- সূরার নাম: সূরা নূহ
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা নূহ
আয়াতঃ 071.001
আমি নূহকে প্রেরণ করেছিলাম তাঁর সম্প্রদায়ের প্রতি একথা বলেঃ তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর, তাদের প্রতি মর্মন্তদ শাস্তি আসার আগে।
Verily, We sent Nûh (Noah) to his people (Saying): ”Warn your people before there comes to them a painful torment.”
إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ أَنْ أَنذِرْ قَوْمَكَ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
Inna arsalna noohan ila qawmihi an anthir qawmaka min qabli an ya/tiyahum AAathabun aleemun
YUSUFALI: We sent Noah to his People (with the Command): “Do thou warn thy People before there comes to them a grievous Penalty.”
PICKTHAL: Lo! We sent Noah unto his people (saying): Warn thy people ere the painful doom come unto them.
SHAKIR: Surely We sent Nuh to his people, saying: Warn your people before there come upon them a painful chastisement.
KHALIFA: We sent Noah to his people: “You shall warn your people before a painful retribution afflicts them.”
==========
সূরা নূহ্ – ৭১
২৮ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সারাংশ : এটা আর একটি মক্কী সূরা যা প্রথম দিকে অবতীর্ণ হয় এর বিষয়বস্তু হচ্ছে ভালো যখন সত্য ও পূণ্যের মানদন্ড সমুন্নত রাখবে তখন একটা সময় আসবে যখন সে নিশ্চয়ই পাপীদের সঙ্গ পরিহার করবে, যাতে দূর্নীতি বিস্তার লাভ না করে। মহাপ্লাবনের পূর্বে এই ছিলো নূহ্ এর প্রার্থনার বিষয় বস্তু। হযরত নূহ্ এর যন্ত্রণার অনুরূপ যন্ত্রণা ছিলো মহানবীর প্রতি মক্কাবাসীদের অত্যাচার।
সূরা নূহ্ – ৭১
২৮ আয়াত, ২ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। আমি নূহ্ কে তার সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম [ এই আদেশ সহকারে ] ৫৭০৫ : ” তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সর্তক কর, তাদের প্রতি ভয়াবহ শাস্তি আসার পূর্বেই।”
৫৭০৫। হযরত নূহ্ এর নবুয়তের উল্লেখ বহুস্থানে করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে করা হয়েছে [ ১১ : ২৫ -৪৯ ] আয়াত সমূহে এবং এর টিকাতে। হযরত নূহ্ এর সম্প্রদায় আল্লাহ্র প্রেরিত নৈতিক আইনকে সম্পূর্ণ রূপে প্রত্যাখান করে ফলে সমগ্র সমাজ পাপের পঙ্কে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। সমাজের এই পাপকে বিদূরিত করার প্রয়োজন দেখা গেলো। সুতারাং মহাপ্লাবন দ্বারা সব কিছুকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এভাবেই নূহ্ এর সম্প্রদায়ের জন্য নূতন ভাবে পাপমুক্ত জীবন শুরু করার পরিবেশ সৃষ্টি করা হলো। অবশ্য নূহ্ এর সম্প্রদায় বলতে তাদেরই বোঝানো হয়েছে যারা নূহ্ এর নৌকাতে থেকে মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পান।
আয়াতঃ 071.002
সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্যে স্পষ্ট সতর্ককারী।
He said: ”O my people! Verily, I am a plain warner to you,
قَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
Qala ya qawmi innee lakum natheerun mubeenun
YUSUFALI: He said: “O my People! I am to you a Warner, clear and open:
PICKTHAL: He said: O my people! Lo! I am a plain warner unto you
SHAKIR: He said: O my people! Surely I am a plain warner to you:
KHALIFA: He said, “O my people, I am a manifest warner to you.
২। সে বলেছিলো, ” হে আমার সম্প্রদায় ! আমি তো তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য সর্তককারী, ৫৭০৬
৫৭০৬। হযরত নূহ্ এর সতর্কবাণী ছিলো সুস্পষ্ট এবং প্রকাশ্য। ‘Mubin’ শব্দটি দ্বারা এই দ্বিবিধ অর্থকেই বোঝানো হয়েছে [ ৬৭ : ২৬ ]। সর্তকবাণী দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, যদি তারা অনুতপ্ত হয়, তবে তারা আল্লাহ্র করুণা লাভে সমর্থ হবে।
আয়াতঃ 071.003
এ বিষয়ে যে, তোমরা আল্লাহ তা’আলার এবাদত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
”That you should worship Allâh (Alone), be dutiful to Him, and obey me,
أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ
Ani oAAbudoo Allaha waittaqoohu waateeAAooni
YUSUFALI: “That ye should worship Allah, fear Him and obey me:
PICKTHAL: (Bidding you): Serve Allah and keep your duty unto Him and obey me,
SHAKIR: That you should serve Allah and be careful of (your duty to) Him and obey me:
KHALIFA: “To alert you that you shall worship GOD, reverence Him, and obey me.
৩। ” তোমরা আল্লাহ্র এবাদত কর, তাঁকে ভয় কর, এবং আমাকে মান্য কর ; ৫৭০৭
৫৭০৭। এই আয়াতে আল্লাহ্র প্রতি মানুষের ত্রিবিধ কর্তব্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এগুলি হচ্ছে :
১) ‘ইবাদত’ অর্থাৎ একান্ত আন্তরিকভাবে অন্তরের অন্থঃস্থল থেকে আল্লাহ্র উপাসনা করা।
২) ‘ভয়’ অর্থাৎ অন্তরের মাঝে এই ভয় থাকা যে, পাপের শেষ পরিণতি ভয়াবহ এবং তা আল্লাহ্র কাছে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পাপ মানুষের চারিত্রিক গুণাবলী ধ্বংস করে দেয়। সুতারাং আল্লাহ্র ভয়ে পাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
৩) মান্য করা অর্থাৎ অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন করতে হবে। আল্লাহ্র হেদায়েতের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে।
আয়াতঃ 071.004
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার নির্দিষ্টকাল যখন হবে, তখন অবকাশ দেয়া হবে না, যদি তোমরা তা জানতে!
”He (Allâh) will forgive you of your sins and respite you to an appointed term. Verily, the term of Allâh when it comes, cannot be delayed, if you but knew.”
يَغْفِرْ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى إِنَّ أَجَلَ اللَّهِ إِذَا جَاء لَا يُؤَخَّرُ لَوْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
Yaghfir lakum min thunoobikum wayu-akhkhirkum ila ajalin musamman inna ajala Allahi itha jaa la yu-akhkharu law kuntum taAAlamoona
YUSUFALI: “So He may forgive you your sins and give you respite for a stated Term: for when the Term given by Allah is accomplished, it cannot be put forward: if ye only knew.”
PICKTHAL: That He may forgive you somewhat of your sins and respite you to an appointed term. Lo! the term of Allah, when it cometh, cannot be delayed, if ye but knew.
SHAKIR: He will forgive you some of your faults and grant you a delay to an appointed term; surely the term of Allah when it comes is not postponed; did you but know!
KHALIFA: “He will then forgive you your sins and respite you for a predetermined period. Most assuredly, GOD’s appointment can never be delayed, once it is due, if you only knew.”
