১০। ” এবং আমরা বুঝতে পারি না, যারা পৃথিবীতে আছে তাদের জন্য কোন অমঙ্গলের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে ৫৭৩৫, না তাদের প্রভু [ প্রকৃতই ] তাদের মঙ্গল আকাঙ্খা করেন।
৫৭৩৫। এই আয়াতগুলি জ্বিনদের বক্তব্য। কোরাণের যুগান্তকারী সত্য জ্বিন বা অশুভ শক্তির উপাসনাকারীদের জন্য ছিলো সম্পূর্ণ নূতন। এর উপমা হচ্ছে জ্বলন্ত তরবারীর ন্যায় যা অন্ধকার বা মিথ্যাকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় এবং সত্যের বাণীকে পৃথিবীর সম্মুখে উদ্ভাসিত করে তোলে। জ্বিনেরা মুক্তকন্ঠে স্বীকার করে যে, তারা জানে না যে, কোরাণের বাণী মানুষের মঙ্গল সাধন করবে, না মানুষ তা প্রত্যাখানের মাধ্যমে নিজের অমঙ্গল ডেকে আনবে। কিন্তু তারা প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনে সক্ষম হয়েছিলো যে, যদি কেউ প্রকৃত হেদায়েত কামনা করে তবে কোরাণ হচ্ছে আল্লাহ্র আর্শীবাদ।
আয়াতঃ 072.011
আমাদের কেউ কেউ সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ কেউ এরূপ নয়। আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথে বিভক্ত।
’There are among us some that are righteous, and some the contrary; we are groups each having a different way (religious sect, etc.).
وَأَنَّا مِنَّا الصَّالِحُونَ وَمِنَّا دُونَ ذَلِكَ كُنَّا طَرَائِقَ قِدَدًا
Waanna minna alssalihoona waminna doona thalika kunna tara-iqa qidadan
YUSUFALI: ‘There are among us some that are righteous, and some the contrary: we follow divergent paths.
PICKTHAL: And among us there are righteous folk and among us there are far from that. We are sects having different rules.
SHAKIR: And that some of us are good and others of us are below that: we are sects following different ways:
KHALIFA: ” `Some of us are righteous, and some are less than righteous; we follow various paths.
১১। ” আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পূণ্যাত্মা, এবং অনেকে ইহার ব্যতিক্রম। [ কেননা ] আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের অনুসারী।
১২। ” কিন্তু আমরা মনে করি যে, আমরা পৃথিবীতে কোন প্রকারেই আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবো না, এবং পলায়ন করেও তাঁকে ব্যর্থ করতে পারবো না। ৫৭৩৬
৫৭৩৬। দেখুন উপরের টিকা। জ্বিনেরা শেষ পর্যন্ত বুঝতে সক্ষম হয়েছিলো যে, আল্লাহ্র বাণী এবং সত্য চির অক্ষয় ও অম্লান এবং তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবেই। আল্লাহ্র উদ্দেশ্যকে পরাভূত করার ক্ষমতা পৃথিবীর কোনও শক্তির নাই। আল্লাহ্র ক্ষমতার আওতার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারও নাই। যে আল্লাহ্র বিরোধিতা করে সে নিজেরই আত্মার ক্ষতি করে। সুতারাং কেন মানুষ আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করে শান্তিময় জীবনের সন্ধান লাভ করে না ? কেন তারা বিশ্বাস বা ঈমানের রংএ নিজস্ব জীবনকে রাঙ্গিয়ে তোলে না ?
আয়াতঃ 072.012
আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ তা’আলাকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাকে অপারক করত পরব না।
’And we think that we cannot escape (from the punishment of) Allâh in the earth, nor can we escape (from the punishment) by flight.
وَأَنَّا ظَنَنَّا أَن لَّن نُّعجِزَ اللَّهَ فِي الْأَرْضِ وَلَن نُّعْجِزَهُ هَرَبًا
Wanna thananna an lan nuAAjiza Allaha fee al-ardi walan nuAAjizahu haraban
YUSUFALI: ‘But we think that we can by no means frustrate Allah throughout the earth, nor can we frustrate Him by flight.
PICKTHAL: And we know that we cannot escape from Allah in the earth, nor can we escape by flight.
SHAKIR: And that we know that we cannot escape Allah in the earth, nor can we escape Him by flight:
KHALIFA: ” `We knew full well that we can never run away from GOD on Earth; we can never run away and escape.
১১। ” আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পূণ্যাত্মা, এবং অনেকে ইহার ব্যতিক্রম। [ কেননা ] আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের অনুসারী।
১২। ” কিন্তু আমরা মনে করি যে, আমরা পৃথিবীতে কোন প্রকারেই আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবো না, এবং পলায়ন করেও তাঁকে ব্যর্থ করতে পারবো না। ৫৭৩৬
৫৭৩৬। দেখুন উপরের টিকা। জ্বিনেরা শেষ পর্যন্ত বুঝতে সক্ষম হয়েছিলো যে, আল্লাহ্র বাণী এবং সত্য চির অক্ষয় ও অম্লান এবং তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবেই। আল্লাহ্র উদ্দেশ্যকে পরাভূত করার ক্ষমতা পৃথিবীর কোনও শক্তির নাই। আল্লাহ্র ক্ষমতার আওতার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারও নাই। যে আল্লাহ্র বিরোধিতা করে সে নিজেরই আত্মার ক্ষতি করে। সুতারাং কেন মানুষ আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করে শান্তিময় জীবনের সন্ধান লাভ করে না ? কেন তারা বিশ্বাস বা ঈমানের রংএ নিজস্ব জীবনকে রাঙ্গিয়ে তোলে না ?
আয়াতঃ 072.013
আমরা যখন সুপথের নির্দেশ শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব, যে তার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস করে, সে লোকসান ও জোর-জবরের আশংকা করে না।
’And indeed when we heard the Guidance (this Qur’ân), we believed therein (Islâmic Monotheism), and whosoever believes in his Lord shall have no fear, either of a decrease in the reward of his good deeds or an increase in punishment for his sins.