৫৭৭৬। পৃথিবীতে আমরা ভালো কাজ যাই-ই করি না কেন সে কাজের ধারাবাহিকতা, আমাদের আল্লাহ্র সম্মুখে জবাবদিহিতার জন্য দাড়াবার পূর্বেই আল্লাহ্র নিকট পৌঁছে যায়। আমরা যা কিছু ভালো কাজ করি তা আমাদের আধ্যাত্মিক মঙ্গল ও সম্মানকে বৃদ্ধি করে থাকে আল্লাহ্র কাছে। এ কথা সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ্র রাস্তায় ব্যয়কৃত আমাদের পরিশ্রম, প্রতিভা, মেধা, মননশক্তি, সৃজন ক্ষমতা,সম্পদ, ক্ষমতা, অর্থাৎ এক কথায় আমরা যাই ব্যয় করি না কেন তার জন্য আল্লাহ্ আমাদের মুখাপেক্ষী নন। কারণ আল্লাহ্ অভাব মুক্ত। আমরা সৎ কাজ বা আল্লাহ্র রাস্তায় কাজ করবো আমাদের আত্মিক উন্নতির জন্য, আধ্যাত্মিক কল্যাণের জন্য যা আমাদের অন্তরকে হৃদয়কে বেহেশতি শান্তিতে ভরিয়ে দেবে।
৫৭৭৭। এই আয়াতটি শেষ করা হয়েছে আল্লাহ্র ক্ষমা ও করুণার উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। আমরা যে সৎ কাজই করি না কেন তাতে আমাদের যোগ্যতা খুব কমই থাকে। আল্লাহ্র অনুগ্রহই আমাদের ক্ষুদ্রতা ও অযোগ্যতা অতিক্রম করে আমাদের কাজকে সার্থকতার পথে পরিচালিত করে থাকে। ফলে আমাদের হৃদয়ের গুণরাজি ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে যা শুধুমাত্র পরম করুণাময়েরই অনুগ্রহ ব্যতীত অন্য কিছু নয়। তিনি আমাদের দোষত্রুটি অপসারণ করে আমাদের সকল কর্মকে বৃহত্তর সাফল্যের দিকে অগ্রসর করিয়ে দেন। এমন কি যখন কোনও মুত্তাকী ব্যক্তি তার খোদাভক্তি সম্বন্ধে গর্বিত হয় সে সেই মূহুর্তে আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতা হারিয়ে আত্মপূঁজায় নিমগ্ন হয় যা গর্হিত পাপ। জীবনের সকল অবস্থায়, সুখে, দুঃখে, বিপদে, বিপর্যয়ে, সম্মান, অসম্মানে সেই সর্বশক্তিমানের চরণ তলে বিনয়ের সাথে আত্মনিবেদনই হচ্ছে প্রকৃত ঈমানদারের লক্ষণ।