৩৭। যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, এবং তা মলমের মত রক্তবর্ণ হবে ৫১৯৯
৫১৯৯। এই আয়াতটির ইংরেজী ও বাংলা অনুবাদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজী অনুবাদ হচ্ছে,”……… and it becomes red like Ointment ” অধিকাংশ বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে “উহা রক্ত রংগে রঞ্জিত চর্মের রূপ ধারণ করিবে।” মোট কথা লাল রং হবে অগ্নিশিখার কারণে এবং উত্তপ্ত হওয়ার কারণে। এই চেনা জানা পৃথিবী মোমের মত গলে উত্তপ্ত হয়ে লাল রং ধারণ করবে।
আয়াতঃ 055.038
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani
YUSUFALI: Then which of the favours of your Lord will ye deny?
PICKTHAL: Which is it, of the favours of your Lord, that ye deny? –
SHAKIR: Which then of the bounties of your Lord will you deny?
KHALIFA: Which of your Lord’s marvels can you deny?
৩৮। সুতারাং তোমাদের প্রভুর কোন অনুগ্রহ তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ?
৩৯। সেদিন মানুষ অথবা জ্বিন কাউকে তাদের পাপ সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করা হবে না ৫২০০।
৫২০০। এই আয়াতটির অর্থ এই নয় যে, শেষ বিচারের দিনে মানুষ বা জ্বিনকে তাদের পাপের কৈফিয়ত দিতে হবে না। অবশ্যই প্রত্যেককে তাদের কাজের হিসাব দাখিল করতে হবে [ ১৫ : ৯২ ]। প্রকৃত পক্ষে এই আয়াতটির অর্থ হচ্ছে যে সেদিন ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব উপলব্ধি করতে বাধ্য করা হবে। তাদের হাত, পা, জিহ্বা ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যঙ্গ তাদের পাপ কাজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দান করবে [ ২৪ : ২৪]। প্রতিটি ব্যক্তিই তার কর্মের দ্বারা সেদিন চিহ্নিত হয়ে প্রকাশ্য হয়ে যাবে [ ৭: ৪৮]। চিহ্নিত হওয়ার পরে প্রত্যেকের অবস্থান ও পদমর্যদা নির্ধারিত হয়ে যাবে এবং সকলের নিকট তা প্রকাশ্য হবে। অবশ্য বিচারকের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আল্লাহ্র নিকট বিচারের পূর্বেও কিছু গোপন ছিলো না। যদিও আল্লাহ্ আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পাপও পূর্বেই অবগত, তবুও তিনি অভিযুক্তকে তার অপরাধের খুঁটিনাটি ও পরিমাণ অবগত করাবেন, অভিযুক্তদের সম্মুখে আমলনামা উপস্থাপন করা হবে [ ৬৯ : ১৯, ২৫ ] ও [ ১৮: ৪৯ ] আয়াত দেখুন। এবং অপরাধীকে ওকালতি করার সুযোগ দান করা হবে [ ৭ : ৫৩ ]। কিন্তু সেদিন পাপীরা থাকবে এক বিভ্রান্তিকর ও হতবুদ্ধি অবস্থায় [ ২৮ : ৬৫ ]। ওকালতি করার ক্ষমতা তাদের থাকবে না।
আয়াতঃ 055.039
সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জিন।
So on that Day no question will be asked of man or jinn as to his sin, (because they have already been known from their faces either white or black).
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُسْأَلُ عَن ذَنبِهِ إِنسٌ وَلَا جَانٌّ
Fayawma-ithin la yus-alu AAan thanbihi insun wala jannun
YUSUFALI: On that Day no question will be asked of man or Jinn as to his sin.
PICKTHAL: On that day neither man nor jinni will be questioned of his sin.
SHAKIR: So on that day neither man nor jinni shall be asked about his sin.
KHALIFA: On that day, no human, nor a jinn, will be asked about his sins.
৩৯। সেদিন মানুষ অথবা জ্বিন কাউকে তাদের পাপ সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করা হবে না ৫২০০।
৫২০০। এই আয়াতটির অর্থ এই নয় যে, শেষ বিচারের দিনে মানুষ বা জ্বিনকে তাদের পাপের কৈফিয়ত দিতে হবে না। অবশ্যই প্রত্যেককে তাদের কাজের হিসাব দাখিল করতে হবে [ ১৫ : ৯২ ]। প্রকৃত পক্ষে এই আয়াতটির অর্থ হচ্ছে যে সেদিন ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব উপলব্ধি করতে বাধ্য করা হবে। তাদের হাত, পা, জিহ্বা ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যঙ্গ তাদের পাপ কাজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দান করবে [ ২৪ : ২৪]। প্রতিটি ব্যক্তিই তার কর্মের দ্বারা সেদিন চিহ্নিত হয়ে প্রকাশ্য হয়ে যাবে [ ৭: ৪৮]। চিহ্নিত হওয়ার পরে প্রত্যেকের অবস্থান ও পদমর্যদা নির্ধারিত হয়ে যাবে এবং সকলের নিকট তা প্রকাশ্য হবে। অবশ্য বিচারকের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আল্লাহ্র নিকট বিচারের পূর্বেও কিছু গোপন ছিলো না। যদিও আল্লাহ্ আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পাপও পূর্বেই অবগত, তবুও তিনি অভিযুক্তকে তার অপরাধের খুঁটিনাটি ও পরিমাণ অবগত করাবেন, অভিযুক্তদের সম্মুখে আমলনামা উপস্থাপন করা হবে [ ৬৯ : ১৯, ২৫ ] ও [ ১৮: ৪৯ ] আয়াত দেখুন। এবং অপরাধীকে ওকালতি করার সুযোগ দান করা হবে [ ৭ : ৫৩ ]। কিন্তু সেদিন পাপীরা থাকবে এক বিভ্রান্তিকর ও হতবুদ্ধি অবস্থায় [ ২৮ : ৬৫ ]। ওকালতি করার ক্ষমতা তাদের থাকবে না।
আয়াতঃ 055.040
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
Then which of the Blessings of your Lord will you both (jinns and men) deny?
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
Fabi-ayyi ala-i rabbikuma tukaththibani