৪। “তাহলে তিনি তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং তোমাদের অবকাশ দেবেন এক নির্দ্দিষ্টকাল পর্যন্ত। যখন আল্লাহ্ কর্তৃক দেয় নির্দ্দিষ্ট সময়কাল শেষ হয়, তখন তা বিলম্বিত করা যায় না ৫৭০৮। যদি তোমরা তা জানতে।
৫৭০৮। আল্লাহ্ মানুষকে আত্মসংশোধনের জন্য পৃথিবীর জীবনে অবসর দান করে থাকেন। আল্লাহ্র আদেশ হচ্ছে চিরন্তন সত্য। যে সত্যকে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করার ক্ষমতা এই পৃথিবীতে কাউকে দেয়া হয় নাই। সুতারাং এই সত্যকে হৃদয়ের মাঝে উপলব্ধি করে আল্লাহ্র প্রদত্ত নির্দ্দিষ্ট সময়কালের মাঝে আত্মসংশোধনের মাধ্যমে সকলের আল্লাহ্র ক্ষমা লাভ করার চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহ্র ক্ষমালাভের মাধ্যমেই ইহকাল ও পরকালে শান্তি লাভ করা সম্ভব।
আয়াতঃ 071.005
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্রি দাওয়াত দিয়েছি;
He said: ”O my Lord! Verily, I have called my people night and day (i.e. secretly and openly to accept the doctrine of Islâmic Monotheism) ,
قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا
Qala rabbi innee daAAawtu qawmee laylan wanaharan
YUSUFALI: He said: “O my Lord! I have called to my People night and day:
PICKTHAL: He said: My Lord! Lo! I have called unto my people night and day
SHAKIR: He said: O my Lord! surely I have called my people by night and by day!
KHALIFA: He said, “My Lord, I have invited my people night and day.
৫। সে বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু ! আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্র আহ্বান করেছি ;
৬। ” কিন্তু আমার আহ্বান ওদের [ সত্য থেকে ] পলায়ণ প্রবণতাই বৃদ্ধি করেছে। ৫৭০৯
৫৭০৯। যখন পাপীদের সম্মুখে তাদের পাপের শেষ পরিণতি উল্লেখ করে সতর্ক করা হয়, তখন পাপীদের মাঝে দ্বিবিধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। একদল আছে যারা পূর্বে তাদের পাপ সম্বন্ধে অনবহিত ছিলো কিন্তু সতর্কবাণী শ্রবণে তাদের জ্ঞানোদয় ঘটে এবং তারা অনুতপ্ত হয় এবং আত্মসংশোধন করে আল্লাহ্র প্রতি আত্মনিবেদনে জীবনকে ধন্য করে থাকে। অন্য আর এক দল থাকে যাদের মনে সতর্কবাণী বা আল্লাহ্র হেদায়েত কোনও রেখাপাত করে না। বরং তা তাদের মনে বিরক্তির উৎপাদন করে এবং তাদের মাঝে আল্লাহ্র হেদায়েত থেকে পলায়ন প্রবণতা বৃদ্ধি করে। এরা পূণ্যের পথ থেকে আরও দূরে সরে যায় এবং পাপের পিচ্ছিল পথে দ্রুত অবতরণ করে। ফলে আল্লাহ্র করুণা লাভের সকল দরজা ধীরে ধীরে তাদের সমানে বন্ধ হয়ে যায়। তারা আর আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভে সমর্থ হয় না।
আয়াতঃ 071.006
কিন্তু আমার দাওয়াত তাদের পলায়নকেই বৃদ্ধি করেছে।
”But all my calling added nothing but to (their) flight (from the truth).
فَلَمْ يَزِدْهُمْ دُعَائِي إِلَّا فِرَارًا
Falam yazidhum duAAa-ee illa firaran
YUSUFALI: “But my call only increases (their) flight (from the Right).
PICKTHAL: But all my calling doth but add to their repugnance;
SHAKIR: But my call has only made them flee the more:
KHALIFA: “But my invitation only increased their aversion.
৫। সে বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু ! আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্র আহ্বান করেছি ;
৬। ” কিন্তু আমার আহ্বান ওদের [ সত্য থেকে ] পলায়ণ প্রবণতাই বৃদ্ধি করেছে। ৫৭০৯
৫৭০৯। যখন পাপীদের সম্মুখে তাদের পাপের শেষ পরিণতি উল্লেখ করে সতর্ক করা হয়, তখন পাপীদের মাঝে দ্বিবিধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। একদল আছে যারা পূর্বে তাদের পাপ সম্বন্ধে অনবহিত ছিলো কিন্তু সতর্কবাণী শ্রবণে তাদের জ্ঞানোদয় ঘটে এবং তারা অনুতপ্ত হয় এবং আত্মসংশোধন করে আল্লাহ্র প্রতি আত্মনিবেদনে জীবনকে ধন্য করে থাকে। অন্য আর এক দল থাকে যাদের মনে সতর্কবাণী বা আল্লাহ্র হেদায়েত কোনও রেখাপাত করে না। বরং তা তাদের মনে বিরক্তির উৎপাদন করে এবং তাদের মাঝে আল্লাহ্র হেদায়েত থেকে পলায়ন প্রবণতা বৃদ্ধি করে। এরা পূণ্যের পথ থেকে আরও দূরে সরে যায় এবং পাপের পিচ্ছিল পথে দ্রুত অবতরণ করে। ফলে আল্লাহ্র করুণা লাভের সকল দরজা ধীরে ধীরে তাদের সমানে বন্ধ হয়ে যায়। তারা আর আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভে সমর্থ হয় না।
আয়াতঃ 071.007
আমি যতবারই তাদেরকে দাওয়াত দিয়েছি, যাতে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন, ততবারই তারা কানে অঙ্গুলি দিয়েছে, মুখমন্ডল বস্ত্রাবৃত করেছে, জেদ করেছে এবং খুব ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছে।
”And verily! Every time I called unto them that You might forgive them, they thrust their fingers into their ears, covered themselves up with their garments, and persisted (in their refusal), and magnified themselves in pride.
وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوا أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ وَاسْتَغْشَوْا ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّوا وَاسْتَكْبَرُوا اسْتِكْبَارًا
Wa-innee kullama daAAawtuhum litaghfira lahum jaAAaloo asabiAAahum fee athanihim waistaghshaw thiyabahum waasarroo waistakbaroo istikbaran
YUSUFALI: “And every time I have called to them, that Thou mightest forgive them, they have (only) thrust their fingers into their ears, covered themselves up with their garments, grown obstinate, and given themselves up to arrogance.
PICKTHAL: And lo! whenever I call unto them that Thou mayst pardon them they thrust their fingers in their ears and cover themselves with their garments and persist (in their refusal) and magnify themselves in pride.
SHAKIR: And whenever I have called them that Thou mayest forgive them, they put their fingers in their ears, cover themselves with their garments, and persist and are puffed up with pride:
KHALIFA: “Whenever I invited them to be forgiven by You, they placed their fingers in their ears, covered themselves with their clothes, insisted, and turned arrogant.
