YUSUFALI: At length, when they see (with their own eyes) that which they are promised,- then will they know who it is that is weakest in (his) helper and least important in point of numbers.
PICKTHAL: Till (the day) when they shall behold that which they are promised (they may doubt); but then they will know (for certain) who is weaker in allies and less in multitude.
SHAKIR: Until when they see what they are threatened with, then shall they know who is weaker in helpers and fewer in number.
KHALIFA: Once they see what is awaiting them, they will find out who is really weaker in power, and fewer in number.
২৩। ” যদি না আমি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তাঁর যে বাণী গ্রহণ করেছি তা প্রচার করি। যে আল্লাহকে এবং তাঁর রসুলকে অমান্য করে, নিশ্চয়ই তার জন্য আছে জাহান্নাম। সেখানে তারা চিরদিন থাকবে।”
২৪। অবশেষে, যখন তারা [ নিজ চক্ষে ] প্রতিশ্রুত শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করবে ৫৭৪৭, তখন তারা বুঝতে পারবে [ তার ] সাহায্যকারী হিসেবে কে দুর্বল এবং সংখ্যার দিক থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ।
৫৭৪৭। পরলোকে শেষ বিচারের দিনে প্রতিটি মানুষের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত করা হবে। সেদিন তারা প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধিতে সক্ষম হবে। সেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে যে, আল্লাহ্র বাণী প্রকৃত সত্য – মৃত্যুই জীবনের পরিসমাপ্তি নয়। পার্থিব মৃত্যু শুধুমাত্র নশ্বর দেহের ধ্বংস করে। সেদিন তাদের বোধদয় ঘটবে যে, পৃথিবীতে যাদের মনে করা হতো দুর্বল, পরলোকের জীবনের মূল্যবোধের প্রেক্ষাপটে তারাই হবে শক্তিশালী ও সবল, যাদের জীবনবোধকে পৃথিবীতে কেহই অনুসরণ করতো না, কারণ তাঁরা ছিলেন ন্যায় ও সত্যের অনুসারী। পরলোকের অনন্ত জীবনে তাদের সম্বর্ধনা ও সাহায্যের জন্য তারই সমগোত্রীয় লোকেরা এগিয়ে আসবেন।
আয়াতঃ 072.025
বলুনঃ আমি জানি না তোমাদের প্রতিশ্রুত বিষয় আসন্ন না আমার পালনকর্তা এর জন্যে কোন মেয়াদ স্থির করে রেখেছেন।
Say (O Muhammad SAW): ”I know not whether (the punishment) which you are promised is near or whether my Lord will appoint for it a distant term.
قُلْ إِنْ أَدْرِي أَقَرِيبٌ مَّا تُوعَدُونَ أَمْ يَجْعَلُ لَهُ رَبِّي أَمَدًا
Qul in adree aqareebun ma tooAAadoona am yajAAalu lahu rabbee amadan
YUSUFALI: Say: “I know not whether the (Punishment) which ye are promised is near, or whether my Lord will appoint for it a distant term.
PICKTHAL: Say (O Muhammad, unto the disbelievers): I know not whether that which ye are promised is nigh, or if my Lord hath set a distant term for it.
SHAKIR: Say: I do not know whether that with which you are threatened be nigh or whether my Lord will appoint for it a term:
KHALIFA: Say, “I do not know if what is promised to you will happen soon, or if my Lord will delay it for awhile.”
২৫। বল, ” আমি জানি না, তোমাদের [ শাস্তির ] যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা কি আসন্ন ৫৭৪৮, না আমার প্রভু এর জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করবেন।
৫৭৪৮। কেয়ামত ও শেষ বিচারের দিন অবশ্যই আসবে। কিন্তু সেদিন কবে আসবে সে কথা সঠিকভাবে ভবিষ্যতবাণী করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। পৃথিবীর সময়ের মাপকাঠিতে সে সময় কত দূর তারও অনুমান করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। সে সময়ের সঠিক অবস্থান জানেন একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ্। এমনকি আল্লাহ্র রাসুলও (সা) অদৃশ্য জগতের সকল সংবাদ সম্বন্ধে অবহিত নন। তিনি ততটুকুই জানেন যতটুকু আল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যাদেশের মাধ্যমে অবহিত করেন। দেখুর সূরা [ ৬ : ৫০ ] আয়াত ও টিকা ৪৬৭-৬৮।
আয়াতঃ 072.026
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
”(He Alone) the All-Knower of the Ghâ’ib (unseen), and He reveals to none His Ghâ’ib (unseen).”
