وَأَنَّهُ لَمَّا قَامَ عَبْدُ اللَّهِ يَدْعُوهُ كَادُوا يَكُونُونَ عَلَيْهِ لِبَدًا
Waannahu lamma qama AAabdu Allahi yadAAoohu kadoo yakoonoona AAalayhi libadan
YUSUFALI: “Yet when the Devotee of Allah stands forth to invoke Him, they just make round him a dense crowd.”
PICKTHAL: And when the slave of Allah stood up in prayer to Him, they crowded on him, almost stifling.
SHAKIR: And that when the servant of Allah stood up calling upon Him, they wellnigh crowded him (to death).
KHALIFA: When GOD’s servant advocated Him alone, almost all of them banded together to oppose him.
১৯। ” যখন আল্লাহ্র বান্দা [ মুহম্মদ ] ৫৭৪৩, তাঁকে (আল্লাহ্কে) ডাকার জন্য দাঁড়ায়, তারা তার নিকট ভিড় জমালো ৫৭৪৪।”
৫৭৪৩। ” আল্লাহ্র বান্দা ” অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ (সা)।
৫৭৪৪। ‘তারা ‘ শব্দটি দ্বারা এই আয়াতে মক্কার মোশরেক কোরাইশদের বুঝানো হয়েছে। রাসুলুল্লাহ্র(সা) সময়ে কাবা শরীফ কোরাইশদের অধিকারে ছিলো। তারা রাসুলের (সা) একেশ্বরবাদ প্রচারে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে অবতীর্ণ হয় এবং একেশ্বরবাদ প্রচারে বিভিন্ন বাঁধার সৃষ্টি করে। তারা সাধারণতঃ রাসুলকে (সা) বাঁধা দেওয়ার জন্য উচ্ছৃঙ্খলভাবে ঘিরে ধরতো এবং তাঁর সাথে এমন ব্যবহার করতো যেনো আল্লাহ্র রাসুল কোনও গর্হিত কাজ করেছেন ; কোনও অপরাধের সাথে জড়িত আছেন। সূরাটি অবতীর্ণ হওয়ার সময়ের প্রেক্ষাপটে আয়াতটির অর্থ উপরে বর্ণনা করা হলো। কিন্তু এই আয়াতটির অর্থ সার্বজনীন – যুগ কাল অতিক্রান্ত। আয়াতটির বিশ্বজনীন অর্থ হলো যুগে যুগে পৃথিবীতে যারা ন্যায় ও সত্যের সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও হবেন তাঁরা সর্বকালে, সর্ব যুগে বাঁধা প্রাপ্ত হবেন পাপী ও অন্যায়কারীদের দ্বারা। সত্যের বাণীর প্রচারকদের একান্ত ও আন্তরিক আহ্বান এসব পাপীদের অন্তর স্পর্শ করবে না। পাপীরা তাদের হাস্যস্পদ করবে, বিভিন্ন দিক থেকে তাদের ব্যঙ্গ করবে, নিন্দা ও অপবাদে জর্জরিত করবে। এসব বাধাদানকারীরা ন্যায় ও সত্যের প্রচারকদের জীবন কন্টকিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে। এসব বাঁধার প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে সর্বকালে সর্বযুগে সত্যের সংগ্রামীদের অগ্রসর হতে হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।
আয়াতঃ 072.020
বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।
Say (O Muhammad SAW): ”I invoke only my Lord (Allâh Alone), and I associate none as partners along with Him.”
قُلْ إِنَّمَا أَدْعُو رَبِّي وَلَا أُشْرِكُ بِهِ أَحَدًا
Qul innama adAAoo rabbee wala oshriku bihi ahadan
YUSUFALI: Say: “I do no more than invoke my Lord, and I join not with Him any (false god).”
PICKTHAL: Say (unto them, O Muhammad): I pray unto Allah only, and ascribe unto Him no partner.
SHAKIR: Say: I only call upon my Lord, and I do not associate any one with Him.
KHALIFA: Say, “I worship only my Lord; I never set up any idols beside Him.”
রুকু – ২
২০। [ হে মুহম্মদ ] বল : ” আমি আমার প্রভু ব্যতীত কাউকে ডাকি না, আমি তার সাথে কোন [ মিথ্যা উপাস্যের ] শরীক করি না।”
২১। বল, : ” তোমাদের ক্ষতি বা সঠিক পথে পরিচালনার আমার কোন ক্ষমতা নাই ৫৭৪৫”
৫৭৪৫। এই আয়াতটিতে রাসুলকে সম্বোধন করা হয়েছে ‘বল’ শব্দটি দ্বারা। রাসুলকে (সা) বলতে বলা হয়েছে যে, “আমি তোমাদের ব্যক্তিগত বা সামাজিক ভাবে ক্ষতি করার জন্য আগমন করি নাই। বরং আমার ধরাতের আগমন তোমাদের কল্যাণের জন্য। কিন্তু আমি তোমাদের চরিত্রকে সংশোধন করতে পারবো না যতক্ষণ না তোমরা নিজেরা চেষ্টা করে থাক। তোমাদের চরিত্র তখনই সংশোধিত হবে যখন তোমরা তোমাদের বিশ্বাস বা ঈমানকে সংশোধিত করে পবিত্র করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ কর। অর্থাৎ ঈমানের পথে ধর্মের পথে ব্যক্তিকে আসতে হবে স্ব-ইচ্ছায়। আল্লাহ্র রাসুল (সা) তাদের সেই পথের ঠিকানা দিতে পারেন।
আয়াতঃ 072.021
বলুনঃ আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই।
Say: ”It is not in my power to cause you harm, or to bring you to the Right Path.”
قُلْ إِنِّي لَا أَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَلَا رَشَدًا
Qul innee la amliku lakum darran wala rashadan
YUSUFALI: Say: “It is not in my power to cause you harm, or to bring you to right conduct.”
PICKTHAL: Say: Lo! I control not hurt nor benefit for you.
SHAKIR: Say: I do not control for you evil or good.
KHALIFA: Say, “I possess no power to harm you, nor to guide you.”
রুকু – ২
২০। [ হে মুহম্মদ ] বল : ” আমি আমার প্রভু ব্যতীত কাউকে ডাকি না, আমি তার সাথে কোন [ মিথ্যা উপাস্যের ] শরীক করি না।”
২১। বল, : ” তোমাদের ক্ষতি বা সঠিক পথে পরিচালনার আমার কোন ক্ষমতা নাই ৫৭৪৫”
৫৭৪৫। এই আয়াতটিতে রাসুলকে সম্বোধন করা হয়েছে ‘বল’ শব্দটি দ্বারা। রাসুলকে (সা) বলতে বলা হয়েছে যে, “আমি তোমাদের ব্যক্তিগত বা সামাজিক ভাবে ক্ষতি করার জন্য আগমন করি নাই। বরং আমার ধরাতের আগমন তোমাদের কল্যাণের জন্য। কিন্তু আমি তোমাদের চরিত্রকে সংশোধন করতে পারবো না যতক্ষণ না তোমরা নিজেরা চেষ্টা করে থাক। তোমাদের চরিত্র তখনই সংশোধিত হবে যখন তোমরা তোমাদের বিশ্বাস বা ঈমানকে সংশোধিত করে পবিত্র করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ কর। অর্থাৎ ঈমানের পথে ধর্মের পথে ব্যক্তিকে আসতে হবে স্ব-ইচ্ছায়। আল্লাহ্র রাসুল (সা) তাদের সেই পথের ঠিকানা দিতে পারেন।