৭। ” প্রত্যেক সময়ে যখনই আমি তাদের আহ্বান করেছি, যাতে তুমি তাদের ক্ষমা কর, তারা কানে অঙ্গুলী দেয়, নিজেদের পোষাক দ্বারা আবৃত করে ফেলে ৫৭১০, অনমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করে এবং অতিশয় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে।
৫৭১০। নূহ নবীর সম্প্রদায়ের বিদ্রোহের কথা এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, আক্ষরিক অর্থে তা হচ্চে এই সম্প্রদায়ের লোকেরা হযরত নূহের সর্তক বাণীকে প্রত্যাখান করার জন্য কানে আঙ্গুলি প্রবেশ করিয়ে রাখতো যেনো তা শুনতে না হয়, সমস্ত শরীরকে বস্ত্রাবৃত করে রাখতো যেনো [সত্যের] আলো তাদের শরীরে প্রবেশ না করে এবং তাদের যেনো আড়াল করে রাখে, সত্যের প্রচারকের দৃষ্টি থেকে। এই আয়াতটির অর্থ প্রতীকধর্মী, যা আক্ষরিক অর্থকে অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক জগতের প্রতি আহ্বান করেছে। পোষাক যেরূপ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ঢেকে রাখে, মানুষের বিভিন্ন প্রবৃত্তি বা রীপু সমূহও সেরূপ আত্মার স্বাভাবিক প্রকাশকে ঢেকে রাখে বা ব্যহত করে। এ সব প্রবণতা হচ্ছে অহংকার, বদ্ভ্যাস বা স্বভাব, সামাজিক রীতিনীতি যা সত্যের বিরুদ্ধাচারণ করে তার প্রতি আনুগত্য, পুরুষানুক্রমিক ভাবে প্রচলিত ঐতিহ্যের প্রতি আত্মসমর্পনের ইচ্ছা যদিও তা আত্মিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর, ক্ষুদ্র স্বার্থ রক্ষার জন্য সত্যকে ত্যাগ করা, পার্থিব গৌরব রক্ষার জন্য বৃহত্তর সত্যকে অবদমিত করার প্রবণতা ইত্যাদি। এসব প্রবণতা, জাগতিক জীবনে মানুষকে এত প্রবলভাবে আকর্ষণ করে যে তাকে তুলনা করা চলে পোষাকের সাথে। পোষাক যেরূপ সূর্যের আলোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, মানুষের এ সব প্রবণতা বা রীপু সমূহ তাদের আত্মার চারিপার্শ্বে এরূপ বেষ্টনীর সৃষ্টি করে যে, তা ভেদ করে আল্লাহ্র নূর বা হেদায়েতের আলো তাদের আত্মার মাঝে পৌঁছাতে সক্ষম হয় না। এর ফলে তারা ধীরে ধীরে সত্য বিমুখ হয়ে পড়ে এবং তাদের চরিত্রে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়। এরূপ লোকেরাই হয়, স্বার্থপর ও উদ্ধত অহংকারী।
আয়াতঃ 071.008
অতঃপর আমি তাদেরকে প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়েছি,
”Then verily, I called to them openly (aloud);
ثُمَّ إِنِّي دَعَوْتُهُمْ جِهَارًا
Thumma innee daAAawtuhum jiharan
YUSUFALI: “So I have called to them aloud;
PICKTHAL: And lo! I have called unto them aloud,
SHAKIR: Then surely I called to them aloud:
KHALIFA: “Then I invited them publicly
৮। “সুতারাং আমি তাদের উচ্চস্বরে আহ্বান করেছি,
৯। ” উপরন্তু আমি তাদের সাথে প্রকাশ্যে এবং গোপনে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছি ৫৭১১,
৫৭১১। প্রকৃত ধর্মপ্রচারকদের যা কিছু করণীয় নূহ্ নবী তার সকল কিছুই প্রয়োগ করেন তার সম্প্রদায়ের হেদায়েতের জন্য। তিনি বারে বারে আল্লাহ্র বাণী পুণরুক্তি করেন,শোনান, প্রকাশ্যে আহ্বান করেছেন, প্রচারণা করেছেন, গোপনে ব্যক্তিগত ভাবে আবেদন করেছেন। কিন্তু সব কিছুই ছিলো বৃথা।
আয়াতঃ 071.009
অতঃপর আমি ঘোষণা সহকারে প্রচার করেছি এবং গোপনে চুপিসারে বলেছি।
”Then verily, I proclaimed to them in public, and I have appealed to them in private,
ثُمَّ إِنِّي أَعْلَنتُ لَهُمْ وَأَسْرَرْتُ لَهُمْ إِسْرَارًا
Thumma innee aAAlantu lahum waasrartu lahum israran
YUSUFALI: “Further I have spoken to them in public and secretly in private,
PICKTHAL: And lo! I have made public proclamation unto them, and I have appealed to them in private.
SHAKIR: Then surely I spoke to them in public and I spoke to them in secret:
KHALIFA: “Then I proclaimed to them loudly, and I spoke to them privately.
৮। “সুতারাং আমি তাদের উচ্চস্বরে আহ্বান করেছি,
৯। ” উপরন্তু আমি তাদের সাথে প্রকাশ্যে এবং গোপনে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছি ৫৭১১,
৫৭১১। প্রকৃত ধর্মপ্রচারকদের যা কিছু করণীয় নূহ্ নবী তার সকল কিছুই প্রয়োগ করেন তার সম্প্রদায়ের হেদায়েতের জন্য। তিনি বারে বারে আল্লাহ্র বাণী পুণরুক্তি করেন,শোনান, প্রকাশ্যে আহ্বান করেছেন, প্রচারণা করেছেন, গোপনে ব্যক্তিগত ভাবে আবেদন করেছেন। কিন্তু সব কিছুই ছিলো বৃথা।
আয়াতঃ 071.010
অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
”I said (to them): ’Ask forgiveness from your Lord; Verily, He is Oft-Forgiving;
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا
Faqultu istaghfiroo rabbakum innahu kana ghaffaran
YUSUFALI: “Saying, ‘Ask forgiveness from your Lord; for He is Oft-Forgiving;
PICKTHAL: And I have said: Seek pardon of your Lord. Lo! He was ever Forgiving.
SHAKIR: Then I said, Ask forgiveness of your Lord, surely He is the most Forgiving:
KHALIFA: “I said, `Implore your Lord for forgiveness; He is Forgiving.
১০। ” বলেছিলাম, ” তোমার প্রভুর ক্ষমা প্রার্থনা কর; নিশ্চয় তিনি বারে বারে ক্ষমাশীল ;
১১। “তিনি তোমাদের প্রচুর বৃষ্টি দেবেন ৫৭১২ ;
৫৭১২। সম্ভবতঃ সে সময়ে সমগ্র দেশ ছিলো খরা কবলিত। যদি তারা নূহ্ নবীর আহ্বানে কর্ণপাত করতো এবং আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনায়ন করতো, তবে আল্লাহ্র রহমত স্বরূপ বৃষ্টিপাত হতো এবং খরা দূর হয়ে যেতো। কিন্তু তারা নূহ্ নবীর আহ্বানে সাড়া দিলো না ফলে যে বৃষ্টি তাদের জন্য রহমত হতে পারতো, সেই বৃষ্টি তাদের জন্য অভিশাপরূপে আর্বিভূত হলো। প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হলো এক মহাপ্লাবন যা তাদের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো। ফলে পাপী সম্প্রদায়ের সকলে ধ্বংস হয়ে যায়। আল্লাহ্র সূদূর প্রসারী পরিকল্পনায় তা ছিলো পরবর্তী মানব সম্প্রদায়ের জন্য আর্শীবাদ স্বরূপ। কারন পাপী সম্প্রদায় ধ্বংস হওয়ার দরুণ পৃথিবীতে নূতন মানব সম্প্রদায় জন্ম লাভ করার সুযোগ পেলো যারা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক গুণে গুণান্বিত।
আয়াতঃ 071.011
তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন,
’He will send rain to you in abundance;
يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا
Yursili alssamaa AAalaykum midraran
YUSUFALI: “‘He will send rain to you in abundance;
PICKTHAL: He will let loose the sky for you in plenteous rain,
SHAKIR: He will send down upon you the cloud, pouring down abundance of rain:
KHALIFA: ” `He will then shower you generously with rain.
