHALIFA: And it is ordered: “Let go!”
২৭। এবং লোকে চীৎকার করবে ” কে আছে যাদুকর [ যে তাকে সাহায্য করবে ] ? ”
২৮। এবং তার [ মৃত্যুপথ যাত্রীর ] প্রত্যয় হবে যে ইহা বিদায়ক্ষণ ; ৫৮২৪
৫৮২৪। ” তার ” – এই শব্দটি মৃত্যু পথযাত্রীর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।
আয়াতঃ 075.028
এবং সে মনে করবে যে, বিদায়ের ক্ষণ এসে গেছে।
And he (the dying person) will conclude that it was (the time) of departing (death);
وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ
Wathanna annahu alfiraqu
YUSUFALI: And he will conclude that it was (the Time) of Parting;
PICKTHAL: And he knoweth that it is the parting;
SHAKIR: And he is sure that it is the (hour of) parting
KHALIFA: He knows it is the end.
২৭। এবং লোকে চীৎকার করবে ” কে আছে যাদুকর [ যে তাকে সাহায্য করবে ] ? ”
২৮। এবং তার [ মৃত্যুপথ যাত্রীর ] প্রত্যয় হবে যে ইহা বিদায়ক্ষণ ; ৫৮২৪
৫৮২৪। ” তার ” – এই শব্দটি মৃত্যু পথযাত্রীর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।
আয়াতঃ 075.029
এবং গোছা গোছার সাথে জড়িত হয়ে যাবে।
And leg will be joined with another leg (shrouded)
وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ
Wailtaffati alssaqu bialssaqi
YUSUFALI: And one leg will be joined with another:
PICKTHAL: And agony is heaped on agony;
SHAKIR: And affliction is combined with affliction;
KHALIFA: Each leg will lay motionless next to the other leg.
২৯। এবং পায়ের সাথে পা জড়িয়ে যাবে। ৫৮২৫
৫৮২৫। মৃত্যুর পরে যখন মৃতদেহকে দাফনের জন্য প্রস্তুত করা হয় তখন শেষকৃত্যের নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহকে প্রস্তুত করা হয়। এ সময়ে শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা অনুযায়ী দুই পা এক সাথে যুক্ত করা হয়। ‘Saq’ এই শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে পা,কিন্তু শব্দটি যদি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয় তবে এর অর্থ হবে বিপদ বিপর্যয় বা দুর্যোগ। বিপদ কখনও একা আসে না। একটি বিপদ অন্য আর একটি বিপদের সাথে যুক্ত হয়। হতভাগ্য পাপীর আত্মা মৃত্যুর সাথে সাথে বিপদের উপরে বিপর্যয় দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে পড়বে। স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক পাপীকে শেষ বিচারের বিচার সভাতে উপস্থিত হতে বাধ্য করা হবে।
আয়াতঃ 075.030
সেদিন, আপনার পালনকর্তার নিকট সবকিছু নীত হবে।
The drive will be, on that Day, to your Lord (Allâh)!
إِلَى رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمَسَاقُ
Ila rabbika yawma-ithin almasaqu
YUSUFALI: That Day the Drive will be (all) to thy Lord!
PICKTHAL: Unto thy Lord that day will be the driving.
SHAKIR: To your Lord on that day shall be the driving.
KHALIFA: To your Lord, on that day, is the summoning.
৩০। সেদিন তোমার প্রভুর নিকট সমস্ত কিছু প্রত্যানীত হবে।
রুকু – ২
৩১। সে দান করে নাই এবং প্রার্থনাও করে নাই ৫৮২৬,
৫৮২৬। এই আয়াতটির [ ৭৫: ৩১ ] ইংরেজী ও বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজী অনুবাদ নিম্নরূপ : “So he gave nothing in charity , nor did he pray.” ইংরেজী অনুবাদ অনুযায়ী ইউসুফ আলী সাহেবের তফসীর অনুবাদ করা হলো। এই আয়াতে ও পরবর্তী আয়াতে পাপীদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
১) তারা আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করে না,
২ ) তারা দান করে না ;
৩) তারা সত্যকে প্রত্যাখান করে ; এবং
৪) দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
অনুরূপ আয়াত হচ্ছে [ ৭৪ : ৪৩ – ৪৬ ] যেখানে চারটি অভিযোগ হচ্ছে নিম্নরূপ :
১) নামাজ বা প্রার্থনাকে অবহেলা করে,
২) দানকে অবহেলা করে,
৩) নিজের সম্বন্ধে গর্ব প্রকাশ করে
৪) শেষ বিচারের দিনকে অস্বীকার করে।
দেখুন টিকা ৫৮০৩। দুটি সূরারই ১) ও ২ ) নম্বর অভিযোগ একই। ৩) ও ৪) নম্বর অভিযোগ সমূহ পরস্পরের সহিত অনুরূপ সাদৃশ্যযুক্ত। অর্থাৎ সত্যকে প্রত্যাখান করার অর্থ আল্লাহকে ও শেষ বিচার দিবস’ যা মৃত্যুর ন্যায় নিশ্চিত সত্যকে অস্বীকার করা। দম্ভ ভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার অর্থ নিজের সম্বন্ধে গর্ব প্রকাশ করা। এই দম্ভটাকে ৩৩নং আয়াতে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.031
সে বিশ্বাস করেনি এবং নামায পড়েনি;
So he (the disbeliever) neither believed (in this Qur’ân, in the Message of Muhammad SAW) nor prayed!
فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّى
Fala saddaqa wala salla
YUSUFALI: So he gave nothing in charity, nor did he pray!-
PICKTHAL: For he neither trusted, nor prayed.
SHAKIR: So he did not accept the truth, nor did he pray,
KHALIFA: For he observed neither the charity, nor the contact prayers (Salat).
৩০। সেদিন তোমার প্রভুর নিকট সমস্ত কিছু প্রত্যানীত হবে।
রুকু – ২
৩১। সে দান করে নাই এবং প্রার্থনাও করে নাই ৫৮২৬,
৫৮২৬। এই আয়াতটির [ ৭৫: ৩১ ] ইংরেজী ও বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজী অনুবাদ নিম্নরূপ : “So he gave nothing in charity , nor did he pray.” ইংরেজী অনুবাদ অনুযায়ী ইউসুফ আলী সাহেবের তফসীর অনুবাদ করা হলো। এই আয়াতে ও পরবর্তী আয়াতে পাপীদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
১) তারা আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করে না,
২ ) তারা দান করে না ;
৩) তারা সত্যকে প্রত্যাখান করে ; এবং
৪) দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
অনুরূপ আয়াত হচ্ছে [ ৭৪ : ৪৩ – ৪৬ ] যেখানে চারটি অভিযোগ হচ্ছে নিম্নরূপ :
১) নামাজ বা প্রার্থনাকে অবহেলা করে,
২) দানকে অবহেলা করে,
৩) নিজের সম্বন্ধে গর্ব প্রকাশ করে
৪) শেষ বিচারের দিনকে অস্বীকার করে।
দেখুন টিকা ৫৮০৩। দুটি সূরারই ১) ও ২ ) নম্বর অভিযোগ একই। ৩) ও ৪) নম্বর অভিযোগ সমূহ পরস্পরের সহিত অনুরূপ সাদৃশ্যযুক্ত। অর্থাৎ সত্যকে প্রত্যাখান করার অর্থ আল্লাহকে ও শেষ বিচার দিবস’ যা মৃত্যুর ন্যায় নিশ্চিত সত্যকে অস্বীকার করা। দম্ভ ভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার অর্থ নিজের সম্বন্ধে গর্ব প্রকাশ করা। এই দম্ভটাকে ৩৩নং আয়াতে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.032
পরন্ত মিথ্যারোপ করেছে ও পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে।
But on the contrary, he belied (this Qur’ân and the Message of Muhammad SAW) and turned away!
وَلَكِن كَذَّبَ وَتَوَلَّى
Walakin kaththaba watawalla
YUSUFALI: But on the contrary, he rejected Truth and turned away!
PICKTHAL: But he denied and flouted.
SHAKIR: But called the truth a lie and turned back,
KHALIFA: But he disbelieved and turned away.
৩২। বরং সে সত্যকে প্রত্যাখান করেছিলো এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো।
৩৩। অতঃপর সে সদর্পে, অহংকারের সাথে তার পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছিলো। ৫৮২৭
৫৮২৭। দম্ভ বা আত্মগর্ব হচ্ছে পার্থিব সকল পাপের মূল। এর কারণেই ইবলিসের পতন ঘটে। দেখুন [ ২ : ৩৪ ] আয়াত।
আয়াতঃ 075.033
অতঃপর সে দম্ভভরে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছে।
Then he walked in full pride to his family admiring himself!
ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى أَهْلِهِ يَتَمَطَّى
Thumma thahaba ila ahlihi yatamatta
YUSUFALI: Then did he stalk to his family in full conceit!
PICKTHAL: Then went he to his folk with glee.
SHAKIR: Then he went to his followers, walking away in haughtiness.
KHALIFA: With his family, he acted arrogantly.