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا
AAalimu alghaybi fala yuthhiru AAala ghaybihi ahadan
YUSUFALI: “He (alone) knows the Unseen, nor does He make any one acquainted with His Mysteries,-
PICKTHAL: (He is) the Knower of the Unseen, and He revealeth unto none His secret,
SHAKIR: The Knower of the unseen! so He does not reveal His secrets to any,
KHALIFA: He is the Knower of the future; He does not reveal the future to anyone
২৬। ” তিনিই [ একমাত্র ] অদৃশ্য সম্বন্ধে জানেন। তিনি তাঁর [ অদৃশ্যের ] রহস্য সম্বন্ধে কাউকে অবহিত করেন না ৫৭৪৯, –
৫৭৪৯। অদৃশ্যের রহস্যকে দুটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা যায়। বস্তু জগতে কোন বস্তু যখন কোন ব্যক্তির নিকট অদৃশ্য থাকে তা নির্ভর করে সময়, স্থান, পরিবেশ, আপেক্ষিক অবস্থানের উপরে। উদাহরণ দিয়ে বুঝানো যায়,যেমন : গত বছর যে গৃহ আমি দেখেছিলাম আজ সেখানে সে গৃহের অবস্থান নাই। কারণ তা ভেঙ্গে ফেলে সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে সময়ের পার্থক্যের কারণে বস্তুটি দৃষ্টিগোচর নয়। ঢাকাতে বসে আমার পক্ষে নিউইর্য়কের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দর্শন করা সম্ভব নয়, যদিও সেটির অবস্থান নিউইয়র্কে রয়েছে এবং যে কেউ নিউইর্য়কে থেকে তা দর্শন করতে পারে। এখানে স্থানের দূরত্বের কারণে বস্তু অদৃশ্য থেকে যায়। আবার বৃহস্পতি গ্রহটি খালি চোখে দেখা যায় না বা অদৃশ্য থাকে, আবার শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে তা দৃশ্যমান। এখানে পরিবেশর কারণে বস্তুটি অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। ঠিক সেরূপ হচ্ছে রোজ কেয়ামতের সংবাদ যা চরম অদৃশ্য সংবাদ বা শ্রেষ্ঠ রহস্য অথবা আল্লাহ্র গূঢ় রহস্য যা পৃথিবীর মানুষের পক্ষে জানা বা দেখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। মানুষ ততটুকুই জানতে পারবে যতটুকু আল্লাহ্ তাদের জানাতে চান। আল্লাহ্ মানুষকে ততটুকুই জানতে দেন যতটুকু জানা তার জন্য মঙ্গলজনক। এভাবেই আল্লাহ্ তাঁর মনোনীত রাসুল, জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর হযরত মুহম্মদ মুস্তফার (সা) মাধ্যমে আমাদের অদৃশ্য জগত বা পরলোকের সংবাদ অবহিত করেছেন। কিন্তু শেষ বিচারের দিনের নির্দ্দিষ্ট দিন ক্ষণ আমাদের অবহিত করা হয় নাই। কারণ তা হলে পৃথিবীর সকল কাজ কর্ম স্তব্ধ হয়ে যেতো। জীবন তার গতিময়তা ও ছন্দ হারিয়ে ফেলতো। কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে যে, তা যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে। সুতারাং আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেকে সেই মূহুর্তের জন্য প্রস্তুত করবো। দেখুন পূর্ববতী ও পরবর্তী টিকা সমূহ।