১০। ” বলেছিলাম, ” তোমার প্রভুর ক্ষমা প্রার্থনা কর; নিশ্চয় তিনি বারে বারে ক্ষমাশীল ;
১১। “তিনি তোমাদের প্রচুর বৃষ্টি দেবেন ৫৭১২ ;
৫৭১২। সম্ভবতঃ সে সময়ে সমগ্র দেশ ছিলো খরা কবলিত। যদি তারা নূহ্ নবীর আহ্বানে কর্ণপাত করতো এবং আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনায়ন করতো, তবে আল্লাহ্র রহমত স্বরূপ বৃষ্টিপাত হতো এবং খরা দূর হয়ে যেতো। কিন্তু তারা নূহ্ নবীর আহ্বানে সাড়া দিলো না ফলে যে বৃষ্টি তাদের জন্য রহমত হতে পারতো, সেই বৃষ্টি তাদের জন্য অভিশাপরূপে আর্বিভূত হলো। প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হলো এক মহাপ্লাবন যা তাদের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো। ফলে পাপী সম্প্রদায়ের সকলে ধ্বংস হয়ে যায়। আল্লাহ্র সূদূর প্রসারী পরিকল্পনায় তা ছিলো পরবর্তী মানব সম্প্রদায়ের জন্য আর্শীবাদ স্বরূপ। কারন পাপী সম্প্রদায় ধ্বংস হওয়ার দরুণ পৃথিবীতে নূতন মানব সম্প্রদায় জন্ম লাভ করার সুযোগ পেলো যারা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক গুণে গুণান্বিত।
আয়াতঃ 071.012
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।
’And give you increase in wealth and children, and bestow on you gardens and bestow on you rivers.’ ”
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
Wayumdidkum bi-amwalin wabaneena wayajAAal lakum jannatin wayajAAal lakum anharan
YUSUFALI: “‘Give you increase in wealth and sons; and bestow on you gardens and bestow on you rivers (of flowing water).
PICKTHAL: And will help you with wealth and sons, and will assign unto you Gardens and will assign unto you rivers.
SHAKIR: And help you with wealth and sons, and make for you gardens, and make for you rivers.
KHALIFA: ” `And provide you with money and children, and orchards, and streams.’
১২। ” তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে; এবং তোমাদের দান করবেন উদ্যানসমূহ এবং দান করবেন [ স্রোতস্বীনি ] নদীসমূহ। ৫৭১৩
৫৭১৩। আল্লাহ্র নেয়ামতের কয়েকটি ধাপ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে বৃষ্টি এবং শষ্য যা পরস্পর সম্পর্কিত, সম্পদ ও জনশক্তি [ সন্তান-সন্ততি], সমৃদ্ধ বাগান, স্থায়ী স্রোতস্বীনি ইত্যাদি হচ্ছে কোনও জাতির জন্য সমৃদ্ধির লক্ষণ। এগুলির উল্লেখ কোরাণে করা হয়েছে শুধুমাত্র পার্থিব উন্নতি বুঝানোর জন্যই নয়। এগুলি হচ্ছে প্রতীক ধর্মী যার সাহায্যে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতিকে বুঝানো হয়। লক্ষ্য করুন, স্রোতস্বীণি নদীসমূহ” বাক্যটি। অর্থাৎ এগুলি এমন নদীনালা যার পানি সারা বৎসর প্রবাহিত হয়, শুকিয়ে যায় না। যে নদী সারা বৎসর নাব্য থাকে তার উভয়পার্শ্বে গড়ে উঠে জনপদ, বাণিজ্য কেন্দ্র, সমৃদ্ধ নগর যার অধিবাসীরা সুখ ও শান্তিতে বসবাস করে। এসব জনপদের অধিবাসীদের পার্থিব সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি পরলোকের সুখশান্তির পূর্বানুমান মাত্র।
আয়াতঃ 071.013
তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্টত্ব আশা করছ না।
What is the matter with you, [that you fear not Allâh (His punishment), and] you hope not for reward (from Allâh or you believe not in His Oneness).
مَّا لَكُمْ لَا تَرْجُونَ لِلَّهِ وَقَارًا
Ma lakum la tarjoona lillahi waqaran
YUSUFALI: “‘What is the matter with you, that ye place not your hope for kindness and long-suffering in Allah,-
PICKTHAL: What aileth you that ye hope not toward Allah for dignity
SHAKIR: What is the matter with you that you fear not the greatness of Allah?
KHALIFA: Why should you not strive to reverence GOD?
১৩। ” তোমাদের কি হয়েছে, যে তোমরা আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতে চাচ্ছ না ? –
১৪। ” অথচ তোমরা কি দেখ না তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে ? ৫৭১৪
৫৭১৪। দেখুন [ ২২ : ৫ ] আয়াত ও টিকা ২৭৭৩ – ২৭৭৭। আরও দেখুন [ ২৩ : ১২ – ১৭] এবং টিকা ২৮৭২ – ২৮৭৫। এই আয়াতটির অর্থ গভীর ও ব্যপক। মাতৃগর্ভে মানুষের সৃষ্টি যেমন পর্যায়ক্রমে ঘটে জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্তও তার দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে পর্যায়ক্রমে। জীবনের বিভিন্ন সময়ে মানব সন্তান বিভিন্ন মানসিক ও আধ্যাত্মিক দক্ষতা প্রদর্শন করে থাকে। মানুষের এই মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিন্যাসকে চারিপার্শ্বের পৃথিবীর বিভিন্ন বিন্যাসের সাথে আকাশমন্ডলী সৃষ্টির বিন্যাসের সাথে তুলনা করা যায়। আল্লাহ্র সৃষ্টির নৈপুন্য দর্শনে এবং মনোজগতের ও আধ্যাত্মিক জগতের অনুভূতির মাধ্যমেও কি মানুষের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে না?
আয়াতঃ 071.014
অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন রকমে সৃষ্টি করেছেন।
While He has created you in (different) stages [i.e. first Nutfah, then ’Alaqah and then Mudghah, see (VV.23:13,14) the Qur’ân].
وَقَدْ خَلَقَكُمْ أَطْوَارًا
Waqad khalaqakum atwaran
YUSUFALI: “‘Seeing that it is He that has created you in diverse stages?
PICKTHAL: When He created you by (divers) stages?