৩২। বরং সে সত্যকে প্রত্যাখান করেছিলো এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো।
৩৩। অতঃপর সে সদর্পে, অহংকারের সাথে তার পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছিলো। ৫৮২৭
৫৮২৭। দম্ভ বা আত্মগর্ব হচ্ছে পার্থিব সকল পাপের মূল। এর কারণেই ইবলিসের পতন ঘটে। দেখুন [ ২ : ৩৪ ] আয়াত।
আয়াতঃ 075.034
তোমার দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ।
Woe to you [O man (disbeliever)]! And then (again) woe to you!
أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى
Awla laka faawla
YUSUFALI: Woe to thee, (O men!), yea, woe!
PICKTHAL: Nearer unto thee and nearer,
SHAKIR: Nearer to you (is destruction) and nearer,
KHALIFA: You have deserved this.
৩৪। [ হে মানুষ ] দুভার্গ্য তোমাদের, হ্যাঁ, দুভার্গ্য।
৩৫। পুণরায় [ হে মানুষ ] দুভার্গ্য তোমাদের, হ্যাঁ, দুভার্গ্য।
৩৬। মানুষ কি মনে করে [ উদ্দেশ্য ব্যতীত ] তাকে বিনা নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেয়া হবে ? ৫৮২৮
৫৮২৮। “Sudan” এই শব্দটির প্রয়োগে বিভিন্নতা দেখা যায় :
১) নিয়ন্ত্রনহীন বা যা খুশী তাই করার ইচ্ছা।
২) কোন নৈতিক দায়িত্ব ব্যতিরেকে ; কোন কাজের জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী না হওয়া ;
৩) উদ্দেশ্য বিহীন বা অপ্রয়োজনীয় ;
৪) পরিত্যাগ করা।
আয়াতঃ 075.035
অতঃপর, তোমার দুর্ভোগের উপর দূর্ভোগ।
Again, woe to you [O man (disbeliever)]! And then (again) woe to you!
ثُمَّ أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى
Thumma awla laka faawla
YUSUFALI: Again, Woe to thee, (O men!), yea, woe!
PICKTHAL: Again nearer unto thee and nearer (is the doom).
SHAKIR: Again (consider how) nearer to you and nearer.
KHALIFA: Indeed, you have deserved this.
৩৪। [ হে মানুষ ] দুভার্গ্য তোমাদের, হ্যাঁ, দুভার্গ্য।
৩৫। পুণরায় [ হে মানুষ ] দুভার্গ্য তোমাদের, হ্যাঁ, দুভার্গ্য।
৩৬। মানুষ কি মনে করে [ উদ্দেশ্য ব্যতীত ] তাকে বিনা নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেয়া হবে ? ৫৮২৮
৫৮২৮। “Sudan” এই শব্দটির প্রয়োগে বিভিন্নতা দেখা যায় :
১) নিয়ন্ত্রনহীন বা যা খুশী তাই করার ইচ্ছা।
২) কোন নৈতিক দায়িত্ব ব্যতিরেকে ; কোন কাজের জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী না হওয়া ;
৩) উদ্দেশ্য বিহীন বা অপ্রয়োজনীয় ;
৪) পরিত্যাগ করা।
আয়াতঃ 075.036
মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে?
Does man think that he will be left Suda [neglected without being punished or rewarded for the obligatory duties enjoined by his Lord (Allâh) on him]?
أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَن يُتْرَكَ سُدًى
Ayahsabu al-insanu an yutraka sudan
YUSUFALI: Does man think that he will be left uncontrolled, (without purpose)?
PICKTHAL: Thinketh man that he is to be left aimless?
SHAKIR: Does man think that he is to be left to wander without an aim?
KHALIFA: Does the human being think that he will go to nothing?
৩৪। [ হে মানুষ ] দুভার্গ্য তোমাদের, হ্যাঁ, দুভার্গ্য।
৩৫। পুণরায় [ হে মানুষ ] দুভার্গ্য তোমাদের, হ্যাঁ, দুভার্গ্য।
৩৬। মানুষ কি মনে করে [ উদ্দেশ্য ব্যতীত ] তাকে বিনা নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেয়া হবে ? ৫৮২৮
৫৮২৮। “Sudan” এই শব্দটির প্রয়োগে বিভিন্নতা দেখা যায় :
১) নিয়ন্ত্রনহীন বা যা খুশী তাই করার ইচ্ছা।
২) কোন নৈতিক দায়িত্ব ব্যতিরেকে ; কোন কাজের জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী না হওয়া ;
৩) উদ্দেশ্য বিহীন বা অপ্রয়োজনীয় ;
৪) পরিত্যাগ করা।
আয়াতঃ 075.037
সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না?
Was he not a Nutfah (mixed male and female discharge of semen) poured forth?
أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِّن مَّنِيٍّ يُمْنَى
Alam yaku nutfatan min manayyin yumna
YUSUFALI: Was he not a drop of sperm emitted (in lowly form)?
PICKTHAL: Was he not a drop of fluid which gushed forth?
SHAKIR: Was he not a small seed in the seminal elements,
KHALIFA: Was he not a drop of ejected semen?
৩৭। সে কি স্খলিত শুক্র বিন্দু ছিলো না ? ৫৮২৯
৫৮২৯। দেখুন [ ২২ : ৫ ] আয়াত ; যেখানে মানুষ সৃষ্টির যুক্তিসমূহ জোড়ালো ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে নিম্নলিখিত বক্তব্যসমূহ উত্থাপন করা হয়েছে। যে মানুষ নিজেকে নিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধে গর্ব করে, তার একবার চিন্তা করে দেখা প্রয়োজন তার জন্ম বা উৎপত্তি সম্বন্ধে। তার জন্ম রহস্য অত্যন্ত সাধারণ যা নিম্ন ধরণের পশুর জন্যও প্রযোজ্য। স্খলিত শুক্রবিন্দু থেকে মানুষের জন্ম – ধীরে ধীরে সেখান থেকে মানুষের অবয়বের সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত মানুষ ও পশুতে কোনও পার্থক্য নাই। পার্থক্য হচ্ছে মানুষের মাঝে আল্লাহ্ তাঁর রুহুকে প্রবেশ করিয়েছেন [ ১৫ : ২৯]। সূরা [ ৯৫ : ৪ ] আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন, ” আমি তো সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে।” আল্লাহ্ মানুষকে শুধু যে সুঠাম আকৃতিই দান করেছেন তাই নয় তাকে দান করেছেন মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবনের ঠিকানা। তার জন্য সৃষ্টি করেছেন যৌন জীবনের রহস্য নর ও নারী রূপে। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টির পুণঃ সৃষ্টি আবাহমানকাল থেকে জগত সংসারে সৃষ্টির ধারা অব্যাহত রেখেছে। নর ও নারীর কর্ম জগত এই পৃথিবীতে ভিন্ন ধারার সৃষ্টি করলেও তারা আল্লাহ্র নিটক মানব আত্মা ব্যতীত অন্য কিছু নয় – একই জবাবদিহিতায় উভয়ে সমভাবে আবদ্ধ, একই রূপে পরলোকে সর্বশক্তিমানের নিকট বিচারের জন্য নীত হবে। যে আল্লাহ্ সৃষ্টির এই অত্যাচার্য ঘটনাগুলি ঘটাতে সক্ষম তিনি কি পরলোকের জীবনে পুণঃরুত্থান ঘটাতে সক্ষম নন ?
আয়াতঃ 075.038
অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।
Then he became an ’Alaqa (a clot); then (Allâh) shaped and fashioned (him) in due proportion.
ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّى
Thumma kana AAalaqatan fakhalaqa fasawwa
YUSUFALI: Then did he become a leech-like clot; then did (Allah) make and fashion (him) in due proportion.
PICKTHAL: Then he became a clot; then (Allah) shaped and fashioned
SHAKIR: Then he was a clot of blood, so He created (him) then made (him) perfect.
KHALIFA: Then He created an embryo out of it!
৩৮। অতঃপর তা যোকের ন্যায় জমাট রক্ত পিন্ডতে পরিণত হয়, তারপর [আল্লাহ্ ] তাকে আকৃতি দান করেন ও সুঠাম করেন।
আয়াতঃ 075.039
অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী।
And made him in two sexes, male and female.
فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى
FajaAAala minhu alzzawjayni alththakara waal-ontha
YUSUFALI: And of him He made two sexes, male and female.
PICKTHAL: And made of him a pair, the male and female.
SHAKIR: Then He made of him two kinds, the male and the female.
KHALIFA: He made it into male or female!
৩৯। অতঃপর তিনি সৃষ্টি করেন যুগল – নর ও নারী।
আয়াতঃ 075.040
তবুও কি সেই আল্লাহ মৃতদেরকে জীবিত করতে সক্ষম নন?
Is not He (Allâh Who does that), Able to give life to the dead? (Yes! He is Able to do all things).
أَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَادِرٍ عَلَى أَن يُحْيِيَ الْمَوْت
Alaysa thalika biqadirin AAala an yuhyiya almawta
YUSUFALI: Has not He, (the same), the power to give life to the dead?
PICKTHAL: Is not He (Who doeth so) Able to bring the dead to life?
SHAKIR: Is not He able to give life to the dead?
KHALIFA: Is He then unable to revive the dead?
৪০। তবুও কি [একই ] স্রষ্টা মৃতকে পুণর্জীবিত করতে সক্ষম নন ?