আয়াতঃ 073.004
অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে।
Or a little more; and recite the Qur’ân (aloud) in a slow, (pleasant tone and) style .
أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
Aw zid AAalayhi warattili alqur-ana tarteelan
YUSUFALI: Or a little more; and recite the Qur’an in slow, measured rhythmic tones.
PICKTHAL: Or add (a little) thereto – and chant the Qur’an in measure,
SHAKIR: Or add to it, and recite the Quran as it ought to be recited.
KHALIFA: Or a little more. And read the Quran from cover to cover.
৩। অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কম,
৪। অথবা, তদপেক্ষা বেশী, এবং কুর-আন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে, সুরেলা কন্ঠে। ৫৭৫৬
৫৭৫৬। যে সময়ে এই সূরাটি অবতীর্ণ হয়, সম্ভবতঃ সে সময়ে শুধুমাত্র ৯৬ নং সূরা ৬৮ নং সূরা সম্ভবতঃ ৭৪ নং সূরা এবং সূরা আল্- হামদ্ সূরা বিদ্যমান ছিলো। বর্তমানে আমাদের সম্মুখে সম্পূর্ণ কোরাণ মহাগ্রন্থ উপস্থাপন করা হয়েছে। লক্ষ্য করুন সামান্য কয়েকটি সূরা যখন বিদ্যমান তখনই সাবধান করা হয়েছে যে, কোরাণ যেনো কেউ তাড়াহুড়ো করে না পড়ে – যেমন আমাদের অনেকে গর্বের সাথে বলে থাকেন যে, সে রমজানে ৩-৪ বার কোরাণ খতম করেছে। না বুঝে, না অনুধাবন করে, শুধুমাত্র দ্রুত পড়ে যাওয়ার মাঝে কোনও পূণ্য নাই। কোরাণ আবৃত্তি করতে হবে, ধীরে ধীরে,স্পষ্ট ও সুন্দর সুরেলাভাবে যেনো এই বাণীর উপদেশ ও মর্মবাণী আত্মার অন্তঃস্থলে প্রবেশের সুযোগ লাভ করে। দ্রুত ও তাড়াহুড়ো করে অর্থ না বুঝে পড়লে তার কোন প্রতিক্রিয়াই চরিত্রে প্রতিফলিত হয় না। অর্থ না বুঝে কোরাণ তেলাওয়াত মূল্যহীন। কোরাণের আয়াতগুলি ভাষা ও ছন্দে এতই সুন্দর যে তা আবেগের সাথে সুরেলা ধ্বনিতে পড়তে হবে। এতে রয়েছে এক অপূর্ব মাধুর্য এবং বিন্যাসে রয়েছে বিশেষ ধরণের বর্ণাঢ্যতা যা আত্মাকে করে সমৃদ্ধ। এর অভ্যন্তরভাগে সেরূপ রয়েছে আত্মার জন্য সীমাহীন স্নিগ্ধ ফল্গুধারা।
মন্তব্য : সঙ্গীতের সুর মানুষের মনোজগতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে সক্ষম। সে কারণেই সঙ্গীতের সুরে কুর-আন পড়তে বলা হয়েছে, আজান হবে সুরেলা ভাবে। সে কারণেই আল্লাহ দাউদ নবীকে বিশেষ সঙ্গীত প্রতিভা দান করেছিলেন। তাঁর সঙ্গীতে পাহাড় প্রতিধ্বনি করতো, পাখীরা গান করতো, সঙ্গীত প্রতিভা আল্লাহ্র বিশেষ দান। মানুষের মনোজগতকে সমৃদ্ধ করার জন্য- তবে সে সঙ্গীত হতে হবে রুচীসমৃদ্ধ আত্মার জন্য স্নিগ্ধ সীমাহীন স্নিগ্ধ ফাল্গুধারার মত।
অতএব আরবীর সাথে সাথে মাতৃভাষাতে কোরাণ পাঠ করতে হবে যেনো এর উপদেশ স্ব জীবনে প্রতিফলিত করার সুযোগ ঘটে। [২১:৭৯] [৩৪:১০] [৩৮:১৮] [৩৮:১৯]
আয়াতঃ 073.005
আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
Verily, We shall send down to you a weighty Word (i.e. obligations, legal laws, etc.).
إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا
Inna sanulqee AAalayka qawlan thaqeelan
YUSUFALI: Soon shall We send down to thee a weighty Message.
PICKTHAL: For we shall charge thee with a word of weight.
SHAKIR: Surely We will make to light upon you a weighty Word.
KHALIFA: We will give you a heavy message.
৫। শীঘ্রই আমি তোমাকে প্রেরণ করবো গুরুভার বাণী [ ওহী ]। ৫৭৫৭
৫৭৫৭। ”প্রেরণ করবো ” – অর্থাৎ ধীরে ধীরে কোরাণকে সম্পূর্ণরূপে প্রেরণ করা হবে Fatra বা বিরতির কালের পর।
আয়াতঃ 073.006
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
Verily, the rising by night (for Tahajjud prayer) is very hard and most potent and good for governing (the soul), and most suitable for (understanding) the Word (of Allâh).
إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْءًا وَأَقْوَمُ قِيلًا
Inna nashi-ata allayli hiya ashaddu wat-an waaqwamu qeelan
YUSUFALI: Truly the rising by night is most potent for governing (the soul), and most suitable for (framing) the Word (of Prayer and Praise).
PICKTHAL: Lo! the vigil of the night is (a time) when impression is more keen and speech more certain.
SHAKIR: Surely the rising by night is the firmest way to tread and the best corrective of speech.
KHALIFA: The meditation at night is more effective, and more righteous.
৬। প্রকৃত পক্ষে, [ ঘুম থেকে ] রাত্রিতে উত্থান [ আত্মার ] শাসনের জন্য অত্যন্ত ক্ষমতা সম্পন্ন, এবং [ প্রার্থনার ] শব্দ চয়নের জন্য উপযুক্ত [ সময় ]। ৫৭৫৮
৫৭৫৮। আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা ও আল্লাহ্র নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য নিশিত রাত্রির নিরবতা অপেক্ষা অধিক ভালো আর কোন সময় ? নিশিত রাত্রিতে বিরাজ করে স্তব্ধতা যা মনের উপরে প্রশান্তির প্রলেপ প্রদান করে। সমগ্র বিশ্ব সুপ্তির কোলে ঢলে পড়ে, নগরের কোলাহল হয় স্তব্ধ, শুধু সীমাহীন আকাশের নক্ষত্ররাজি জেগে থাকে মানব আত্মাকে অনন্ত বিশ্বলোকের সীমাহীনতাকে উপলব্ধিতে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু রাত্রির নিদ্রা থেকে এবাদতের উদ্দেশ্যে জাগ্রত হওয়া কঠিন। প্রবৃত্তিকে প্রদমিত করেই তা সম্ভব হয়, তখন যা কিছু বলা হয় বা আবৃত্তি করা হয় তা হৃদয় থেকে উৎসারিত হয়। আর সে সময় পূর্ণ মনোযোগের সাথে এবাদত করা যায়