SHAKIR: And indeed He has created you through various grades:
KHALIFA: He is the One who create
১৩। ” তোমাদের কি হয়েছে, যে তোমরা আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতে চাচ্ছ না ? –
১৪। ” অথচ তোমরা কি দেখ না তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে ? ৫৭১৪
৫৭১৪। দেখুন [ ২২ : ৫ ] আয়াত ও টিকা ২৭৭৩ – ২৭৭৭। আরও দেখুন [ ২৩ : ১২ – ১৭] এবং টিকা ২৮৭২ – ২৮৭৫। এই আয়াতটির অর্থ গভীর ও ব্যপক। মাতৃগর্ভে মানুষের সৃষ্টি যেমন পর্যায়ক্রমে ঘটে জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্তও তার দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে পর্যায়ক্রমে। জীবনের বিভিন্ন সময়ে মানব সন্তান বিভিন্ন মানসিক ও আধ্যাত্মিক দক্ষতা প্রদর্শন করে থাকে। মানুষের এই মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিন্যাসকে চারিপার্শ্বের পৃথিবীর বিভিন্ন বিন্যাসের সাথে আকাশমন্ডলী সৃষ্টির বিন্যাসের সাথে তুলনা করা যায়। আল্লাহ্র সৃষ্টির নৈপুন্য দর্শনে এবং মনোজগতের ও আধ্যাত্মিক জগতের অনুভূতির মাধ্যমেও কি মানুষের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে না?
আয়াতঃ 071.015
তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন।
See you not how Allâh has created the seven heavens one above another,
أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا
Alam taraw kayfa khalaqa Allahu sabAAa samawatin tibaqan
YUSUFALI: “‘See ye not how Allah has created the seven heavens one above another,
PICKTHAL: See ye not how Allah hath created seven heavens in harmony,
SHAKIR: Do you not see how Allah has created the seven heavens ,~ one above another,
KHALIFA: Do you not realize that GOD created seven universes in layers?
১৫। ” তোমরা কি দেখতে পাও না ; কিভাবে তিনি সৃষ্টি করেছেন সপ্ত স্তরে বিন্যস্ত আকাশমন্ডলী ; ৫৭১৫
৫৭১৫। দেখুন [ ৬৭ : ৩ ] আয়াতের টিকা ৫৫৫৯।
আয়াতঃ 071.016
এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।
And has made the moon a light therein, and made the sun a lamp?
وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا
WajaAAala alqamara feehinna nooran wajaAAala alshshamsa sirajan
YUSUFALI: “‘And made the moon a light in their midst, and made the sun as a (Glorious) Lamp?
PICKTHAL: And hath made the moon a light therein, and made the sun a lamp?
SHAKIR: And made the moon therein a light, and made the sun a lamp?
KHALIFA: He designed the moon therein to be a light, and placed the sun to be a lamp.
১৬। ” এবং তার মাঝখানে চন্দ্রকে স্থাপন করেছেন আলোরূপে, এবং সূর্যকে স্থাপন করেছেন [ উজ্জ্বল ] প্রদীপরূপে ; ৫৭১৬
৫৭১৬। দেখুন [ ২৫ : ৬১ ] আয়াত যেখানে সূর্যকে উল্লেখ করা হয়েছে আকাশের প্রদীপরূপে। বলা হয়েছে, “কত মহান তিনি যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করেছেন, রাশিচক্র এবং উহাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোর্তিময় চন্দ্র।”
আয়াতঃ 071.017
আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে উদগত করেছেন।
And Allâh has brought you forth from the (dust of) earth. [Tafsir At-Tabarî, Vol.29, Page 97].
وَاللَّهُ أَنبَتَكُم مِّنَ الْأَرْضِ نَبَاتًا
WaAllahu anbatakum mina al-ardi nabatan
YUSUFALI: “‘And Allah has produced you from the earth growing (gradually),
PICKTHAL: And Allah hath caused you to grow as a growth from the earth,
SHAKIR: And Allah has made you grow out of the earth as a growth:
KHALIFA: And GOD germinated you from the earth like plants.
১৭। ” এবং আল্লাহ্ তোমাদের মাটি থেকে [ ধীরে ধীরে ] উদ্ভুদ করেছেন , ৫৭১৭
১৮। ” এবং সব শেষে তিনি তোমাদের [ মাটিতেই ] ফিরিয়ে দেবেন ; এবং [ পুণরুত্থানের দিনে পুণরায়] উত্থিত করবেন ,
৫৭১৭। দেখুন [ ৩ : ৩৭ ] আয়াত যেখানে ‘Nabat’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে মেরী বা হযরত ঈসার মাতার শারীরিক বৃদ্ধি বুঝানোর জন্য। সাধারণ ভাবে শব্দটির সাহায্যে বৃক্ষ, তরুলতা ও উদ্ভিদ জগতের বৃদ্ধিকে বুঝানো হয়। এই আয়াতটিতে উপমা ব্যবহার করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে মানুষকেও উদ্ভুদ করা হয়েছে মৃত্তিকা হতে। উদ্ভিদকে যেরূপ উদ্ভুদ করা হয় মৃত্তিকা থেকে। উদ্ভিদের বেলাতে বীজ বপন করা হয়, অঙ্কুরোদ্গ ঘটে, চারাগাছের উন্মেষ ঘটে, যা বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্ত হয় এবং ফুল ফল দান করে পুণরায় মাটিতে মিশে যায়। মানুষের বেলাতে এর পরেও রয়েছে পুণরুত্থান। দেখুন [ ২০: ৫৫ ] আয়াত।
আয়াতঃ 071.018
অতঃপর তাতে ফিরিয়ে নিবেন এবং আবার পুনরুত্থিত করবেন।
Afterwards He will return you into it (the earth), and bring you forth (again on the Day of Resurrection)?
ثُمَّ يُعِيدُكُمْ فِيهَا وَيُخْرِجُكُمْ إِخْرَاجًا
Thumma yuAAeedukum feeha wayukhrijukum ikhrajan
YUSUFALI: “‘And in the End He will return you into the (earth), and raise you forth (again at the Resurrection)?
PICKTHAL: And afterward He maketh you return thereto, and He will bring you forth again, a (new) forthbringing.
SHAKIR: Then He returns you to it, then will He bring you forth a (new) bringing forth:
KHALIFA: Then He returns you into it, and He will surely bring you out.
১৭। ” এবং আল্লাহ্ তোমাদের মাটি থেকে [ ধীরে ধীরে ] উদ্ভুদ করেছেন , ৫৭১৭
১৮। ” এবং সব শেষে তিনি তোমাদের [ মাটিতেই ] ফিরিয়ে দেবেন ; এবং [ পুণরুত্থানের দিনে পুণরায়] উত্থিত করবেন ,
৫৭১৭। দেখুন [ ৩ : ৩৭ ] আয়াত যেখানে ‘Nabat’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে মেরী বা হযরত ঈসার মাতার শারীরিক বৃদ্ধি বুঝানোর জন্য। সাধারণ ভাবে শব্দটির সাহায্যে বৃক্ষ, তরুলতা ও উদ্ভিদ জগতের বৃদ্ধিকে বুঝানো হয়। এই আয়াতটিতে উপমা ব্যবহার করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে মানুষকেও উদ্ভুদ করা হয়েছে মৃত্তিকা হতে। উদ্ভিদকে যেরূপ উদ্ভুদ করা হয় মৃত্তিকা থেকে। উদ্ভিদের বেলাতে বীজ বপন করা হয়, অঙ্কুরোদ্গ ঘটে, চারাগাছের উন্মেষ ঘটে, যা বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্ত হয় এবং ফুল ফল দান করে পুণরায় মাটিতে মিশে যায়। মানুষের বেলাতে এর পরেও রয়েছে পুণরুত্থান। দেখুন [ ২০: ৫৫ ] আয়াত।
আয়াতঃ 071.019
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে ভূমিকে করেছেন বিছানা।
And Allâh has made for you the earth wide spread (an expanse).
