আয়াতঃ 053.047
পুনরুত্থানের দায়িত্ব তাঁরই,
And that upon Him (Allâh) is another bringing forth (Resurrection);
وَأَنَّ عَلَيْهِ النَّشْأَةَ الْأُخْرَى
Waanna AAalayhi alnnash-ata al-okhra
YUSUFALI: That He hath promised a Second Creation (Raising of the Dead);
PICKTHAL: And that He hath ordained the second bringing forth;
SHAKIR: And that on Him is the bringing forth a second time;
KHALIFA: He will effect the recreation.
৪৭। আর তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্বিতীয় সৃষ্টির [ মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানের ] ; ৫১১৭
৫১১৭। অষ্টম বাণী হচ্ছে পরলোকের পুণরুত্থান সম্পর্কে। মৃত্যু পরবর্তী জীবনের কথা এখানে বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 053.048
এবং তিনিই ধনবান করেন ও সম্পদ দান করেন।
And that it is He (Allâh) Who gives much or a little (or gives wealth and contentment),
وَأَنَّهُ هُوَ أَغْنَى وَأَقْنَى
Waannahu huwa aghna waaqna
YUSUFALI: That it is He Who giveth wealth and satisfaction;
PICKTHAL: And that He it is Who enricheth and contenteth;
SHAKIR: And that He it is Who enriches and gives to hold;
KHALIFA: He is the One who makes you rich or poor.
৪৮। আর, তিনিই দান করেন সম্পদ ও সন্তুষ্টি ; ৫১১৮
৫১১৮। পৃথিবীর অধিকাংশ লোক অর্থ সম্পদ ও পার্থিব লাভের কাঙ্গাল। কারণ অধিকাংশ লোকেরই বিশ্বাস যে পার্থিব সম্পদ ক্ষমতা ইত্যাদি পার্থিব জিনিষ মানুষকে আনন্দ ও তৃপ্তি দানে সক্ষম। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই তাদের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। দৈহিক আনন্দ ও তৃপ্তি কখনও স্থায়ী প্রভাব বিস্তারে অক্ষম। এই আনন্দ খুবই ক্ষণস্থায়ী। স্থায়ী ও প্রকৃত আনন্দের সাথে আধ্যাত্মিক যোগসুত্র বর্তমান। মানুষ পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উভয় পরিতৃপ্তির জন্য আল্লাহ্র অনুগ্রহের উপরে নির্ভরশীল। তিনিই মানুষকে অভাবমুক্ত করেন ও সন্তুষ্টি দান করেন। “অভাবমুক্ত” শব্দটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অভাব মানুষের মানসিক অবস্থার সাথে সম্পর্ক যুক্ত। যে মানুষ মানসিকভাবে অভাবগ্রস্থ সেই প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তি। পার্থিব জিনিষের অপর্যাপ্ততা কখনও অভাবের সৃষ্টি করে না ; অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। আল্লাহ্ মানুষের পরিবেশের ও মানসিক দুধরনের অভাবই দূর করে মানুষকে আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করেন, যা মানুষকে করে পরিতৃপ্ত।
আয়াতঃ 053.049
তিনি শিরা নক্ষত্রের মালিক।
And that He (Allâh) is the Lord of Sirius (the star which the pagan Arabs used to worship);
وَأَنَّهُ هُوَ رَبُّ الشِّعْرَى
Waannahu huwa rabbu alshshiAAra
YUSUFALI: That He is the Lord of Sirius (the Mighty Star);
PICKTHAL: And that He it is Who is the Lord of Sirius; SHAKIR: And that He is the Lord of the Sirius;
KHALIFA: He is the Lord of the galaxies.
৪৯। আর, তিনিই [ শক্তিশালী ] সিরিয়াস নক্ষত্রের প্রভু ৫১১৯ ;
৫১১৯। দশম বাণীটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ব্যাপারের উপরে বলা হয়েছে। “শিরা” একটি নক্ষত্র যা সৌর বৎসরের প্রথমার্দ্ধে যেমন : জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আকাশে দৃশ্যমান হয়। আকাশে শিরা নক্ষত্রের উপস্থিতি অত্যন্ত উজ্জ্বল। এই গ্রহটি উজ্জ্বল নীলাভ আলো বিকিরণ করে থাকে, যা মোশরেক আরবদের মনে ভয় ও বিস্ময়ের উৎপাদন করতো। ফলে মোশরেক আরবেরা শিরা নক্ষত্রকে ঐশ্বরিক ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পূঁজা করতো। কিন্তু এই উজ্জ্বল আলো বিকিরণকারী শিরা নক্ষত্রের স্রষ্টাও মহাশক্তিধর আল্লাহ্। সকল উপাসনা সেই মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র-ই প্রাপ্য।
আয়াতঃ 053.050
তিনিই প্রথম আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন,
And that it is He (Allâh) Who destroyed the former ’Ad (people),
وَأَنَّهُ أَهْلَكَ عَادًا الْأُولَى
Waannahu ahlaka AAadan al-oola
YUSUFALI: And that it is He Who destroyed the (powerful) ancient ‘Ad (people),
PICKTHAL: And that He destroyed the former (tribe of) A’ad,
SHAKIR: And that He did destroy the Ad of old
KHALIFA: He is the One who annihilated ancient `Aad.
৫০। এবং তিনিই [ শক্তিশালী ] প্রাচীন আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিলেন ৫১২০।
৫১২০। এগার নম্বর বা শেষ বাণীটি প্রদান করা হয়েছে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী আ’দ জাতির শাস্তির উল্লেখের মাধ্যমে। আ’দ জাতির জন্য দেখুন সূরা [ ৭ : ৬৫ ] আয়াতের টিকা ১০৪০ ; সামুদ জাতির জন্য দেখুন সূরা [ ৭ : ৭৩ ] আয়াতের টিকা ১০৪৩। এ সব জাতিরা সমকালীন পৃথিবীতে ছিলো অত্যন্ত শক্তিশালী জাতি। শুধু যে শক্তিশালী তাই-ই নয়,তারা ছিলো প্রতিভাধর এবং এক সৃজনশীল জাতি। কিন্তু তাদের শক্তি, প্রতিভা, এবং সৃজন ক্ষমতা কিছুই তাদের পাপের পরিণতি থেকে রক্ষা করতে পারে নাই। তারা তাদের পাপের পরিণতিতে ধ্বংস হয়ে যায়। একই ভাবে নূহ্ -এর সম্প্রদায়ও ধ্বংস হয়ে যায় বন্যার দ্বারা। কারণ তারা অন্ধের মত আল্লাহ্র নিদর্শনকে উপেক্ষা করেছিলো। দেখুন সূরা [ ৭: ৬৪ ] এবং [ ৭ : ৫৯ ] আয়াতের টিকা ১০৩৯ এবং সূরা [ ১১ : ২৫ – ৪৯ ]।