আয়াতঃ 074.011
যাকে আমি অনন্য করে সৃষ্টি করেছি, তাকে আমার হাতে ছেড়ে দিন।
Leave Me Alone (to deal) with whom I created Alone (without any means, i.e. Al-Walîd bin Al-Mughîrah Al-Makhzûmî)!
ذَرْنِي وَمَنْ خَلَقْتُ وَحِيدًا
Tharnee waman khalaqtu waheedan
YUSUFALI: Leave Me alone, (to deal) with the (creature) whom I created (bare and) alone!-
PICKTHAL: Leave Me (to deal) with him whom I created lonely,
SHAKIR: Leave Me and him whom I created alone,
KHALIFA: Let Me deal with one I created as an individual.
১১। যে [ প্রাণীকে ] আমি সৃষ্টি করেছি [ রিক্ত ] ও নিঃসঙ্গ অবস্থায় তার সাথে আমাকে একা [ বুঝাপড়া ]করতে ছেড়ে দাও। ৫৭৮৪, ৫৭৮৫।
১২। যাকে আমি দান করেছিলাম বিপুল ধন-সম্পদ
৫৭৮৪। প্রকৃত ন্যায় বিচারের মালিক একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ্। তিনিই একমাত্র পারেন মানুষকে শাস্তি দান করতে। পৃথিবীর মানুষের জ্ঞান ও বিচার বুদ্ধি অত্যন্ত সীমিত। তার পক্ষে সত্যের সূদূর প্রসারী রূপকে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। কারণ পৃথিবীর মূল্যবোধের মানদন্ডে আজকে যা মনে হয় ন্যায় ও সত্য আগামীতে তা পরিবতির্ত হয়ে যেতে পারে। একমাত্র আল্লাহ্-ই জানেন চিরসত্যের প্রকৃতরূপ। সুতারাং আল্লাহ্-ই একমাত্র জানেন ন্যায়বিচারের এবং করুণার সীমারেখা। সেই আল্লাহ্র কাছে সব কিছু ন্যাস্ত করতে হবে।
৫৭৮৫। ” আমি সৃষ্টি করেছি [ রিক্ত ] ও নিঃস্ব অবস্থায় ” এই বাক্যটির অর্থ হচ্ছে পৃথিবীতে সকল মানুষকে আল্লাহ্ সমভাবে সৃষ্টি করেন নাই। হাতের পাঁচটি আঙ্গুল যেরূপ সমান নয়, সেরূপ সকল মানুষের মানসিক দক্ষতা সমান নয়। পৃথিবীর সভ্যতাকে এক সুনির্দ্দিষ্ট পরিণতির দিকে পরিচালিত করার জন্য, আল্লাহ্ সকলকে সমান মানসিক দক্ষতা দান করেন নাই। সম্পদ, ক্ষমতা, প্রভাব প্রতিপত্তি,প্রতিভা এগুলি সবই আল্লাহ্র দান। মানুষ ইচ্ছা করলেই এ সকলের অধিকারী হতে পারে না। মানুষ পৃথিবীতে আগমন করে নিরাভরণ ও একা। আল্লাহ্-ই তাঁকে বিভিন্ন নেয়ামতে সজ্জিত করেছেন যার দায়িত্ব তাকে বহন করতে হবে।
আয়াতঃ 074.012
নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড।
Verily, with Us are fetters (to bind them), and a raging Fire.
إِنَّ لَدَيْنَا أَنكَالًا وَجَحِيمًا
WajaAAaltu lahu malan mamdoodan
YUSUFALI: To whom I granted resources in abundance,
PICKTHAL: And then bestowed upon him ample means,
SHAKIR: And give him vast riches,
KHALIFA: I provided him with lots of money.
১১। যে [ প্রাণীকে ] আমি সৃষ্টি করেছি [ রিক্ত ] ও নিঃসঙ্গ অবস্থায় তার সাথে আমাকে একা [ বুঝাপড়া ]করতে ছেড়ে দাও। ৫৭৮৪, ৫৭৮৫।
১২। যাকে আমি দান করেছিলাম বিপুল ধন-সম্পদ
৫৭৮৪। প্রকৃত ন্যায় বিচারের মালিক একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ্। তিনিই একমাত্র পারেন মানুষকে শাস্তি দান করতে। পৃথিবীর মানুষের জ্ঞান ও বিচার বুদ্ধি অত্যন্ত সীমিত। তার পক্ষে সত্যের সূদূর প্রসারী রূপকে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। কারণ পৃথিবীর মূল্যবোধের মানদন্ডে আজকে যা মনে হয় ন্যায় ও সত্য আগামীতে তা পরিবতির্ত হয়ে যেতে পারে। একমাত্র আল্লাহ্-ই জানেন চিরসত্যের প্রকৃতরূপ। সুতারাং আল্লাহ্-ই একমাত্র জানেন ন্যায়বিচারের এবং করুণার সীমারেখা। সেই আল্লাহ্র কাছে সব কিছু ন্যাস্ত করতে হবে।
৫৭৮৫। ” আমি সৃষ্টি করেছি [ রিক্ত ] ও নিঃস্ব অবস্থায় ” এই বাক্যটির অর্থ হচ্ছে পৃথিবীতে সকল মানুষকে আল্লাহ্ সমভাবে সৃষ্টি করেন নাই। হাতের পাঁচটি আঙ্গুল যেরূপ সমান নয়, সেরূপ সকল মানুষের মানসিক দক্ষতা সমান নয়। পৃথিবীর সভ্যতাকে এক সুনির্দ্দিষ্ট পরিণতির দিকে পরিচালিত করার জন্য, আল্লাহ্ সকলকে সমান মানসিক দক্ষতা দান করেন নাই। সম্পদ, ক্ষমতা, প্রভাব প্রতিপত্তি,প্রতিভা এগুলি সবই আল্লাহ্র দান। মানুষ ইচ্ছা করলেই এ সকলের অধিকারী হতে পারে না। মানুষ পৃথিবীতে আগমন করে নিরাভরণ ও একা। আল্লাহ্-ই তাঁকে বিভিন্ন নেয়ামতে সজ্জিত করেছেন যার দায়িত্ব তাকে বহন করতে হবে।
আয়াতঃ 074.013
এবং সদা সংগী পুত্রবর্গ দিয়েছি,
And children to be by his side!
وَبَنِينَ شُهُودًا
Wabaneena shuhoodan
YUSUFALI: And sons to be by his side!-
PICKTHAL: And sons abiding in his presence
SHAKIR: And sons dwelling in his presence,
KHALIFA: And children to behold.
১৩। [ সর্বদা ] পাশে থাকার জন্য পুত্রগণ ৫৭৮৬;
১৪। যার [ জীবনকে ] করেছিলাম মসৃণ এবং আরামদায়ক !
৫৭৮৬। পৃথিবীতে যারা সফল পুরুষ, সাধারণতঃ তাদের থাকে অঢেল সম্পদ, অগণিত অনুসারী, পরিবার,পরিজন বা পুত্র কন্যাগণ যারা সর্বদা তার চতুর্পার্শ্বে থেকে তাকে সংসার সমরাংগনে সাহায্য করতে প্রস্তুত। পৃথিবীতে তাদের জীবন হয় অত্যন্ত মসৃণ, রুচিশীল, পরিশীলিত এবং আরামদায়ক। কিন্তু এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, প্রতিটি সম্পদের দায়িত্ব বর্তমান, যে দায়িত্বের জবাবদিহিতা আল্লাহ্র নিকট প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।