وَاللَّهُ جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ بِسَاطًا
WaAllahu jaAAala lakumu al-arda bisatan
YUSUFALI: “‘And Allah has made the earth for you as a carpet (spread out),
PICKTHAL: And Allah hath made the earth a wide expanse for you
SHAKIR: And Allah has made for you the earth a wide expanse,
KHALIFA: GOD made the earth habitable for you.
১৯। ” এবং আল্লাহ্ তোমাদের জন্য ভূমিকে কার্পেটের ন্যায় [ বিস্তৃত ] করেছেন৫৭১৮;-
৫৭১৮। দেখুন [ ২০ : ৫৩ ] আয়াত।
আয়াতঃ 071.020
যাতে তোমরা চলাফেরা কর প্রশস্ত পথে।
That you may go about therein in broad roads.
لِتَسْلُكُوا مِنْهَا سُبُلًا فِجَاجًا
Litaslukoo minha subulan fijajan
YUSUFALI: “‘That ye may go about therein, in spacious roads.’”
PICKTHAL: That ye may thread the valley-ways thereof.
SHAKIR: That you may go along therein in wide paths.
KHALIFA: That you may build roads therein.
২০। ” যেনো তোমরা প্রশস্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে পার।” ৫৭১৯
৫৭১৯। ‘Fijaj’ শব্দটি দ্বারা দুই পর্বতের মধ্যবর্তী উপত্যকা বা রাস্তাকে বুঝানো হয়। পৃথিবীতে বহু পর্বতশ্রেণী বিদ্যমান। এ সব পর্বত শ্রেণী দর্শনে ভ্রম হয় যে তা অতিক্রম করে যাওয়া দুঃসাধ্য। কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহ্র এ সব সুউচ্চ ও দুরূহ পর্বতশ্রেণীর মাঝে সৃষ্টি করেছেন উপত্যকা, সরু পথ যেখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারে এবং পর্বতকে অতিক্রম করতে পারে। সাধারণতঃ পার্বত্য পথ যেয়ে উপত্যকাতে শেষ হয়।
আয়াতঃ 071.021
নূহ বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় আমাকে অমান্য করেছে আর অনুসরণ করছে এমন লোককে, যার ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কেবল তার ক্ষতিই বৃদ্ধি করছে।
Nûh (Noah) said: ”My Lord! They have disobeyed me, and followed one whose wealth and children give him no increase but only loss.
قَالَ نُوحٌ رَّبِّ إِنَّهُمْ عَصَوْنِي وَاتَّبَعُوا مَن لَّمْ يَزِدْهُ مَالُهُ وَوَلَدُهُ إِلَّا خَسَارًا
Qala noohun rabbi innahum AAasawnee waittabaAAoo man lam yazidhu maluhu wawaladuhu illa khasaran
YUSUFALI: Noah said: “O my Lord! They have disobeyed me, but they follow (men) whose wealth and children give them no increase but only Loss.
PICKTHAL: Noah said: My Lord! Lo! they have disobeyed me and followed one whose wealth and children increase him in naught save ruin;
SHAKIR: Nuh said: My Lord! surely they have disobeyed me and followed him whose wealth and children have added to him nothing but loss.
KHALIFA: Noah said, “My Lord, they disobeyed me, and followed those who were even more corrupted when blessed with money and children.
রুকু – ২
২১। নূহ্ বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু ! তারা আমাকে অমান্য করেছে এবং এমন লোকের অনুসরণ করেছে যার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তাদের ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করে নাই।
২২। ” এবং তারা ভয়ানক ষড়যন্ত্র করেছিলো; ৫৭২০
৫৭২০। ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্যের প্রাচুর্যে পাপী ও কাফেররা উদ্ধত ও অহংকারী হয়ে পড়ে। আর এই অহংকারের ফলেই তারা পূণ্যাত্মাদের ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করে থাকে; কারণ পূণ্যাত্মাদের উপস্থিতি-ই তাদের মাঝে বিতৃষ্ণার সৃষ্টি করে থাকে। সাময়িক কালের জন্য মনে হতে পারে যে, দুষ্টের ষড়যন্ত্র সফলতা লাভ করতে যাচ্ছে, কিন্তু তা কখনও হতে পারে না। আল্লাহ্র বিধান হচ্ছে শেষ পরিণতিতে দুষ্ট কখনও আল্লাহ্র পরিকল্পনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে সফলতা লাভ করবে না।
আয়াতঃ 071.022
আর তারা ভয়ানক চক্রান্ত করছে।
”And they have plotted a mighty plot.
وَمَكَرُوا مَكْرًا كُبَّارًا
Wamakaroo makran kubbaran
YUSUFALI: “And they have devised a tremendous Plot.
PICKTHAL: And they have plotted a mighty plot,
SHAKIR: And they have planned a very great plan.
KHALIFA: “They schemed terrible schemes.
রুকু – ২
২১। নূহ্ বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু ! তারা আমাকে অমান্য করেছে এবং এমন লোকের অনুসরণ করেছে যার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তাদের ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করে নাই।
২২। ” এবং তারা ভয়ানক ষড়যন্ত্র করেছিলো; ৫৭২০
৫৭২০। ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্যের প্রাচুর্যে পাপী ও কাফেররা উদ্ধত ও অহংকারী হয়ে পড়ে। আর এই অহংকারের ফলেই তারা পূণ্যাত্মাদের ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করে থাকে; কারণ পূণ্যাত্মাদের উপস্থিতি-ই তাদের মাঝে বিতৃষ্ণার সৃষ্টি করে থাকে। সাময়িক কালের জন্য মনে হতে পারে যে, দুষ্টের ষড়যন্ত্র সফলতা লাভ করতে যাচ্ছে, কিন্তু তা কখনও হতে পারে না। আল্লাহ্র বিধান হচ্ছে শেষ পরিণতিতে দুষ্ট কখনও আল্লাহ্র পরিকল্পনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে সফলতা লাভ করবে না।
আয়াতঃ 071.023
তারা বলছেঃ তোমরা তোমাদের উপাস্যদেরকে ত্যাগ করো না এবং ত্যাগ করো না ওয়াদ, সূয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নসরকে।
”And they have said: ’You shall not leave your gods, nor shall you leave Wadd, nor Suwâ’, nor Yaghûth, nor Ya’ûq, nor Nasr (names of the idols);
وَقَالُوا لَا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلَا سُوَاعًا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا
Waqaloo la tatharunna alihatakum wala tatharunna waddan wala suwaAAan wala yaghootha wayaAAooqa wanasran
YUSUFALI: “And they have said (to each other), ‘Abandon not your gods: Abandon neither Wadd nor Suwa’, neither Yaguth nor Ya’uq, nor Nasr’;-
PICKTHAL: And they have said: Forsake not your gods. Forsake not Wadd, nor Suwa’, nor Yaghuth and Ya’uq and Nasr.
