لِنَفْتِنَهُمْ فِيهِ وَمَن يُعْرِضْ عَن ذِكْرِ رَبِّهِ يَسْلُكْهُ عَذَابًا صَعَدًا
Linaftinahum feehi waman yuAArid AAan thikri rabbihi yasluk-hu AAathaban saAAadan
YUSUFALI: “That We might try them by that (means). But if any turns away from the remembrance of his Lord, He will cause him to undergo a severe Penalty.
PICKTHAL: That We may test them thereby, and whoso turneth away from the remembrance of his Lord; He will thrust him into ever-growing torment.
SHAKIR: So that We might try them with respect to it; and whoever turns aside from the reminder of his Lord, He will make him enter into an afflicting chastisement:
KHALIFA: We will surely test them all. As for him who disregards the message of his Lord, He will direct him to ever increasing retribution.
১৭। ” যার দ্বারা আমি তাদের পরীক্ষা করতাম। কিন্তু কেহ যদি তার প্রভুর স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ৫৭৪১, তিনি তাকে দুঃসহ শাস্তিতে প্রবেশ করাবেন।
৫৭৪১। সম্পদ ও প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহ্ বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন। যারা সম্পদে, সুখে, প্রাচুর্যে সর্ব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে তারাই মোমেন বান্দা। আল্লাহকে স্মরণ করার অর্থ হচ্ছে আত্মার মাঝে সর্বদা তাঁর উপস্থিতি অনুভব করা। আল্লাহ্র কল্যাণকে উপলব্ধি করা এবং তাঁর হেদায়েতকে অনুসরণ করার মাধ্যমেই আল্লাহকে প্রকৃত পক্ষে স্মরণ করা হয়। যার হৃদয়ে সর্বদা আল্লাহ্র উপস্থিতি বিদ্যমান সে কি কখনও সেই বিশ্বপ্রভুর সম্মুখে পাপে ও মন্দ কাজে লিপ্ত হতে পারে ? যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র হেদায়েতকে অস্বীকার করে এবং পাপ পথে ধাবিত হয়, আল্লাহ্ এরূপ ব্যক্তির উপর থেকে তাঁর আশীর্বাদ বা কল্যাণ যা বান্দার আত্মাকে সমৃদ্ধ করবে তা প্রত্যাহার করে নেন। আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো বঞ্চিত হয়ে এসব আত্মা ধীরে ধীরে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। আত্মিক অন্ধকারে নিমজ্জিত আত্মা থাকে ভয়ে, শঙ্কায় আতঙ্কিত, উদ্বেগ দুঃশ্চিন্তাতে হতাশাগ্রস্থ যা দুঃসহ শাস্তি যা দোযখের পূর্বশর্ত। অপরপক্ষে আলোকিত আত্মা বা হেদায়েত প্রাপ্ত আত্মার মাঝে বিরাজ করে সমাহিত প্রশান্তি যা বেহেশতের পূর্বাভাষ।
আয়াতঃ 072.018
এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না।
And the mosques are for Allâh (Alone), so invoke not anyone along with Allâh.
وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللَّهِ أَحَدًا
Waanna almasajida lillahi fala tadAAoo maAAa Allahi ahadan
YUSUFALI: “And the places of worship are for Allah (alone): So invoke not any one along with Allah;
PICKTHAL: And the places of worship are only for Allah, so pray not unto anyone along with Allah.
SHAKIR: And that the mosques are Allah’s, therefore call not upon any one with Allah:
KHALIFA: The places of worship belong to GOD; do not call on anyone else beside GOD.
১৮। ” এবং মসজিদসমূহ শুধুমাত্র আল্লাহ্র এবাদতের জন্য ৫৭৪২। সুতারাং আল্লাহ্ সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডাকবে না।
৫৭৪২। এইটি একটি মক্কী সূরা। ‘মসজিদ’ শব্দটি দ্বারা কাবা শরীফ বা পরবর্তীতে বিভিন্ন মসজিদকেই শুধুমাত্র বোঝায় না। শব্দটির মূল অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্র এবাদতের জন্য যে কোনও স্থান বা উপলক্ষ, অথবা আল্লাহ্র কাজে ভক্তিবনতভাবে আত্মসমর্পন অথবা মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা মেধা মননশক্তি অর্থাৎ আল্লাহ্র এবাদতের জন্য যাই করা হোক না কেন তাকেই এই মসজিদ শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এর অর্থ সেজদাও হতে পারে। যে অঙ্গ আল্লাহ্র আনুগত্যের জন্য বিনয়বনত হয় যথা : হস্ত, পদ, ঠোঁট, স্বর উপলব্ধি ইত্যাদি আবার জনসমষ্ঠি একতাবদ্ধভাবে আল্লাহ্র এবাদতে যখন আত্মনিয়োগ করে এ সমস্তই ‘মসজিদ সমূহ ‘ শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। এই শব্দটি বিভিন্ন ভাবকে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যথাঃ
১) মসজিদ দ্বারা এমন স্থানকে বুঝানো হয় যেখানে এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারও এবাদত হয় না। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে কাবা শরীফ এক আল্লাহ্র এবাদতের পরিবর্তে বহু দেব দেবীতে পূর্ণ ছিলো।
২) আল্লাহ্র এবাদত হতে হবে আন্তরিক ও একাগ্র। এবাদত যেনো কোনও অবস্থাতেই মিথ্যা দ্বারা কলুষিত না হয় সেজদা হচ্ছে এরূপ এক এবাদত।
৩) আমাদের সকল সমৃদ্ধি ঐশ্বরিক দান। সুতারাং আমাদের সকল কিছুই আল্লাহ্র সেবায় অর্থাৎ তাঁর সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। সেখানে দম্ভ বা অসার আত্মশ্লাঘার কোন স্থান নাই। অর্থাৎ মসজিদ শব্দটি দ্বারা আল্লাহ্র এবাদতের বিভিন্ন ধারাকে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
আয়াতঃ 072.019
আর যখন আল্লাহ তা’আলার বান্দা তাঁকে ডাকার জন্যে দন্ডায়মান হল, তখন অনেক জিন তার কাছে ভিড় জমাল।
(It has been revealed to me that) When the slave of Allâh (Muhammad SAW) stood up invoking (his Lord Allâh) in prayer to Him they (the jinns) just made round him a dense crowd as if sticking one over the other (in order to listen to the Prophet’s recitation).