SHAKIR: And they say: By no means leave your gods, nor leave Wadd, nor Suwa; nor Yaghus, and Yauq and Nasr.
KHALIFA: “They said, `Do not abandon your gods. Do not abandon Wadd, Suwaa`, Yaghouth, Ya`ooq, and Nasr.’
২৩। “এবং তারা [ পরস্পরকে ] বলেছিলো, ” তোমাদের উপাস্যদের পরিত্যাগ করো না ; ৫৭২১, পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্ সুওয়া’আ, ইয়াগুত, ইয়া’উক ও নাসরকে ;
৫৭২১। মোশরেকদের দেবদেবীদের নাম সমূহের উল্লেখ এখানে করা হয়েছে।
আয়াতঃ 071.024
অথচ তারা অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। অতএব আপনি জালেমদের পথভ্রষ্টতাই বাড়িয়ে দিন।
”And indeed they have led many astray. And (O Allâh): ’Grant no increase to the Zâlimûn (polytheists, wrong-doers, and disbelievers, etc.) save error.’ ”
وَقَدْ أَضَلُّوا كَثِيرًا وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا ضَلَالًا
Waqad adalloo katheeran wala tazidi alththalimeena illa dalalan
YUSUFALI: “They have already misled many; and grant Thou no increase to the wrong-doers but in straying (from their mark).”
PICKTHAL: And they have led many astray, and Thou increasest the wrong-doers in naught save error.
SHAKIR: And indeed they have led astray many, and do not increase the unjust in aught but error.
KHALIFA: “They misled many. Therefore, let the wicked plunge deeper into loss.”
২৪। “ইতিমধ্যে তারা অনেককে বিপথে চালিত করেছে ; পাপীদের বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করো না।” ৫৭২২
৫৭২২। পৃথিবীর অগ্রযাত্রার ইতিহাস প্রমাণ করে যে, যারা এক আল্লাহ্র পরিবর্তে এসব দেবদেবীর আরাধনা করে থাকে, তাদের আরাধনা তাদের মাঝে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের স্ফুরণ অপেক্ষা, মানুষের কল্যাণ অপেক্ষা, কুসংস্কার, অজ্ঞানতা ও কাল্টের [cult] জন্ম দেয় যা মানুষের জন্য অকল্যাণকর। এ সব দেব দেবীর প্রতি বিশ্বাস শুধুমাত্র ভুলের পরে ভুলের সংযোজন ঘটায়। এভাবেই সমগ্র সমাজ হয়ে পড়ে কলুষিত। এ হচ্ছে আল্লাহ্ দেয়া প্রাকৃতিক বিধান। নূহ্ নবী যখন তাদের হেদায়েতে ব্যর্থ হলেন, তখন তাঁর প্রার্থনা ছিলো তাঁর অন্তরের তিক্ততার বহিঃপ্রকাশ। তিনি যালিমদের থেকে আল্লাহ্র রহমত বা করুণা ধারা ছিন্ন করার জন্য প্রার্থনা করেন। কারণ তারা শুধু যে নিজেরা বিভ্রান্ত তাই-ই নয়, তারা অন্যকেও বিভ্রান্ত করে বিপথে চালনা করে থাকে এবং পৃথিবীর পরিবেশকে কলুষিত করে থাকে।
আয়াতঃ 071.025
তাদের গোনাহসমূহের দরুন তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছে, অতঃপর দাখিল করা হয়েছে জাহান্নামে। অতঃপর তারা আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কাউকে সাহায্যকারী পায়নি।
Because of their sins they were drowned, then were made to enter the Fire, and they found none to help them instead of Allâh.
مِمَّا خَطِيئَاتِهِمْ أُغْرِقُوا فَأُدْخِلُوا نَارًا فَلَمْ يَجِدُوا لَهُم مِّن دُونِ اللَّهِ أَنصَارًا
Mimma khatee-atihim oghriqoo faodkhiloo naran falam yajidoo lahum min dooni Allahi ansaran
YUSUFALI: Because of their sins they were drowned (in the flood), and were made to enter the Fire (of Punishment): and they found- in lieu of Allah- none to help them.
PICKTHAL: Because of their sins they were drowned, then made to enter a Fire. And they found they had no helpers in place of Allah.
SHAKIR: Because of their wrongs they were drowned, then made to enter fire, so they did not find any helpers besides Allah.
KHALIFA: Because of their sins they were drowned and assigned to the hellfire. They found no helpers to protect them from GOD.
২৫। তাদের পাপের দরুণ তারা [ বন্যায় ] নিমজ্জিত হয়েছিলো, ৫৭২৩, এবং তাদের প্রবেশ করানো হয়েছিলো আগুনের [ শাস্তিতে]। তারা নিজেদের জন্য আল্লাহ্র পরিবর্তে অন্য কোন সাহায্যকারী পায় নাই।
৫৭২৩। পাপের শাস্তি এই পৃথিবীতেই শুরু হয়ে যায়। পাপিষ্ঠের আধ্যাত্মিক জগত থাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত। পাপ কাজের পরিণতিতে পাপিষ্ঠের আত্মা উদ্বেগ, দুঃশ্চিন্তা, অশান্তি, ভয়, শঙ্কা ইত্যাদি বিভিন্ন উপসর্গে পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে যা তাদের কৃতকর্মেরই প্রতিফলন বা শাস্তি। এই আয়াতে ইহলোকের শাস্তিকে উপস্থাপন করা হয়েছে নূহ্ নবীর সম্প্রদায়ের পানিতে নিমজ্জিত করার ঘটনার মাধ্যমে এবং পরলোকের শাস্তিকে উপস্থাপন করা হয়েছে অগ্নির মাধ্যমে। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে মৃত্যু নির্দ্দেশ করে শ্বাসরুদ্ধ হওয়া, যার ফলে গলা, নাক, কান, চোখ, মুখ, ফুসফুস সব কিছু পানিতে নিমজ্জিত হয়ে শ্বাসকষ্টের মাধ্যমে দৈহিক মৃত্যু ঘটে।
অগ্নির কার্যকর ফলাফল হচ্ছে তা দেহের চামড়া, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, মাংস, মগজ, হাড্ডি,মজ্জা, এক কথায় দেহের প্রতিটি অংগ প্রত্যঙ্গকে ভস্ম করে দেয়। পানিতে মৃত্যুর বৈশিষ্ট্য হলো, শরীরের অংগ প্রত্যঙ্গ অটুট থাকা সত্বেও তা আর কার্যকর থাকে না। সেরূপ পাপে নিমজ্জিত ব্যক্তির মানসিক দক্ষতা সমূহ অটুট থাকা সত্বেও তা আর কার্যকর থাকে না। মানসিক দক্ষতা হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলীর উৎস, যা আল্লাহ্র বিশেষ নেয়ামত। এই দক্ষতা কার্যকর না থাকার দরুণ পার্থিব জীবনে এসব লোকের চরিত্রের সকল গুণাবলী ধ্বংস হয়ে যায়। আগুনের ধর্মই হচ্ছে কোনও বস্তুকে প্রজ্জ্বলিত করে ভস্মে পরিণত করা। কিন্তু দোযখের আগুনের বৈশিষ্ট্য হবে যে তা দহনের পরিপূর্ণ যন্ত্রণা দান করবে কিন্তু ভস্মে পরিণত করবে না। আল্লাহ্ [ ৬: ১২৮ ] আয়াতে বলেছেন যে, ” তোমরা সেথায় [ জাহান্নামে ] স্থায়ী হবে, যদি না আল্লাহ্ অন্য রকম ইচ্ছা করেন।” সময়ের এই অনন্তকালের ধারণা এই পৃথিবীতে আমাদের কল্পনা করাও সম্ভব নয়। কারণ মানুষ জন্মাবধি সসীম সময়ের ধারণায় আবদ্ধ, কিন্তু পরলোকের নূতন পৃথিবীতে সময় হবে অনন্তকালব্যপী অসীম যার ধারণা এ পৃথিবীতে করা সম্ভব নয়।
আয়াতঃ 071.026
নূহ আরও বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি পৃথিবীতে কোন কাফের গৃহবাসীকে রেহাই দিবেন না।
And Nûh (Noah) said: ”My Lord! Leave not one of the disbelievers on the earth!
وَقَالَ نُوحٌ رَّبِّ لَا تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا
Waqala noohun rabbi la tathar AAala al-ardi mina alkafireena dayyaran
YUSUFALI: And Noah, said: “O my Lord! Leave not of the Unbelievers, a single one on earth!
PICKTHAL: And Noah said: My Lord! Leave not one of the disbelievers in the land.
SHAKIR: And Nuh said: My Lord! leave not upon the land any dweller from among the unbelievers:
KHALIFA: Noah also said, “My Lord, do not leave a single disbeliever on earth.
২৬। এবং নূহ্ বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু ! অবিশ্বাসীদের মধ্যে একজনকেও পৃথিবীতে অব্যহতি দিও না। ৫৭২৪
৫৭২৪। পৃথিবীর সকল পাপকে ও পাপীকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ্ মহাপ্লাবন প্রেরণ করেন। হযরত নূহ্ এর প্রার্থনা কোন আক্রোশের বশে ছিলো না। তার প্রার্থনা ছিলো পাপের সকল প্রসারকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য আকুল আকুতি।
আয়াতঃ 071.027
যদি আপনি তাদেরকে রেহাই দেন, তবে তারা আপনার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল পাপাচারী, কাফের।
”If You leave them, they will mislead Your slaves, and they will beget none but wicked disbelievers.”
إِنَّكَ إِن تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوا إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا
Innaka in tatharhum yudilloo AAibadaka wala yalidoo illa fajiran kaffaran
YUSUFALI: “For, if Thou dost leave (any of) them, they will but mislead Thy devotees, and they will breed none but wicked ungrateful ones.
PICKTHAL: If Thou shouldst leave them, they will mislead Thy slaves and will beget none save lewd ingrates.
SHAKIR: For surely if Thou leave them they will lead astray Thy servants, and will not beget any but immoral, ungrateful (children)
KHALIFA: “For if you let them, they will only mislead your servants and give birth to nothing but wicked disbelievers.
২৭। ” কেন না, তুমি [ কাউকে] অব্যহতি দিলে, তারা তোমার বান্দাদের বিভ্রান্ত করবে, এবং তারা দৃষ্কৃতিকারী ও অকৃতজ্ঞ ব্যতীত আর কিছুই জন্ম দেবে না।
২৮। ” হে আমার প্রভু ! ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, এবং যারা বিশ্বাসী হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে, এবং [ সকল ] বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের ৫৭২৫। এবং পাপীদের জন্য ধ্বংস ব্যতীত কোন উন্নতি তুমি দান করো না। ” ৫৭২৬
৫৭২৫। নূহ্ নবীর এই প্রার্থনা ছিলো সর্বকালের, সর্বযুগের,সকল মুমিন মানব সম্প্রদায়ের জন্য। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন তাঁর পিতা-মাতা তাঁর অতিথি এবং সকল মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের জন্য, যারা পৃথিবীতে সকল যুগে বিরাজ করবেন। সেই সাথে তিনি প্রার্থনা করেছিলেন পাপ ও পাপীদের ধ্বংসের জন্য যারা পৃথিবীর পরিবেশকে কলুষিত করে থাকে।
৫৭২৬। ” পাপীদের জন্য ধ্বংস ব্যতীত কোন উন্নতি তুমি দান করো না,” এই আয়াতটিকে পূর্বের ২৪ নং আয়াতের সাথে তুলনা করা যায়। দেখুন টিকা নং ৫৭২২।
আয়াতঃ 071.028
হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যারা মুমিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে-তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের কেবল ধ্বংসই বৃদ্ধি করুন।
”My Lord! Forgive me, and my parents, and him who enters my home as a believer, and all the believing men and women. And to the Zâlimûn (polytheists, wrong-doers, and disbelievers, etc.) grant You no increase but destruction!”
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا
Rabbi ighfir lee waliwalidayya waliman dakhala baytiya mu/minan walilmu/mineena waalmu/minati wala tazidi alththalimeena illa tabaran
YUSUFALI: “O my Lord! Forgive me, my parents, all who enter my house in Faith, and (all) believing men and believing women: and to the wrong-doers grant Thou no increase but in perdition!”
PICKTHAL: My Lord! Forgive me and my parents and him who entereth my house believing, and believing men and believing women, and increase not the wrong-doers in aught save ruin.
SHAKIR: My Lord! forgive me and my parents and him who enters my house believing, and the believing men and the believing women; and do not increase the unjust in aught but destruction!
KHALIFA: “My Lord, forgive me and my parents, and anyone who enters my home as a believer, and all the believing men and women. But do not give the disbelievers anything but annihilation.”
২৭। ” কেন না, তুমি [ কাউকে] অব্যহতি দিলে, তারা তোমার বান্দাদের বিভ্রান্ত করবে, এবং তারা দৃষ্কৃতিকারী ও অকৃতজ্ঞ ব্যতীত আর কিছুই জন্ম দেবে না।
২৮। ” হে আমার প্রভু ! ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, এবং যারা বিশ্বাসী হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে, এবং [ সকল ] বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের ৫৭২৫। এবং পাপীদের জন্য ধ্বংস ব্যতীত কোন উন্নতি তুমি দান করো না। ” ৫৭২৬
৫৭২৫। নূহ্ নবীর এই প্রার্থনা ছিলো সর্বকালের, সর্বযুগের,সকল মুমিন মানব সম্প্রদায়ের জন্য। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন তাঁর পিতা-মাতা তাঁর অতিথি এবং সকল মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের জন্য, যারা পৃথিবীতে সকল যুগে বিরাজ করবেন। সেই সাথে তিনি প্রার্থনা করেছিলেন পাপ ও পাপীদের ধ্বংসের জন্য যারা পৃথিবীর পরিবেশকে কলুষিত করে থাকে।
৫৭২৬। ” পাপীদের জন্য ধ্বংস ব্যতীত কোন উন্নতি তুমি দান করো না,” এই আয়াতটিকে পূর্বের ২৪ নং আয়াতের সাথে তুলনা করা যায়। দেখুন টিকা নং ৫৭২২।